নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেঁকি

তোতা পাখির জগৎ খাঁচায় বন্দি.... তার ভাষা মনিবের বাক্যেই সীমাবদ্ধ। তোতাপাখি হতে কীবোর্ড ধরিনি, এখানে তোতাপাখি হতে আসিনি!!

রায়ান ঋদ্ধ

এলোমেলো ধাঁচের পাগলাটে একজন মানুষ আমি। অনেকে বলে কল্পনা প্রবণ। একটু বোকা ধরণের হলেও সচেতন, নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, বিপ্লব মনা, তর্ক প্রবণ, মধ্যবিত্ত ঘরের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির একজন বাংলাদেশী নাগরিক আমি, যে দেশকে অন্য সব কিছুর থেকে বেশি ভালোবাসে। ভালোবাসা আমার মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলোর একটি এবং আমার সব কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরক। সব কিছুর মত আমিও আপেক্ষিক। আজ হয়তো এমন আছি, কাল বদলেও যেতে পারি!!

রায়ান ঋদ্ধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থী হয়ে রয়ে যাই, গুরু-শিষ্য হতে পারি না!

১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

শিক্ষক আর শিক্ষার্থীর সম্পর্ক সেই গুরু-শীষ্যর মত আর নেই। শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শিক্ষার্থীদের মাঝে তেমন ভাবে পাওয়া যায় না। শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকদের তেমন গুরুত্বদানও এখন নেই। দু'পক্ষের ভেতরেই ভালোবাসার সম্পর্ক পাওয়া দুষ্কর।



এই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দোষটা অনেক বেশী বলব। কলেজ লেভেলের শিক্ষকরা যতটা আন্তরিক ভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে মেশেন সেখানে শিক্ষার্থীরা তার আন্তরিকতা সুযোগে অনেক সময় অনেক অপমানজনক আচরণ করে বসে। অনেক শিক্ষকই আবার প্রয়োজন ব্যাতিরেকেই অনেক বেশী ভাবগম্ভির। একটা দ্বন্দ্ব আছেই এই সম্পর্কে।



বাণিজ্যিক ভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্যও এই সম্পর্কের অবনমন। কিন্তু একজন শিক্ষকের বেতনের কথা ভাবুন, সে বেতনে কিভাবে সে পরিবার সামলিয়ে উপযুক্ত শিক্ষিত করবে শিক্ষার্থীদের? অপরদিকে যদি শিক্ষার্থীদের কথা ধরা যাক, তাদের উপর সব সময় একটা চাপ; এ প্লাস, সার্টিফিকেট, ভালো ভার্সিটি, ভালো চাকরি, তাকে ঘিরে পরিবারের মান সম্মান, সামাজিক 'স্ট্যাটাস'! ফলে তারও শিক্ষাটাকে বাণিজ্যিক ভাবে গ্রহণ করে, জানার বা শেখার আগ্রহের জন্য না।



এসবের দ্বায় ভার আমি দেব শিক্ষা পদ্ধতির। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিটা এমন ভাবে তৈরি যাতে শিক্ষককে মেন্টর হতে দেয় না, শিক্ষক শুধু একটি কাজে নিজুক্ত ব্যাক্তি হয়ে থেকে যান। শিক্ষার্থীরা হয় কলুর বলদ। সমাজ, পরিবার, আপন জনের স্বপ্ন পূরণ সব তাদের দ্বায় ভার। তাদের নিজেদেরও যে কিছু ইচ্ছা বা স্বপ্ন আছে এটা সব কিছুর নিচে দাবা পড়ে যায়। ছোট থেকেই আমরা চিন্তা করার এবং এক্সপেরিমেন্ট করার ক্ষমতাকে বন্দি করে দেই। একটা শিক্ষার্থীর যেমন শিক্ষা নেওয়ার স্বাধীনতা নাই, শিক্ষকেরও তেমনি নেই নিজের মত করে শিক্ষা দেওয়ার।



যদি শিক্ষকদের বলা হত আপনারা নিজেদের মত করে শিক্ষা দেন আর তারপর নিজের মত করে তাদের মূল্যায়ন করেন, তাহলে মনে হয় না শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই বিভেদ থাকতো। আর যদি শিক্ষার্থীরা নিজ ইচ্ছা ও কৌতূহল অনুযায়ী শিক্ষার বিষয় বেছে নিয়ে তার উপর পড়ালেখা করতো তবেই প্রকৃত শিক্ষানুরাগী বা শিক্ষিত মানুষ হয়ে উঠতে পারতো।



