নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজান মাস এলেই মনে পড়ে যায় শৈশব কৈশোরের সেই অসাধারণ সময়গুলোর কথা…।

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮





রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের বাণী নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বের মুসলমানদের দুয়ারে আবারও উপস্থিত হয়েছে পবিত্র রমজান। রমজান ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৯ম মাস। কোরআনের মাস, ইনসানিয়াতের মাস এবং ইসলাম ধর্মমতে সবচেয়ে পবিত্রতম মাস এটি। এই মাসে মুসলমানগণ ধর্ম চর্চার অংশ হিসেবে ভোর থেকে সুর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও যৌনক্রিয়াদি বর্জন করে থাকেন। একে আরবীতে 'সিয়াম' বলে; বাংলাদেশে ইহা মুলতঃ 'রোজা' নামে এই মাস সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছর ঘুরে আবার আমাদের মাঝে পবিত্রতম রমযান মাস উপস্থিত হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবাইকে আর একটি পবিত্র মাস অবধি জীবনদাবের জন্য।



রমযান মাস আসলেই আমি ফিরে যাই যাই সেই শৈশব-কৈশোরের সেইসব সোনালী দিনের সন্ধানে। আলাপ না বাড়িয়ে চলুন কিছু স্মৃতিচারণা করি। দেখুন তো, কয়টা জিনিষ মিলে যায় আপনাদের সাথে?



সেহরির খাওয়ার আনন্দঃ

সেহরী দিয়েই শুরু হোক আলাপন। আমাদের বাড়িতে খুব মজার মজার ঘটনা ঘটতো সেহরির সময়ে। রাতে সাধারণত আব্বার-মায়ের ঘরে (যাকে স্থানীয় ভাষায় আমরা ‘বড়’ ঘর বলে থাকি)খাওয়া-দাওয়া হত। আর আমরা ছোটবেলায় ঘুমাতাম ঐ ঘরেই। মা অনেক আগেই উঠে যেতেন। রান্না-বান্না শেষে যখন সবাই খেতে বসত তখন হত মজা। আমরা ছোট বিধায় স্বভাবতই মা বা বড় ভাই-বোনেরা আমাদের ডাকতেন না। সবাই যখন একসাথে খেতে বসত তখনকার দৃশ্য ছিল দেখার মত। বিশেষ করে আমি খুব আকর্ষণ অনুভব করতাম। বড়দের খাওয়ার সময় আমি পুরোপুরি জেগে থাকতাম। কিন্তু উঠতে বিব্রত বোধ করতাম। আমার একটা দাম আছে না! আমি মনে প্রাণে চাইতাম মা বা যে কেউ অন্তত আস্তে করে হলেও একবার ডাকুক, ‘কিরে খাবি নাকি? উঠে পর’। কিন্তু সত্যি বলতে কি বেশীরভাগ সময়েই কেউ ডাকত না। তবে আমিও দমে যাবার পাত্র নই। বিছানায় শুয়ে অযথা এপাশ-ওপাশ করতাম যাতে কারো নজরে পড়ে যাই আর কেউ আমাকে ডাক দেয়। এটাও যখন কাজ করত না তখন অন্য কৌশল নিতাম। তখন আমি একটু জোড়ে ‘হাই’ তুলতাম যাতে অন্যের কানে যায়। এটাতেও যখন কাজ হত না তখন ব্যবহার করতাম শেষ অস্ত্র। হঠাৎ করেই বিছানা ছেড়ে উঠে বলতাম, ‘মা আমি প্রস্রাব করব’। এটাতেই কাজ হত। আমার বড় ভাই খুব মজার মানুষ। সে বুঝতে পেরে বলত, ‘মোচরা-মুচরি ম্যালা হইছে। হাত-মুখ ধুইয়া আইসা ভাত খা’। ভাইয়ের কথা শুনে সবাই হেসে উঠত। আমি খুব লজ্জায় পড়ে যেতাম। তবে আমি দ্রুত হাত-মুখ ধুয়ে এসে টুপ করে অন্যদের পাশে খেতে বসে যেতাম। খাবার মেন্যু যাইহোক না কেন খেতে অমৃতের মত লাগত।



