নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্জেন্টিনার (একজন) ডাই হার্ড ফ্যান হয়ে উঠার গল্প।

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৫





দিন, ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড করে করে ১২ জুন ঘড়িটা একেবারে থেমে যাবে। তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাও পাওলোর অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে বেজে উঠবে বিশ্বকাপের বাঁশি। শুরু হয়ে যাবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বা ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল-২০১৪। এটি এর ২০তম আসর। ১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত মাসব্যাপি এই ৩২ দলের মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অবশেষে বিশ্বকাপ ফিরছে ফুটবল-তীর্থ ব্রাজিলে। সেই ব্রাজিল যেখানে ফুটবলই ধ্যানজ্ঞান, ফুটবলই ধর্ম। সেই ব্রাজিল যেখানে পেলে-গারিঞ্চা-জেয়ারজিনহো-টোস্টাওদের জন্ম। আটলান্টিক মহাসাগরের কোলঘেঁষা সেই সাম্বার দেশে বিশ্বকাপ ফিরছে ৬৪ বছর পর! উল্লেখ্য, এর আগে ব্রাজিলে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল সেই ১৯৫০ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কঠিন বাছাই পর্ব পেরিয়ে মোট ৩২টি দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। ৩২টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী সকল দলের জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।



ফুটবল বিশ্বকাপ এমন এক বিশ্ব আসর যার কোন তুলনা এই ভুবনে নেই। ইতিমধ্যে এর উত্তাপ আছড়ে পড়েছে পুরো বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো বাংলাদেশও ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ জ্বরে রীতিমত কাঁপতে শুরু করেছে। ‘কে জিতবে’ এই নিয়ে প্রিয় দলের কড়া সমর্থকদের মধ্যে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে বহু আগেই। ইতিমধ্যে প্রিয়দলের পতাকায় ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। সমর্থকরা দোকানে গিয়ে ভীড় জমাচ্ছেন প্রিয় দলের জার্সি কিনতে। চায়ের পেয়ালার সাথে সাথে পেপার-পত্রিকা, সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই একটা সময়ে বাংলাদেশ একটি দেশ নয়, যেন ছোট্ট একটা পৃথিবী হয়ে ওঠে। এই সময়ে ভীনদেশী কেউ বঙ্গদেশে আসলে নানান দেশের পতাকার বাহার দেখে তিনি বলে বসতেই পারেন, “খেলা কি বাংলাদেশে হচ্ছে নাকি”?



এই প্রবল উন্মাদনা আর উত্তেজনাকর পরিবেশে চলুন আমরা একটু পেছন ফিরে দেখি। আমরা পরস্পর শেয়ার করি, ‘ভীনদেশী ও একেবারে অচেনা কিছু মানুষের অতিপ্রিয় হয়ে ওঠার গল্প’ কিংবা হাজার হাজার মাইল দূরের একটা দেশ কেমন করে হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নিল’ তা নিয়ে।



পুরনো সেই দিনের কথাঃ





সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে কিছুক্ষণ আগেই। মায়ের সীমাহীন পীড়াপীড়িতে পড়তে বসেছি। মনোযোগ দিয়েই আমরা কয়েক ভাই পড়ছি। হঠাৎ বাইরে আব্বার মায়াময় কন্ঠ শুনতে পেলাম মনে হলো। “আব্বা আইছে” আমার কোন এক ভাইয়ের কন্ঠে এমন ম্যাজিক শব্দযুগল কানে আসামাত্র বই-খাতা ফেলে পরিমরি করে উঠানে এসেই দেখি আমার পরমপ্রিয় আব্বা সত্যই এসেছেন। আমরা সবাই তাঁকে ঘিরে ধরলাম। আব্বা সবাইকে আদর দিয়ে ঘরের ভেতরে যেতে লাগলেন। আমরাও পিছে পিছে ঢুকলাম। অবশ্য এইভাবে দৌঁড়ে ছুটে আসার পেছনে ভালবাসার পাশাপাশি আর একটা উদ্দেশ্যও আছে। সেটা হলো, নতুন কিছু একটা পাওয়ার আশা। কেননা আব্বা প্রায় প্রতিবারই সাধ্যমত কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন আমাদের জন্য। উল্লেখ্য আমার আব্বা তখন চাকুরী সুত্রে পাবনা সদর থাকেন। যাইহোক, আমরা আব্বার মুখ থেকে কিছু একটা সুসংবাদ শোনার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে উসুখুস করতে লাগলাম। আমাদের মনের কথা আব্বা বোধহয় বুঝে ফেললেন। তিনি বলে উঠলেন, “তোমাদের সবার জন্য গেঞ্জি এনেছি”। আব্বার কথা শোনামাত্র খুশিতে আত্বহারা হয়ে গেলাম।



