নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা/অজানাঃ- "প্রাগৈতিহাসিক যুগে বিলুপ্ত হওয়া এক অতিকায় দানবীয় প্রাণী ডাইনোসরের সাতকাহন"

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬


ডাইনোসর! নামটা উচ্চারণ করতেই অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে আজ থেকে কোটি কোটি বছর পূর্বের এক ভয়ংকর দর্শন অতিকায় দানবীয় প্রাণীর ছবি। আধুনিক মানব সমাজ বর্তমানে যাদেরকে ড্রাগন নামে সব থেকে ভাল চেনে। আজ থেকে ২৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে যাদের পদভারে প্রকম্পিত হতো আমাদের সুজলা, সুফলা, শষ্য-শ্যামলা সুন্দর এই পৃথিবী। সুদীর্ঘ ১৬ কোটি বছর যাবত যে প্রাণীটা এই পৃথিবীকে শাসন করেছে তাদের খেয়াল খুশি মত। অথচ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আজ সেই ভয়ংকর প্রাণীটা আমাদের এই পৃথিবীর ইতিহাসের একটা অংশ মাত্র। এখন শুধুমাত্র বই পুস্তক আর ইতিহাসের পাতায় ছাড়া যাদের অস্তিত্ব আর এই পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বেই তারা এই পৃথিবীতে বসবাস করার অধিকার হারিয়ে এখন শুধুমাত্র স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। আর তাদের স্মৃতি চিহ্ণ হিসাবে এই পৃথিবীল বুকে ফেলে রেখে গেছে তাদের মৃত শরীরের কঙ্কাল। যেটাকে বর্তমান বৈজ্ঞানীক ভাষায় 'জীবাশ্ম/ফসিল' বলা হয়।

আর আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বদৌলতে সেই সব জীবাশ্ম থেকে পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে আবিষ্কৃত হচ্ছে, এই প্রাণীটা সম্পর্কে নানাবিধ বিস্ময়কর এবং অবাক করে দেওয়ার মত কিছু তথ্য! যে তথ্যগুলোর মাধ্যমে আমাদের মনে এই রহস্যময় প্রাণীটা সম্পর্কে জানার আগ্রহ যেন আরো লক্ষ গুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে! ডাইনোসর সম্পর্কে আমাদের মনে প্রতি নিয়তই বিভিন্ন প্রশ্ন অহরহ ঘুরপাক খাচ্ছে। যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর হয়তো কারো কারো কাছে অনেক সহজ সরল মনে হচ্ছে, আবার কারো কারো কাছে অনেক কঠিন। উদাহরণ সরুপ বলা যায়ঃ-

=> ঠিক কিভাবে সুন্দর এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হলো রহস্যময় এই প্রাণীটি?
=> এত বড় একটা প্রাণী? তাহলে নিশ্চই তাদের খাদ্য তালিকাও ছিল অনেক বৃহৎ আকারের?
=> এই বিস্ময়কর প্রাণীটি ঠিক দেখতে কেমন ছিল? খেতোই বা কি? আর থাকতোই বা কোথায়? আর
=> কেনই বা তাদের কে এই পৃথিবীতে আর দেখা যায় না? কিংবা এই পৃথিবী থেকে হঠাৎ করে তাদের সমূলে নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাওয়ার মূল কারণটাই বা কি?


উপরোক্ত প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাওয়ার জন্য বিগত কয়েকদিন যাবত আমি এই রহস্যময় প্রাণীটা সম্পর্কে অনেক বই পুস্তক এবং ইন্টারনেট ঘেটেছি। আর জানতে পেরেছি তাদের সম্পর্কে সেই সমস্থ প্রশ্নের উত্তর, যেগুলো আমাদেরই মনে এতদিন যাবত নানান ভাবে ঘুরপাক খচ্ছিল। এই রহস্যময় প্রাণীটা সম্পর্কে জানতে গিয়ে আমি নিজেই এমন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি, যে তথ্যগুলো শুধু বিস্ময়করই নয়, সেই সাথে অবাকও করে দেওয়ার মত! আর ডাইনোসর সম্পর্কিত সেই সমস্থ তথ্য গুলোকে একত্রিত করে আজ আমি আমার ব্লগ পোস্টটাকে সাঁজিয়েছি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এবং- "প্রাগৈতিহাসিক যুগে বিলুপ্ত হওয়া এক অতিকায় দানবীয় প্রাণী ডাইনোসরের সাতকাহন" নামে! তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ডাইনোসর সম্পর্কিত বিষয়ের মূল আলোচনায় ফিরে যাই--------------

পরিচিতি এবং পৃথিবীতে আগমনঃ- আজ থেকে প্রায় '২৩০ মিলিয়ন' বছর পূর্বে ট্রায়াসিক যুগের শেষ দিকে; অর্থাৎ এখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে, বিশাল আকৃতির দানবীয় শরীরের অধিকারী এবং বর্তমান সময়ে আমাদের কৌতুহল জাগ্রতকারী অন্যতম প্রাণী ডাইনোসরেরা এই পৃথিবীতে বসবাস করতে শুরু করে। আর ওদের শাসনকাল চলে সুদূর ক্রিটেশিয়াস যুগের শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ এক সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল ও বিরাট আর শক্তিশালী এ জন্তুটি পৃথিবীতে বিচরণ করেছিল প্রায়- '১৬০ মিলিয়ন বা ১৬,০০০০০০০ (ষোল কোটি)' বছর যাবত। কিন্তু ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে (ক্রিটেশিয়াস-টারশীয়ারী যুগ) পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগলিক সমস্যা ছাড়াও বেশ কিছু প্রাকৃতিক কারণে পৃ্থিবী থেকে এর বেশীরভাগ প্রজাতিরই বিলুপ্তি ঘটে। তবে বর্তমানে আকাশে উড্ডয়ন রত আমরা যে সকল পাখি দেখতে পাই, তাদেরকে ডাইনাসোরেরই কিছু প্রজাতির বিবর্তিত রূপ বলে ধারণা করা হয়। আজ পর্যন্ত ডাইনোসরের যে সকল ফসিল বা জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে, তা থেকে বিশ্লেষিত তথ্য আমাদেরকে এই ধারণাই দেয় যে, বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে বসবাসকারী পাখি সম্প্রদায়ই হলো 'থেরোপড (theropod)' ডাইনোসরেরই একটা বিবর্তিত রূপ।

ডাইনোসর-এর ক্রমবিকাশঃ- পৃথিবীতে এককোষী জীব থেকে শুরু করে বহুকোষী জটিল প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্রমবিকাশের ধারা চলে আসছে কোটি কোটি বৎসর ধরে। এই ক্রমবিবর্তনের ধারায়ই সৃষ্টি হয়েছিল চতুষ্পদী কিছু প্রাণী। সিলুরিয়ান (Silurian) অধিযুগে, ৪১ কোটি ৮০ লক্ষ বৎসর আগে 'সারকোপটেরিজাই' জাতীয় কিছু প্রাণী সাগরের জলে বসবাস করতো। পানিতে সাঁতার কাটার জন্য এই প্রাণিগুলোর মোট ৪টি পাখনা ছিল, যা দেখতে অনেকটা চতুষ্পদী প্রাণীর পায়ে মত। ১৭৬৮ খ্রিষ্টাব্দে এসে জীবাশ্ম বিজ্ঞানী Laurenti, আদিকালের সেই চার পেয়ে প্রাণিগুলোর নামকরণ করেছিলেন 'টেট্রাপোড (Tetrapod)' হিসাবে।

