নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাতাসে নষ্ট গন্ধ

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:১৮


১.
সেই টক টক ঘামের গন্ধ!!! অরনী বারন্দায় আয়েশ করে খবরের কাগজ পড়তে বসেছিলো; দ্বিতীয় পাতায় চোখ রাখতেই সেই নষ্ট গন্ধটা সব কিছু ছাপিয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে ফেললো। সকালের ঠান্ডা বাতাসের তাজা গন্ধ; আনকোরা খবরের কাগজের নিউজপ্রিন্টের গন্ধ; সব ছাপিয়ে সেই টক টক ঘামের গন্ধ।

অরনীর বমি বমি লাগছে। মা বারান্দায় এসে দেখলেন ও কাগজ হাতে মূর্তির মতো বসে আছে। “অরনী...কাগজটা দেতো...তোর বাবা উঠেছে...” মনে হচ্ছে না অরনী শুনেছে; কোন নড়াচড়া নেই। “অরনী...” কাঁধে হাত রাখতেই অরনী এমন চমকে উঠলো যে রাহেলা চমকে গেলেন। মেয়েটার ইদানিং যে কি হয়েছে!!! খবরের কাগজ নিয়ে ঘরে বিছানায় আধশোয়া নাসের সাহেবকে দিলেন।

- অরুর কি হয়েছে বুঝছি না!!! সারাক্ষণ গুম হয়ে থাকে।
- এখনকার মেয়েদের বোঝা ভার!!! কিছুদিন নিজের মতো থাকতে দাও। ঠিক হয়ে যাবে।

নাসের সাহেব কথা সংক্ষেপ করে খবরের শিরোনামে মন দিলেন। দ্বিতীয় পাতায় আসতেই বিড় বিড় করে বললেন “সারাদিন বাসায় বসে থাকলে গুম তো হবেই। এত্তো ভালো চাকরীটা ছেড়ে দিলো!!! এই যে আজ ওর বসকে নিয়ে কাগজে লিখেছে; এমন লোকের সাথে কাজ করার সুযোগ কয়জনের হয়!!!”

২.
বার বার ফোন আসছে; আর অরনী কেটে দিচ্ছে। একটু পরে মেসেজ “প্লিজ ফোনটা ধরো...প্লিজ প্লিজ”। ইচ্ছা না করলেও ও রাহাতের পরের কলটা ধরলো; এই ছেলে সহজে হাল ছাড়বে না; ফোন করতেই থাকবে।

- অরু!!! কেমন আছো?
- ভালো। তুমি?
- আমি আর ভালো কই? তোমাকে সেই কবে থেকে দেখি না!!
- খুব বেশী দিন তো না। আর আমাকে দেখার সাথে ভালো থাকার কি?
- কি যে বলো না!!! সাতাশ দিন হয়ে গেলো দেখা হচ্ছে না!!! আজ বিকেলে কি করছো? চলো কোথাও খেতে যাই।
- আজ থাক!!! শরীরটা ভালো লাগছে না।
- তোমার ইদানীং প্রায়ই শরীর ভালো থাকে না! ডাক্তার দেখিয়েছো? আমি বরং তাহলে বিকেলে বাসায় আসি! তোমাকে দেখে যাই।
- না না!!! বাসায় আসতে হবে না। বলো কোথায় দেখা করবে?

রাহাতের সাথে বিকেলটা খারাপ কাটছে না। যদিও অরনীর একদমই আসতে ইচ্ছে করছিলো না কিন্তু অনেক দিন পরে বাসা থেকে বেরিয়ে ভালো লাগছে। ধানমন্ডি সাতাশ নম্বরে রেষ্টুরেন্টে খেতে খেতে গল্প করার সময় ওর মনে হচ্ছিলো সব আগের মতোই আছে, কিচ্ছু বদলায়নি। সন্ধ্যা নামি নামি করছে; মরা বিকেলের বাদামী কমলা আলোতে অন্য অনেক দিনের মতোই ওরা দুজনে রিক্সায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঘুরতে বেরুলো।

