নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি আমার বহুলপাঠে মুখস্থ এক কাব্যগ্রন্থ

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১১



নিতম্ব ছুঁই ছুঁই চুলের মেঘ ডানপাশে সরিয়ে নীচু হতেই মসৃন সুন্দর পিঠ। শেষ বিকেলের আলো পড়ে বহ্নির গমরঙ্গা পিঠে সোনালী আভা। পিঠের মধ্যরেখায় গাঢ় সবুজ ব্লাউজের ফিতার দু’প্রান্তে দুটো ছোট্ট সোনালী ঝুনঝুনি; তারও বেশ নীচে বোতলসবুজ রঙ্গা ব্লাউজের সীমারেখা। যতোখানি সময় লাগতে পারে পড়ে যাওয়া কলমটা তুলতে বহ্নি তার চেয়েও একটু বেশী সময় নিলো। একটু অস্বস্তি লাগছে। নিউমার্কেটে আশেপাশে অনেক লোক; তার পরেও ও নিশ্চিত হতে চায় যে রনোর চোখ ওর পিঠে আটকেছে। কলমটা হ্যান্ডব্যাগে রেখে ও পাশে দাঁড়ানো রনোর দিকে তাকালো; রনো মুগ্ধ হয়ে ওর অদ্ভুত সুন্দর পিঠের দিকে তাকিয়ে আছে। বহ্নি জানে এখন রনোর ওর মসৃন পিঠে আঙ্গুল ছোঁয়াতে ইচ্ছে করছে; ঝুনঝুনিতে টুং টাং তুলে মধ্যরেখা বরাবর ওর ঠোঁট নির্লজ্জের মতো নীচে নামতে চাইছে।

- কি রে...চল একটু হাঁটাহাটি করি। তারপরে ফুচকা খাবো।

রনোর মুগ্ধ চোখ হতচকিত হয়ে লোভ লুকিয়ে ফেললো “এমন পিঠখোলা ব্লাউজ পরেছিস কেন? চুল ঠিক কর...আশেপাশে সবাই তাকিয়ে আছে...আশ্চর্য!!!” রণোর দু’ভুরুর মাঝে ভাঁজ। বহ্নি মুখ টিপে হাসলো। তীর অব্যর্থ, ঠিক ঠিক নিশানাতে লেগেছে। পিঠে ঘন কালো চুল বিছিয়ে দিতে দিতে ও বললো “কি করবো বল? তোর সবুজ পছন্দ। খুঁজে পেতে এই শাড়িটাই পেলাম। ব্লাউজটা শাড়ির সাথে বানানোই ছিল। এই শাড়িটা একজন গিফট করেছে। ইন্ডিয়ান দোকানের শাড়িগুলোর সাথে ব্লাউজ না অলরেডি বানানো থাকে। সুন্দর না?” রণো কিছু না বলে বিরক্ত মুখে হাঁটা শুরু করলো। বহ্নি অন্য একটা ব্লাউজ পড়তে পারত; কিন্তু ওর যে রনোকে বিরক্ত করতে বড্ড ভালো লাগে।

নিউমার্কেট বহ্নির খুব প্রিয় জায়গা। দেশে বেড়াতে আসলে এখানে সপ্তাহে অন্তত একবার এসে অকারনেই হাঁটাহাঁটি করে। চওড়া হাঁটার পথ; দু’পাশে পিলার দেয়া বারান্দার পেছনে দোকানের সারি। উঁচু বারান্দার পাশে হকারদের রংবেরঙের পসরা। আর আনমনে হাঁটতে হাঁটতে বহ্নি খুলে দেখে স্মৃতির ঝাঁপি।

- এই শোন...এখানে হাঁটার সময়ে মনে হয় না যে আরব্য রজনীর কোন গল্পের বাজারে হাঁটছি?
- হুম...তো তুই আরব্য রজনীর কোন চরিত্র শুনি?
- আমারতো নিজেকে জেসমিন মনে হয়?রাজকন্যা না?
- আর আমি?
- তুই
- .ওই চিটার আলাদিন...হি হি হি!!!
রনোর পাতলা ঠোঁটে চাপা হাসি “কিন্তু রাজকন্যাতো আমার হলো না...”
- হবে কি ভাবে? ঐ প্রদীপের দৈত্যর কাছেতো তুমি তাকে চাওনি...তাই সে এখন অন্য কারো।
- হুম...রাজকন্যাটা চুরি করলো অন্য মানুষ আর আমি প্রতারক?

