নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বই পড়তে আমি খুব ভালোবাসি। এর কোন কারন নেই । কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে কেন পড়েন তখন খুব রাগ লাগে । নতুন কিছু জানতে খুব আগ্রহ আমার ।

রূবাইয়াৎ তৃণা

রূবাইয়াৎ তৃণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যোগাযোগ ( গল্প )

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

"তুই কিন্তু আমাকে রোজ ফোন করবি ! রোজ । মনে থাকে যেন রোজ !"
"আচ্ছা মা ।"
"আচ্ছা না ! বল করবি ?"
"ঠিক আছে মা । রোজ ফোন করবো তোমাকে আমি ।"
"আর প্রতি শুক্রবার আসবি ঘরে । বিকেলে চলে এসে রাতে খেয়ে তারপর যাবি ।"
"ঠিক আছে মা ।"
"আর প্রতিদিন ফোন দিবি ঠিক সাড়ে দশটা-এগারোটার সময় ।"
"আচ্ছা ।"
"তোর বাবা দোকানে চলে যাবে । তারপর আমি রান্না করবো আর কথা বলবো তোর সাথে ।"
"ঠিক আছে ।"
"তখন কিন্তু ব্যস্ত বললে শুনবো না ।"
"বলবো না ব্যস্ত আছি ।"
''সত্যি তো ?"
"হ্যা সত্যি । এখন ওঠো তো ইনসুলিনটা পুশ করতে হবে এখন । তারপর আধ ঘন্টা পর রাতের খাবার খেতে হবে |"
"আজ কি রান্না করলি মা ?"
"নিরামিষ আর তোমার জন্য দুটো মোমো ।"
"বাহ্ ! তোর বাবা খেয়েছে ?"
"হ্যা ।"

আলিহা তার মাকে ইনসুলিন ইনজেকশন পুশ করে দিয়ে চলে গেল খাবার গরম করতে । রাহেলা চুপ করে বসে মেয়ের বিয়ের কথা ভাবতে লাগলেন । আচ্ছা হলুদের দিন কেমন শাড়ি কেনা উচিত ? সিল্ক না জামদানি ? জামদানি, টাঙ্গাইল খুব কমন হয়ে যায় ! কাতান একটা আর কতই নেবে ! বড়োজোর চার-পাঁচ হাজার । নাহঃ ! কাতানই কিনবেন । হলুদ কাতান লাল পাড় | আর হলুদ গাঁদার গহনা । কি সুন্দর হবে ! অপূর্ব লাগবে তার মেয়েকে !

আলিহা ট্রেতে করে তার মায়ের খাবার নিয়ে এলো । ল্যাপ টেবিলটা বিছানায় রেখে তাতে খাবার সাজালো । রাহেলা তাকিয়ে দেখলেন মেয়েকে । কি গোছানো স্বভাবের মেয়েটা । সব কাজ পরিপাটি । এই যে কি সুন্দর খাবার বাড়ছে । আসলেই তার মেয়েটা আলাদা ।

আলিহা তার মাকে ধরে বসাল । খাবার খাইয়ে দিতে দিতে বলল, "তুমি সারাদিন এতো কথা বলোনা মা বুয়ার সাথে ।"
"কেন গো মা ?"
"এমনি ।"
"ভালো লাগেনা মা এমনি এমনি ।"
"ডাক্তার তো মানা করেছে তোমাকে বেশি কথা বলতে । সেজন্য মা ।"
আলিহা সত্যি কথাটা বলতে পারলো না । তাদের বুয়া অভিযোগ করেছে, "খালাম্মা এত্ত কতা কয় মাতা ঘুরে আমার ! আমি যামুগা আফা । কাম না পাইলে নাই কিন্তু ইমুন করলে থাহা যায়না ।"
স্ট্রোক করার পর অতিরিক্তরকম কথা বলেন রাহেলা তা সত্যি । কিন্তু বুয়া এখন কাজ ছেড়ে চলে গেলে বড় বিপদ হবে আলিহার ।
"কি ভাবিস মা ?"
" কিছু না ।"
"তুই খেয়েছিস ?"
"খাবো মা । তোমার খাওয়া হলে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে গিয়ে খাবো ।"
"তুই খাবি ঠিকমত মা ।"
"আচ্ছা ।"