রিক্সায় এলোমেলো কথা বলতে বলতে রাহাত অরনীর পিঠের পেছনে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। অরনী অস্ফুট চীৎকার করে উঠলো; রাহাত কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা দিয়ে হাত সরিয়ে রিক্সা থামাতে বললো। অরনী নেমে হনহন করে ফুটপাতে হাঁটছে। বিস্ময়াভূত রাহাত রিক্সা ছেড়ে ওকে ধরার জন্য পিছু ছুটলো।

“অরু!!! কি হয়েছে? একটু থামো না...বুঝতে পারছি না কি হলো!!!” রাহাত ওর হাত ধরে থামাতেই “তোমরা সব পুরুষরা একই রকম। গায়ে হাত দেয়ার সুযোগ খোঁজো...হাত ছাড়ো...খবরদার গায়ে হাত দেবে না!!!” অরনী এত্তো চীৎকার করছে যে পরোপকারী পথচারীরা জড়ো হয়ে গেলো।

“আফা!!! এই লোক কি আপনারে বিরক্ত করতেছে?” কিছু লোকের চোখে মুখে রসালো গল্পের আশায় আনন্দিত আভা। “গায়ে হাত দিছে নাকি? কি করছে ডিটেইলসে বলেন...” লোকজনের চেঁচামেচিতে অরনীর সম্বিৎ ফিরলো “ও আমার বয়ফ্রেন্ড...সব ঠিক আছে...আপনারা যান!!!” লোকজন পরোপকার করতে না পেরে যারপনাই বিরক্ত “রাস্তায় এই সব লদকালদকি ক্যান?? হোটেল ভাড়া নিয়া মিটমাট কইরা লন...যত্তোসব টাইম নষ্ট!!!”

- অরু!!! তোমার কি হয়েছে বলতো?
- কিছু হয়নি...শরীর ভালো লাগছে না। একটা সিএনজি ঠিক করে দাও না প্লিজ!!! বাসায় যাবো।

অরনীর ক্লান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রাহাত আর কথা বাড়ায় না। সেই ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় থেকে ওদের সম্পর্ক; চার বছর হয়ে গেলো। রাহাত দু’বছরের সিনিয়র; অরনী মাত্র মাস ছয়েক হলো পাশ করেছে। এই পুরো সময়ে রাহাত ওকে কখনো এমন এলোমেলো দেখেনি; মেয়েটা কেমন যেন ভেঙ্গেচুরে গেছে। চাকরীটাও ছেড়ে দিলো মাস খানেক হলো। কি হয়েছে অরনীর!!!

৩.
“স্যার!!! আসবো?” দরজায় নক করতেই উনি হাসিমুখে তাকালেন। ভারী চশমার পিছনে হাসি হাসি চোখ; অরনীর কাছেতো মনে হয় স্বপ্নীল চোখ। ওনার মতো মানুষেরা স্বপ্ন দেখতে পারে বলেই আজ পৃথিবীটা এমন সুন্দর। ও ভাবেইনি যে প্রথম চাকরী এই মানুষটার সাথে হবে; সেই ছাত্রীজীবন থেকে উনি অরনীর রোল মডেল। ইউনিভার্সিটির একই ডিপার্টমেন্টের অ্যালাম্নাই; কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের সাথে মানুষকে জুড়ে নিয়েছেন। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য কমদামী প্রযুক্তি নিয়ে ওনার কোম্পানীর কাজ ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক আর সামাজিক অঙ্গনে ওনাকে আলোচিত আর বিখ্যাত করে তুলেছে।

- স্যার!!!বলেছিলেন আজ অফিসের পরে নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলবেন। ফ্রি না হলে পরে আসি!!!
- আরে না...এখন ফ্রি!! ছয়টা বেজে গেছে। আজ আর অন্য কাজ না...তোমার সাথে এখন কাজ। চেয়ারে না...আসো সোফায় বসি। সারাদিন চেয়ারে বসে পিঠ ব্যথা হয়ে গেছে।