একসময়ে এসে টেট্রাপোডদের কিছু প্রাণী Amniote ডিম প্রসব করা শুরু করে। আর এই শ্রেণির প্রাণীর ডিম থেকে থেকে পরবর্তী সময়ে ডাইনোসারসহ অন্যান্য প্রাণীর উদ্ভিব ঘটে বলে ধারণা করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ক্ষুদ্রপর্ব (Microphylum) হিসাবে Amniota কে উল্লেখ করা হয়। আর ডিমের বৈশিষ্ট্য অনুসারে এই ক্ষুদ্রপর্বকেই বিচার করা হয়। সাধারণত ডিমের কুসুমে থাকে ভ্রূণের খাবার। এই কুসুম এবং ভ্রূণকে ঘিরে থাকে এক ধরনের তরল পদার্থ। একে বলা হয় এ্যামনিয়ন (amnion)। যে সকল প্রাণীর ডিম এ্যামিওন-যুক্ত হয়, সে সকল ডিমকে বলা হয় এ্যামনিওটা (Amniota)। আর এদেরই সোরাপ্সিডা অতিক্ষুদ্র পর্ব থেকে সৃষ্টি হয়েছিল সরীসৃপ যেটাকে (Reptile) বলা হয়।

এই শ্রেণীর প্রাণীর ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত থাকে। সাধারণভাবে এই শ্রেণীর অন্তর্গত প্রাণীগুলোর মধ্যে, আমাদের অতি পরিচিত প্রাণীগুলো হলো— নানা রকমের সাপ, কুমির, টিকটিকি, কচ্ছপ ইত্যাদি। বিজ্ঞানীদের মতে ৩৪ কোটি বৎসর আগে, কার্বোনিফেরাস (Carboniferous) অধিযুগে- টেট্রাপোডদের একটি দল বিবর্তিত হয়ে সরীসৃপ শ্রেণীর প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল। কার্বোনিফোরাস অধিযুগের শেষের দিকে, ৩০ কোটি বৎসর আগে, সরীসৃপ শ্রেণীর প্রাণীকূল বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। এর উল্লেখযোগ্য উপশ্রেণীগুলো হলোঃ-

০১। এ্যানাপসিডা (Anapsida) : উল্লেখযোগ্য প্রাণী কচ্ছপ।
০২। লেপিডোসোরিয়া (Lepidosauria) : একালের সাপ জাতীয় প্রাণী।
০৩। আর্কোসোরিয়া (Archosauria) : ডাইনোসরের শাখা।
০৪। প্যারাপসিডা (Parapsida) : ডাইনোসরের আবির্ভাবের পূর্ববর্তী একটি বিলুপ্ত শাখা।
০৫। আরিওস্কেলিডা (Araeoscelida) : এর সকল প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।


নামকরণঃ- যদিও 'ডাইনোসর' কথাটার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে 'ভয়ানক গিরগিটি'। কিন্তু ডাইনোসরেরা প্রকৃতপক্ষে গিরগিটি বা টিকটিকি জাতীয় কোন প্রাণী নয়। বরং তারা সরীসৃপ শ্রেণীর অন্তর্গত একটা আলাদা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, যাদের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ অনেকাংশে বর্তমান সরীসৃপদের থেকে পৃথক এবং গিরিগিটি বা টিকটিকির থেকেও বৃহৎ আকৃতির। এবং তারা ছিল উষ্ণশোণিত এবং দ্বিপদ গমনে সক্ষম প্রাণী।

ইংরেজি Dinosaur শব্দটি প্রবর্তন করেন ইংলিশ জীবাশ্মবীজ্ঞানী Richard Owen। গ্রীক শব্দ ডেনিওস (Denios) এবং সাউরোস (Sauros) থেকেই Dinosaur শব্দটির উৎপত্তি। Denios অর্থ- 'ভয়ঙ্কর' আর Sauros অর্থ- 'টিকটিকি'। অর্থাৎ ডাইনোসর শব্দটির পুরো অর্থ হলো 'ভয়ঙ্কর টিকটিকি'।

এক নজরে ডাইনোসরের তথ্যঃ- Domain:- Eukaryota; Kingdom:- Animalia; Superphylam:- Deuterostomia; Phylam:- Chordata; Subphylam:- Vertebrata; Infraphylum:- Tetrapoda; Microphylum:- Amniota; Nanophylum:- Sauropsida; Superclass:- Diapsid; Class:- Reptilia; Subclass:- Archosauria; Superorder:- Dinosauria & Order :- 1. Ornithischia & 2. Saurischia!

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে অর্থাৎ পাখিদের ডাইনোসর বলে চিহ্নিত করার আগ মূহুর্ত্ব পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকরা ডাইনোসরদেরকে মন্থর গতিসম্পন্ন, স্বল্পবুদ্ধি ও ঠান্ডা মেজাজের প্রাণী ছাড়াও অলস এবং অনুষ্ণশোণিত প্রাণী বলে মনে করতেন। কিন্তু ১৯৭০ এর দশক এবং তৎপরবর্তী অধিকাংশ গবেষণা থেকে অবশ্য জানা গেছে যে; পৃথিবীতে বসবাস রত প্রায় প্রত্যেকটা ডাইনোসরই ছিল উচ্চ বিপাক হার যুক্ত, অতিমাত্রায় সক্রিয় প্রাণী এবং তারা পরস্পরের সাথে যোগাযোগের জন্য বিভিন্নভাবে অভিযোজিত হয়েছিল।

প্রজাতিঃ- ডাইনোসরের মধ্যে মূলত প্রজাতির বিভিন্নতা ছিল প্রচুর। এদের কিছু প্রজাতি ছিল মাংশাসী আবার কিছু প্রজাতি ছিল তৃণভোজী; কিছু প্রজাতি দু'পায়ে হাঁটতে পারত আবার কিছু প্রজাতি চারপায়ে হাঁটত। কোনোটি উচ্চতায় ছিল প্রায় ১০০ ফুট আবার কোনোটি ছিল ছোট্ট মুরগীর সমান। এ পর্যন্ত ডাইনোসরের আবিষ্কৃত প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৫০০ প্রকার। তবে জীবাশ্ম রেকর্ডের ভিত্তিতে আরো প্রায় ১৮৫০ টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৫% প্রজাতি বৈজ্ঞানীকদের আবিষ্কারের অপেক্ষায়। অবশ্য এর পূর্ববর্তী এক গবেষণায় পৃথিবীতে ৩৪০০ প্রজাতির ডাইনোসর ছিল বলে উল্লেখ করা হয়, যার বেশীর ভাগেরই অস্তিত্ব বর্তমানে টিকে থাকা জীবাশ্মে নেই বলে অনেক বিজ্ঞানীর ধারনা।

অনেক প্রজাতির ডাইনোসরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নাম নিচে দেয়া হলোঃ-
=>Saurischia: এই শ্রেনীর ডাইনোসরদের পশ্চাতদেশ দেখতে ছিল অনেকটা সরীসৃপদের মতো।
=>Theropods: মাংসভোজী ডাইনোসরের মধ্যে এই গোত্রটি অন্যতম।
=>Sauropods: এরা লতাপাতা খেয়ে বেঁচে থাকত অথ্যাৎ তৃণভূজী। আর সেজন্য এদের ছিল অনেকটা জিরাফের মত খুব লম্বা লম্বা গলা। যা গাছের মগ ডালের কচি লতা-পাতা খেতে এদেরকে সাহায্য করতো।
=>Ornithischia: এরাও তৃণভূজী এবং জীবনের বেশিরভাগ সময় লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারন করতো। এবং এদের মধ্যে কারো কারো পাখির মতো লম্বা ও সূচালু ঠোঁট ছিল।
=>Armoured dinosaurs: এদের পিঠে ছিল বড় বড় হাড় যা এদেরকে বিভিন্ন শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করত।
=>Ornithopoda: এরা “duck-billed” ডাইনোসরের অন্তর্ভূক্ত প্রাণী।
=>Pachycephalosauria: এসব ডাইনোসরের মাথা ছিল খুব শক্ত।
=>Ceratopsia: এরা শিংওয়ালা প্রজাতির ডাইনোসরের অন্তর্ভূক্ত। এই শ্রেনীর ডাইনোসরের খুব লম্বা লম্বা গরুর মত শিং থাকতো।