রাহেলা স্ট্রোক করে তার শরীরের বামপাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে । তাকে খাওয়ানো, জামা পড়ানো, গোসল করানো সব তার মেয়ে করে । তিনি প্রায় অচল এখন শারীরিকভাবে ।

রাহেলা এক হাতে অনেক কসরত করে রুটি ছিঁড়ে নিয়ে সবজি দিয়ে আলিহাকে বললেন, "হা কর মা । খাইয়ে দেই তোকে ।"
"আমাকে খাওয়াতে হবে না । তুমি খাও ।"
"খা না মা । মার হাতে খেতে হয় ।"
আলিহা রুটির টুকরোটা গালে নিয়ে বলল, "তাড়াতাড়ি খাও মা |"

সব কাজ সেরে রাতে ঘুমাতে এলে রাহেলা বলল, "জানিস তোর বিয়েতে তোর জন্য একটা আলাদা দামি শাড়ি কিনবো ।"
"হুম ।"
এই গল্প প্রায় প্রতিদিন করেন রাহেলা । এইসব কথা আলিহার জন্য নতুন নয় ।
রাহেলা আবার বললেন, "খালি একটাই দুঃখ মা ।"
"কি ?"
"ছেলের বয়স বেশি অনেক ।"
"সব কি মেলে মা !"
"ঠিক গো মা । তবে দেখিস ছেলে ভালো ।"
"ভালো হলেই ভালো |"
"নাগো ভালো অনেক । আমি হাসপাতালে থাকতে কতবার এসেছে ।"
"হুম । এখন ঘুমাও মা ।"
"ঘুম আসবে একটু পর । লিহা ?"
"বলো মা । বাথরুম যাবে ?"
"না । একটা কথা শুনবি ?"
"কি ?"
"আমার বিয়ের বেনারসীটা পড়বি একবার এখন ? পড়না মা । দেখি কেমন লাগে তোকে ?"
"কি পাগলামো করছো মা ! ঘুমাও এখন ।"
"পড়না মা বেনারসীটা ।"
"এখন না মা ।"
"কেন গো ? পুরোনো তাই ? জানিস আমার বিয়ের সময় ঐটা ছিল বাজারের সবচেয়ে দামি শাড়ি । ওই যুগে দশ হাজার টাকা দাম ।
তখন অনেক টাকা ছিল তো তোর বাবার তাই এতো দামি শাড়ি কিনেছিল । সবাই বিয়ের দিন শাড়ি দেখে অবাক । এতো দামি শাড়ি !"
"ঘুমাও মা এখন । তোমার শাড়ির গল্প কাল শুনবো ।"
"পড় না শাড়িটা !"
"পড়বো মা । প্রমিজ আমার বিয়ের দিন পড়বো ।"
"এখন ?"
"এখন না ।"
"মাগো তুই প্রতিদিন ফোন দিস ।"
"দেব মা ।"
রাহেলা তার পুরোনো ছোট নকিয়ার ফোনটা হাতড়ে হাতড়ে বালিশের তোলা থেকে বের করে বললেন, "আমি ফোনটা সবসময় কাছে রেখে দেব । যাতে তুই ফোন দিলেই ধরতে পারি ।"
"আচ্ছা মা ।"
"আমি খাবার রান্না করে তোকে পাঠাবো রোজ । খাবি তো মা ? নাকি বড়োলোক শাশুড়ি পেয়ে মাকে ভুলে যাবি ?"
"কি যে বলো না মা ! মা ঘুমাও তো এখন ।"
সারাদিনের খাটুনির পর আলিহার চোখে ঘুম জড়িয়ে এসেছে । সে ঘুমিয়ে গেল । রাহেলা বকে যেতে লাগলেন তার মতো ।

আলিহার বিয়েটা হল না । বিয়ের নির্ধারিত তারিখের সতের দিন আগে আলিহার মা মারা যান ।