গাঁদা গাঁদা বই দিয়ে গাধা বানানোর থেকে স্বতঃস্ফূর্ত শিক্ষা পরিবেশ দিয়ে সুশিক্ষিত বানানো কি উত্তম না?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রায়ান ঋদ্ধ ,




এই যুগসন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে আপনার এমোনতরো মানসিকতা দেখে অবাক হয়েছি । আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার প্রতিযোগিতা যে সমাজে প্রকট এবং প্রায় ঘরে ঘরেই সেখানে এমোন প্রশ্নকারী একজনকে সাধুবাদ দিতেই হয় ।

আসলে কি জানেন, জাতির শিক্ষার হার বাড়ানোর কৃতিত্ব নিতে গিয়ে সব সরকারই শিক্ষা ব্যবস্থাটিকেই আমূল ধংস করে দিয়েছেন । যে শিক্ষা শুধু মুখস্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ, টিক চিন্হের ছড়াছড়িতে কলঙ্কিত, যেখানে সৃজনশীলতার ( বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নের একটি অধ্যায় আছে মাধ্যমিক লেভেলে । গতরাতে একাত্তুর টিভিতে এ বিষয়ে একটি টকশো শুনছিলাম । একজন বক্তা ভয়ঙ্কর একটি উদ্ধৃতি দিলেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রক এর । আমাদের দেশে নাকি এই জাতীয় সৃজনশীল প্রশ্নের খাতা পরীক্ষা করে দেখার মতো যোগ্য লোকই নাকি নেই । বুঝুন ! অংশগ্রহনকারী আর একজন সাংবাদিক এবং একই সাথে কোনও এক টিভি চ্যানেলের সম্ভবত নীতি নির্দ্ধারক, চাকুরীর জন্যে ইন্টারভিউ দিতে আসা কর্মপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে তার নিজ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, পাশের হার বাড়লেও বাড়েনি শিক্ষার মান এতোটুকুও ।
আমি নিজেও এরকম অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি শত শত । একটি বলি - এই গত ১৬ ই মে এরকম একটি ইন্টারভিউ নিচ্ছিলাম । কর্মপ্রার্থী একজন ফিন্যাণ্সে অনার্স মাষ্টার্স । তাকে একটি সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি – ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সী কি বা কোনটা । উত্তরে কর্মপ্রার্থী বললেন , আন্তর্জাতিক ........... । এরপরে আর বলতে পারলেন না, ইতস্তত করতে লাগলেন । আমি বুঝলাম উনি কারেন্সী শব্দটির অর্থ জানেন না । বললাম, কারেন্সী অর্থ মুদ্রা । এবার জবাব দিন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা কোনটা ? অনেকক্ষন ভেবে নিয়ে কর্মপ্রার্থী বললেন , “ টাকা” । এবার বুঝুন, ফিন্যান্সে অনার্স মাষ্টার্স পাশের নমুনা । ঠিক একই ঘটনা আর একজনের বেলাতেও ঘটেছে যদিও তিনি বিবিএস পাশ ।

অথচ ঐ টকশোতে টেলিফোনে অংশগ্রহনকারী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের প্রধান একজন অধ্যাপিকা মহোদয়া আগের অভিজ্ঞতা বলা সাংবাদিক সাহেবের কথাকে উড়িয়ে দিয়ে বললেন , শিক্ষার মান নাকি বেড়েছে । ) উনি উপরতলার মানুষ আম - আদমীদের ইতিহাস ওঁনার জানার কথা নয় !

কাকে দোষ দেবেন ?

যে প্রাথমিক শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে ( যাদের জ্ঞান ঐ ফিন্যান্সে অনার্স মাষ্টার্স পাশ একজনার মতো ) আবার ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে শিক্ষক হতে হয়, তাদের কাছ থেকে আপনি কোথায় গুরু-শিষ্যের মতো ব্যবহার পাবেন ? শিক্ষাই বা পাবেন কই ? ( ব্যতিক্রম বাদে )

আপনি নিজেও তো বলেছেন - বাণিজ্যিক ভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্যও এই সম্পর্কের অবনমন ।