বহ্নি রনোর বলার ভঙ্গীতে খিলখিল করে হেসে উঠলো।
- বাদ দে তো...সব দোকানপাটতো দেখি এয়ার কন্ডিশন্ড করে ফেলেছে। রাস্তার ধারের খোলা চটপটি ফুচকার দোকান ছাড়া নিউমার্কেট মানায় বুঝি?
- আর বলিস না!!! ফুচকা আজ এসির বাতাসেই খেতে হবে। চল বামের ওই দোকানটাতে বসি।
অর্ডার দিয়ে মুখোমুখি বসে বহ্নির খুব ইচ্ছে করলো টেবিলের ওপাশে রনোর হাতের ওপরে হাত রাখতে। মাত্র ছয়ইঞ্চি দূরে; সামান্য দূরত্ব মাঝে মাঝে অতিক্রম করা কি যে কঠিন হয়ে যায়!!
- রাস্তার পাশের ফ্লাস্কের চা খেতে ইচ্ছা করছে...খুব মিষ্টি দুধয়ালা ঘন চা...
- আজ তো তোর সময় নেই...আরেক দিন...

রনো এতোক্ষণ পরে বহ্নির চোখে চোখ রাখলো “তোর কি আমার খুব ভালো লাগতো জানিস? তুই রাস্তার খাওয়া নিয়ে কখনো ঝামেলা করতি না। সাধারণত মেয়েগুলা যে কি ঝামেলা করে...এটা ময়লা...এখানে খাবো না...ওটা লাগবে..সেটা লাগবে….উফফফ!!!” বহ্নি হাসতেই ও বললো “মনে আছে একবার সাভারে রাস্তার পাশে একটা খুব বাজে চাটাই ঘেরা দোকানে ভাত খেয়েছিলাম...লাল লাল খুব ঝাল মাছের ঝোল। খুব নোংরা ছিলো...কিন্তু তুই কিচ্ছু না বলে লক্ষী মেয়ের মতো খেয়ে নিলি...”

বহ্নি মনে মনে বললো “তোর সাথেতো আমি দোজখে যেতেও রাজী ছিলাম...ওই নোংরা দোকান আর এমন কি?” রনোর চোখ বলতে বলতে বদলে যেতেই বহ্নি এই প্রথম একটু লাল হলো। ফাজিলটা বুঝে ফেলেছে...মিটমিট করে হাসছে। বহ্নি প্রসঙ্গ বদলালো “শোন হিমুর কি খবর বলতো?”

- ওতো এখন আর্মিতে আছে, বউ ডাক্তার। খুবই হাইফাই অবস্থা!!
- আর রোকন? ওর কি শিমির সাথেই বিয়ে হলো?
- নারে সেটাতো তুই বিয়ে করে বাইরে যাবার পরপরই ছুটে গেলো। তবে দু’জনেই বিয়ে করে ভালো আছে। তোর ক্লোজ ফ্রেন্ডরা এখন কই? দিলারা? শান্তা?
- ওরা সবাই আমার মতোই আমেরিকাতে। মনে আছে শান্তা তোর ওপরে একটু ক্রাশ খেয়েছিলো?
- হুউউউ...মনে থাকবে না আবার? জীবনে সেই একমাত্র মেয়ে যে আমার দাঁতের প্রশংসা করেছে...প্রথম ও শেষ!!!
- হি হি হি!!! তোমার দাঁতগুলো না খুব সুন্দর...বামপাশের গেঁজা দাঁত...হাসলে যে কি সুন্দর দেখায়!!!
- আমিন বল!!!

