নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ এর ব্লগ

রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ

আমি অক্সিজেনকে ভালবাসি, তাই বলে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে ঘৃণা করতে পারিনা। কারণ আমি যার কাছ থেকে আমার ভালবাসাকে পাই সে তো কার্বন ডাই- অক্সাইডকেই ভালবাসে।

রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুমুকাহন

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৮



চুমু কি অশ্লীল?

আসলে চুমু শ্লীল কি অশ্লীল সেটা নির্ভর করতে কোথায় এবং কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চুমু দেয়া হচ্ছে সেটার ওপর। কোন বাবা-মা যখন তার ছোট শিশুকে কপালে,গালে চুমু দেন তখন সেটা একরকম। আবার যখন কোন প্রেমিক-প্রেমিকা একে অন্যকে চুমু দেন সেটা আর একরকম। যদি কোন প্রেমিক তার প্রেমিকার কপালে চুমু দিয়ে থাকে তবে সেটা অশ্লীল নয়। কিন্তু যদি ঠোঁট,স্তন অথবা নিতম্বে কামনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চুমু দেয় তাহলে সেটা অশ্লীল। আর সেটা যদি কোন খোলা জায়গা যেখানে নয় থেকে নব্বই বছরের মানুষ চলাফেরা করে সেখানে চুমু অশ্লীলতার চরম পর্যায় বলে পরিগনিত হবে।

একজোড়া প্রেমিক জুটির বৃষ্টিতে ভিজে চুম্বনরত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াল থেকে ওয়ালে ঘোরাফেরা করছে। অনেকে বিষয়টিকে বাহবা দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার দাবি করছেন ভালোবাসা এমন হওয়া উচিত। এর বিপরীতে অনেকে নিন্দাই জানাচ্ছেন।।সুতরাং বলা যায় বিষয়টি নিয়ে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

চুমু মূলত মানুষের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়ার প্রাথমিক কাজ করে। আর রাস্তা ঘাটে জনসম্মুখে নর-নারী চুমু খাওয়া গর্হিত কাজ,যা পর্ণোগ্রাফির শামিল বললে নেহায়েত ভুল বলা হবেনা। কেউ জনসম্মুখে পর্ণগ্রাফি দেখলে সেটা যেমন ক্ষতিকর,তেমনি জনসম্মুখে চুমু ক্ষতিকর। অন্যের চুমু দেখে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া কোন ব্যক্তি যৌন উত্তেজনা বাড়বে না,সে সেটার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাউকে আক্রমন করবে না-এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।

আলোচনার গভীরে যাওয়ার আগে একটা উদাহরন দেই। ছুটিতে বাড়ি গেলে আমার সাত বছর বয়সের ভাইয়ের মেয়ে পার্কে যাওয়ার বায়না ধরে। আমি তাকে পার্কে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি সুকৌশলে এড়িয়ে যাই। কেনো এড়িয়ে যাই বলছি। তার আগে আরও একটা উদাহরন দেই।

একবার এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেছি। আমি বেশ কিছু সময় ড্রয়িং রুমে বসে আছি। আমার পাশে বন্ধুর ছয়-সাত বছরের ভাগ্নে একটি মেয়ে পুতুল নিয়ে খেলছে। আমি তার খেলা বেশ মন দিয়ে দেখছিলাম। একটা সময় খেয়াল করলাম সে পুতুলটি ঠোঁটে চুমু খাচ্ছে। আমি বেশ অবাক হলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম,কোথা থেকে শিখেছো? সে অস্পষ্টভাবে যা বললো তাতে বুঝলাম শহরে এক ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে সে এমন একটি দৃশ্য দেখেছে।

নিশ্চয়ই এবার বুঝতে পেরেছেন কেনো আমার ভাইয়ের মেয়েকে পার্কে নিতে বারবার অপারগতা প্রকাশ করেছি। ভালোবাসে একজন অন্যজনকে চুমু খেতেই পারে। সেই চুমুটা যেনো এমন স্থানে বসে দেয়া না হয় যেখানে বিভিন্ন পেশার,বয়সের মানুষ যাতায়াত করে।

অনেকে বাঙালি সংস্কৃতির কথা বলেন। বাঙলা সংস্কৃতিতে কি এসব চুমুর প্রচলন আছে? পশ্চিমা সংস্কৃতি কেনো আগ্রাসন চালাবে এই বঙ্গদেশে? সত্য কথা বলে বাঙালি অস্তিত্বের সঙ্কটে ভোগা জাতি। এজাতি পয়লা বৈশাখে যেমন পান্তা ভাত,ইলিশ খেয়ে নিজেকে বাঙালি বানায় আবার থার্টি ফাস্ট নাইটে বেলাল্লাপনায় মেতে ওঠে। বাঙালির পরিচয় সঙ্কট ঘনীভূত হতে হতে বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে এসে পৌছেছে সেখান থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথ খোলা নেই। আর তাই বাঙালি ফুল হয়ে জন্মাতে গিয়ে বারবার ঝরে পড়ে।