গেঞ্জিগুলো বন্টন করার দায়িত্ব পড়ল বড় আপার উপরে। আমরা মহানন্দে আপার পাশে ভীড় করলাম। আমাদের এমন লাগাম ছাড়া পাগলামো দেখে আপা কড়া ঝাড়ি মারল। কিছুক্ষন কস্ট করে চুপ করে থাকলেও আপার হাতে গেঞ্জি দেখামাত্রই শুরু হয়ে গেল উদ্দাম আনন্দ। আপা একে একে ডেকে আমাদের গেঞ্জি দিলেন। কয়েক কালারের গেঞ্জি। আব্বাই ‘বাছাই পর্ব’ করে দিলেন। নিজের গেঞ্জি হাতে পেয়ে তো ভীষণ অবাক। আরে গেঞ্জিতে তো ম্যারাডোনার ছবি!! আসলে ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে আমরা ম্যারাডোনার নাম জেনে গেছি। কারণ পরিচিত বন্ধুদের কল্যাণে ইতিপূর্বে এমন ছবিওয়ালা গেঞ্জি দেখা হয়ে গেছে। তখন বাচ্চাদের মাঝে এটা খুব জনপ্রিয় পোষাক ছিল। ম্যারাডোনার নাম জানলেও তখনও আমরা ভাল করে জানি না এই লোকটা আসলে কি এমন করেছে। এরপর বড়ভাইদের কাছে তার সম্মন্ধে শুনলাম। তাঁর অবিস্মরণীয় কীর্তির কাহিনী শুনে যারপর নাই বিস্মিত হলাম। গেঞ্জি খুলে মাঝে মাঝে ছবিটার দিকে তাকাই। আস্তে আস্তে তার প্রতি কেমন যেন একটা ভালোবাসা জন্মে গেল। সেই থেকেই ম্যারাডোনার হয়ে গেল আমাদের হিরো। আর বলা যায় এভাবেই ধীরে ধীরে হয়ে গেলাম ম্যারাডোনার ডাই হার্ড ফ্যান।



আর্জেন্টিনা Vs ব্রাজিলঃ





এরপর থেকে ফুটবল সম্মন্ধে খবরাখবর রাখা শুরু করলাম। আর্জেন্টিনা নামক দেশটা কোথায় তাও জানা হলো। সেই সময়ের প্রায় সকল ছেলে-মেয়েই ‘পেলে’ নামের এক ‘মহাচিজ’ কে আগেই থেকেই চিনত। কারণ তাকে নিয়ে পাঠ্যবইয়ে ছবিসহ একটা প্রবন্ধই ছিল। সেখানে একটা প্রশ্ন ছিল, “পেলের পুরো নাম কি?” পারেন নাকি কেউ? আমার কিন্তু এখনো মুখস্ত আছে। বলব নাকি? উহু, অত সোজা না! ম্যারাডোনার দেশের ভক্ত হয়ে পেলের আসল নাম আমাকে দিয়ে বলাবেন-তা হবে না। আর্জেন্টাইন কড়া সমর্থক হয়ে এটা করা এক প্রকার অন্যায়। ব্রাজিলওয়ালাদের কারো জানা থাকলে বলতে পারেন।



শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের তিন নেত্রীর সবাই নাকি ব্রাজিল সমর্থক। এটা জানার পর দেশবাসীর উচিত ছিল সিন্নি দেয়া। যাক, তারা একমত হতে জানেন তাহলে!!! এভাবেই গোটা বাংলাদেশ আজ মোটা দাগে দু’ভাগে বিভক্ত। কেউ ব্রাজিল… না না, কেউ নীল-সাদার আর্জেন্টিনা কেউ জন্ডিস (ব্রাজিলওয়ালারা মাইন্ড খাইয়েন না কিন্তু) ব্রাজিল ;)B-):D। আর এর সুত্রপাত লুকিয়ে আছে উপরের গল্পের ভেতরে। অনেকেরই প্রশ্ন বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলের সমর্থন করে কেন? আমার অবজারভেশন হলোঃ কয়েকটা কারণ এর মধ্যে নিহিত।



১. আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো ব্যাপকভাবে আর্জেন্টিনার সমর্থকগোষ্ঠী তৈরী হয় ১৯৮৬ সালের পর থেকে। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ ফুটবলে ম্যারাডোনা নামের এক গাট্টাগোট্টা যুবক ঝড় তুলেছিল বিশ্বব্যাপী ফুটবলামোদীদের হৃদয়ে। বলা যায় তার একক প্রচেস্টায় ফাইনালে উঠে গেল আর্জেন্টিনা। শেষমেষ সেই গাট্টাগোট্টা ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা কাপও নিয়ে গেল। শুরু হলো, এক নতুন ইতিহাস। আমাদের এবং কিছু আগের জেনারেশন ছিল ম্যারাডোনার ভক্ত। আর এখনকার জেনারেশন ‘মেসি’-র ভক্ত। আমাদের দেশে আর্জেন্টিনার ৮০% সমর্থক এই দুজনের কল্যাণে তৈরী।