শাহেদ বেশ রাগ হয়ে বলল, "তোমাকে অনেকবার ফোন দিয়েছি আমি ।"
"আমার ফোনে চার্জ ছিল না ।"
"চার্জ ছিল না ? নতুন ফোনে চার্জ ছিল না ? তুমি চার্জ দাওনি ফোনে ?"
"ওটাতে ছিল । তুমি যেটাতে দিয়েছিলে সেটায় ছিল না ।"
"মানে ? আমি তোমার জিপি নম্বরে ফোন দিয়েছি । সেটা অফ ছিল ।''
আলিহা অপরাধ স্বীকার করে বলল, "হ্যা ওটার চার্জ ছিলোনা ।"
শাহেদ দেখলো ডেস্কের উপর পুরোনো জীর্ন একটা ছোট নকিয়ার ফোন চার্জে দেয়া । সে এগিয়ে এসে বলল, " এটা কার ?"
"আমার ।"
"এতেই কি ফোন দিয়েছিলাম ?"
"হ্যা ।"
"আর যেটা নতুন কিনে দিয়েছি সেই ফোনটা কই ?"
"ঐযে পাশে । ওটায় অন্য অপারেটরের সিম কার্ড । ওটায় ফোন দিলে পেতে ।"
শাহেদ বহু কষ্টে রাগ সামলে বলল, "আমি তোমাকে ব্র্যান্ড নিউ আইফোন সেভেন কিনে দিয়েছি এতগুলো টাকা খরচ করে আর তুমি এই মান্ধাতার আমলের নষ্ট ফোন নিয়ে পরে আছো । ফ্যালো এটা !"
আলিহা চমকে উঠে বলল, "না । ওটা চার্জ দিলেই ঠিক হয়ে যাবে ।''
"এটা দেখতে কেমন ! ছিঃ আলিহা !"
"থাক । যেমনি হোক । আমি ওটাই রাখবো ।"
শাহেদ রেগে গিয়ে ফোনটা টেনে চার্জার থেকে খুলে ফেলে বলল, "ফোন রাখা হয় যোগাযোগের জন্য ! আর এটা যদি সারাদিন এমন চার্জে সেঁক দিয়ে রাখতে হয় তো এর জায়গা ডাস্টবিন ।"
শাহেদ ফোনটা খুলে নিতেই দৌড়ে এগিয়ে এলো আলিহা । তার সাথে জোরাজুরি করতে লাগলো ফোনটা ফিরিয়ে নিতে । বারবার অনুনয় করে বলতে লাগলো, "শাহেদ প্লিজ দাও, ফিরিয়ে দাও ফোনটা । তুমি ওই নম্বরে ফোন করো । ওটা আমি সবসময় খোলা রাখবো । প্লিজ দাও ।"

কিছুক্ষন ধস্তাধস্তির পর এই মামুলি অকেজো একটা ফোন নিয়ে আলিহার এতো আগ্রহ দেখে শাহেদ ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিল বারান্দায় ।
একটা চিৎকার করে আলিহা দৌড়ে গেল সেদিকে । এতো পুরোনো বহুব্যবহারে জীর্ন ফোন এতো চাপ নিতে পারেনি । ভেঙে খুলে ছড়িয়ে গেলো ।
আলিহা হতবাক চোখে ভেঙে ছড়ানো ফোনটার দিকে কিছুক্ষন চেয়ে থেকে মাটিতে বসে একটা একটা টুকরো টুকিয়ে জড়ো করলো ।
শাহেদ একটু সামনে এগিয়ে এসে বলল, "যাহ । এতো ভেঙে গুঁড়ো হয়ে গেল !"
আলিহা একবার মাথা তুলে চাইলো শুধু । শাহেদ দেখলো তার চোখে পানি টলটল করছে ।
নাহঃ ঠিক হয়নি কাজটা ! রাগের মাথায় একটু বেশিই হয়ে গিয়েছে ।
শাহেদ পাশে হাটুগেড়ে বসে বলল, "দেখি কি হল ?"
আলিহা তাকে দেখালো না । টুকরোগুলো সব শাড়ির আঁচলে বেঁধে নিয়ে চলে গেল ।