ওরা সোফায় পাশাপাশি বসতেই সামনের টেবিলে উনি মোটা মোটা কয়েকটা রিপোর্ট এনে রাখলেন।

- তোমাকে ভাবছি আরেকটু বেশী দ্বায়িত্ব দেবো। তুমি ভালো কাজ করছো। তোমার পিপল ইন্টারঅ্যাকশন দারুন!!!
- থ্যাঙ্ক ইউ স্যার!!! I will try my best!!!
- এই প্রজেক্টটার জন্য we need someone very likable and approachable like you. We need to earn the trust of the local people to implement it!!!

বলতে বলতে উনি অরনীর উরুতে হাতের থাবা রাখলেন “Not to mention an attractive girl like you can make any man do anything!!!” অরনীর সামনে এক ক্ষুধার্ত নেকড়ের চোখ; ও কিছু বলার আগেই সেই টক টক ঘামের গন্ধ ভরা লোকটার পুরু কালো ঠোঁট ওর মুখে সিগারেটের গন্ধ মেখে দিলো।

ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই অমানুষটা ওকে ধাক্কা দিয়ে সোফায় শুইয়ে দিলো; এক হাতে ওর মুখ চেপে ধরে প্যান্টের জিপার খুললো। অরনী জানে না কতোক্ষন পার হয়েছে; শুধু জানে ওর সারা শরীরে নেকড়ের কামড়; সিগারেটের গন্ধ, লালা, আর সেই গন্ধটা। শিকার শেষে সোফায় নির্জীব পড়ে থাকা অরনীর কানের কাছে ফিস ফিস করে সে বলেছিলো “আমি জানি তুমি চেয়েছিলে!!!”; ঠিক যেমনটা বিয়েবাড়িতে ভরপেট খাবার পরে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে মানুষ।

“নীচে গাড়ি আছে...ঠিক হয়ে নাও...তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেবে। শরীর খারাপ লাগলে কাল এসো না...No problem!!” অরনী টলতে টলতে বেরিয়ে এসেছিলো। আর কখনোই অফিসে যায় নি; ইমেইলে রেজিগনেশন পাঠিয়ে দিয়েছিলো। এক মাসের ওপরে হয়ে গেলো; অরনীর সাথে সবসময় ওই টক টক গন্ধটা থাকে; কোন কোন দিন ও কয়েকবার গোসল করে; কিন্তু গন্ধটা একটু সময়ের জন্য চলে গেলেও আবার ফিরে আসে।

প্রতিদিন প্রতিরাতে ওই লোকটা ওর ওপরে ওঠে; অরনী ঘুমের মধ্যে গোঙ্গাতে থাকে। মাঝে মাঝে মা এসে দরজায় ধাক্কা দেয় “কি হলো অরু? ওঠ মা...বোবায় ধরেছে নাকি?” অরনী জেগে ওঠে; বালিশের নীচে রাখা পকেটছুরি আঁকড়ে ধরে; এই ছুরিটা স্বপ্নে ওর হাতে থাকে না কেনো কে জানে!!!

“মা ঠিক আছি...উঠে গেছি!!!” ঘামে ভিজে চুপচুপে; সারা গায়ে সেই গন্ধ। অরনী উঠে বাথরুমে যায়; চোখে মুখে পানি দেয়। যেদিন গন্ধটা খুব তীব্র হয় ও আবারো মাঝরাতে গোসল করে। লোকটা আসবে ভেবে ইদানীং ওর ঘুমাতে ভয় হয়; ও ছুরিটা শক্ত করে ধরে সারারাত বিছানায় বসে থাকে।