এখনো ইফতার করি। ‘ঘড়ির/মোবাইলের ডাকে’ সেহরি খেতে উঠি। অনেকটা অভ্যাসবশতই এটা করি। আজও স্মৃতিপটে পুরনো দিনের কথা হানা দিলে বড়ই আনন্দ পাই। আর মনের মাঝে একটা দীর্ঘশ্বাস উঠে, ‘আর কোনদিন ফিরে আসবে না ওই সোনামাখা দিনগুলি’।



মজা করে ইফতারি খাওয়াঃ







সারাদিন রোজা থাকার পর রোজাদারদের জন্য ইফতার মহানন্দ ও ফযিলতপূর্ণ এবং অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ হলো ইফতার করা। ইফতারের মাধ্যমে রোজার পূর্ণতা আসে। এ সময়টি আল্লাহ মুমিনের পুরস্কারের জন্য নির্ধারণ করেছেন। নানা ধরনের খাবার সামনে পড়ে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর বিধান না থাকায় খাচ্ছে না-এটা আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দের। রাসুল সা. বলেছেন, রোজাদারের খুশির মুহূর্ত দুটি:



এক. ইফতারের মুহূর্ত,

দুই. তাকে যেদিন জান্নাতে স্বাগত জানানো হবে।



যখন ছোট ছিলাম তখন খুব মজা হত এই সময়ে। মনে পড়ে তখনও রোযা রাখার বয়স হয়নি। কিন্তু ইফতারীর সময় ঘনিয়ে আসার আগেই আমরা যেখানেই থাকি না কেন (অন্যান্য ভাই বোনেরা) ঠিক সময়ে বাড়ি এসে পৌঁছাতাম। মা সবার জন্যই ইফতারী বানাতেন। তিনি সবাইকে তা পরিবেশন করতেন। বড়রা মানে রোযাদারগণ ঘরে পাটিতে বসে ইফতারি করতেন। তবে আমাদের বসার জায়গা হত একটু দূরে, বারান্দায় বা উঠোনে। তবে এটা কোন সমস্য হত না। আযান হওয়ামাত্র আমরা পরমানন্দে ইফতারী সাবাড় করতাম। কি যে মধুর লাগত!!



সেহরীর সময়ে মাইকে ডাকাডাকিঃ

রোযার সময়ের একটা কমন বিষয় হল স্থানীয় মসজিদ থেকে সেহরি খেতে উঠার জন্য সবাইকে ডাকাডাকি করা। রাত ২টা থেকে ডাকাডাকি শুরু হয়। পাশাপাশি চলে তেলওয়াত ও হামদ-নাত পরিবেশনা। ঘুমিয়ে থাকার কোন উপায় নেই। কোন কোন জায়গাতে আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে তোলা হয়। যখন হলে থাকতাম তখন দেখতাম মেসের বা ক্যান্টিনের ছেলেরা প্লেটে বারি দিয়ে সবাই কে জাগানোর চেস্টা করছে! খুবই পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা!!! অনেকে অবশ্য কিছুটা বিরক্ত হন। তবে আমার মনে হয় একটা মুসলিম প্রধান দেশে এটা অমূলক নয়। বরং রোযার মাসের একটা অভ্যাস এটা। যদি কোন মসজিদ থেকে মাইকে ডাকাডাকি না হয় তবে বেশীরভাগ মানুষের খারাপই লাগবে।



তারাবীর নামাজ পড়াঃ

তারাবীহ নামাজ রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত। সারাদিন রোজা রেখে রাতের বেলায় ২০ রাকাত তারাবিহ-র নামাজ পড়া নিঃসন্দেহে এক কস্টসাধ্য ইবাদত। প্রবল ঈমানী জোর না থাকলে এটা পড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। ছোটবেলায় তারাবীর নামাজ নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটত। বন্ধুদের কেউ ৮ রাকাত পড়েই কেটে পড়ত। আমিও ‘বের হব’ ‘বের হব’ করতে করতে কতদিন যে পুরো নামাজই পড়ে ফেলেছি তার ইয়ত্তা নেই। আসলে এভাবে নামাজ আধা রেখে বের হতে মন সায় দিত না। তবে একটা ব্যাপার হলো, হাফেজ সাহেবের তেলাওয়াত যদি সুমধুর না হয় তাহলে ২০রাকাত নামাজ সত্যি বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।