টিএসসির ঐ ছেলেটির ছবি যদি ওয়ালে গর্বের সাথে সবাই শেষার দিতে পারেন তাহলে তরুন-তরুনীর লিক হওয়া শারিরীক মিলনের ভিডিও শেয়ার দিন। কারন ওটাও তো ভালোবাসা। যাহোক ভালোবাসুন। চুমু খান। তবে সেটা প্রাইভেসি বজার রেখে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: সহমত

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার বক্তব্যে সাথে পরিপূর্ণভাবে একমত। বিষয়টি নিয়ে এতো সুন্দর আলোচনার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: মাঝে মধ্যে কিছু চুম্মার দৃশ্য দেগলে মনতা যা কয় থাক বললাম না।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

যেভাবে সবার সমানে চুমু খাচ্ছে, একটু আড়াল পেলে জিং জিংও খেলতে পারে।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

নায়লা রহমান বলেছেন: ব্যক্তিগত বলতে একটা বিষয় আছে বলেই আমরা মানুষ।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সমাজের অবক্ষয়ের পথে আরো এক ধাপ। কিছুদিন আগে কলেজের ছেলে মেয়ের প্রেম নিবেদন ভাইরাল হয়েছিল...

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: স্বাগত জানানো দরকার সেই ভাই ও বোনটিকে যারা নিজেদের জাতিসত্বার কথা ভুলে গিয়ে দেশকে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে নিয়ে যেতে আরো একধাপ বেশি অবদান রেখছে।

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০০

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আসলে এই ধরনের ঘটনার ভেতর দিয়ে আমরা আমাদের ভেতরকার সত্তার অনেকগুলো দিক উন্মোচন হতে দেখি। কাণ্ডজ্ঞান বলতে সহজ একটা কথা আছে। যাদের সেটা আছে তারা বুঝতে পারে ঠিক-বেঠিক এবং শ্লীল-অশ্লীল বিষয়গুলো। আপনার সাথে একমত আমি। পোস্টটা ভালো হয়েছে।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: তবে এটাও সত্য, সমাজ নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। একে যেমন কিলিয়ে পাকানো যায়না, তেমনি বাঁধ দিয়ে আটকানও যায় না। প্রকাশ্যে চুমু আমাদের সমাজে এখনও অগ্রহনযোগ্য। তাই আপনি কিলিয়ে কাঠাল পাকাতে চাইলেও এখন তা পাকবে না। প্রকাশ্যে মানুষ কুপিয়ে মারা বা হাতুড়ি দিয়ে মারা, সেটা কি চুমুর চেয়ে ভালো?

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

হাঙ্গামা বলেছেন: চুম্মা চুম্মা দে দে ... ;)

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

একাল-সেকাল বলেছেন: প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ
ঘুষ খাওয়া কখনওই নয়,
নচিকেতার পুরোনো সেই গানটা আমাদের সামাজিক অবস্থানকে খুব ভাল করেই তুলে ধরেছে।
আসলে অশ্লিলতা কি ?
এটা নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়, তবে স্থান কাল, পাত্রভেদে অশ্লিলতার প্যারামিটার উঠানামা করে।
নিকট অতীতে সারা বিশ্ব দেখল বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে বৃষ্টিভেজা ক্রোয়েট প্রেসিডেন্টের আলিঙ্গনের দৃশ্য। যা কিনা কোন মিডিয়াতেই অশ্লিলতায় আবদ্ধ করা হয়নি। আবার আমাদের দেশের নেত্রীরা হ্যান্ডশেক করলেই সেটা বাঁকা চোখে দেখতে লোকের অভাব হয়না।
মি। জাকির নায়েককে একজন পশ্চিমা প্রশ্ন করেছিল, তোমাদের দেশের মহিলারা অশালিন পোশাক পড়ে, পেট বেরকরে শাড়ি পড়ে,
আবার ভারতীয় উপমহাদেশে ( বিশেষত বাংলাদেশে ) উরু বের করে স্কার্ট পড়লে তাকে আমরা অশালিন বলি, অথচ পশ্চিমা দুনিয়ায় এটা সাধারন ব্যাপার।
তাই অশ্লিলতাতে ধর্মীয় ও সামাজিক প্যারামিটারে বিচার করাই শ্রেয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.