নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোহামেডান VS আবাহনী: হারিয়ে যাওয়া এক ফুটবল উন্মাদনার গল্প।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

আজকে ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধুমতি ব্যাংক স্বাধীনতা দিবস ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলা। এতে মুখোমুখি হবে দেশের এক সময়ের সেরা দুই ফুটবল শক্তি, স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী আবাহনী ও মোহামেডান। বিকাল ৫টায় খেলা শুরু হবে। আজকের বিজয়ী দল ফাইনালে ‘ফেনী সকার ক্লাব’র সাথে মোকাবেলা করবে।







এককালের দেশসেরা দুই ক্লাবের খেলা মনে করিয়ে দিল ছোটবেলার ফুটবল উন্মাদনার এক ভুলে যাওয়া অধ্যায়ের কথা। ৮০র দশকের শেষ দু’এক বছর থেকে ৯০দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। ফুটবল তখন এক মহা উন্মাদনার নাম। তখন আমরা স্কুলে পড়ি। দেশে তখন ফুটবলের পরাক্রমশালী দুটি ক্লাব ছিল (অন্যান্য ক্লাবগুলো তেমন একটা পাত্তা পেত না); প্রথমটি ঐতিহ্যবাহী ঢাকার মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব আর অন্যটি আবাহনী লিমিটেড। সারা দেশে সমর্থক দুই দলে বিভক্ত ছিল। আমি ছিলাম মোহামেডানের কট্টর সমর্থক। সত্যি কথা বলতে কি সেসময়ে মোহামেডান ও আবহনী এ দুটি প্রধান দলের পেছনেই ছিল শতকরা ৯০ ভাগ সমর্থক। তাদের লড়াই ছিল খুব মর্যাদাপূর্ণ। দু’দলের সাফল্যের মূল নিয়ামক ছিল মর্যাদাপূর্ণ এই লড়াইয়ের ফলাফল। কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান অবস্থা। তখনকার ফুটবলারদের মানও ছিল অনেক উন্নত। মোহামেডান দলে তখন খেলতেন কায়সার হামিদ, বাংলার ম্যারাডোনা খ্যাত সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, কানন, নকিব, জনি, জুয়েল রানা, মানিক, পনির সহ দেশবিখ্যাত সব খেলোয়ার। বিদেশী খেলোয়ারদের মধ্যে ছিল এমেকা, নালজেগার, নাসের হেজাজী, রাশিয়ান রহিমভ, ইরানিয়ান আর এক সুপারস্টার ভিজেন তাহিরি। এসব কুশলী প্লেয়ারদের ক্রীড়া নৈপুণ্য ছিল সত্যিই দেখার মত। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হয়ে ”আনবিটেন হ্যাটট্রিক” করার অনন্য রেকর্ড স্খাপন করে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। মাঝে ক‘বছর বাদ পড়লেও ১৯৯৩ সাল থেকে পুনরায় সাফল্য ধরা দিতে থাকে মোহামেডানকে। আর বিগত ফুটবল মৌসুমে মোহমেডানের সাফল্য ছিল দ্বিগুন। লীগ শিরোপা জয় করার পাশাপাশি তারা দ্বিতীয় জাতীয় ফুটবল লীগের শিরোপাও ঘরে তোলে।



ওদিকে আবাহনীতে তখন খেলতেন দেশ সেরা ডিফেন্ডার মোনেম মুন্না, দেশসেরা স্ট্রাইকার আসলাম, গাউস, রেহান, এফ আই কামাল, মহসিন, রুপুসহ আরও অনেকে। বিদেশী খেলোয়ারদের মধ্যে ছিলেন ইরাকের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের দু খেলোয়াড় করিম মোহাম্মদ ও সামির সাকির, শ্রীলংকার লায়নেস পিরিচ, পাকির আলী, প্রেমলাল, রাশিয়ান দজমরাভ ইত্যাদি। তারা ৮৪, ৮৫ ও ৮৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা লাভ করে। ১৯৮৯-৯০ সালে ভারতের গেরিলায় নাগজি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এবং ১৯৯৪ সালে কলকাতায় চার্মস কাপ ইনভাইটেসন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়াও আবাহনী ১৯৯১ সালে দুই বাংলার সেরা ছয় দল ভারতের ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান, মোহামেডান (কলিকাতা), বাংলাদেশের মোহামেডান, ব্রাদার্স, আবাহনী) নিয়ে অনুষ্ঠিত বিটিসি ক্লাব কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসে।



