নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টিফেন হকিং পরকালকে রূপকথা বলে মনে করেন-আমি তার সাথে কিছুটা একমত।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

স্টিফেন হকিং পরকালকে রূপকথা বলে মনে করেন-এই খবরটি অনেকেই এখন জানেন। আমি তার সাথে কিছুটা একমত। অবাক হলেন? খুলে বলি। পরকালে মহান আল্লাহপাক যেভাবে সৌভাগ্যবান বা সৌভাগ্যবতীদের পুরস্কৃত করবেন তা মানুষের ক্ষুদ্র চিন্তার বাইরে। আবার তিরস্কারের মাত্রাও হবে খুবই ভয়াবহ। তাই সাধারণ মানুষের পক্ষে এর হুবহু চিত্রপট তৈরি করা অসম্ভব। তাছাড়া কোন মৃত ব্যক্তি পুনরায় দুনিয়াতে আগমন করেননি। সে জন্য কারো পক্ষেই সরাসরি জানা সম্ভব হয়নি মারা যাবার পরে তার কি হয়েছে বা কেমন ব্যবহার তিনি পেয়েছেন। ধর্মীয় বিশ্বাস বিশ্বাসই হলো এক্ষেত্রে একমাত্র অবলম্বন। যাদের ধর্মীয বিশ্বাস প্রবল তারা বিনা বাক্যে এটা মেনে নেন এবং তদনুয়ায়ী জীবন পরিচালনা করার প্রয়াস চালান। আসলে ঈমানদারদের কাছে পরকাল, বেহেশত বা দোযখের ধারণা রূপকথার চেয়েও চমকপ্রদ। দোযখের ভয়াবহ আযাবের ভয়ে ঈমানদার মানুষ চোখের পানি ছেড়ে ছেড়ে আল্লাহর কাছে তাদের ভুলের জন্য অনবরত মাফ চান। আবার কেউ কেউ বেহেশতের অনাবিল আনন্দের কথা চিন্তা করে খুশি হন। এটা অনেকটা রূপকথার মতই তাই নয় কি? কিন্তু যারা ধর্মের ধার ধারেন না এবং যারা সাক্ষাত প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু বিশ্বাস করেন না তারাই মূলত বিভ্রান্তিতে পড়েন। বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-ও এর বাইরে নন। না দেখে কোন কিছুর বর্ণনা তাই অনেকেরই খটকা লাগে এবং রূপকথা বলে মনে হয়। তবে তিনি সেরা বিজ্ঞানী হতে পারেন কিন্তু পরকালের ব্যাপারে তার কথাই শিরোধার্য নয়। তিনি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন বিধর্মী। তিনি ধর্মই যেখানে মানেন না সেখানে পরকাল তো অনেক দূরের ব্যাপার।



আমার মত সামান্য মানুষের পক্ষে স্টিফেন হকিং এর মত জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানীর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করা বা তার মতামতের উপর আলোচনা করা এক প্রকার ধৃষ্টতার শামিল। কিন্তু অবুঝ মনকে এ কথা কে বোঝাবে? তাই আলোচনায় একটু অনুপ্রবেশ করতে ইচ্ছে হচ্ছে। এক জায়গায় তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতোই মনের একটি কর্মসূচি (প্রোগাম), তাই তাত্ত্বিকভাবে কম্পিউটারে মস্তিষ্কের প্রতিলিপি তৈরি করা সম্ভব, আর এভাবে মৃত্যুর পরেও একটি জীবনকে ধরে রাখা যায়।” যদিও তিনি সাথে সাথে এও স্বীকার করেছেন, “তবে এখনও পর্যন্ত এটি আমাদের আয়ুষ্কাল ও সামর্থ্যের বাইরে আছে।” আমার কথা হল কম্পিউটার মানুষের তৈরি একটি যন্ত্র। নানা ধরণের কর্মসূচি (প্রোগাম) দিয়ে এটা ভরা থাকে যার ফলে এটা নানা কাজ করে। কর্মসূচি (প্রোগাম) ছাড়া এটা কিছু প্লাস্টিকের সামগ্রী বৈ কিছু নয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, কম্পিউটার আসল ব্যাপার নয়। আসল ব্যাপার হলো যিনি বা যারা কম্পিউটারের মধ্যে আগেই থেকেই প্রোগাম সেট করে রেখেছেন, তার মানে এর সাথে এক বা একাধিক মানুষ জড়িত। যেটার বলে একটি কম্পিউটার হয়ে উঠে মানুষের দাস। কম্পিউটারের প্রোগাম সম্মন্ধে না হয় জানা গেল। এখন বিজ্ঞানী সাহেবের কাছে একটা প্রশ্ন করার লোভ সংবরণ করতে পারছি না, তাহল “মানুষের মনে বা মস্তিস্কে এই কর্মসূচি (প্রোগাম) ঢুকালো বা স্থাপন করল কোন মহান কারিগর??????????



তার বয়স এখন ৭১ বছর। সময়ের অমোঘ নিয়মানুযায়ী অন্যান্য সকল মানুষের মত তাকেও একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর পর মূহুর্ত থেকেই তিনি বোঝা শুরু করবেন আসলে তিনি ঠিক ছিলেন নাকি আল্লাহর প্রেরীত নবী ও রাসুলগণ ঠিক ছিলেন। কস্ট করে আর কয়েকটা দিন সবুর করেন মিঃ বিজ্ঞানী। আপনার সকল জিজ্ঞাসার সুন্দর (!) জবাব আপনি পেয়ে যাবেন।



দুনিয়াতে তিনি অন্যতম প্রধান পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে সবার শ্রদ্ধা ও সম্মান কুড়িয়েছেন। কিন্তু পরকালে মহান আল্লাহ পাক তার বিচার বিজ্ঞানী হিসেবে করবেন না। অন্যান্য সকল মানুষের মত তার বিচারও আমলের ভিত্তিতেই হবে। কঠিন সেই সময়ে নেক আমলই হবে নিজেকে সৌভাগ্যবান/বতীদের মধ্যে শামিল করার একমাত্র পথ। যার নেক আমল যত বেশী হবে তার সাথে আল্লাহ তত ভাল ব্যবহার করবেন। আর যার পাপ বেশী হবে তার অবস্থা খুবই শোচনীয় হবে। যেহেতু তিনি বিশ্বাসী নন সেহেতু পরকালে তার হিসাব একজন অতি সামান্য ঈমানদার মুসলিমের থেকেও করূণতর হবে। কিন্তু তখন আর কিছু করার সুযোগ থাকবে না এমনকি আফসোস করার সুযোগও থাকবে না।



মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন। আমিন।। আমিন।।।



খবরের লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.