ছোট্ট দোকানে আশেপাশের লোকজন ঘুরে ঘুরে ওদের উচ্ছসিত হাসি দেখছে। “চুপ!! আর হি হি না খাবার খা...” চুপচাপ খেতে খেতে বহ্নি দু’ফিতার স্যান্ডেল থেকে ডান পায়ের পাতা বের করে রনোর চপ্পল পরা বাম পায়ের পাতার ওপরে রাখলো। পায়ের নুপুর একটু টুং টাং করে থেমে গেলো। ইশশ্ এভাবে যদি এই সময়, এই স্পর্শটাকে আটকে রাখা যেতো!!

রনো আস্তে করে বললো “পা সরা বহ্নি...মানুষ দেখলে কি ভাববে?” ছেলেটা এতো লাজুক আর চাপা; তিন বছর উথাল পাথাল ভালোবাসার সময়েও বহ্নিকেই হাত ধরতে হয়েছে; রিক্সায় ঘোরার সময়ে কক্ষনো পিঠের পেছনে হাত দেয়নি। বহ্নি পাশাপাশি হাত রেখে কনেআঙ্গুল আলতো করে ছুঁইয়ে রাখতো। ওই দুই আঙ্গুলের মাঝে যে বিদ্যুৎ ঝলসে উঠতো তা দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া যায় এই বিশাল নগরী।

- চল উঠি। এখন কি বইয়ের দোকানে যাবি?
- যাবো...চল! কিন্তু তার আগে আমার একটা জিনিষ কিনতে হবে।
- কি কিনবি আবার? আরেকদিন কিনিস।
- না না আজই লাগবে...আর বেশীক্ষন লাগবে না। একটা রেডিমেড ব্লাউজ কিনতে হবে। ব্লাউজের দোকানগুলো জানি কোন দিকে? জানিস?
- চল নিয়ে যাচ্ছি। ঈশিতার সাথে আগে এসেছি।
- হুউউউউ...খুব বাধ্যগত স্বামী হয়েছিস দেখি! বউয়ের সাথে কেনাকাটাও করিস।
- আমার না এসব দোকানে যেতে ভালো লাগে না। তাড়াতাড়ি করবি কিন্তু!!!

শেষ বিকেলের আলো পড়ে আসছে; বহ্নি আসলেই সন্ধ্যা নামার পরে বেশীক্ষণ থাকতে পারবে না। জুলাইয়ের একটু মেঘলা দিন; দুপুরের দিকে বেশ বৃষ্টি হয়েছে; ভেজা ভেজা বিকেল। মেঘের ফাঁকফোকর গলিয়ে আসা সূর্যের আলোয় বিকেলটা কি কোমল!! এই মোমবাতি আলো বিকেলে রনোর পাশে হাঁটতে ভালো লাগছে। বহ্নির মোটেও ব্লাউজ কেনাটা জরুরী নয়। রনো বিরক্ত মুখে ব্লাউজের দোকানে ঢুকলো।

- এই যে ভাই একটা সোনালী ব্লাউজ দেখানতো?
- কেমন গলা আপা? হাতা?
- গোল গলা দেখান...আর ম্যাগি হাতা আছে?
- এই যে আপা...কি সাইজ লাগবে?
- আপনার কি মনে হয়? ছত্রিশ হবে না?

দোকানদার খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে চিন্তাশীল মুখে বললো “হুউউ...হওয়ার কথা। না হলে নিয়ে এসেন। বদলায়ে দেবো।“ রণো বাইরে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালো। বহ্নি ব্লাউজ কিনে বাইরে এসে বললো “কি রে হঠাত বাইরে চলে এলি যে?” “তুই এত্তো ফালতু কথা বলিস কেন বলতো? দেখলি ওই বদ ক্যামনে তোকে মাপলো?” ধনুকের মতো বাকানো সুন্দর দুই ভুরুর মাঝে আবারো বিরক্তির ভাঁজ। রাগী মুখের হন হন করে হাঁটা রনোর পেছনে তাল সামলে চলা বহ্নির বুকে সুখের মতো ব্যথা চিনচিন করছে। ওর দিকে অন্য কেউ ওভাবে তাকালে রনোর এখনও রাগ লাগে?