একজন শিক্ষার্থীর অতীব প্রয়োজন একটি সার্টিফিকেট আর একজন শিক্ষকের বেঁচে থাকার জন্যে চাই তার এই চাকুরীটিকে টিকিয়ে রাখা । সমাজ আর রাষ্ট্রের এই দৃষ্টিভঙ্গীর কারনেই শিক্ষকতা আর কাউকে শেখায় না । আর শিক্ষার্থীরাও কিছুই শেখেনা । প্রয়োজনও হয়তো নেই । কারন সত্যিকারের শিক্ষা আপনাকে আঙুল ফুলে কলাগাছ বানাবেনা ।

এরপরেও বলি , শিক্ষকতা একটি মহান পেশা । যিনি তা বোঝেন, তাকে মাথায় তুলে রাখতে হয় ।
এখানে ক্লিক করে Click This Link
আপনার তোলা প্রশ্ন আর আকাঙ্খার প্রাসঙ্গিক বক্তব্যটুকু পেতে পারেন ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: রায়ান ঋদ্ধ ,


এই যুগসন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে আপনার এমোনতরো মানসিকতা দেখে অবাক হয়েছি । আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার প্রতিযোগিতা যে সমাজে প্রকট এবং প্রায় ঘরে ঘরেই সেখানে এমোন প্রশ্নকারী একজনকে সাধুবাদ দিতেই হয় ।

আসলে কি জানেন, জাতির শিক্ষার হার বাড়ানোর কৃতিত্ব নিতে গিয়ে সব সরকারই শিক্ষা ব্যবস্থাটিকেই আমূল ধংস করে দিয়েছেন । যে শিক্ষা শুধু মুখস্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ, টিক চিন্হের ছড়াছড়িতে কলঙ্কিত, যেখানে সৃজনশীলতার ( বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নের একটি অধ্যায় আছে মাধ্যমিক লেভেলে । গতরাতে একাত্তুর টিভিতে এ বিষয়ে একটি টকশো শুনছিলাম । একজন বক্তা ভয়ঙ্কর একটি উদ্ধৃতি দিলেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রক এর । আমাদের দেশে নাকি এই জাতীয় সৃজনশীল প্রশ্নের খাতা পরীক্ষা করে দেখার মতো যোগ্য লোকই নাকি নেই । বুঝুন ! অংশগ্রহনকারী আর একজন সাংবাদিক এবং একই সাথে কোনও এক টিভি চ্যানেলের সম্ভবত নীতি নির্দ্ধারক, চাকুরীর জন্যে ইন্টারভিউ দিতে আসা কর্মপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে তার নিজ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, পাশের হার বাড়লেও বাড়েনি শিক্ষার মান এতোটুকুও ।
আমি নিজেও এরকম অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি শত শত । একটি বলি - এই গত ১৬ ই মে এরকম একটি ইন্টারভিউ নিচ্ছিলাম । কর্মপ্রার্থী একজন ফিন্যাণ্সে অনার্স মাষ্টার্স । তাকে একটি সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি – ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সী কি বা কোনটা । উত্তরে কর্মপ্রার্থী বললেন , আন্তর্জাতিক ........... । এরপরে আর বলতে পারলেন না, ইতস্তত করতে লাগলেন । আমি বুঝলাম উনি কারেন্সী শব্দটির অর্থ জানেন না । বললাম, কারেন্সী অর্থ মুদ্রা । এবার জবাব দিন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা কোনটা ? অনেকক্ষন ভেবে নিয়ে কর্মপ্রার্থী বললেন , “ টাকা” । এবার বুঝুন, ফিন্যান্সে অনার্স মাষ্টার্স পাশের নমুনা । ঠিক একই ঘটনা আর একজনের বেলাতেও ঘটেছে যদিও তিনি বিবিএস পাশ ।
অথচ ঐ টকশোতে টেলিফোনে অংশগ্রহনকারী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের প্রধান একজন অধ্যাপিকা মহোদয়া আগের অভিজ্ঞতা বলা সাংবাদিক সাহেবের কথাকে উড়িয়ে দিয়ে বললেন , শিক্ষার মান নাকি বেড়েছে । উনি উপরতলার মানুষ আম - আদমীদের ইতিহাস ওঁনার জানার কথা নয় !)
স্থান নেই কোথাও, সেখান এমোনটিই তো হবে ! যেমনটি বলেছেন আপনি ।

কাকে দোষ দেবেন ?