ফুটবলের লড়াই মাঝে মাঝে গ্যালারিতেও নেমে আসত। গ্যালারি তখন হয়ে উঠত উন্মত্ত, রণক্ষেত্র। নিজ দলের পরাজয় হলে স্টেডিয়াম এলাকায় প্রায়ই প্রলয় ঘটে যেত। মারামারি, দৌড়ানিতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে উঠত। সেই সময়ে ঢাকায় একটা গল্প প্রচলিত ছিল। গল্পটি হলো, কোন এক নতুন দর্শক-সমর্থক গ্যালারিতে বসে আরামসে খেলা দেখছেন। হঠাৎ প্রিয় দলের গোলে গলা ছেড়ে ‘গোওওওল’ বলে চিতকার করে পড়ে গেলেন মহাবিপদে। আসলে না জেনেই তিনি বিপক্ষ দলের গ্যালারিতে বসেছিলেন। ও হ্যা একটা কথা বলাই হয়নি, গ্যালারিও তখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ সাদা কালোর দখলে অন্য ভাগে আকাশীর দৌরাত্ব। ভুলক্রমে এর অন্যথা হলে বড়ই বিপদের ব্যাপার ছিল! শুধু কি তাই? তখন এই দুদলের দ্বৈরথ অন্য এক মাত্রা পেয়েছিল। যার প্রমাণ “আবাহনী আবাহনী মোহামেডান, কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমান সমান” গানটি। বাংলা সিনেমায়ও জায়গা করে নিয়েছিল এই দুলের প্রাণবন্ত, তুমুল উত্তেজনাময় খেলা। তবে এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র ফুটবল কেন্দ্রীক ছিল না। কি ফুটবল, কি ক্রিকেট, কিংবা হকি সবখানেই এই দ্বৈরথ চলত সমানতালে।



দুদলের এমন মারমার কাটকাট অবস্থা কি শুধু মাঠে বা গ্যালারিতেই সীমাবদ্ধ ছিল? মোটেই না। এর বিস্তার ছিল সর্বত্র। যেমন আমাদের বাড়িতে। আমরা পাঁচভাই। তিনজন আবাহনীর সমর্থক আর আমিসহ অন্য একজন মোহামেডান সমর্থক। স্কোর বলছে ৩-২। উহু, এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তখন আমাদের বাড়িতেই থাকত আমার এক ফুফাত ভাই। সে আবার মোহামেডানের অন্ধ সমর্থক। তো এবার স্কোরলাইন ৩-৩। খেলা জমে গেল। আব্বা মোহামেডানের হওয়াতে আমরা এগিয়ে থাকলাম। দুইদল মাঠে খেলছে আর আমরা রেডিও নিয়ে খেলায় মেতে থাকতাম। মোহামেডান একটা গোল দেয় আর আমরা গলার সমস্ত জোড় দিয়ে বিপক্ষ দলের (!) কানের কাছে নানা কিসিমের পিত্তি জ্বালানী কথা বলে ওদের অস্থির করে তুলি। ওরাও কম যায় না যখন আমরা গোল খাই। এমন করতে করতে কতদিন যে ঝগড়া-ঝাটি হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আরও মজার ব্যাপার হল মোহামেডান আবাহনীকে হারালেই শুরু হয়ে যেত উত্সব। মনে পড়ে, খেলার আগের দিন থেকেই আমরা বাড়িতে পতাকা উড়াতাম। খেলার দিন স্কুল/কলেজ না থাকলে সকাল থেকেই বাড়ীতে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। দিনের সকল কাজ দুপুরের আগেই শেষ করতাম। দুপুরের পরে কোন কাজে পাঠাতে চাইলে কোনক্রমেই যেতাম না; হুকুম যারই হোক। আসলে ওই রকম হুকুম দেয়ার কেউ ছিল না। কারণ সবাই যুদ্ধে নামার অপেক্ষায় থাকতেন। প্রিয় দল জিতলে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়া, আনন্দ মিছিল করা, পতাকা উড়ানো ইত্যাদি কাজ আমরা করতাম। তবে আবাহনীওয়ালাদের বিরক্ত করা ছিল সবগুলোর থেকে মজার কাজ। আর যদি হেরে যেতাম। সেদিন ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে কস্টকর দিন/রাত। সেদিন সন্ধ্যা হলেই আমাদের চোখে গভীর রাত নেমে আসত। পতাকা উড়ানো অবস্থায় থাকলে তড়িঘরি করে নামিয়ে বিচানায় শুয়ে চোখের পানি ফেলতাম। আমরা প্রানপন চেস্টা করতাম আবাহনীওয়ালাদের চোখের সামনে না পড়তে। কিন্তু ওরা নিজেই আমাদের চোখে ধরা দিত আর আমাদের রাতকে আরও কস্টকর ও দীর্ঘ করে দিত।