ডাইনোসরের আকার ও আকৃতিঃ- শ্রেণীবিন্যাসগত, অঙ্গসংস্থানগত ও পরিবেশগত দিক থেকে ডাইনোসর কথাটিকে বিভিন্ন প্রকারের কতকগুলি প্রাণীর একটি সাধারণ নাম হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে। পৃথিবীর প্রায় সব কয়টি মহাদেশেই ডাইনোসরদের জীবন্ত ও প্রস্তরীভূত নানা প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে শাকাহারী ও মাংসাশী- উভয় প্রকার উদাহরণই রয়েছে। যদিও উৎপত্তিগতভাবে ডাইনোসরেরা দ্বিপদ, কিন্তু অবলুপ্ত অনেক চতুষ্পদ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে, এবং কোনো কোনো প্রজাতি গমনের সময় প্রয়োজনমত দুই পা অথবা চার পা ব্যবহার করতে পারত। সমস্ত বিভাগের ডাইনোসরদের মধ্যেই শিং, হাড় ও চামড়ার পাত প্রভৃতি প্রদর্শনমূলক অঙ্গসংস্থানের নিদর্শন রয়েছে, এবং কোনো কোনো অবলুপ্ত প্রজাতির কংকালে হাড়ের বর্ম ও কাঁটার মত গঠন লক্ষ্য করা যায়। বিভাগ নির্বিশেষে ডাইনোসরদের অন্যতম সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল ডিম পাড়া ও বাসা বানানোর অভ্যাস। ওড়ার খাতিরে কিছু শারীরবৃত্তীয় বাধ্যবাধকতার জন্য আধুনিক পাখিরা আকারে ছোট হলেও প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসরদের অনেকেই ছিল বিশালদেহী।

প্রজাতিভেদে ডাইনোসরের মধ্যে আকার ও আকৃতিগত দিক থেকে অনেক বিভিন্নতা ছিল। বৃহত্তম সরোপড ডাইনোসরেরা ৫৮ মিটার (১৯০ ফুট) পর্যন্ত দীর্ঘ এবং ৯.২৫ মিটার (৩০ ফুট ৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত উঁচু হত। তবুও উড়তে অক্ষম ডাইনোসর মাত্রই বিশালাকার হবে- এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ উড়তে অক্ষম ডাইনোসরদের মধ্যে অনেক প্রজাতিই ছিল যারা দেখতে অনেকটাই ক্ষুদ্র/ছোট ধরনের। তবে বর্তমানে আবিষ্কৃত জীবাশ্মের বেশির ভাগই বড় মাপের ডাইনোসর- এ'কথা ঠিক। কিন্তু এর কারণ হল জীবাশ্মের আকার বড় হলে তা প্রকৃতির প্রতিকূলতা সহ্য করে প্রস্তরীভবন পর্যন্ত সহজে টিকে থাকতে পারে। এছাড়াও বৃহদাকার ডাইনোসরদের মধ্যে যেগুলোর নাম উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে একটি হলো Giraffatitan brancai যার উচ্চতা ছিলো ১২ মিটার(৩৯ ফুট), লম্বায় ২২.৫ মিটার(৭৪ ফুট) এবং ওজন ছিলো ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ কেজি। তাঞ্জানিয়ায় এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়।এছাড়াও আছে T Rex প্রজাতির ডাইনোসর, যার দৈর্ঘ্য ছিল ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ছিল ১৫ থেকে ২০ ফুট।

Diplodocus প্রজাতির আরেক ধরনের ডাইনোসর যারা লম্বায় ছিল ২৭ মিটার (৮৯ ফুট)। এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় আমেরিকায়। বিশালাকার তৃণভোজীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Argentinosaurus zar, যার ওজন ৮০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ কেজি। এছাড়াও রয়েছে Diplodocus hallorum, যারা ৩৩.৫ মিটার লম্বা (১১০ ফুট) এবং ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট ছিল। মাংশাসীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নাম হলো- 'Giganotosaurus, Carcharodontosaurus এবং Tyrannosaurus'।

তবে ডাইনোসর বলতে যে শুধু বিশালাকার দেহের জন্তু বোঝায় তা নয়, বরং খুবই ছোট আকারের ডাইনোসরও সেসময় ছিল। সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর Anchiornis এর ওজন ছিল মাত্র ১১০ গ্রাম। তৃনভোজী Microceratus এবং Wannanosaurus এর দৈর্ঘ্য ৬০ সেন্টিমিটার (২ ফুট)। এছাড়াও জিজিয়ানিকাস (Xixianykus) নামক ডাইনোসরটির দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার (প্রায় ২০ ইঞ্চি)।

ডাইনোসরের খাবারঃ- ডাইনোসরের পার্থক্য যেমন আছে, ঠিক তেমনি আছে তাদের খাদ্যের তালিকার ভিন্নতা। সাধারণত ডাইনোসররা ফুড অ্যান্ড ফিডিং হ্যাবিটের দিক দিয়ে সর্বমোট তিনধরণের গোত্রে বিভক্ত ছিল----'Herbivore, Carnivore & Omnivore (সর্বভুক)।' এদের একটা গোত্র ছিল তৃণভূজী, একটা গোত্র ছিল মাংসাশী এবং অন্য আর একটা গোত্র ছিল সর্বভূক। তৃণভূজী গোত্রের ডাইনোসররা বিভিন্ন ধরনের কিট-পতঙ্গ, কচি ঘাস, গাছের লতা-পাতা এবং ফলমূল খেয়ে জীবন ধারন করতো। এবং মাংসাশী গোত্রের ডাইনোসররা সাধারণত সামদ্রিক মাছ, শামুক, ঝিনুক এবং হাঙ্গর সহ এমন কি তাদের অপর গোত্রীয় তৃণভূজী ডাইনেসরদেরকেও শিকার করে ধরে ধরে খেতো। আর সর্বভূক গোত্রের ডাইনোসররা আহার হিসাবে ঘাস, লতা-পাতাও আহার করতো; আবার সামদ্রিক মাছ সহ অন্যান্য তৃনভূজী ডাইনোসরদেরকেও শিকার করতো। এছাড়াও মাংসাশী গোত্রের ডাইনোসররা এতটাই ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতির ছিল যে, ক্ষুধার সময় তারা তাদের সন্তানদেরকেও অনেক সময় আহার হিসাবে ভক্ষণ করতো।

বাসস্থানঃ- তৎকালিন সময়ে পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা অঞ্চলেই এই দানবীয় প্রাণীটির আধিপত্য ছিল বলে অধিকাংশ বিজ্ঞানী তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মহাদেশেই এমনকি বরফ আচ্ছাদিত মহাদেশ এন্টার্কটিকাতেও এই ডাইনোসরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। আর সেটা থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, শুধু একটা নিদ্রিষ্ট অঞ্চল নয় বরং গোটা পৃথিবী জুড়েই এই বিশাল দেহী প্রাণীটি প্রায় সুদীর্ঘ ১৬০ মিলিয়ন বছর যাবত তাদের আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল।

