নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন এক হাস্যময়ীর গল্প

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৫



- আপা আপনাকে এমডি স্যার এই ফাইলটা দিতে বললেন।
সেঁজুতি একটু চমকে উঠে; খুব মন দিয়ে কাজ করছিলো। ও কিউবিকলের ওপাশ থেকে এগিয়ে দেয়া ফাইলটা হাত বাড়িয়ে নেয়।
- আপা আপনার কি মন ভালো নেই?

সেঁজুতি রিডিং গ্লাস খুলে অবাক হয়ে বললো “না তো...কেন বলতো?”
- নাহ...মানে ফাইলটা নেবার সময় হাসলেন না যে!!!

এবার সেঁজুতি হেসে ফেলে। “এইতো আপা...এখন মনে হচ্ছে অফিসে আর গুমোট ভাব নেই...” অন্যপাশের কিউবিকল থেকে রেহানা বলে উঠে “আজতো সেঁজুতির মন খুবই ভালো। লাঞ্চের সময় ব্রেকরুমে একটা যা মজার জোক্স বললো…আমিতো হাসতে হাসতে শেষ!!!”

- তাই নাকি? কি জোক্স? আপা বলেন না আরেকবার প্লিজ প্লিজ!!!
- আরে পুরানো কৌতুক…নিশ্চয়ই আগে শুনেছো…
- হোক পুরানো কিন্তু আপনার মতো মজা করে মনে হয় না কেউ বলেছে…আপনি যা সুন্দর করে আর মজা করে গল্প করেন!!!

- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া চলছে। এমনকি ঝগড়া গড়িয়েছে হাতাহাতি পর্যন্তও! এক পর্যায়ে খাটের নিচে আশ্রয় নিল স্বামী বেচারা। স্ত্রী খাটের নিচে উঁকি দিয়ে বলল, ‘বেরিয়ে এসো। বেরিয়ে এসো বলছি!’ উত্তরে মিনমিন করে বলল স্বামী, ‘আমি কি তোমাকে ভয় পাই ভেবেছ? তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি, আমি কিন্তু যা বলি তাই করি।’ স্ত্রী: কী বলতে চাও তুমি? কী করবে শুনি? স্বামী: খাটের নিচ থেকে বের হব না...
- হা হা হা!!! আগে শুনেছি কিন্তু আপনার মুখে শুনে বেশী মজা লাগলো।

সেঁজুতি হাসলো। আজ আসলে ওর মন খুবই খারাপ। যেদিন গুলোতে ওর মন খুব খারাপ থাকে সে দিনগুলোতেই ও সবচেয়ে বেশী হাসে। ওই যে জোক্সটা বললো সেটা নিজেকে ব্যঙ্গ করেই। বাস্তবতা এই রকম বহুল প্রচলিত কৌতুকগুলো থেকে কতো ভিন্ন তাই না? আসলেই হাস্যকর...সত্যিই কৌতুকময়!!! পৃথিবীর সবার ওর কথা ভালো লাগলেও মাহবুবের লাগে না। ও যাই বলে না কেন মাহবুবের রাগ উঠে যায়।

গতকাল অফিস থেকে ফিরে রাতের খাবার রেডি করে টেবিলে বসে আছে। কয়েকবার মাহবুবকে ডাকলো; রানা পর্যন্ত একবার বললো “আব্বু আমরা বসে আছি...খেতে আসো না!!!” মিনিট দশেক পরে সেঁজুতি রানাকে খেতে দিয়ে শোবার ঘরে গেল।
- “একি তুমি কি করছো? আমি আর রানা কখন থেকে খাবার জন্য ডাকছি।“

-“ফোনে কথা বলছিলাম।“
- “কার সাথে? সব ঠিক আছে?”
- “ইমরানের সাথে...হ্যা সব ঠিক আছে...এমনি গল্প করছিলাম...”
- “বাহ...এমনি গল্প হলে তো একটু পরেও করতে পারতে...আমি কখন থেকে না খেয়ে বসে আছি...”