যে প্রাথমিক শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে ( যাদের জ্ঞান ঐ ফিন্যান্সে অনার্স মাষ্টার্স পাশ একজনার মতো ) আবার ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে শিক্ষক হতে হয়, তাদের কাছ থেকে আপনি কোথায় গুরু-শিষ্যের মতো ব্যবহার পাবেন ? শিক্ষাই বা পাবেন কই ? ( ব্যতিক্রম বাদে )

আপনি নিজেও তো বলেছেন - বাণিজ্যিক ভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্যও এই সম্পর্কের অবনমন ।

একজন শিক্ষার্থীর অতীব প্রয়োজন একটি সার্টিফিকেট আর একজন শিক্ষকের বেঁচে থাকার জন্যে চাই তার এই চাকুরীটিকে টিকিয়ে রাখা । সমাজ আর রাষ্ট্রের এই দৃষ্টিভঙ্গীর কারনেই শিক্ষকতা আর কাউকে শেখায় না । আর শিক্ষার্থীরাও কিছুই শেখেনা । প্রয়োজনও হয়তো নেই । কারন সত্যিকারের শিক্ষা আপনাকে আঙুল ফুলে কলাগাছ বানাবেনা ।

এরপরেও বলি , শিক্ষকতা একটি মহান পেশা । যিনি তা বোঝেন, তাকে মাথায় তুলে রাখতে হয় ।
এখানে ক্লিক করে Click This Link
আপনার তোলা প্রশ্ন আর আকাঙ্খার প্রাসঙ্গিক বক্তব্যটুকু পেতে পারেন ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

( কিছুটা অসতর্ক ভুলের কারনে প্রথম মন্তব্যটি মুছে দেবেন অনুগ্রহ করে । )

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: অসাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্য করার পর পরই দেখেছি। প্রতি উত্তরে দেরী করায় দুঃখিত।

আপনার ব্লগে শিক্ষক নিয়ে বলা কথা গুলো অনেক সত্য। শিক্ষা পদ্ধতি ও কতৃপক্ষ নিয়ে বিশেষ করে ব্লগারদের সচেতনতা ও তৎপরতা আশা করবো। কারণ সমাজ পরিবর্তনের একটা শক্তি কিন্তু ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর ধিরে ধিরে প্রযুক্তির প্রসার বৃদ্ধির মাধ্যমে বিকল্প এই শক্তির গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। সচেতন আলোচনা হোক, ইতিবাচক সমাধান হোক, সে আলোকে কাজ হোক দৃঢ়।

পোস্টটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য আবারও ধন্যবাদ। শুভ কামনা। :)

৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩১

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
আসলে সৃজনশীল নামে এই পাশ বৃদ্ধির হারের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক। এখন আর সারা বাংলায় কোন খারাপ ছাত্র-ছাত্রী নাই।

২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: যদিও সৃজণশীল পদ্ধতি এই লেখায় কোনো ভাবে আলোচিত না। আমি ব্যক্তিগতভাবে সৃজণশীল সমর্থক। নিয়মগত দিক থেকে এটা অন্তত মুখস্থ নির্ভর না কিন্তু আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি সৃজণশীলের অনুকূল না। একটা জরিপ করলেই বোঝা যাবে কত জন শিক্ষক নিজেরা সৃজণশীল বা সৃজণশীলতা বোঝেন! সৃজণশীলের যখন গাইড বই দেখি তখন মনে হয় সৃজণশীলতাও কি শেখানো যায়? এটাতো স্বতঃস্ফুর্ত!

শিক্ষার উদ্দেশ্য হল চিন্তাকে বিকশিত করা। একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে চিন্তা বিকশিত করতে সর্ব প্রথম দরকর জ্ঞান আহরণ বা কোনো কিছু সম্পর্কে জানা। তারপর সেই আহরিত জ্ঞানকে বিশ্লেষনের মাধ্যমে অনুধাবন। এরপর সেই অনুধাবনকে ভিত্তি করে তার প্রয়োগ। প্রয়োগের ফল থেকে পাওয়া নতুন জ্ঞানকে আবার বিশ্লেষণ, অনুধাবন এবং নতুন প্রয়োগ! সৃজণশীল প্রশ্ন কিন্তু এভাবেই সাজানো। কিন্তু এর জন্য শিক্ষার্থীদের যেমন শিক্ষা দেওয়া দরকার, মনে হয় না তারা তেমনটা পায়।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

মশিকুর বলেছেন:
গুরু-শিষ্য হওয়ার মাঝে বাঁধা হলো অর্থ সংক্রান্ত লোভ। শিক্ষক (স্কুল/ কলেজের) ক্লাসে পড়াতে পারেন না, কিন্তু কোচিংএ ঠিকই পারেন। বলবেন বেতন দিয়ে হয় না, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কোচিংয়ে এক রুমে ৭৫ জন ক্লাস করানোর কি মানে? কেউ না পড়তে চাইলে, প্রেসার ক্রিয়েট করার কি মানে?