২০০১ সালে এন্টার্কটিকা মহাদেশের স্থানীয় বাসিন্দা একজন কৃষক ভেড়া চরাতে গিয়ে বরফের স্তরের মাঝে একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম পেয়েছিলেন। তবে এবারের আবিষ্কার অস্ট্রেলিয়ায় গত ২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই খাদের আশপাশেই হয়তো আরো শত শত জীবাশ্ম পাওয়া যাবে বলে অনেক বিজ্ঞানীর ধারনা পোষণ করছেন।

আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রিরির জীবাশ্ম বিভাগের প্রধান মার্ক লরেন জানান যে, ডাইনোসরের ফিজিওলজি, ইকোলজি এবং আচরণ বিদ্যার অনেক কিছুই আজ জানা সম্ভব হয়েছে। যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দীর্ঘ যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে। এদিকে বিজ্ঞানী মারফি মাল্টাতেই যে কঙ্কাল আবিষ্কার করেছেন তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিটিস্ক্যান সেন্টার দ্বারা হৎপিন্ড, ফুসফুস, কিডনি এবং অন্য অনেক অঙ্গ পরীক্ষা করে অনেক কিছুই জানা সম্ভব হয়েছে। তবে এটা খুবই ব্যয়বহুল কাজ। বিজ্ঞানীদের ধারণা কোনোক্রমে যদি ডাইনোসরের কাঠামো উদ্ধার করা যায় তাহলে বিস্ময়কর এক ফল পাওয়া যাবে। যদিও ৬৫ মিলিয়ন বছর আগের কোনো প্রাণীর কাঠামো খুঁজে পাওয়া চারটিখানি কথা নয়। আর উক্ত কাঠামো খুঁজে পাওয়া গেলে, ডাইনোসর আসলে পাখি নাকি সরীসৃপ ছিল; তা সম্পর্কে নতুন করে জানা যাবে। এদিকে নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োলজিস্ট 'নরি এস কুইস' একটি রেসকের হাড় নিয়ে পরীক্ষা করে নতুন এক তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তিনি জানান, ডাইনোসরের হাড় থেকে যে ক্যালসিয়াম এবং নতুন টিস্যু তৈরি হয় তা বলে দেয় যে, ডাইনোসরের সঙ্গে পাখিদের সম্পর্ক বেশি। ১৯ শতকের গোড়ারদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যে পাখির পায়ের ছাপ হাড় পাওয়া গিয়েছিল পরে তা ডাইনোসরেরই বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ১৮৬১ সালে জার্মানির খনিজ শ্রমিকরা খনি থেকে একটি ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করেন। আজ পর্যন্ত ডাইনোসরের যত কঙ্কাল পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্ব এবং তথ্যপূর্ণ। ওই কঙ্কাল থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ডাইনোসরদের মধ্যে কিছু প্রজাতি ছিল যাদের দেহে পাখির পালকের মত পালক ছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা জুরাসিক যুগের শেষ ভাগে ডাইনোসরগুলো ভিন্ন বৈশিষ্ট সম্পন্ন হয়ে উঠেছিল। তখন থেকে এদের পা উদ্ভব শুরু হয়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে ঝড়ো আবহাওয়াময় উপকূলে যে মেরু ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়েছে তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে ১০ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে ওই ডাইনোসরটি আর ৩৫ ডিগ্রি-৪০ ডিগ্রি দক্ষিণে অ্যান্টার্কটিকা বলয়ের মধ্যে ছিল। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই ডাইনোসরের কঙ্কালের নাম দেয়া হয়েছে-'লিলিয়াফোরা'

পৃথিবী হতে চিরদিনের জন্য ডাইনোসরদের বিলুপ্তি হওয়ার মূল কারণঃ- আজ থেকে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে এই পৃথিবীজুড়েই ডাইনোসরদের বিচরণ ও রাজত্ব ছিল। তাদের এই রাজত্বের সময়টা ছিল ১৬ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত। তবে এসব ডাইনোসর পৃথিবীর বুক থেকে কেন ও কীভাবে বিলুপ্ত হলো, তার সঠিক কারণ এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। যদিও ডাইনোসরদের বিলুপ্তি নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মতামত ও ধারণা প্রকাশ করেছেন। একদল বিজ্ঞানীর অভিমত সম্ভবত পৃথিবীর পৃষ্ঠে ধূমকেতু বা উল্কার আঘাতের ফলেই যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, আর তার ফলে পৃথিবীজুড়ে যে প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছিল; তাতেই পৃথিবীর সব ডাইনোসররা মারা গিয়েছিল। অথবা এরা কোনো ভাইরাস বা পর্যায়ক্রমিক আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই বিলুপ্ত হয়েছে। এসব ধারণা বা মতবাদগুলো বিতর্কিত হলেও এখন পর্যন্ত এর সঠিক কোন সমাধান মেলেনি। ১৯৯৬ সালের অক্টোবর মাসে একটি স্বনামধন্য পত্রিকায় ডাইনোসর নিয়ে একটা ফিচার ছাপা হয়েছিল আর তাতে বলা হয়েছিল যে, আল্লাহর নবী হযরত নূহ (আ.) এর সময় এ পৃথিবী যে মহাপ্লাবণে ডুবে গিয়েছিল, তার ফলেই সব ডাইনোসর ঐ মহাপ্লাবণেই ডুবে মারা পড়েছিল। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে এই পৃথিবীর ৭১.৪% জল ও ২৮.৬% হলো স্থল। আরো তথ্য হলো, এই পৃথিবীর স্থলভাগকে কেটে যদি সমান করা হতো তা হলে তা ২ মাইল বা ৩ কিলোমিটার পানির নিচে ডুবে থাকত। আর একারণে সেই মহাপ্লাবণের ফলেই ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়াও বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে পৃথিবীতে বছরে গড়ে ১০-১২টি উল্কা দেখা যায়। যার ৩-৫টি কক্ষচ্যূত হয়ে এ ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয়। এমনও বৈজ্ঞানিকরা বলে থাকেন যে, আজ থেকে প্রায় ২৩ কোটি বছর পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের ওই পারে অবস্থিত মেক্সিকোর ইউকাটান জঙ্গলে বিশাল এক ধূমকেতু আঘাত হানে। আর সেই আঘাতের ফলে পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েই নাকি সারা বিশ্বের ডাইনোসররা মারা গেছে!

এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা এই পৃথিবী থেকে চিরকালের জন্য ডাইনোসর বিলুপ্তির অনেক গুলো কারণ দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। যার পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক যুক্তি এবং অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়ে আসছে। আসুন সেই সমস্থ কারণ গুলোও একটু জেনে নিইঃ-

১। উল্কাপাতঃ- ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের শেষের দিকে প্রচণ্ড গতিতে কোন বিশালাকারের উল্কা ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছিল। এর ফলে একটি মহাবিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিল। এই বিস্ফোরণের পর, তাৎক্ষণিকভাবে সমগ্র পৃথিবীর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ ছাড়া সারা পৃথিবী ধুলা এবং জলীয়-মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। এই মেঘের আবরণ ভেদ করে সূর্যের কিরণ পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে না পারায়, সবুজ উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর ফলে ডাইনোসরদের খাদ্য খাটতি পড়ে এবং উত্তাপহীন পৃথিবীতে শীতল রক্তের এই ডাইনোসারগুলো মৃত্যুবরণ করে।