৪.
অরনীর শরীরটা দিন দিন বড্ড খারাপ হয়ে যাচ্ছে; ঠিক মতো ঘুমায় না, খায় না। একটু ঘুমালেই কানের কাছে সে বলে “আমি জানি তুমি চেয়েছিলে!!!” অনেক ওজন কমে গেছে; চোখে নীচে গর্তে গাঢ় কালি। বাসা থেকে বেরুতে চায় না; মেজাজটাও খুব খিটখিটে হয়ে গেছে। ইদানীং সেই গন্ধটা ও আর সহ্য করতে পারে না; মাঝে মাঝে গন্ধে বমি করে দেয়।

বুঝতে পারছে যে ও ধীরে ধীরে পাগল হয়ে যাচ্ছে; ওই লোকটা ওর জীবনটা পুরো নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়েছে। অরনী এখন জানে এভাবে এড়িয়ে ও বাঁচতে পারবে না; আদালতে লোকটার চোখে চোখ রাখা খুব দরকার। অরনীর বলা দরকার অমানুষটাকে “আমি চাইনি! আমি কক্ষনো চাইনি!!” বড্ড বোকামি হয়েছে; ওর উচিত ছিলো সাথে সাথে আইনের আশ্রয় নেয়া। প্রমাণ কোথায় এখন?

আজ ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট; বাসার লোকেরা ওর স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই চিন্তিত। মা ওকে একা ছাড়তে চাইছিলেন না; একা যেতে না দিলে অরনী যাবে না বলাতে বাবা মা আর মানা করলেন না। সিএনজিতে কিছুদূর যাবার পরে ও মন পাল্টালো। ডাক্তারের কাছে যেয়ে কি হবে? ওর কি হয়েছে ও জানে।

সিএনজি ছুটছে থানার দিকে। অরনী অনেকদিন পরে আবারো বাতাসে ডিজেলের গন্ধ পাচ্ছে। থানার পরে ও যাবে পত্রিকা অফিসে। অরনীর কাছে এখন প্রমাণ আছে। প্রমাণটা ওর চামড়ার নীচে রক্তে মিশে আছে; ধীরে ধীরে ওর মধ্যে রক্ত মাংসে বড় হচ্ছে প্রমাণটা।

(ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

প্রীতম বলেছেন: পড়তে পড়তে কখন যে ঘটনার ভেতরে ঢুকে গেছি জানিনা। শরিরটা কেনো যেনো একটু কেপে উঠলো। খুব ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২

শিখা রহমান বলেছেন: প্রীয়তম আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। আমি আসলেই চেয়েছিলাম এই গল্পে একজন ধর্ষিতার মানসিক ও শারীরিক কষ্ট তলে ধরতে। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং অরনীর কষ্টটা অনুভব করার জন্য।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধীরে ধীরে ওর মধ্যে রকতে মাংসে বড় হচেছ প্রমানটা।।।।। ভাল লাগলো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: নুরুন নাহার লিলিয়ান যদিও এই রক্তে মাংসের প্রমান আমাদের সমাজে স্বীকৃত হবে না হয়তো। তবু আশা করতে দোষ কি যে কোন একদিন সমাজ ধর্ষকদের ততখানিই ঘৃণা করবে যতোটা এখন ধর্ষিতাদের করে। ভালো থাকবেন। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: এখন গল্পে মেনে নেয়া নয় প্রতিবাদ আসতে শুরু করেছে। খুব ভালো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: রাবেয়া রব্বানি প্রতিবাদতো আসতেই হবে তাই না? অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যে অবশ্যম্ভাবী। ধন্যবাদ। আশা করছি শুধু গল্পে নয় বাস্তবেও প্রতিবাদ হবে।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: +

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: আহসান আপনিও পাঠক হিসাবে +++ । পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

সুমন কর বলেছেন: সাবলীল বর্ণনায় গল্প পড়তে ভালো লেগেছে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর কারো পড়ে ভালো লাগবে ভেবেইতো লেখা। ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
সব অরনীই যেন শেষবেলায় এসে হলেও আলো দেখতে পায়।
খুব ভালো লিখেছেন। +