শিক্ষা নীতিতে সমস্যা আছে মানি। কিন্তু শিক্ষকরা চাইলে ছাত্র-ছাত্রীদের এর চেয়ে দশগুণ উন্নত শিক্ষা দিতে পারেন। ক্লাসই যথেষ্ট, কোন কোচিং দরকার নাই... এর দায় শিক্ষকদের নিতে হবে। স্টুডেন্টরা এখানে শুধুই ভিকটিম। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে ভার্সিটি লেভেলে শুধু মাত্র ক্লাস করলেই সাবাই ভালো রেজাল্ট করতে পারে, কিভাবে??? :)


দেখেন কিছু কিছু জায়গায় সেক্রিফাইস এর বিকল্প নাই। শিক্ষক, ডাক্তার এরা নীতির বিরুদ্ধে গেলে সে জাতীর মেরুদণ্ড বলে কিছু অবশিষ্ট থাকে না।

শুভকামনা।

২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: যদিও সৃজণশীল পদ্ধতি এই লেখায় কোনো ভাবে আলোচিত না। আমি ব্যক্তিগতভাবে সৃজণশীল সমর্থক। নিয়মগত দিক থেকে এটা অন্তত মুখস্থ নির্ভর না কিন্তু আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি সৃজণশীলের অনুকূল না। একটা জরিপ করলেই বোঝা যাবে কত জন শিক্ষক নিজেরা সৃজণশীল বা সৃজণশীলতা বোঝেন! সৃজণশীলের যখন গাইড বই দেখি তখন মনে হয় সৃজণশীলতাও কি শেখানো যায়? এটাতো স্বতঃস্ফুর্ত!

শিক্ষার উদ্দেশ্য হল চিন্তাকে বিকশিত করা। একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে চিন্তা বিকশিত করতে সর্ব প্রথম দরকর জ্ঞান আহরণ বা কোনো কিছু সম্পর্কে জানা। তারপর সেই আহরিত জ্ঞানকে বিশ্লেষনের মাধ্যমে অনুধাবন। এরপর সেই অনুধাবনকে ভিত্তি করে তার প্রয়োগ। প্রয়োগের ফল থেকে পাওয়া নতুন জ্ঞানকে আবার বিশ্লেষণ, অনুধাবন এবং নতুন প্রয়োগ! সৃজণশীল প্রশ্ন কিন্তু এভাবেই সাজানো। কিন্তু এর জন্য শিক্ষার্থীদের যেমন শিক্ষা দেওয়া দরকার, মনে হয় না তারা তেমনটা পায়।

২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: দুঃখিত। আগের রিপ্লাইটি ব্লগার সুমন কর-এর জন্য ছিল। ভুল করে আপনার কাছে চলে গিয়েছে।

দোষ দু'পক্ষেরই। আর কতৃপক্ষেরটা আমার কছে বেশি। কারণ তারা সঠিক ভাবে নিয়ম করছেন না। কিংবা প্রয়োগ সম্পর্কে দায়ীত্বশীল না।

৫| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩২

বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে

শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সেই ছোটবেলা থেকেই লালন করে আসছি তাদের সাথে সম্পর্ক সব সময়ই ভাল ছিল তবে একটু বড় হবার পর থেকে মনে হত শিক্ষককে যদি বন্ধুর মত মনে করা যেত স্কুল, কলেজে সেটা পুরোপুরি সম্বভ না হলেও আমার শিক্ষকেরা আমাকে যথেষ্ট পরিমান স্নেহ করেছেন তাদের স্নেহের কথা সব সময় মনে থাকবে


আর ইউনিভার্সিটিতে এসে সত্যিকার অর্থেই বন্ধুর মতো কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা পেয়েছি যাদের জন্য মনে হয় টিচার আসলেই বন্ধুর মতো হতে পারে আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ এজন্য

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: আভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। :)

৬| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৩

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই... :)

৭| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
আসলে সৃজনশীল নামে এই পাশ বৃদ্ধির হারের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক। এখন আর সারা বাংলায় কোন খারাপ ছাত্র-ছাত্রী নাই।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৩

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.