উহহ্...কি যে গুমোট গরম!! বইয়ের দোকানে মনে হচ্ছে বাতাস আটকে আছে; বহ্নি পিঠের চুল সরালো; ঘামে পিঠ ভিজে গেছে।

- ভাই কি নতুন বই এসেছে দেখান না!
- আপা কার বই খুজতেছেন?
- উপন্যাস খুঁজি ভাই। কোন কোন উপন্যাস বেরিয়েছে এই বছর?
- আর বলেন না আপা! হুমায়ুন আহমেদ তো মরলো...সাথে আমাদেরও মেরে দিয়ে গেলো। পরপরই আবার সুনীল গেলো। শীর্ষেন্দু বা সমরেশেরতো বয়স হয়েছে; ওনারা আগের মতো এতো ঘন ঘন লেখেন না।
- এ বছরের নতুন বই দেখান। পুরোনো বই মোটামুটি সব পড়া।
- আপনাদের মতো যারা রেগুলার বই পড়ে তাদের নিয়ে প্রব্লেম, সব পড়ে ফেলেছেন।
- কি যে বলেন? নতুন কেউ লিখছে না?
- তেমন কেউ না। একজন নতুন লেখিকা অবশ্য আছে, সঙ্গীতা বন্দোপাধ্যায়। ওনার “শঙ্খিনী” উপন্যাসটা বেশ ভালো।
- বড় উপন্যাস? আমার আবার মোটাসোটা বড় উপন্যাস ভালো লাগে।
- হ্যাঁ আপা। সবাই খোঁজে পাতলা বই আর আপনি দেখি উল্টা। আপনি বই লেখা শুরু করে দেন আপা।

রণোর কপালের ভাঁজ দেখে বহ্নি বকবক থামিয়ে দিলো।

- তুই কি কিনবি?
- আমি শীর্ষেন্দুর সেরা একশ গল্প নিলাম।
- আমি কিনে দিচ্ছি কিন্তু...
- হুম...আর তোরটা আমি।
- লিখে দে। আমি লিখবো না?
- নাহ্...আমারটায় লিখিস না। বউ ঝামেলা করতে পারে। ১৪ নম্বর পাতার কোনায় ইনিশিয়াল দিয়ে দে।

শীর্ষেন্দুর বইয়ের পাতায় নামের অদ্যাক্ষর দিতে গিয়ে একটু লজ্জা পেলো বহ্নি। ওর এখনও মনে আছে যে ১৪ তারিখে প্রথম আদর করেছিলো।

পোষ্টঅফিসের কাছে গাড়ীতে উঠলো বহ্নি। রনো একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে; ড্রাইভারের সামনে দু’জন দু’জনকে না চেনার ভান। চোখে চোখ রাখলো গাড়ী চলা শুরু করার পরে। রনোকে কি প্রচন্ড বিষন্ন দেখাচ্ছে!!! অনেকগুলো বছরতো হয়ে গেলো; অথচ ওকে দেখে মনে হচ্ছে এই মাত্র ও বহ্নিকে হারালো।

গাড়ীতে কিছুদূর আসার পরে বহ্নি বই খুললো। গোটা গোটা চেনা অক্ষরে লেখা “তুমি আমার বহুলপাঠে মুখস্থ এক কাব্যগ্রন্থ!!! বুঝতে পারি এখনও আমার পাগলী…” বহ্নি মাথা নীচু করে মুখ ঘোরালো। ড্রাইভার কি রিয়ার ভিউ মিররে ওর চোখের টলটলে জল দেখতে পাচ্ছে? আঙ্গুলের ডগা দিয়ে অক্ষরগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে বহ্নি ভাবলো “গ্রন্থস্বত্ব অন্য কারো হলেও আমার সব পঙক্তি যে তোমার লেখা...আর আমার মানুষটা আমিও যে তোমায় মুখস্থ পাই আদ্যোপান্ত!!!”