অনেকে উল্কাপাতের সময় উল্কার ভিতরের ইরিডিয়াম নামক ধাতুর বিকিরণকে দায়ী করেছেন বটে। তবে বিজ্ঞানীরা ভূপৃষ্টের কাছাকাছি স্তরে কোন ইরিডিয়ামের সন্ধান পান নাই। তারপরেও অনেকে এমন ধারণাও করেন যে- উল্কা খণ্ডের ভিতরই ইরিডিয়াম ছিল। এই তর্কবিতর্কের ভিতরই এক সময় বিজ্ঞানীরা মার্কিন যুক্তরাষ্টে্রর আরিজোনা অঞ্চলের ফ্লাগস্টাফে একটি বিশাল গর্ত আবিষ্কার করেন এবং সেখানে তিনি একটি উল্কা-খণ্ডের সন্ধান পান। উল্লেখ্য ক্যানিয়ান ডিয়াব্লো (Canyon Diablo) নামক এই গর্তটির ব্যাস ১১৮০ মিটার এবং গভীরতা ১৭৫ মিটার। অস্টে্রলিয়াতে অপর একটি উল্কা পাওয়া যায়। এর ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে, বয়স নিরূপণ করা হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ বৎসর পূর্বকাল।

উল্কা-ধারণার বিপক্ষযুক্তিঃ- এই যুক্তির বিপক্ষবাদীরা প্রশ্ন তোলেন যে, এতবড় একটি বিস্ফোরণের ফলে শুধু মাত্র ডাইনোসরই ধ্বংস হবে কেন? যদিও প্রশ্নটার কিছু যৌক্তিক কারণ আছে তবে আজ পর্যন্ত এর কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায় নাই।

২। খাদ্য হিসাবে ডাইনোসরের বিলুপ্তিঃ- সকল মাংসাশী ডাইনোসরগুলো সকল উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরদেরকে হত্যা করে। পরে, খাদ্যের অভাবে মাংসাশীরা অন্য মাংসাশী ডাইনোসর খেয়ে ফেলে। ফলে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি ঘটে।

খাদ্য-ঘাটতি ধারণার বিপক্ষযুক্তিঃ- এই যুক্তিটিকে অনেকেই অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। কারণ, এই রকম ঘটনা ঘটলে, সবচেয়ে আগে উদ্ভিদভোজী ডাইনোসর বিলুপ্ত হলেও, মাংসাশী ডাইনোসর বিলুপ্ত হতো না। কারণ, মাংসাশী ডাইনোসররা শুধু ডাইনোসরদেরই হত্যা করতো না। খাদ্য নিয়ে এরা নিজেরা বিবাদ করার আগে— অন্যান্য প্রাণীদের হত্যা করতো। ফলে সকল বড় ধরনের প্রাণীই বিলুপ্ত হয়ে যেতো। আর যেহেতু বড় প্রাণীদের উত্তর-পুরুষেরা এখনও পৃথিবীতে রয়ে গেছে, সে কারণে মাংসাশী ডাইনোসরদের কিছু প্রজাতি এখনো টিকে থাকতো।

৩। বিষাক্ত গাছঃ- বিষাক্ত গাছে পৃথিবী ছেয়ে গিয়েছিল। উদ্ভিদভোজীর ডাইনোসরগুলো এই সকল গাছ খেয়ে মৃত্যুবরণ করার পর, মাংসাশী ডাইনোসরগুলো খাদ্যাভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বিষাক্ত গাছ ধারণার বিপক্ষযুক্তিঃ- এই যুক্তিটি গ্রহণযোগ্য নয়, এই জন্য যে— পৃথিবীর সকল গাছ বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল এমন হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। অন্ততঃ বিজ্ঞানীরা সেই সময়ের তেমন কোন বিষাক্ত গাছের সন্ধানও পান নাই। আর যদি এই বিষাক্ত গাছের বিষয়টি সত্যও হয়, তা হলে প্রশ্ন থেকে যায় যে, তাহলে অন্যান্য উদ্ভিদভোজী প্রাণীরা কি ভাবে বেঁচে রইল?

৪। স্থূলকায় শরীরের কারণেঃ- উদ্ভিদভোজীরা অত্যধিক খাবার খেয়ে খেয়ে এত মোটা হয়ে গিয়েছিল যে, এরা একসময় চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে মাংসাশী ডাইনোসারের সহজ শিকারে পরিণত হয়েছিল।

স্থূল শরীর জাতীয় যুক্তির বিপক্ষযুক্তিঃ- এই যুক্তি উদ্ভিদভোজীদের জন্য খাটলেও মাংসাশীদের জন্য তা খাটে না। তাছাড়া অত্যন্ত মোটা হয়ে বয়স্ক ডাইনোসরের মৃত্যু হলেও, তাদের শাবক থাকবে না বা বংশ বৃদ্ধি হবে না এটাও তো ভাবা যায় না!

৫। তুষার-আমলের আবির্ভাবঃ- অকস্মাৎ তুষার-আমলের আবির্ভাবে সকল ডাইনোসর ঠাণ্ডায় জমে মৃত্যুবরণ করে।

তুষার-আমলের বিরুদ্ধযুক্তিঃ- বিরুদ্ধবাদী বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেনে যে, ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের শেষে তুষার-আমল আসেনি।

৬। ক্রম অগ্নুৎপাতঃ- সারা পৃথিবী জুড়ে আগ্নেয়গিরিগুলো ক্রমরীতিতে অবিরত বিষাক্ত গ্যাস ও লাভা নিক্ষেপ করতে থাকে। ফলে ডাইনোসরগুলোর বিলুপ্তি হয়।

ক্রম অগ্ন্যুৎপাতের বিরুদ্ধযুক্তিঃ- ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের এই ধরনের অগ্ন্যুৎ্পাতের ঘটনা ঘটেনি। তা ছাড়া এই জাতীয় ঘটনা ঘটলে স্তন্যপায়ী, পাখি শ্রেণীর প্রাণী, এমনকি উদ্ভিদেরও বিলুপ্তি হতো।

সকল যুক্তিই খণ্ডন করা যায়, কিন্তু এই পৃথিবী থেকে যে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি ঘটেছে, এটা তো খণ্ডন করা যায় না? এক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করলে হয়তো সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছানো যেতে পারে। মেসোজোয়িক যুগের প্রাপ্ত জীবাশ্মের সূত্র ধরে খুবই জোরালো ভাবে বলা যায় যে, এই পৃথিবীতে ডাইনোসর বলে কোন প্রাণী এক সময় ছিল! কিন্তু বর্তমানে এরা যে আর এই পৃথিবীতে নেই এটাও তো সত্য?

প্রকৃতিতে কোন বিশেষ প্রজাতি বিলুপ্ত হবে কি হবে না, তা নির্ভর করে অনেকটা এই পৃথিবীর পরিবেশের উপর। এই পরিবেশগত কারণের ভিতর রয়েছে, আবহাওয়া, খাদ্য, রোগ, অন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা এবং বংশবৃদ্ধিজনিত প্রতিকুলতা ইত্যদি। প্রকৃতির এই সকল উপকরণগুলোকে সহজে জয় করতে পারলেই যুগ যুগ ধরে একটি প্রজাতি এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে। একথা ভাবার কারণ নেই যে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এই পৃথিবী থেকে এক সময় হয়তো সকল প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আবার এটাও ভাবা যায় না যে, এক্ষেত্রে সকল প্রজাতিই বেঁচে থাকবে। একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ছাড়া। তবে বৈজ্ঞানীক দৃষ্টিতে দেখলে, সকল প্রজাতির বিলুপ্তি হওয়ার মতো কারণগুলো যদি ক্রমাগত ঘটতেই থাকে, তা হলেই এক সময় সকল প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এই ধারণা থেকে অবশ্য মানুষকে বাদ রাখতে হবে। কারণ মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা প্ররিবেশকে বিভিন্নভাবে জয় করতে পেরেছে। তাদের মধ্যে এই পৃথিবীর সকল জীবজগতের প্রজাতিসমূহের ভিতর টিকে থাকার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। তবে কোন কারণে যদি বৈরি পরিবেশ এই ক্ষমতাকে জয় করে ফেলে, তাহলে তখন সকল প্রজাতিরই বিলুপ্তি ঘটবে। এবার দেখা যাক ডাইনোসরের ক্ষেত্রে এই পরিবেশ কিভাবে তাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠেছিল।