আজ সেই রামও নেই আযোধ্যাও নেই। এক সময়ের বহুল আকাংখিত ও প্রবল উত্তেজনাময় আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল ম্যাচের আগের আবেদন এখন আর নেই। ঘরোয়া ফুটবলের প্রতি দর্শক নানা কারণে অনেক আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পেশাদার লিগে গত কয়েক মৌসুমে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হয়েছে নীরবে-নিভৃতে, দর্শকশূন্য মাঠে। এবারেও হয়ত তাই হবে। ফুটবলের সেই সুদিন কি আর ফিরবে???



আজকে অনেকদিন পর আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করছে ঐদিন গুলো। কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন আমার সেই সোনালী সময়গুলো? জানি কেউ পারবেন না। সময়ের স্রোতে ও বাস্তবতার বিষক্রিয়াতে আমরা আক্রান্ত। আহারে ! কোথায় হারিয়ে গেল সেসব দিনগুলি!! এখনও মোহামেডান খেলতে নামলেই মনটা আনচান করে উঠে। অতোটা পেরেশান হয়ত হইনা। তবু জিতলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর হারলে বড্ড ব্যথা অনুভব করি মনের গহীণ কোনে।



সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।





নোটঃ তথ্যগুলো স্বস্ব ক্লাবের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। আর ছবি গুগল থেকে ধার করা।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! অনবদ্য পোষ্ট। সত্যিকার ব্লগিং এর ছোঁয়া পেলাম। শুভেচ্ছা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কি সৌভাগ্য আমার!

খুব ভাল লাগলো আপনাকে দেখে। আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২০

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: খুবই ভাল লাগা একটা পোস্ট। পুরাই নস্টালজিক করে দিলেন। এক প্রান্তে সাব্বির বনাম মুন্না, আরেক প্রান্তে আসলাম বনাম কায়সার হামিদ। দ্বৈরথগুলো পুরোপুরি ক্লাসিক পর্যায়ের ছিল। তখনকার বিদেশী প্লেয়াররাও খুব মানসম্মত ছিল। সুন্দর এই পোস্টের জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্যি অসাধারণ ছিল দিনগুলো।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

ক্যাচালবাজ বলেছেন: ৯১ সালে চোখের সামনে একজনকে ছুরি খেতে দেখে সেই যে স্টেডিয়ামে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি........

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ঐ সময়ের খুব খারাপ দিক ছিল এই মারামারি। আসলে প্রিয় দলের হার মানুষকে পাগল করে দিত।

আরো অনেকের আপনার মত অভিজ্ঞতা আছে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

বোরহান উদদীন বলেছেন: বোরহান উদদীন বলেছেন: একটি ওয়ার্ড প্রেস ব্লগের জন্য ৩৫ থেকে ৪০ ড্লার পেইড করতে হবে, আপনাদের কারো কাছে নিজেদের একাউন্ট থেকে পেইড করার মত সিস্টেম থাকলে যোগা যোগ করবেন। পেইড করার জন্য আপনার লভ্যাংশ অবশ্যই পাবেন।
===============================================
মাসুম
মোবাইল নং-009660568593245
.
SKYPE: masumborhan3

-----------------------------------------------
শিব্বির আহমেদ ভাই, সমস্যা নাই।
আপনার মোবাইল নং দেন কথা বলতে চাই।
সরাসরি বাই হ্যান্ড ক্যাশ পেইড করব।
অথবা আমার এই নং এ মিস কল দেনঃ ০০৯৬৬০৫৬৮৫৯৩২৪৫

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাইজান পথ ভুলে নাকি....?