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র খুব সুন্দর বলেছেন "সব অরনীই যেন শেষবেলায় এসে হলেও আলো দেখতে পায়।" আমারও তাই স্বপ্ন। শুভকামনা।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লাগল খুব

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সাহসী গল্প
কী-বোর্ড হোক প্রতিবাদের ভাষা।
লেখায় প্লাস।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

শিখা রহমান বলেছেন: এড্‌ওয়াড মায়া ঠিক বলেছেন "কী-বোর্ড হোক প্রতিবাদের ভাষা।" আপনাকেও এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য প্লাস। ভালো থাকবেন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোহানী বলেছেন: কিন্তু বাস্তবের অরুনীরা ডিজেলের গন্ধ নিতে জানে না.... জীবনটা টক টক ঘামের গন্ধ নিয়েই কুড়ে কুড়ে বেচেঁ থাকে.......+++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: সোহানী আসলেই বাস্তবতা অনেক ভিন্ন আর নিষ্ঠুর। আর সেজন্যই যে গল্পে লিখতে হলো। ভাবতে দারুন লাগে যে বাস্তবে একদিন অরনীরা বাতাসে জীবনের গন্ধ পাবে। শুভকামনা।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

সায়ান তানভি বলেছেন: আপনি ভাল লিখেন। শুভ কামনা

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: সায়ান তানভি ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য। আপনাকেও শুভকামনা।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

অরূপ সরকার বলেছেন: বড় লিখা।
পরে এসে পড়ব

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: অরূপ সরকার আপনার কেমন লাগলো সেটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,



লেখার হাত ভালো আপনার ।
গল্পের বিষয় সম্পর্কে সহ-ব্লগার সোহানীর সাথে একমত । তবে সহ-ব্লগার রাবেয়া রব্বানি যে বলেছেন, এখন গল্পে মেনে নেয়া নয় প্রতিবাদ আসতে শুরু করেছে, সেটাই যা ভরসার ।

এমন প্রতিবাদের গল্প লিখুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস ধন্যবাদ আপনার উৎসাহব্যঞ্জঙ্ক মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা আপনাকেও।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ ||

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন আপনাকেও ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১১

স্বপ্নীল শুভ্র বলেছেন: খারাপ লাগে আপু। খুব খারাপ লাগে! নষ্ট গন্ধটা দম আটকে দিচ্ছে!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নীল শুভ্র আসলেই খারাপ লাগে। নষ্ট গন্ধটা দম আটকে দিচ্ছে বলেই তো নিঃশ্বাস নেবার জন্য, বাঁচার জন্য অরনীর মতো যুদ্ধে নামতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১

খালিদ হোসাইন বলেছেন: আপনার লিখার হাত ভাল। পড়তে ভাললাগছে

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। অনেক ভাল লাগল। লেখার হাত খুবই ভাল। ধন্যবাদ আপনাকে। লিখতে থাকুন। আমরা সাথে আছি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: প্রামানিক উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ। গল্পটা আপনার চমৎকার লেগেছে জেনে আসলেই ভালো লাগছে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

রবাহূত বলেছেন: দারুন লিখেছেন আপা। প্লট, ডায়ালগ, এক্সপ্রেশন ++++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: রবাহূত ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। গল্পটা বেশ আগে লেখা। কিন্তু দুঃখজনক যে এমন গল্পতো এখন খুব চেনা, প্রতিদিনের ঘটনা। তুমিও পাঠক হিসাবে ++++++++ । ভালো থেকো।

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৩

ফারহান মুক্তাদির বলেছেন: আমাদের সমাজের কোনায় কোনায় মিশে থাকা কীট গুলোকে পরিস্কার করতে এক এক জন অরনীর দরকার.....
নরপশুদের বিনাশ হোক। অরনীদের জন্য একরাশ ভালবাসা//////

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০০

শিখা রহমান বলেছেন: কি সুন্দর একটা মন্তব্য!!! আসলেই অরনীদের এখন খুব দরকার। আর আমাদেরও থাকতে হবে অরনীদের সাথে। আমাদের একরাশ ভালবাসা অরনীদের খুব দরকার। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