এখন পুরো নামাজ শেষ করতে আপ্রাণ চেস্টা করি। তবে ছোটবেলার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে একসাথে তারাবিহ পড়ার কোন তুলনা নাই।



এবার ঈদ নিয়ে কিছু বলা যাক।

একমাস রোজা রাখার পর আসে ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। তবে যারা ইসলাম সম্মতভাবে একমাস সিয়াম সাধনা করে মূলত এই আনন্দ তাদের জন্যই। এই আনন্দের অধিকার ধনী-গরীব সবার। গরীবের আনন্দ নিহিত ধনীদের দানে। আল্লাহ ধনীদের সম্পদের মাঝেই গরীবের সম্পদ রেখেছেন। গরীবের আনন্দকে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার মাঝেই ধনীদের প্রকৃত আনন্দ।



ঈদে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে আনন্দদায়ক ছিল তাহলোঃ



নতুন জামা-কাপড় পাওয়াঃ

ছোটদের জন্য ঈদের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে নতুন পোশাক উপহার পাওয়া। এখনকার বাচ্চা পোলাপানের মত আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে মাসে মাসে নতুন জামা-কাপড় কেনার প্রচলন কম ছিল। খুব ধনী পরিবারের ছেলে-মেয়েরা হয়ত বেশী পেত। তবে মধ্যবিত্ত বা গরীব পরিবারে উপলক্ষ ছাড়া নতুন পোশাক কপালে জুটত না। আমার বাবা সরকারী চাকুরী করতেন। খুব সীমিত বেতন দিয়ে তার পক্ষে মাসে মাসে ত দুরের কথা ৬ মাসেও আমাদের সবার কাপড় দেয়া সম্ভব ছিল না। কাজেই আমাদের চোখ থাকত দুই ঈদের প্রতি।



নতুন কাপড় নিয়ে আর একটি মজার ব্যাপার কান্ড হত। আমাদেরকে যে পোশাকই দেয়া হত ঈদের দিনের আগে কোনভাবেই এটা কাউকে জানাতাম না, দেখানো ত পরের কথা। বন্ধু-বান্ধবদের জিজ্ঞাসা করতাম তাদের কাপড়ের ব্যাপারে। ওরাও বলত না। মনে হত বললেই সেটা পুরাতন হয়ে যাবে!!! ঈদের দিন গোসল করে নতুন পোশাক পড়ে গায়ে আতর মেখে নামাজ পড়ে এসে খেয়ে-দেয়ে বন্ধুদের সাথে খেলা করতে যেতাম। এটাই হত সারপ্রাইজ!!! তখন আবার প্রতিযোগিতা চলত কার জামা সুন্দর এটা নিয়ে। এটা অধিকাংশ সময়ে ঝগড়ায় রুপ নিত। হাহাহা।



ঈদে নতুন জামাকাপড় পেলে মনটা আনন্দে নেচে উঠত। আর যেই বার কপালে নতুন পোশাক জুটত না সেইবার মনটা বিষাদে ছেয়ে যেত। ঈদের আনন্দ তখন নিরানন্দে পরিণত হত।



আর এখন? প্রয়োজন পড়লেই কেনা হয়, উপলক্ষ্য এলেও কেনা হয়। কিন্তু ঐ Feelings টা পাই না। আসলে ঐ বিজ্ঞাপনটার মত বলতে হয়, ‘স্বাদ পাই না’।



ঈদের বখশিশঃ

অতি আনন্দের একটা পর্ব। আমার মনে হয় এমন কোন মুসলিম নেই যে বা যিনি ঈদের বখশিশ বা সেলামি পান নি। আমিও পেয়েছি ছোটবেলায়। মনে পড়ে আব্বা ঈদ উপলক্ষে ১০০ বা ২০০ টাকা খুচরা করে আনতেন আমাদের মাঝে বিলি করার জন্য। আমাদের ছোটদের প্রত্যেককে ৫ থেকে ১০ টাকা করে দেয়া হত! প্রিয় ব্লগারগণ, আপনাদের যাদের বয়স কম তারা হয়ত টাকার অংক পড়ে হাসছেন। কিন্তু এটা একদম সত্যি। মনে রাখবেন, আমি আজ থেকে ২০/২২ বছর আগের কথা বলছি। তখন ৫ বা ১০ টাকা একদম খারাপ ছিল না। তাই এটা নিয়েই সন্তুস্ট থাকতাম। আমরা একটু দমে যেতাম (তবে তা কোনদিন হতাশায় পরিণত হয়নি) যখন দেখতাম আমার ফুফাত ভাইয়েরা তখনি ঈদের সেলামি পেত ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। যাইহোক, অনেককেই দেখতাম তাদের চাচা, মামা, দুলাভাই বা অন্য কোন আত্বীয়র কাছ থেকে ঈদ সেলামি পেত। কেউ স্বেচ্ছায় দিলে নিতাম কিন্তু ‘পায়ে সালাম করে টাকা নেয়া’ আমাদের খুব একটা টানত না। বাবা মা ‘নিজের যেটুকু আছে তাই নিয়ে খুশি থাকতে’ শিখিয়েছিলেন।