ডাইনোসর বিলুপ্তির সকল কারণই ছিল প্রতিকূল পরিবেশ। ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের শেষের দিকে ডাইনোসরের অধিকাংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর আগে অন্য কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হয় নি, এমনটা বিজ্ঞানীরা দাবী করেন না। ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের আগে, ডাইনোসরগুলোর বিলুপ্তির পিছনেও এই বৈরি পরিবেশের অবদান ছিল সব থেকে বেশি। আলোচনার সুবিধার্থে এই বৈরি পরিবেশকে কয়েকটি শর্ত দ্বারা বিভাজিত করে নির্দেশিত করা যায়।

=>মহাদেশগুলোর বিভাজনঃ- এখন যে পৃথিবীর মহাদেশগুলোকে যেভাবে পাই, সেভাবে সবসময় ছিল না এবং ভবিষ্যতেও তা থাকবে না। মেসোজোয়িক যুগের শুরুতে অর্থাৎ ট্রায়াসিক অধিযুগে পৃথিবীর অধিকাংশ ভূভাগ একটি অখণ্ড মহাদেশ হিসাবে বিরাজ করছিল। বিজ্ঞানীরা এর নামকরণ করেছিলেন প্যানজিয়া। এই অখণ্ড মহাদেশেই ডাইনোসরের উদ্ভব ঘটেছিল। পরবর্তী ২০ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ১৪ কোটি ৪০ লক্ষ বৎসর পূর্ব-কালের ভিতরে; অর্থাৎ জুরাসিক অধিযুগে ডাইনোসরের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই অধিযুগের শেষের দিকে প্যানজিয়া বিভাজিত হতে থাকে। আর ১৪ কোটি ৪০ লক্ষ বৎসর থেকে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর পূর্বকালের ভিতর; অর্থাৎ ক্রেটাসিয়াস অধিযুগে মহাদেশগুলো বেশ কয়েকটি খণ্ডে বিভাজিত হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই সুদীর্ঘ কালের ভিতর পৃথিবীর মহদেশগুলো যেমন বিভাজিত হয়েছে, তেমনি মহাদেশগুলো উত্তর-দক্ষিণ গোলার্ধ কিম্বা বিষ্যূব রেখা বরাবর সঞ্চালিত হয়েছে। ফলে বিচ্ছিন্ন মহাদেশগুলোর আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। পৃথিবীর মহাদেশগুলো যখন বিচ্ছিন্ন হয়, তখন অখণ্ড মহাদেশ প্যানজিয়ার উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলও বিভাজিত হয়েছিল। ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশের আবহাওয়াগত বৈশিষ্ট্যও একই ধারায় ছিল না। এর ফলে কতকগুলো মৌলিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। যেমন—

=> তাপমাত্রার পরিবর্তনঃ- বিচ্ছিন্ন মহাদেশগুলো যখন ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যাচ্ছিল, তখন তার আবহাওয়ার পরিবর্তনও ঘটছিল। জীবজগতে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের তাপমাত্রার সাথে অভিযোজন করার ক্ষমতা সবচেয়ে কম। সেই কারণে ডাইনোসরদের উপর প্রভাব পড়েছিল সবচেয়ে বেশি। ফলে, বিভিন্ন মহাদেশের বিচিত্র তাপমাত্রাগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এক্ষেত্রে পক্ষী বা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর প্রভাব পড়েছিল কম। ছোট ছোট প্রজাতির সরীসৃপরা মাটির গভীরে বা পর্বতগুহায় আশ্রয় নিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে সমর্থ হয়ে উঠলেও, বিশালদেহী ডাইনোসরদেরকে সেই তাপমাত্রার কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না। বিশেষ করে চলমান মহাদেশগুলোর কোন কোন অঞ্চল যখন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছিল, কিংবা উত্তর-দক্ষিণ মেরু বরাবর যে সকল মহাদেশ স্থাপিত হচ্ছিল, সে সকল অঞ্চলে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি ঘটেছিল দ্রুত।

=> খাদ্যভাবঃ- মহাদেশগুলো যখন বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল, তখন মহাদেশগুলোতে তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাতের অধিক্য বা অনাবৃষ্টি, তুষারপাত ইত্যাদির বিচারে পরিবেশ পাল্টে যাচ্ছিল। ফলে প্রাণিজগতের বিভিন্ন প্রজাতি যেমন লোপ পাচ্ছিল, তেমনি বহু প্রজাতির উদ্ভিদও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ফলে উদ্ভিদভোজী প্রাণিকূলের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছিল প্রবলভাবে। বিশেষ করে উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরগুলো এর শিকার হয়েছিল প্রথম। তাপমাত্রাগত পরিবর্তনে এরা কাহিল হয়ে পড়েছিল, সেই সাথে পর্যাপ্ত খাদ্য না পাওয়ার কারণে, এদের বিলুপ্তি ঘটেছিল। অন্যদিকে মাংসাশী ডাইনোসরগুলো তাপামাত্রা এবং খাদ্য হিসাবে উদ্ভিদভোজী প্রাণীর অভাবে মারা গিয়েছিল একটু বিলম্বে।

=> রোগ ব্যাধিঃ- সনাতন পরিবেশে যখন সুস্থ-সবল ডাইনোসরগুলো বিচরণ করতো তখন, ডাইনোসরগুলোর উপর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসগুলো হয়তো ততটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে তাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গিয়েছিল। তাছাড়া আবহাওয়াগত পরিবর্তনের কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসদের আক্রমণ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছিল। সব মিলিয়ে ডাইনোসরগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছিল দ্রুত।

=> প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসঃ- সাধারণত দেখা যায়, দীর্ঘকাল অনুকূল পরিবেশ না পেলে, কোন কোন প্রজাতির যৌন স্পৃহা বা প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। ডাইনোসরের কোন কোন প্রজাতি এই কারণেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

=> অন্যান্য কারণঃ- উল্কাপাত, অগ্ন্যুৎপাত, বিষাক্ত খাদ্যগ্রহণ ইত্যাদির কারণেও কোন বিশেষ অঞ্চলের ডাইনোসর বিলুপ্ত হতে পারে, কিন্তু তা সকল ডাইনোসরের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল এমন ধারণা করার কারণ নেই। তবে এক্ষেত্রে কোন বিশেষ অঞ্চলের ডাইনোসর বিলুপ্ত হতে পারে। যেমন বর্তমান সময়ে যদি উল্কাপাতের কারণে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, তা হলে, রয়েলবেঙ্গল টাইগারের (চিড়িয়খানা ছাড়া প্রকৃতিগতভাবে) বিলুপ্তি ঘটবে। একই ভাবে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে পম্পেই নগরী যেমন চাপা পড়ে গিয়েছিল, তেমনটা হলে কোন বিশেষ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে। প্রজাতি মাত্রই বিষাক্ত খাদ্যকে সহজাত প্রবৃত্তিতে বর্জন করে। কোন কারণে, বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণে কোন প্রজাতি দলে দলে মারা গেছে এমন ঘটনা বিরল। তবে কোন অঞ্চলের সকল খাদ্যদ্রব্য বিষাক্ত হয়ে পড়লে অন্য কথা। এর ফলেও বিশেষ দুই একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হলেও হতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ- ছবি সহ প্রত্যেকটা তথ্যই ইন্টারনেটের ইংরেজি এবং বাংলা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা। নিচে সেই সমস্থ মাধ্যমের লিংক সমূহ দেওয়া হলোঃ-
০১। উইকিপিডিয়া & এনসাইক্লোপিডিয়া।
০২। ডাইনোসর সম্পর্কে আরো জানতে হলে পড়ুন।
০৩। ইউটিউব ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
০৪। বৈচিত্র্যময় প্রাণী ডাইনোসরের কথা।
০৫। ডাইনোসরের আগমন এবং হারিয়ে যাবার রহস্য।
০৬। ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ।
০৭। বিস্তারিত বর্ননা এখানে।

পুনশ্চঃ- বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কল্যানে পৃথিবী নিত্য নতুন ভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। আর সেই সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে প্রকৃতি সহ গোটা মানব সমাজ। কিন্তু এই পরিবর্তনের ছোঁয়ায় ফেলে রেখে আসছি আমাদের স্মৃতি, বিভিন্ন সময়ে করা আমাদের নানাবিধ কার্যকলাপ। ঠিক যেমনি ভাবে বিভিন্ন চিহ্ণ ফেলে রেখে গেছে ডাইনোসর নামক রহস্যময় সেই ড্রাগন.........!!