“খানকি মাগি!!! তোর এত্তো বড় সাহস!!! আমি কখন কার সাথে কথা বলবো সেটা তোকে জিজ্ঞাসা করে বলতে হবে?” সেঁজুতি বোঝার আগেই মাহবুবের ডানহাত ওর গলা চেপে ধরেছে; এক ধাক্কায় ও বিছানার পাশের দেয়ালে। মাহবুবের আঙ্গুলগুলো সাঁড়াশীর মতো গলায় চেপে বসেছে; ও ব্যথা পাচ্ছিলো কিনা জানে না শুধু আতঙ্কে জমে গেছিলো। গলা টিপে ধরাইতো শেষ না হতে পারে; যদি অন্যদিনের মতো মারধোর করে।

মাহবুব অবশ্য আর কিছু বলেনি; ছেড়ে দিয়েছিলো। সেঁজুতি আর একটা শব্দও করেনি; স্ত্রস্ত পায়ে খাবার টেবিলে এসে বসলো। ও নিশ্চয়ই ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিলো। দশ বছরের রানা বললো “মা তোমার কি হয়েছে? তুমি কি ভয় পেয়েছো?” “না বাবা আমি ঠিক আছি...তোমার খাওয়া হলো?” সেঁজুতি তাড়াতাড়ি ওড়নাটা গলায় জড়িয়ে নেয়; পরে বাথরুমে গিয়ে দেখতে হবে গলায় আঙ্গুলের দাগ বসেছে কিনা।

আজ অবশ্য ও ছাড়ানোর চেষ্টা করেনি; আগের অভিজ্ঞতা থেকে জানে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেই আঙ্গুলগুলো চেপে বসে আর গলায় দাগ বসে যায়। বেগুনী রঙের আড়াআড়ি সমান্তরাল দাগ; চারটা দাগ একপাশে, একটা একটু হালকা, কনে আঙ্গুল; অন্যদিকেটা গাঢ় বেগুনী বুড়ো আঙ্গুল। যে হলুদাভ বরফ রঙের জন্য একদিন মাহবুব ওকে পছন্দ করেছিলো সেই রঙের জন্যই এখন সেঁজুতি বড় বিপদে থাকে। একটু আঙ্গুলের চাপ খেলেই যে বরফে বেগুনী ছোঁয়া; মেকআপ দিয়ে ঢাকা বেশ কঠিন। দাগ মেলানোর সময়েও রঙের খেলা; বেগুনী থেকে কালচে নীল; হলদে নীল; শেষে হলদে রং ত্বকে মেলায়। এতো ফরসা না হলেতো এই রঙের খেলা কেউ দেখতে পেতো না; এই সময় গুলোতে শ্যামলা মেয়েদের ওর ভীষণ ঈর্ষা হয়।

সেঁজুতির চামড়ার রং বাদ দিলে দেখতে খুব আহামরি নয়। একটু বোঁচা নাক, কাজল আর লিপষ্টিক না দিলে চোখ বা ঠোঁট আলাদাভাবে চোখেই পড়ে না। তবে ও খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারে; বহুবার শোনা অনেক পুরোনো গল্পও সেঁজুতি যখন হাত পা নেড়ে আগ্রহ করে বলে মুগ্ধ হয়ে শুনতে হয়। সবসময় খুব হাসিখুশী; সাজগোজ ছাড়া ওকে খারাপ না দেখালেও হাসি ছাড়া সেঁজুতি বেমানান। হাসিটা যেন ঠিক হীরের হার; হাসলেই চারপাশ ঝলমলিয়ে ওঠে। সেঁজুতি জানে যে সৃষ্টিকর্তা ওকে এই একটাই খুব বড় অস্ত্র দিয়েছেন; দুঃখ লুকানোর অস্ত্র। করুণা যে ও নিতে পারবে না; থাক না চারপাশ হাসিতে ঝলমল; হাসির মায়াজালে কথার ইন্দ্রজালে ঢাকা পরুক বেগুনী রঙের কষ্টরা।