এখন বখশিশ পাওয়ার দিন শেষ। এবার দেয়ার পালা...



ঈদের দিন মোলাকাতঃ







খুব মজার একটা ব্যাপার। পরিচিত অপরিচিত সবার সাথে মোলাকাত করতাম। খুব শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করত। মনের মধ্যে অনাবিল আনন্দ অনুভব করতাম। এটা এখনো করা হয়।



ঈদের ভুরিভোজঃ







ঈদের আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যেত মা এবং আপারা যখন মজার মজার রান্নার আয়োজন করতেন। সেমাই, পায়েস, খিচুরি, মাংশ, পোলাও। আহা! জিভে জল এসে গেল! যখন মনে হত তখনই খেতাম। ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’। নিজের বাড়ি পেট পুরে ত খেতামই। পরে বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ি গিয়েও উদরপূর্তি করা হত। তাদেরদেও দাওয়াত করতাম। সত্যিই সে ছিল এক মজার অভিজ্ঞতা।



দাওয়াত দিয়ে এখনো খাওয়াই তবে গিয়ে খাওয়া হয় খুব কমই।



মনে রাখবেন সকল ক্রিয়ার একটি প্রতিক্রিয়া আছে। তাই ভেবে চিন্তে খাবেন।







ঈদের নামাজ পড়তে যেতাম একপথে আর আসতাম অন্যপথেঃ

এটা সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। মহানবী (সাঃ) পথ পরিবর্তন করতেন কোন অভাগা মানুষের খোঁজে, যাদের জন্য ঈদ কোন আনন্দ বয়ে আনত না। পথে এরকম কাউকে পেলে তিনি সাথে করে বাড়ি নিয়ে আসতেন। পাশে বসিয়ে পরম মমতায় তিনি তাকে খাওয়াতেন। পালকপুত্র হযরত যায়েদ (রাঃ) কে তিনি এভাবেই পেয়েছিলেন। তবে আমি আজ অবধি কোন হতভাগ্য ব্যক্তিকে বাড়িতে নিয়ে আসিনি। হয়ত কিছু দান করেই দায়িত্ব শেষ করেছি। আমরা আসলে নামে মুসলমান।



এটা এখনো করা হয়।



এমনি আরো অনেক আনন্দের ব্যাপার ঘটেছে ঈদ বা রোযার সময়ে। স্মৃতিগুলো মনের মধ্যে মাঝে মাঝেই আকুলি-বিকুলি করে। ফিরে পেতে ইচ্ছে করে সেসব দিনরাত্রি। কিন্তু কখনো আর ফিরে পাব কী???



রমজান উপলক্ষ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিঃ

রমজানের আগে থেকে এবং মাসের শুরুতেই কিছু অসৎ ব্যবসায়ী রোজায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য কোনো কারণ ছাড়াই বাড়িয়ে দেয়। এ প্রবণতা যেমন ইসলামসম্মত নয়, তেমনি দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়মনীতির লঙ্ঘন। এতে সংযমের পরিবর্তে অসংযম সাধিত হয়। এটা বড়ই পীড়াদায়ক। কিন্তু কিছুই বলার নেই। এটা এখনো সমানতালে চলছে। গত পরশু বেগুন কিনতে গিয়ে মাথা চক্কর দেয়ার অবস্থা। কারণ ৪০ টাকা কেজির বেগুন ১০০টাকা দিয়ে ‘কিনতে’ হলো।