তাসজিদ বলেছেন: আমি জানোয়ারের নিঃশ্বাস দেখি .....................................সর্বত্র

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: #:-S

২০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৪

ফাহমিদা বারী বলেছেন: সুন্দর গল্প।
এই ব্লগে এই প্রথম কোনো ছোটগল্প খুব ভালো লাগল।
আপনার গল্পগুলো সব পড়তে হবে, :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০১

শিখা রহমান বলেছেন: ফাহমিদা বারী অনেক ধন্যবাদ। আমি আসলে এই ব্লগে তেমন নিয়মিত নই। লেখা কম দেয়া হয়। লেখা হলেও কেন যেন পোষ্ট করা হয় না। আপনার লেখা পড়েছি। আপনি খুব ভালো লেখেন, ঝরঝরে লেখা। শুভকামনা রইলো আপনার এবং আপনার লেখার জন্য। :)

২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার গল্পগুলোর বিশেষত্ব, আপনি সমাজের চারিদিকে ঘটে যাওয়া, অনেক সময় ধামাচাপা পড়া কিছু ঘটনা নিয়ে লিখে থাকেন, এবং সবচেয়ে বড় কথা, আপনার শব্দের পরিমিতিবোধ এবং সঠিক প্রয়োগ- যেমন টক টক, ঘাম ঘাম গন্ধ। অরনীর ঐ অবস্থার সাথে এ শব্দগুলো চমৎকার হয়েছে।
গল্প ভাল লেগেছে। + +

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১০

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনার মন্তব্যগুলো অনুপ্রেরণার পাশাপাশি লেখাক হিসেবে আত্মমূল্যায়নে সবসময়েই সাহায্য করে। সবসময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

কেন যেন এই গল্পগুলোই আমাকে টানে। হাসিখুশী গল্প যে লেখা হয় না তা নয়। তবে সে গল্পগুলো আমার নিজের প্রিয় নয় বা লেখার পরে সৃষ্টির আনন্দটা এমন গাঢ় হয় না।

ধন্যবাদ পুরোনো গল্পদের খুঁজে পড়ার জন্য। শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।

২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: এই গল্পটা চরম বাস্তবতা নিয়ে লেখা। এতটা ভয়াবহ না হলেও চাকরীর করার সময় অহরহ এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আজকাল মেয়েদের। লোকলজ্জার ভয়ে আগে মেয়েরা এই সব নিজেদের মধ্যেই চাপা দিত তবে এখন দিন বদলে গেছে, সময় এসেছে নতুন করে সব কিছু ভাববার। মেয়েরা এখন অনেক অনেক সোচ্চার এই সব বিষয়ে। তবে আমি মনে করি এই ধরনের ঘটনা ঘটলে মেয়েদেের সর্ব প্রথম নিজের বাসায় জানানো উচিত। একা একা এত বড় যুদ্ধে নামার আগে কাউকে না কাউকে পাশে রাখা উচিত, এতে মনের বল বাড়ে।

আমাদের দেশেও শিক্ষিক শ্রেনির চরিত্র দিন দিন খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে, এটা ভয়ানক ব্যাপার। পিতা তুল্য এই সব লোকজনকে এখন আর শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা করে না...............

আপনার লেখা গুলি অনেকটা সামাজিক বিষয়ে লেখা, আমিও ঠিক এই বিষয়ে লেখালিখি করতে পছন্দ করি।

অনেক পরে এসে পড়লাম, কিছুটা লজ্জা লজ্জা লাগছে।
ধন্যবাদ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: নীল খুঁজে খুঁজে পুরানো লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। পড়েছেন আর পড়ে খুব সুন্দর মনছোঁয়া একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর!!

২৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এক দুই তিন এবং চার ভালো লাগলো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান পুরোনো লেখা খুঁজে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ব্যস্ততার কারণে উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। আশাকরি ভালো আছেন।

পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা সতত!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.