২. ব্রাজিলের সমর্থক হওয়ার পেছনে মধ্যে পাঠ্যবইয়ের ঐ প্রবন্ধ অন্যতম একটা কারণ। ফুটবলের রাজা পেলের সাথে সাথে গোটা ব্রাজিল হয়ে উঠেছে অনেকের অতিপ্রিয়।



৩. আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের অসাধারণ ফুটবল শৈলী। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দু’জন খেলোয়ার এই দু’দেশে জন্ম নিয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকার তিনদেশ (বাকী দলটি উরুগুয়ে) মিলে ৯বার বিশ্বকাপ জিতেছে। আর বাকী বিশ্ব মিলে (মূলত ইউরোপ) জিতেছে সাকূল্যে একবার বেশী। এবার ব্যবধান কমিয়ে আনব। কারণ ল্যাটিন আমেরিকার আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে নিতেই ইউরোপীয়দের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যাবে আশা করা যায়।



৪. আমরা বাংলাদেশীরা সাদা চামড়ার ঘোর বিরোধী। তাই আমাদের চয়েস কিছুটা আমাদের মত দেখতে অথবা গরীব কোন দেশ।



পেছন ফিরে দেখাঃ

১৯৯০ বিশ্বকাপ ফুটবল আসর বসে ইতালিতে। তখন আমি বেশ বড়ই হয়ে উঠেছি। চার বছর পর আমার বুদ্ধি খুলেছেও। আমি এখন সেই ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার ডাই হার্ড ফ্যান। সত্য বলতে কি, ৯০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা তেমন ভাল খেলেনি। যেমন নক আউট পর্বে ব্রাজিলের সাথে ম্যাচে বলের দখল সব সময় বেশী ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু ‘জাদুকর’ তো আমাদের দলে! জাদুকরের ছোট্র এক জাদুতে বাবরি চুলের ক্যানিজিয়া ব্রাজিলকে সেইবারের মত ছুটি দিয়ে দিলেন। শেষ অবধি আর্জেন্টিনা ফাইনালে চলে গেল। প্রতিপক্ষ প্রবল শক্তিশালী পশ্চিম জার্মানি (এখন শুধু জার্মানি)। খেলার ৮৫ মিনিটে ব্রেহমার গোলে ম্যারাডোনাকে কাঁদিয়ে কাপ নিয়ে গেল তারা। সেদিন আমার মনে হয়েছিল, বোধহয় মারাই যাব”। :((:((:((



১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে জটলার মধ্যে থেকে হল্যান্ডের ডেনিস বার্গক্যাম্পের শট যখন আর্জেন্টিনার জালে প্রবেশ করলো তখন মনে হলো, “আমার বুক বুঝিবা ঝাঁঝরা হয়ে গেছে” :((:((:((। শোকে দুঃখে রীতিমত পাথর হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন।



…তারপর থেকে বিশ্বকাপ মানেই আর্জেন্টিনার স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস। দারুণ শুরুর পরে পথ হারিয়ে ফেলার গল্প। /:)/:)/:)



আশায় বুক বাঁধিঃ

কালপরিক্রমায় আবার এসেছে বিশ্বকাপ, এবার আমাদের শত্রুদেশ ব্রাজিলে, কী করবে এবার আর্জেন্টিনা? দু’দশক পরে আবার বিশ্বকাপে ‘হট ফেবারিট’ আর্জেন্টিনা৷ দলের গোলে এবার আরও পরিণত সের্গিও রোমেরো৷ ডিফেন্সে ডেমিচেলিস, জাবালেতার মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে আছে তরুণ গ্যারে, ফার্নান্ডেজরা৷ কোচ সাবেলা নিশ্চয়ই চান, তার মূল সেনাপতি মেসি সামনে থেকে বুক চিতিয়ে দলকে চালনা করুক, বিপক্ষের কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠুক৷ তার জন্য অত্যন্ত জরুরি দলের মাঝমাঠকে সচল রাখা৷ আর্জেন্টিনার মাঝমাঠেও মাসচেরানো থাকবে৷ সঙ্গে থাকবে ম্যাক্সি রডরিগেজ, ডি মারিয়া, গ্যাগো, এনজো পেরেজ– কোচের হাতে অনেক ‘অপশন’৷ ফরোয়ার্ডেও মেসির সঙ্গ দেওয়ার জন্য যোগ্য সঙ্গী আছে একাধিক৷ আগুয়েরো আর লাভেজ্জি তো আছেই, আরও আছে হিগুয়েন আর প্যালাসিও৷ আহতের তালিকা শূন্য, সবাই আছে ভাল ফর্মে৷ সব মিলিয়ে তাদের অবস্থা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক মনে হচ্ছে৷







বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপাই। কিন্তু আক্ষেপ একটাই, আর্জেন্টিনার হয়ে ‘বড় কিছু’ জেতেননি তিনি। দেশের জন্য ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০০৮ সালের অলিম্পিকে সোনা জয়ই মেসির সেরা সাফল্য। এখন অবধি চার চারবার বিশ্বসেরা ফুটবলারের খেতাবজয়ী একমাত্র ফুটবলার মেসির মত একজন অনিন্দ্যসুন্দর ও কুশলী খেলোয়ারের শোকেসে বিশ্বকাপ ট্রফি থাকবে না-এটা কিভাবে সম্ভব? এবার ব্রাজিলেই কি ফুরাবে অপেক্ষা? আমরা কি এই বিশ্বকাপে ওকে বিধ্বংসী মেজাজ়ে দেখতে পাব? লা লীগার মেসি কি এবার আর্জেন্টিনা মেসিরুপে দেখা দিবে? লা লীগায় শেষ সময়গুলো তার ভাল যায়নি। সবাই ধারণা করত, সে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে ইনজুরি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে চলেছে। শক্তি সঞ্চয় করে রাখছে। মেসির জমিয়ে রাখা শক্তির বিস্ফোরণ কি আমরা বিশ্বকাপে দেখতে পাব? আমি খুব আশাবাদী। কারণ, সমুদ্র যেমন ঝড়ের আগে শান্ত হয়। এবং পরে প্রলয় ঘটিয়ে দেয়। মেসির ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হবে ইনশা আল্লাহ। লা লীগায় শান্ত ছিল। এবার তাকে প্রলয় ঘটাতেই হবে। দলের খেলোয়ারদের সামগ্রিক মান, ব্রাজিলের চেনা আবহাওয়া, পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতা, দর্শক-সমর্থক ইত্যাদি বিবেচনায় বলা যায় যে, আর্জেন্টিনার জন্য কাপ জেতার এটাই আদর্শ সুযোগ। এ হয়তো অস্বীকার করা যাবে না যে, মেসির জন্য সম্ভবত এটাই শেষ সুযোগ।



শেষ কথাঃ







মহানায়ক মেসির কাঁধে চড়ে কি এবার পার হতে পারবে বিশ্বকাপ বৈতরণী? আল্লাহই জানেন। আমরা আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা কিন্তু পুরো বিশ্বাসে রেখেছি মেসি নামের জিনিয়াস, আগুয়েরো নামের গোলমেশিন, ডি মারিয়া নামের জাদুকরের ওপর।



এবার কি হবে বহুকাঙ্ক্ষিত সেই তিন নম্বর শিরোপা?

হোক না হোক, আছি আর্জেন্টিনার সাথে



..... থাকবই...



কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ

লেখাটি তৈরী করতে উইকিপিডিয়া, বিভিন্ন পত্রিকা, কয়েকটি ওয়েব পোর্টাল ও আমার এক বড়ভাইয়ের কাছে ঋণী। সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছবিগুলো নেয়া হয়েছে গুগল ও প্রথম আলো থেকে।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

ড. জেকিল বলেছেন: এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলে।
মনে হয় ভূল হয়নি, আমিও পেলের নাম শুনেছিলাম ওই বই থেকেই। যাতদূর মনে পড়ে ক্লাস ফাইভের বাংলা বইয়ে এই প্রবন্ধটি ছিলো। আমি যদিও সিলেভাস এ ওই বই পাইনি। আমাদের সময়ে ছিলো অন্য সংস্করণ। এক বন্ধুর কাছে থেকে নিয়ে পড়েছিলাম ওই বইটা। অনেক মজার সংষ্করণ ছিলো। অনেক স্মৃতি বইটার সাথে।

মেসির উপরে অনেক আশা করে আছি। কেন জানি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে নামলে ওর ভাগ্যও মনে হয় ওকে কিছুক্ষণের জন্য ছেড়ে যায়। দেখা যাক কেমন খেলে। ডিফেন্স ভালো করলে, অনেক ভালো কিছু ঘটতে পারে আর্জেন্টিনার জন্য।

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মোটেও ভুল হয়নি। পেলেকে ওখানে 'কালোমানিক' বলা হয়েছে।

যাইহোক, আর্জেন্টিনার এবার কাপ জ়েতা উচিত; অন্তত মেসির জন্য। আশা করি ভাগ্য এবার সহায় হবে ওর জন্য।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: এইবার মনে হয় প্রথম যে মানুষ ম্যারাডোনা ছাড়া মেসির জন্যে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করছে ।

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হতে পারে। তবে ম্যারাডোনাকে পছন্দ করে এমন অসংখ্য মানুষও আছেন
আমাদের মাঝে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্মৃতিচারণ এবং বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.