তাদের বিয়ে হয়েছে চার মাস । এখনো আনুষ্ঠানিকতা হয়নি । সেসবের প্রস্তুতি চলছে । তাই এখনো আলিহা এবাড়িতে নববধূ ।

আলিহার শাশুড়ি ছেলের ঘরে এসে বললেন, "কি বলেছিস তুই বৌমা কে ?"
"তেমন কিছুনা মা ।"
"যাক তুই অন্তত স্বীকার গেলি ! ওতো যতই জিজ্ঞাসা করি বলে তুই কিছুই বলিসনি এমনি ওর মন খারাপ ।"
"ইয়ে মা । মানে আমি একটু খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি ওর সাথে ।"
"সেতো বুঝতেই পারছি ! নতুন বৌ, মা মরা মেয়ে কাঁদাও তাকে !"

রাতে ঘুম ভেঙে শাহেদ দেখলো আলিহা বিছানায় বসে কাঁদছে । তার হাতে ফোনটা ।
শাহেদ উঠে বসে তার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলল, "আই এম স্যরি আলিহা ! প্লিজ কেঁদোনা ।"
আলিহা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো । শাহেদ তার হাত থেকে ফোনটা নিল । দেখলো আলিহা জোড়া লাগিয়েছে ঠিক কিন্তু ফোনটা চালু হচ্ছে না । শাহেদ বলল, "আমি এটা কাল ঠিক করে এনে দেব । প্লিজ তুমি মন খারাপ করো না ।"

পরদিন সন্ধ্যায় শাহেদ ঘরে ফিরে আলিহার খোঁজে রান্নাঘরে গিয়ে দেখলো সেখানে সে আর তার মা কি যেন একটা রান্নার যোগাড় করছে ।
শাহেদ এগিয়ে গিয়ে বলল, "আলিহা এই দ্যাখো ঠিক হয়ে গেছে ।" বলে সে ফোনটা এগিয়ে দিল ।
আলিহা খুব খুশি হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে বলল, "হ্যা তাইতো ! ওমা চার্জ প্রায় শেষ । যাই চার্জে দেই ।"

আলিহা চলে যেতে শাহেদের বোন বলল, "পাগল কেমন দেখলে ভাইয়া ! ঐরকম একটা ট্র্যাশ নিয়ে কি এক্সসাইমেন্ট ! ঘরে আইফোন পরে রয়েছে আর ওই একটা তিনইঞ্চি খেলনা নিয়ে ওর কি পাগলামো !"
শাহেদ বলল, "তাই তো দেখছি ।"
শাহেদের মা নিগার একটা ছোট নিঃস্বাস ফেলে বললেন, "ওটা ওর মার ফোন ।"
শাহেদ আর তানিকা চমকে তাকালো ।
নিগার বললেন, "ওর মা স্ট্রোক করার পর ওর এক জায়গায় সম্বন্ধ হয়েছিল বিয়ের । ওর মা ওকে সবসময় বলতেন শশুরবাড়ি গিয়ে রোজ ফোন দিবি । আমি আমার ফোনটা সবসময় কাছে রাখবো যাতে যখন তখন তোর সাথে যোগাযোগ করতে পারি ।"
শাহেদ রুদ্ধশ্বাসে বলল, "তারপর ?"
"তারপর আর কি ! ওর মা মারা গিয়েছে কিন্তু ফোনটা আছে । যোগাযোগের মানুষটা নেই কিন্তু মাধ্যমটা রয়ে গেছে ।"

এই পুরোনো অল্পপ্রাণ জীর্ন বস্তুটার প্রতি তার স্ত্রীর এতটা মায়ার কারণ তার কাছে স্পষ্ট হল । শাহেদ ঘরে গিয়ে দেখলো ফোনটা চার্জে দিয়ে ফোনটার উপর হাত রেখে আলিহা দাঁড়িয়ে আছে । তার দুচোখের কাজল অশ্রুতে লেপ্টে গেছে ।