রাতে বিছানায় যেতে ভয় করছিলো। কোন কোন দিন এই ব্যপারগুলো কয়েকদিন গড়ায়। রানাকে ঘুম পাড়িয়ে রান্নাঘরের পাট চুকিয়ে ও বেশ দেরী করেই শুতে গেলো; মাহবুব ঘুমিয়ে গেলেই ভালো। মাহবুব জেগে ছিলো “সরি!!! মেজাজ হঠাত খারাপ হয়ে গিয়েছিলো...”

- “না...ঠিক আছে...সরি বলতে হবে না...”
- “তুমি কেন যে এমন সব প্রশ্ন করো?”
- “আমি ঠিক বুঝতে পারিনি...আমি দুঃখিত...”
- “আসলে কথা না তোমার কথার টোনটা ভালো না...এভাবে কথা বললে রাগ উঠে যায়...কথার ভঙ্গী ঠিক করার চেষ্টা করবে...”
- “সরি...আমি কিছু না ভেবেই বলে ফেলেছি...এরপরে থেকে খেয়াল করে বলবো...”

মাহবুব ওকে জড়িয়ে ধরলো “লক্ষী মেয়ে...আমরা যে কেন এত্তো রাগারাগি করি?” মাহবুবের বুকের মাঝে ভয়ে কাঠ হয়ে যেতে যেতে সেঁজুতি কোনভাবে বললো “হুউউউ...”

আজ সারাদিন ওর মাথার মধ্যে কাটা রেকর্ড বেজেছে “খানকী মাগি!!” “খানকী মাগি!!” অফিসে যখনই কেউ ওর নাম ধরে ডেকেছে ওর মনে হয়েছে ওরা বলছে “খানকী মাগি!!” যখনই কেউ হেসেছে মনে হয়েছে ওরা সেঁজুতির দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলছে “খানকী মাগি!!”
বিয়ের পরে অনেক ঝামেলা করে সেঁজুতি এম বি এ করেছে; চাকরীতেও খুব ভালো করছে। আর দু’একটা প্রমোশন হলেই ও একটা আলাদা বাসা নিতে পারবে। রানার স্কুলের খরচ চালানো একটু কঠিন হবে। কিন্তু তালাকের পরে মাহবুব নিশ্চয়ই রানার কিছুটা খরচ দেবে।

অনেক রাতে একা একা জেগে নিজের একটা জীবন ভাবতে সেঁজুতির বড্ড ভালো লাগে; সে সময়ে ও একা একা নিঃশব্দে হাসে। সেই হাসি ফরমায়েশী হাসি না; আনন্দের হাসি; মুক্ত মানুষের হাসি। অন্ধকার আলো করা সেই হাসি পৃথিবী এখনও দেখেনি।

©️ শিখা রহমান

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪

নুর আমিন লেবু বলেছেন: বাস্তবধর্মী গল্প।।।
ভাল লাগল আপু।।।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। গল্পের চেয়েও বাস্তবে অনেক বেশী কষ্টকর জীবন কারো কারো।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।
খুব ভাল লাগল।
++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অনেক রাতে একা একা জেগে নিজের একটা জীবন ভাবতে সেঁজুতির বড্ড ভালো লাগে; সে সময়ে ও একা একা নিঃশব্দে হাসে। সেই হাসি ফরমায়েশী হাসি না;আনন্দের হাসি; মুক্ত মানুষের হাসি। অন্ধকার আলো করা সেই হাসি পৃথিবী এখনও
দেখেনি।
বাস্তবধর্মী লেখা।কিছু কিছু বাস্তবটা আরো নির্মম।ভাবতেই অসহায় লাগে,মানুষ কীভাবে পারে?লেখাটা খুব টাচি