আর একটা ব্যাপার হলো, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি কিছু নাদান শেণির মানুষ প্রকাশ্যে রোজার পবিত্রতা নস্ট করে। এটা এখনো আছে। এ ব্যাপারে সবার সচেস্ট হওয়া দরকার।



এখন বিশ্বকাপ খেলা চলছে। খেলা দেখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের জাগতিক উৎসব, খেলাধুলা যাতে আমাদের বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ না করে। হে আল্লাহ। রমজানের বরকতময় রাতগুলোতে আমরা যেন তোমার প্রতিশ্রুত দয়া, ক্ষমা ও মুক্তি লাভ করতে পারি।



যাইহোক, শেষ করবো আমাদের এলাকার একটা প্রচলিত কৌতুক দিয়ে।



এক বয়োবৃদ্ধ মানুষ প্রথম রোজার দিন দুপুর গড়িয়ে বেলা পশ্চিমের দিকে ঢলে পড়ার সময় স্বগোক্তি করছেন,

“আইলো রোজা গেল রোজা

আর আছে এক কুড়ি সাড়ে নয়টা রোজা”।



এই তো, রোজা প্রায় শেষ হতে চলল। আর মাত্র সাড়ে ঊণত্রিশটা (চাঁদের উপর নির্ভরশীল) রোজা!



মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সর্বোত্তমভাবে সবগুলো রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।



সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা।





পশ্চিমের দিকে ঢলে পড়ার সময় স্বগোক্তি করছেন,

“আইলো রোজা গেল রোজা

আর আছে এক কুড়ি সাড়ে নয়টা রোজা”।




এই তো, রোজা প্রায় শেষ হতে চলল। আর মাত্র সাড়ে ঊণত্রিশটা (চাঁদের উপর নির্ভরশীল) রোজা!



মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সর্বোত্তমভাবে সবগুলো রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।



সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা।



নোটঃ ছবিগুলো গুগল থেকে নেয়া।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দ্বিতীয় ভালোলাগা। রোজার মাসের স্মৃতিচারণা আমাকে স্মৃতিকাতর করে তুললো। আহা, এই দিন গুলোর প্রতি ভালোলাগা কখনো কমে যাবার না।
রমজানের শুভেচ্ছা রইলো।

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: রোজা এলেই আমার এসব খুব মনে পড়ে। তাই ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি। আপনার ভাল লেগেছে খুশি লাছে।

আপনাকেও রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

রূপা কর বলেছেন: আর কোনদিন ফিরে আসবে না ওই সোনামাখা দিনগুলি’।
রমজানের শুভেচ্ছা +++++

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আর কোনদিন ফিরে আসবে না ওই সোনামাখা দিনগুলি’।-এটাই বেদনাদায়ক সত্য।

আপনাকেও রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিশুগ্যাংয়ে রোজা রাখা বিড়াট প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার ছিলো। তবে কষ্টও হৈতো খুব, তাই সবসময় প্রেস্টিজ বজায় রাখা সম্ভব হতো না!

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হাহাহা ঠিকই বলেছেন। সহজে রোজা ভাংতে চাইত না কেউ। তবে দুপুরের পর আর পারত না।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আরিহ! খাসা পোস্ট!!
যেমন চমৎকার ভাবে তুলে আনছেন শৈশব দিনলিপি গুলি জীবন্ত করে তেমনি উপস্থাপনার আর্ট টাও চোখে লাগার মত ...
শুভকামনা আপনার জন্য ...

০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমি বিব্রতবোধ করছি!! প্রশংসাসূচক কিছু শুনলেই আমার এমন হয়।

খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যে পড়ে। আপনাকে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

আর অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ছোট বেলায় আমিও রোজা রাখতাম কিন্তু দুপুর বেলায় মায়ের অনুরোধের ঢেকি মানে ভাত খেয়ে। :D

০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সবার ছোটবেলার কমন ঘটনা এটা। আমিও অনেকবার চেস্টা করেছি। কিন্তু দুপুর গড়ালেই আর পারতাম না।

আপনাকে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি যখন ছোট ছিলাম রোজাগুলো হতো শীতের সময়। তখন তো মটরশুটির সময়। আম্মা সেহরীর জন্যে মটরশুটি দিয়ে মাঝে মাঝে তরকারী রান্না করতেন।
সেটা দেখে আমার একটা ধারনা হয়েছিলো যে সেহরী মানেই বুঝি মটরশুটির তরকারী ! =p~ :P

অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আপনার ছোটবেলার রোজা-ঈদ । :)

০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: তাই নাকি!! খুব মজার ব্যাপার। তবে মটরশুটি দিয়ে তরকারী রান্না কিন্তু আমার ভীষণ প্রিয়। সিজনে আমি এটা এখনো খাই। আর একটা কথা, শীতের সময়ে রোজা রাখা অনেক সহজ।

আপনাকে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

যুবায়ের খান বলেছেন: :( :( :(

০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আর কখনো ফিরে আসবে না সেই সোনামাখা দিনগুলো। :( :( :(

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
সেইসব দিনগুলোতে সেহেরীর সময়ে
টিউবওয়েল আর বাথরুমে ভীর জমে যেত !
ইফতারের আগেও খুব অপেক্ষা করতাম কখন আযান দেবে !

অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন সুন্দর পোস্টের বিনিময়ে !
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন ।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্যিই বলেছেন। আমার এটা খেয়াল ছিল না। ইফতারি নিয়ে বসে থাকা এখনো হয়।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

রাজিব বলেছেন: ১৯৮০-৮১ সালের কথা। ঈদের জন্য যত না নতুন জামার জন্য অপেক্ষা করতাম তার থেকে বেশি অপেক্ষা করতাম ভাল খাবারের জন্য। তখন আজকের মত প্রতি শুক্রবার পোলাও মাংস খাবার চল ছিল না। এর অন্যতম কারণ হল দেশের এমনকি ঢাকা শহরের বেশিরভাগ পরিবারের আর্থিক অবস্থা আজকের মত সচ্ছল ছিল না। দুই ঈদে ২-৩ দিন ধরে গরু, খাসী ও মুরগির মাংস খাবার ছিল অমৃতের মত।
আর ইফতারের সময় যা খুব মিস করি তাহল বরফ কিনে আনা। খুব কম বাসাতেই ফ্রিজ ছিল। কাঠের গুড়া দিয়ে বরফ মাখানো হত যাতে করে সহজে না গলে।
সবার আগে নামাজের জামাত হত বায়তুল মোকাররম মসজিদে সকাল ৬ টা সাড়ে ৬ টার দিকে (৯০ এর দশকের কথা বলছি) এখনো বোধহয় তাই হয়। এত ইফতার পার্টি ছিল না ১৯৮০ এর দশকে।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অতি সত্য কথা বলেছেন। ভাল খাবার আজকের মত এত ঘন ঘন রান্না হত না। বরফের সাথে আমরা আরো আনতাম 'মাঠা' নামের এক স্থানীয় পানীয়। সরবতের মত খেতাম।

গ্রাম এলাকায় ঈদের জামাত ৯টার পরেই হত। এখনো তাই আছে।

আপনার মন্তব্যে পোস্টটি আরো সমৃদ্ধ হল সন্দেহ নেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: মাসসেরা সংকলনে যাচ্ছে...
অভিনন্দন...

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সংকলনের কাজ কি আপনিই করছেন? যেই করুন আপনার আগাম অভিনন্দন বিনয়ের সাথে গ্রহণ করছি।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



স্মৃতি জাগানিয়া পোস্ট!

ধন্যবাদ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: পোস্ট দেয়ার বহুদিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম।

হুম, নিঃসন্দেহে এটা স্মৃতি জাগানিয়া পোস্ট! এটি সকল রমজানের জন্যই প্রযোজ্য।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



রমজান কাছে তো, তাই।


ভাল থাকবেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হুম, রমজান আমাদের দোরগোড়ায়।
মহান আল্লাহ আমাদের রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন। আমিন।

আপনিও ভাল থাকবেন। আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: রমজান মাস এলেই মনে পড়ে যায় শৈশব কৈশোরের সেই অসাধারণ সময়গুলোর কথা…।

বাকিটা পড়ি নাই, বুঝে নিলাম। :) শিরোনামটা সার্থক ও যথার্থ! মনে পড়ে...

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: :):):)

পড়ে আর কি হবে? সবার ছেলেবেলা প্রায় একই।

আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.