আজ শাহেদ আর আলিহার বিয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান । তাদের বাড়ির ছাদেই অনুষ্ঠান হবে আর নতুন বানানো চারতলার খালি ফ্লোরে খাবারের আয়োজন । হঠাৎ কিসের যেন শোরগোলে উঠে গেল শাহেদ । ভেতরে গিয়ে দেখলো তার বোন আর চাচাতো ভাইয়ের বৌ চিৎকার করে অস্থির ।
তানিকা বলছে, "এত্ত বললাম ! এত্ত বললাম শুনলেই না । কেমন পাগল !"
শাহেদ এগিয়ে গিয়ে বলল, "কি হয়েছে ?"
তার চাচাতো ভাইয়ের বৌ বলল, "কি আর ! তোমার বৌ ! পুরো পাগল !"
"কেন ?"
"আরে কি এক কাজ করেছে দেখ গিয়ে !"
"কি হয়েছে কি ?"
"আরে এমন একটা দিন আর আসবে জীবনে ? আর এই দিনে কিনা কোথেকে এক পুরোনো বেনারসী পরে বসে আছে । পার্লারে এতো বললাম নতুন বিয়ের শাড়িটা পড়ো । শুনলো না । কে জানে কোন নমুনা ! মানুষ সত্তর হাজার টাকা দামের নতুন জারদৌসি বেনারসী বাদ দিয়ে পুরোনো কাপড় পরে ! দুঃখ আছে ভাই তোমার !"

শাহেদ তার মায়ের ঘরের দিকে গেল । আজ আলিহা নিগারের ঘরেই বসেছে । বেশ রাগই লাগছে শাহেদের । এটা কেমন কথা কেউ বিয়ের শাড়ি পড়বে না !

নিগারের খাটের কোনে দেয়ালের জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে আলিহা বসে আছে । সে গলা খাকারি দিয়ে ঘরে ঢুকে বলল, "এসব কি কথা আলিহা ? তুমি কেন বিয়ের জন্য কেনা শাড়ি পড়োনি ?"
আলিহা ফিরে তাকালো শাহেদের দিকে । মাথা নিচু করে বসে রইলো । শেষ বিকেলের আলো তার মুখে পরে অপূর্ব দেখাচ্ছে ।
আলিহার পরনের বেনারসীটা লক্ষ করে শাহেদ মাথা নাড়ল বিশেষভাবে ।
শাহেদ একটু হাসলো, বলল, "এটাই ঠিক হয়েছে । আই এম প্রাউড অফ ইউ !"

তানিকা ঘরে এসে বলল, "দেখেছো ভাইয়া ?"
"হ্যা ।"
"বলো কিছু ।"
"আমিই তো বলেছি ওকে এই শাড়িটা পড়তে ।"
"কি ?"
"হ্যা ।"
"এত্ত সুন্দর দামি শাড়ি রেখে এটা ?"
"হ্যা । ও যত দামি শাড়িই পড়ুকনা কেন এই শাড়িটায় ওকে যত সুন্দর লাগছে আর কোনোটাতেই ততটা সুন্দর লাগতো না ।"
"সত্যি ? তুমিই বলেছো ?"
"হ্যা । আমিই বলেছি এই শাড়িটা পড়তে ।"

..........................

( রুবাইয়াৎ তৃণা )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

রূবাইয়াৎ তৃণা বলেছেন: তাড়াহুড়া তো করিনি ভাইয়া । এটা আমার অনেক আগে লেখা একটা গল্প ।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

নাহিদ০৯ বলেছেন: পড়তে পড়তে ভাবছিলাম আপনিও শাহেদ কে একপেশে ভিলেইন বানিয়ে দেন কি না। এরকম প্লট এর বেশিরভাগ লিখাতে কেউ একজন অতিব খারাপ ভিলেইন থাকে, বাস্তবতার বাইরে লেখকের কল্পনার ভিলেইন। যে সাধারন মানুষের মতো কথা বলে না, সাধারন মানুষের মতো ভাবে না। যার কাজ ই হলো ভিলেইন গিরি করা।

পড়া শেষ করে ভালো লাগলো। আপনার লিখার ক্লাইম্যাক্স আপনার গল্পের মানকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকগুন।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৬

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.