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৮

শিখা রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বাস্তব কিন্তু আমার এই গল্পের চেয়েও কঠিন আর কষ্টদায়ক। ধন্যবাদ আপনার সংবেদনশীলতার জন্য।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "হাসিটা যেন ঠিক হীরের হার, হাসলেই চারপাশ ঝলমলিয়ে ওঠে" - হাসির কি সুন্দর একটা বর্ণনা দিয়েছেন!
অল্প কথায় সুন্দর গল্প, পড়ে মনে হলো তা দু'চোখে দেখা জীবন থেকেই নেয়া। দু' শব্দের ঐ গালিটা যে কত গভীরভাবে সেঁজুতি'র মনে একটা স্থায়ী ক্ষত রেখে গিয়েছিলো, তা অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আর পাঠক হিসেবে আমি গল্পে ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনি বরাবরের মতোই খুব মন দিয়ে গল্পটা পড়েছেন আর আমার পছন্দের একটা উপমাসহ বাক্য উদ্ধৃত করেছেন। গল্পটা আমার নিজের প্রিয়। ঠিকই ধরেছেন যে চেনা কারো জীবন থেকে নেয়া। লেখার সময়ে তাই বেশ কষ্ট হয়েছিলো। যে মানুষটার গল্প সে খুব প্রিয় বলেই গল্পটাও প্রিয়।

পুরোনো গল্প খুঁজে পড়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আমি আপনার জন্য "মার্বেল চোখের সেই ছেলেটি" আবার পোষ্ট করে দেব। আপনার ওই গল্পটা ভালো লেগেছে জানলে কখনোই মুছে ফেলতাম না। আর তখন ড্রাফটে রাখার ব্যাপারটাও মাথায় আসেনি। নতুন ব্লগে লিখছিলাম, অনেক কিছুই জানা ছিলো না।

মাঝে মাঝে আমার ব্লগে আপনার পদচারণা লিখতে অনুপ্রাণিত করে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মার্বেল চোখের সেই ছেলেটি" আবার পোষ্ট করে দেব - গল্পটি সত্যিই খুব ভাল লেগেছিলো। অবশ্য আপনার লেখা সব গল্পই খুব ভাল লাগে।
লেখাটি কি সংগ্রহে আছে? না থাকলে কষ্ট করার প্রয়োজন নেই।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান অবশ্যই লেখাটা আছে। গল্পটায় আমার ছোটবেলার ঘটনা আছে। এই গল্পগুলো আমি রেখে দেই, মাঝে মাঝে নিজে পড়ার জন্য হলেও।

ভালো থাকবেন। পোষ্ট করে দেব শীঘ্রই। শুভকামনা ও অনুপ্রেরণার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জোক্সতক হালকা মুডেই ছিলেম।
ভেবেছিলেম কমেন্ট করবো,
যা বলি তাই কিন্তু করি, এ ব্লগ ছেড়ে আর বেরুচ্ছিনে,,,

পড়া শেষ করে কি লিখবো বুঝতে পারছিনে। তবে জানি গভীর রাতের একান্ত আপন ক্ষনে আপন ভূবন ভেবে সেঁজুতির মতনই হাসে কেউ কেউ। অতূলণীয় সে সুখ ক্ষন। কবিরাই কেবল জানে সে কথা............

**গল্পটা দুবার পেস্ট হয়েছে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই পুরোনো গল্প খুঁজে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যটার জন্যেও একরাশ ভালোলাগা।

"তবে জানি গভীর রাতের একান্ত আপন ক্ষনে আপন ভূবন ভেবে সেঁজুতির মতনই হাসে কেউ কেউ। অতূলণীয় সে সুখ ক্ষন। কবিরাই কেবল জানে সে কথা............" --- কবিরা জানুক কি না জানুক, সবাইয়েরই নিজের ভুবন থাকে আর সুখ খুঁজে নেবার ক্ষণ!!

গল্পটা দু'বার পোস্ট হয়েছে খেয়াল করিনি। ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা নিরন্তর!! ভালো থাকুন আপন ভুবনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.