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

নিজাম বলেছেন: সেই ইতিহাসের আমি প্রতক্ষ্য সাক্ষী। অনেক খেলা দেখেছি, মার খেয়েছি পুলিশের, বিপক্ষ সমর্থকদের। সকালে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে খেলা দেখেছি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: খুব দুঃখজনক ঘটনা। তবে তখন দু'দলের খেলা নিয়ে এত উন্মাদনা ছিল যে কি আর বলব। সমর্থকরা সবসময় চাইত নিজের দল জিতুক। কিন্তু তা হবার নয়। লেগে যেত মারামারি...। আমি অবশ্য মার খাইনি।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: Nannu-Manju, Enayet-dabir, salauddin-helal- cunnu-omolesh kahini,
Nostalgia

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আরো অনেক গ্রেটদের নাম দেয়ার জন্য। তবে আমি এরপরের দশকের খেলোয়ারদের বেশী দেখেছি। তখন বাংলাদেশ ফুটবল দল অনেক শক্তিশালী ছিল। মনে আছে তারা একবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটা দলকে হারিয়েছিল।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০২

কে এম খান বলেছেন: মোহামেডারে সমর্থক হিসেবে আর এক সমর্থকের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ রইল চমৎকার একটি পোস্ট দেয়ার জন্য............ পোস্টটি পড়ে অতীদের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো............ সেই উম্মাদনা যে আবার কবে ফিরে আসবে.......... আজকের সেমিফাইনাল খেলাটি মাঠে বসে দেখার ইচ্ছা আছে.... মাঠে বসে প্রিয় দল মোহামেডানের জয় দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করছি......... ভালো থাকবেন ভাই.........

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: পাইছি একজন!!! অতীত টানলো বলেই ত সবাইকে লিখে জানালাম। ইদানিংকালের ছেলেরা খুব মিস করেছে সেইসব দিনগুলো। এখনকার ক্রিকেট উন্মাদনার চেয়েও বেশী ছিল সেটা।

জয় নিয়ে ও সুস্থ দেহে বাসায় ফেরেন-এই দোয়া করি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

বভেট বলেছেন: বর্তমানে বসে আমরা সেই নব্বই দশকের উন্মাদনার কিছুতেই বুঝতে পারবো না। খেলার ধারাভাষ্য শোনাও ছিল উত্তেজনাকর।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আর একটা দারুণ জিনিষ বলেছেন। ধারাভাষ্য সত্যই খুব উপভোগ্য ছিল। সর্বজনাব প্রয়াত হামিদ ভাই, ও খোধা বক্স ভাই, মুসা ভাই, আলফাজ ভাই আরো অনেকের নাম আমরা তখনই জানতে পারি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: আমাদের এক বড়ভাই আবহানী সাপোর্ট করতো। ভুল করে মোহামেডান সাপোর্টারদের গ্যালারিতে ঢুকে গাট্টা খায়া চাঁদি আলু বানায় বাসায় ফিরসিলো।
বভেট বলেছেন: বর্তমানে বসে আমরা সেই নব্বই দশকের উন্মাদনার কিছুতেই বুঝতে পারবো না। খেলার ধারাভাষ্য শোনাও ছিল উত্তেজনাকর। সহমত।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হাহাহা। আহারে বেচারা!!