© শিখা রহমান

বিঃ দ্রঃ গল্পের নাম আমার খুব প্রিয় আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতা “আদ্যোপান্ত” থেকে নেয়া।

“তুমি আমার বহুলপাঠে মুখস্থ এক কাব্যগ্রন্থ-
তোমার প্রতি পঙক্তি আমি পাঠ করেছি মগ্ন হয়ে।
বই কখনো ধার দিতে নেই, জেনেও আমি দিয়েছিলাম-
খুইয়েছি তাই।
ছিঁচকে পাঠক হলেও তোমার গ্রন্থস্বত্বএখন তারই।
বইচোরা কি কাব্যরসিক ? ছন্দ জানে ?
বই অনেকের বাতিক, ঘরে সাজিয়ে রাখে-
নাকি তেমন হদ্দ নবিশ ?
চোরের ঘরে ধুলোয় মলিন বুকশেলফে কেমন আছো ?
চোর কি জানে, চোর কি জানত,
আমি তোমায় মুখস্থ পাই আদ্যোপান্ত ?”

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: শিরোণামটি দেখে চমকে উঠলাম। এক সুন্দর। পরে জানলাম ওটা একজনের কবিতার লাইন। এটি অন্য জনের হওয়ার কোন সমস্যা হয়নি। বরং আরো ভাল হয়েছে।

আর অাপনার লেখা!! অনেক সুন্দর।
আপনাকে ফলোঅাপে রাখলাম।
অনেক ভাল লেখেন আপনি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১০

শিখা রহমান বলেছেন: এই কবিতাটার প্রত্যকটি লাইনই সুন্দর। আমি খুব কবিতা ভালোবাসি। আমার বেশীর ভাগ গল্পই কোন কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত। খুবই নতুন লেখক আমি। আপনার মন্তব্য পড়ে আমি অভিভুত। ধন্যবাদ অনেক পড়ার জন্য আর উৎসাহ দেবার জন্য।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

ডিজিটাল মুবিন বলেছেন: it's Nice

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১২

শিখা রহমান বলেছেন: Thanks a lot for the comment and for reading.

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১২

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: সুন্দর খুব সুন্দর, অন্দর বাহির যার মনমুগ্ধকর । ভাল হয়েছে বলেই ভাল লেগেছে । স্বীকারোক্তিতে দোষ নাই
তাই ধন্যবাদ জানাই শতবার।।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

শিখা রহমান বলেছেন: আপনার উচ্ছসিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে পড়ার জন্য লেখকের ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: দারুণ সুন্দর লেখা।বিষণ্ণতায় ভালো লাগা।অনুসরণে রাখলাম আপুনি

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৫

শিখা রহমান বলেছেন: রুদ্র জাহেদ অনেক ধন্যবাদ। আপনার নামটা আমার খুব পছন্দের। আমার কয়েকটা গল্পের নায়কের নাম রুদ্র।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর লিখেন আপুনি।যেগুলো পড়ছি খুব ভালো লাগছে।অনুসরণে রাখছি,পরবর্তীতেও পড়ার জন্য।আমার নাম কিন্তু শুধু রুদ্র নাতো, রুদ্র জাহেদ :)

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: রুদ্র জাহেদ আপনাকে অনেকদিন ব্লগে দেখি না। অবশ্য আমি নিজেই খুব একটা নিয়মিত ছিলাম না।

আশাকরি ভালো আছেন। শুভকামনা।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শিরোনাম ,গদ্য সব কিছু মিলিয়ে অপূর্ব রচনা!!!!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা লেখাটা আমার নিজের খুব প্রিয় আর কবিতাটাও। লেখাটার সাথে ছবি ছিলো না। আজ অনলাইনে এই ছবিটা দেখে লেখাটার কথা মনে পড়লো। ছবি দিতে এসে রুদ্রের মন্তব্যের উত্তর দিলাম। আজকাল অনেক ব্লগারকেই আর দেখি না। :(