দৃষ্টি আকর্ষণঃ- গত ব্লগ পোস্টে ঠিক একই ধরনের আরো দুইটি পোস্ট আমি প্রকাশ করেছিলাম। সময় এবং পড়ার ইচ্ছা থাকলে উক্ত পোস্ট দুটিতেও একবার নজর বুলিয়ে আসতে পারেন। মনে হয় খুব বেশি খারাপ লাগবে না!
০১। "রুপকথার রঙিন পাখি 'হামিংবার্ড'-এর সাতকাহন"
০২। "বৈচিত্রময় জোনাকি পোকার সাতকাহন"

বিঃ দ্রঃ- এটি ২০১৬ সালে করা আমার প্রথম কোন ব্লগ পোস্ট। তাছাড়া এই পোস্টটা আমি তৈরি করেছি অনেক ব্যস্থতার মাঝেই। সুতরাং পোস্টের মধ্যে হয়তো অনেক ধরনের ভুল ভ্রান্তি থাকতেই পারে। ইহা ছাড়াও টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়তো আপনার করা মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে দেরি হতে পারে; আশা করি কিছু মনে করবেন না!

মন্তব্য ১১৫ টি রেটিং +৩১/-০

মন্তব্য (১১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম । পোস্টে প্লাস

শুভেচ্ছা রইল লেখক

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথম পাঠ, পোস্টে মন্তব্য করা, প্লাস দেওয়া এবং প্রিয়তে রাখার জন্য আপনাকে অসংখ্য বার ধন্যবাদ!



আপনার জন্যও রইলো অফুরন্ত শুভ কামনা! ভাল থাকবেন!

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

লালপরী বলেছেন: ডাইনোসরদের ব্যপারস্যপার জানা হলো
++++্

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ডাইনোসর সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পেরে অনেক ভাল লাগছে!




প্লাসের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা পরী!

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

ধমনী বলেছেন: পোস্টে প্লাস। পড়বো পরে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টে কিন্তু প্লাস পায়নি ভাই! সম্ভাবত মনে ছিল না! :`>
তবে পরবর্তি পাঠে যেন আর প্লাস দিতে ভুল না হয়!



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: এখন আমার প্রশ্ন হল ডাইনোসারের যুগে মানব সম্প্রদায় কি ছিলো ?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: যতদূর জানা যায়, পৃথিবীতে যখন ডাইনোসররা বসবাস করতো তখন কোন মানব সম্প্রদায় এই পৃথিবীতে ছিল বলে মনে হয় না! বৈজ্ঞানিক ভাষ্যমতে এই পৃথিবীতে মানব সম্প্রদায়ের আগমন ঘটেছে আজ থেকে ১০ মিলিয়ন বছর পূর্বে! আর ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে আজ থেকে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে! সুতরাং ডাইনোসরের যুগে কোন মানব সম্প্রদায় এই পৃথিবীতে ছিল না! তাছাড়া বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে আজ পর্যন্ত এমন কোন তথ্য পাননি যে, কোন মানুষ স্বচোখে ডাইনোসর কে দেখেছে!


বিজ্ঞানীদের ধারনা মতে পৃথিবীর বয়সঃ- ৪৫৬ কোটি ৭০ লাখ বছর আগে সৌরজগৎ সৃষ্টি হয়। এর অনেক পরে সম্ভবত পৃথিবী গঠিত হয়েছে। পৃথিবীর পৃষ্ঠের উল্কাখণ্ড পরীক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, আমাদের এই গ্রহ সম্ভবত ৪৪৬ কোটি ৭০ লাখ বছর আগে বর্তমান আকৃতিতে পৌঁছে। আগের হিসাব অনুযায়ী ধারণা করা হয়েছিল, এর বয়স ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ বছর।

সুতরাং এই পৃথিবীতে মানুষের বসবাস করার আগে অন্য কোন প্রাণী যে ছিল সেটা অবশ্যই স্বীকৃতি যোগ্য! আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আবার প্রশ্ন এলো মাথায়ঃ

ডাইনসারের যুগ শেষ হয় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে আর মানুষ আসে বর্তমান সময়ের ১০ মিলিয়ন বছর আগে এখন প্রশ্ন হল মাঝের ৫৫ বছর কি পৃথিবী খালি ছিল না অন্য কিছু ছিল, এর কি কোন তথ্য প্রমান আছে ?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই প্রথমে আপনার প্রশ্নের ভুলটা সংশোধন করে দিই! আপনি প্রশ্নে যে ৫৫ বছরের কথা উল্লেখ করেছেন সেইটা ৫৫ বছর হবে না, হবে ৫৫ মিলিয়ন বছর!


তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ডাইনোসরের যুগে এই পৃথিবীতে কোন মানব সম্প্রদায় ছিল না। কিন্তু তাই বলে কি অন্য কোন জীব-জন্তুর বা প্রাণী ছিল না? অবশ্যই ছিল! আর ডাইনোসর ধংস হওয়ার পর এবং পৃথিবীতে মানুষ আসার আগে হয়তো তারাই এই পৃথিবীতে বসবাস করতো! এমন কিন্তু কোথাও বলা নেই যে, ডাইনোসরের সাথে সাথে এই পৃথিবীর সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আর মানুষ আসার পরে সেগুলোকে আবার নতুন ভাবে সাঁজানো হয়েছে! তবে মূল কথা হলো, এই পৃথিবীতে মানুষ্য বসতি শুরু হওয়ার আগে শুধু ডাইনোসর নয়, আরো অনেক প্রকারের প্রাণী বসবাস করতো! যাদের মধ্যে কারো কারো বংশধর গন এখনো পর্যন্ত টিকে আছে! আবার অনেক প্রজাতি আছে যারা এই পৃথিবীর সাথে ঠিক-ঠাক মত খাপ খাওয়াতে না পেরে ধ্বংস হয়ে গেছে!


তবে এই বিষয়টা সম্পর্কে আসলে আমি নিজেও ততটা ক্লিয়ার না! আর সেজন্য আপনার প্রশ্নের উত্তরটাও হয়তো আমি সন্তোসজনক দিতে পারবো না!