আমিও একমত আপনাদের সাথে।

আমার ব্লগ বাড়িতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

অনেক সুন্দর পোষ্ট+++++

বর্তমানে বসে আমরা সেই নব্বই দশকের উন্মাদনার কিছুতেই বুঝতে পারবো না। আমারা এর উত্তাপের ভাপ টুকু দেখেছি বছর দুয়েক। এর পর বাংলাদেশের ফুটবলতো ইতিহাস।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: 'বর্তমানে বসে আমরা সেই নব্বই দশকের উন্মাদনার কিছুতেই বুঝতে পারবো না'-সহমত।

আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩২

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

সুন্দর পোস্ট।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২১

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্টেডিয়ামে গেছিলাম মোহামেডানরে চাম্পিয়ান করার লিগা। আমি খেলা দেখতে গেলে আবার মোহামেডান হারে না B-) কী সব দিন, কী সব নামের কথা মনে করায় দিলেন রে ভাই! আমার সৌভাগ্য, সেই দিনগুলাতে আমিও ছিলাম।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। মোহামেডান চাম্পিয়ান হওয়াতে অনেক আনন্দ পেয়েছি। সত্যি অসাধারণ ছিল সে দিনগুলো।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সোনালী দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন ! মারামারির ভয় ছিলো বলে মা কখনই আবাহনী-মোহামেডানের খেলা দেখার জন্য টিকেটের টাকা দিতো না বরঞ্চ খেলার দিন চোখে চোখে রাখতো আর আমাকে বাইরে যেতো দিতো না। ফাকি দিয়ে ঠিকই চলে যেতাম স্টেডিয়াম। বাজার করতাম তখন বাজারের টাকা থেকে মেরে খেলার টিকেটের টাকা যোগাড় করে দেখতে যেতাম। আবাহনীর সমর্থক ছিলাম বলে আবাহনীর প্রায় সব খেলাই দেখতাম। বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়াম ছিলো আবাহনীর সমর্থকদের জন্য খুব ভয়াবহ ভয়ের। মিরপুরে খেলা যখন হতো তখন ছিলাম আমরা রংবাজ ;)


একজন খেলোয়ারের কথা মনে হয় ভুলে গেছেন "এমিলি" । ভাগ্যবান প্লেয়ার সেই সময়কার যে দলে যেতো সে দলই চ্যাম্পিয়ান। সম্ভবত টানা ৬ বার সে চ্যাম্পিয়ান দলের খেলোয়ার ছিলো।

বিদেশীদের মধ্যে শ্রীলঙ্কান চন্দ্রশীল বা সিরি (মনে করতে পারছি না নামটা), নেপা্লীয়ান গনেশ থাপা, আরো একজন নেপালী ছিলো নামটা মনে আসছে না, ইরানের মর্তুজা, রাশিয়ান সের্গেই ঝুকভ, কাজাকভ, এমেকার সাথে আরেক নাইজেরিয়ান চিমাও কেরী।

মাঠে খেলোয়ারদের মারামারি বেশ উপভোগ্য ছিলো। একবার মনে আছে মহসিন না কে যেনো এমেকাকে ফ্লাইং কিক মেরেছিলো। ভয়ানক সেই মারামারি। তবে সেটা ছিলো আমাদের ফুটবলের স্বর্ণযুগ।

তখন আমাদের দেশের খেলোয়ারদের পারিশ্রামিক ১৫/২০ লাখ পেতো। সর্ব্বোচ ছিলো সম্ভবত কায়সার হামিদ আর মুন্নার। এখন নাকি ৮/১০ লাখও পায় না। এখন অবশ্য আমি বাংলাদেশের খেলোয়ারদের নামও জানি না :(


পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: বেশ কয়েকটি তথ্য যোগ করেছেন। বিশেষ করে নামকরা কয়েকজন খেলোয়ারের নাম। ফুটবল সত্যিই তখন অন্যতম ক্রেজ ছিল। তাদের খেলার মানও বেশ ভাল ছিল। আর একটা ব্যাপার, মানুষ যখন রাস্তাঘাটে ঐ সময়কার নামকরা খেলোয়ারদের দেখত, তখন তাদের উপর হুমরি খেয়ে পড়ত।

কেমন করে যেন হারিয়ে গেল সেইদিনগুলো। ফুটবল এখন মানুষ ভুলে যেতে বসেছে। আমি জাতীয় দলের অধিনায়কের নামই জানি না!!!

আসলে ক্রিকেট এসে ওদের স্থান দখল করেছে। তবে তখনকার ক্লাবের ফুটবলারগণই যে সম্মান পেতেন আমার বিশ্বাস এখনকার জাতীয় দলের ক্রিকেটারগণও তেমনটা এখনো পান না।

আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.