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা প্রিয় নীরা।

৭| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প, শিরোনামটাও, গোটা কবিতাটাও।
সামান্য দূরত্ব মাঝে মাঝে অতিক্রম করা কি যে কঠিন হয়ে যায়! - শুধু দূরত্ব কেন, কিছু কিছু ফাঁক ফোঁকরও আর কখনো জোড়া দেয়া যায়না।
জীবনে সেই একমাত্র মেয়ে যে আমার দাঁতের প্রশংসা করেছে - :D
ভাল লিখেছেন, তাই ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +

২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনি ব্লগে এলেই, আপনার মন্তব্য পেলেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনি যে আমার পুরোনো লেখা, আমার নিজের খুব প্রিয় একটা গল্প খুঁজে পড়েছেন আর আপনার ভালো লেগেছে সেটা জেনেই দিনটা আলো হয়ে গেলো।

কবিতাটা আমার খুব প্রিয়। চেষ্টা করি প্রিয় কবিতা আর কবিদের লেখায়, গল্পে কোথাও জড়িয়ে দিতে।

প্রতিউত্তর দেরীতে দেবার জন্য দুঃখিত। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৮| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গ্রন্থসত্ত্ব অন্য কােরা হলেও আমার সব পংক্তি যে তোমার লেখা - - ;)

হা হা হা

এ এক বড় জ্বালা! নজরুলের লেখনিতে প্রথম চিনেছিলাম এ যাতনাকে! তারপর !
জীবন গ্রন্থ পাঠৈর পাতায় পাতায় দেখি একি জ্বালাতন!
প্রকাশ্য বা অপ্রাকশ্য - -
প্রকৃতির নিত্যতা ভেবে এখন শুধু নিরব পাঠেই স্বস্তি খূঁজি :)

+++++

২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী শুধু নজরুল কেন, আমারতো মনে হয় সব বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকরাই হারানো প্রেম আর ভালোবাসার কষ্ট নিয়ে যতো লিখেছেন, তেমনটা পাওয়ার আনন্দ বা ভালোবাসার সুখ নিয়ে লেখেননি। হয়তো যা পাওয়া যায় না সেটা কল্পনায় আরো সুন্দর হয়ে ধরা দেয়।

পুরোনো লেখা, আমার নিজের খুব প্রিয় একটা গল্প খুঁজে পড়েছেন আর আপনার ভালো লেগেছে সেটা জেনে মন আলো হয়ে গেলো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

প্রতিউত্তর দেরীতে দেবার জন্য দুঃখিত। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: একটানে যেনো মসৃন গতিতে পড়েছি, কোথাও না থামতে হয়েছে না ভাবতে। শুরু থেকে শেষাব্দি যেনো অতিচেনা প্রিয় সব জায়গায় হেঁটে বেড়ানো অতিচেনা মুখের সাথের অতিচেনা গল্প। রনো কোথায়, এ যে ছাই আমিই!
বহ্নিতো টলোমল চোখ সামলেছে ঠিকি, রনোর হাহাকার বুঝবে কি কখনো?

বহ্নি না বুঝুক, সূক্ষ অন্তর্দৃষ্টির লেখিকা ঠিকি বুঝেছেন।জাদুর লেখনীতে বুঝিয়েছেন পাঠককূলকেও।
মুগ্ধ বিস্ময়ে আমিও বলছি সে বইওয়ালার মতন, 'আপনি বই লিখা শুরু করে দেন আপা'

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: আগের হলেও খুব খুব প্রিয় একটা গল্প। গল্পটা লেখার সময়ে আমিও যে অতিচেনা প্রিয় সব জায়গায় হেঁটে বেড়িয়েছি প্রিয় মুখদের সাথে।

আমরা কেউ কেউ রণো, আর কেউ কেউ বহ্নি!! রনোর হাহাকার না বুঝলে এই গল্প বহ্নি কি লিখতে পারতো?

বইওয়ালার কথায় না রে ছেলে। এই যে তোমার মতো কেউ আমার গল্পে রণোকে খুঁজে পায় বলেই বই লিখবো ভাবি মাঝে মাঝে।

ভালো থেকো ছেলে। বহ্নি কিন্ত তোমার কথা ভাবে এখনো, আনমনে, এই মস্ত পৃথিবীর কোথাও সে আছে। তার কথা ভেবে ভালো থেকো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.