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

আবু শাকিল বলেছেন: মহা আনন্দ দায়ক পোষ্ট।ডাইনোসর সম্পর্কে কিছু ধারনা পেয়েছিলাম অনেক আগে দেখা জুরাসিক পার্ক মুভিতে।
আপনার পোষ্টে এসে অনেক বিস্তারিত জানা হল।পোষ্ট পড়তে পড়তে বোঝার বাকি রইল না শ্রম কম দিয়েছেন :)
পড়ায় বেশ আনন্দ পেয়েছি।
পোষ্টে কিছু জিজ্ঞাসা ছিল।ব্যস্ততা থেকে ফিরে আসেন-তারপর করব।উপরে দেখলাম
রানা ভাই একটা করেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি! সত্যি বলতে কি, আমি বর্তমানে আসলেই অনেক ব্যস্ত আছি। তবে মন্তব্যের প্রতিউত্তর গুলো ফেলে রাখাটা আমার কাছে খুব একটা ভাল লাগে না! আর তাই ব্যস্ততার মাঝেই যতটা সম্ভব আপনাদের মন্তব্যের প্রতিউত্তর করার চেষ্টা করছি!


দেখুন, রানা ভাই যে প্রশ্ন দুইটা করেছে সে দুইটা অনেক সুন্দর প্রশ্ন! তবে কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের মত মানুষের ব্রেণে ধরে না! যেমন, এখানে কিন্তু এমন প্রশ্নও আসতে পারে যে, এই পৃথিবীর বয়স যদি সাড়ে চার'শ কোটি বছর হয়। আর আজ থেকে ২৩ কোটি বছর আগে যদি এই পৃথিবীতে ডাইনোসর নামক কোন প্রাণী বসবাস করে থাকে! আর ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে যদি তারা ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে তারও আগে এই পৃথিবীতে কারা বসবাস করতো?

একদম মাথা ঘুরানো প্রশ্ন না? আর এই ধরনের প্রশ্ন অামাদের মাথায় অহরহ ঘুরপাঁক খাচ্ছে! কিন্তু তার কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না! অাসলে মানুষ মাত্রই কল্পনা প্রবণ। অার সেজন্যই তার মাথাতে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খায়!

তো অাপনার প্রশ্ন অাপনি নির্দিধায় করতে পারেন! সময় সুযোগ মত অামি অবশ্যই প্রতিউত্তর করার চেষ্টা করবো। যদি সেটা অামার জানা থাকে! তবে তুলনামূলক ভাবে সহজ প্রশ্ন করার অনুরোধ করছি। কারণ পিছনের বেঞ্চের ছাত্রতো! দেখাগেল অাপনার প্রশ্নের পর খালি বেঞ্চটাই পড়ে অাছে, অামি নাই........!! :`>

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

হাসান মিঠু বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন মিঠু ভাই! অনেক অনেক শুভকামনা!

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মাধ্যমিকে না উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় এ সম্পর্কে সামান্য জেনেছিলাম । এই পোস্টটি পড়ে বিস্তারিতভাবে জানা গেলো । চমৎকার একটা পোস্ট!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটার মাধ্যমে ডাইনোসর সম্পর্কে যে আপনাকে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি সেইটা জানতে পেরে অনেক ভাল লাগছে!




মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাধু ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ গবেষণা করেছেন দেখি !! আমার একটা উড়ন্ত ডাইনোসর থাকলে ভাল হত তাহলে পৃথিবী ঘুরে দেখতে পারতাম বিনে পয়সায় !!! হা হা

ডায়নোসর নিয়ে নানা মুভি, এনিমেটেড মুভি দেখে কিছুটা জেনেছি । তবে আপনার বিস্তারিত পোস্ট পড়ে আরো বিস্ময়কর অনেক তথ্য জানলাম ।

একটা প্রশ্ন - তখন যদি মানব সম্প্রদায় না থাকে তবে নূহ (আঃ) এর যুগের মহাপ্লাবনে ডায়নোসর বিলুপ্ত হয় কী করে !!!

অফ টপিকঃ আপনার এক্সিডেন্টের কথা জেনে খারাপ লাগলো । দোয়া করি অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই আপনার জন্য একটা উড়ন্ত ডাইনোসের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানিয়ে গেলাম! যাতে আপনি বিনা খরচে সমগ্র পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে আসতে পারেন! কিন্তু দাবিটা কার কাছে করি বলেন তো?



দেখুন, আমি এখানে উল্লেখ করেছি যে, ঠিক কি ভাবে ডাইনোসর নামক এই প্রাণীটা চিরদিনের মত এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে! আর তার ব্যাখাও করেছি, যার সব গুলোই সংগৃহীত! একটাও আমার মন গড়া কথা নয়!

এখন কেউ যদি বলে যে নূহ (আ.) এর জানামায় সেই মহা প্লাবনে ডাইনোসর নামক প্রাণীগুলো সব ধ্বংস হয়ে গেছে, তাহলে তাদের মুখ বন্ধ করার মত কোন ক্ষমতা তো আমার কাছে নেই! ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা ঠিক কোন ধরনের ধারনা পোষণ করেন, আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমি শুধু মাত্র সেই গুলোই উল্লেখ করেছি মাত্র! আর যেখানে স্পষ্টতো প্রমাণই আছে যে ডাইনোসরের যুগে কোন মানব সম্প্রদায় ছিল না, তখন নূহের প্লাবনের কারণে যে ডাইনোসর ধ্বংস হয়নি সেটা তো পরিষ্কার! কিন্তু অনেকে অাছেন কোন কিছু না ভেবেই, একটা বিষয় সম্পর্কে অনেক ফালতু ধারনা পোষণ করে বসে থাকে! মনে করতে পারেন এটাও ঠিক তেমন একটা ধারনা!

বিঃদ্রঃ- আসলেই আমি অনেক অসুস্থ! আজ ছুটি কাটাচ্ছি বলেই হয়তো আপনাদেরকে একটু সময় দিতে পারছি, না হলে পারতাম না! তাছাড়া ভাবছিলাম পোস্ট করার পরে হয়তো ব্যস্ততার কারণে মন্তব্যের উত্তর করতে পারবোনা! কিন্তু যখন ফ্রি-ই আছি তখন বসে থেকে লাভকি! উত্তর গুলো দিয়েই ফেলি! অাজ না হোক, কাল তো এই উত্তর গুলো অামাকেই করতে হবে?

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

রিকি বলেছেন: একটা গোত্র ছিল তৃণভূজী এবং অপর গোত্র ছিল মাংসাশী।

ডাইনোসর ফুড অ্যান্ড ফিডিং হ্যাবিটের দিক দিয়ে তিনধরণের ছিল----Herbivore, Carnivore, Omnivore (সর্বভুক)। :) :)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ রিকিপু!
পোস্ট অাপডেট করার সময় উক্ত বিষয়টা ঠিক করে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি!



ভাল থাকবেন এবং শুভকামনা জানবেন!

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ডায়নোসরিক পোষ্ট।

প্রিয়তে। হুট করে ডায়নোসর নিয়ে লাগলেন কেন? B:-/



বিলুপ্ত আসলে কিভাবে হয়েছে সেইটা নিয়ে আসলেই বিতর্ক আছে।
তবে, আমার কাছে অ্যাস্ট্রয়েড স্ট্রাইকটাই বেশি গ্রহণযোগ্য লাগে।
কয়েকটা ভিডিও দেখেছিলাম। ডায়নোসরদের বেশির ভাগই মরে ঐ উল্কা পিণ্ডের কারণেই।
তারপরও কিছু বেঁচে ছিল।

বিজ্ঞানীদের এই প্রশ্নটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। ধুমকেতুর নিক্ষেপের পর শুধু ডায়নোসরই না, পৃথিবীর আরো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তার মাঝে একটা হল - বসবাস অনুপোযোগিতা।

বেঁচে থাকার কোন অবস্থায়ই ছিল না। দুর্যোগ হলে ক্ষয়ক্ষতি তো তখনই হয় না শুধু, দুর্যোগ শেষ হলেও হতে থাকে। ডায়নোসরগুলোও এইভাবেই ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

এইটা অবশ্য আর্টিকেলগুলো পড়ে আমার নিজস্ব মত।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যি বলতে কি ভাই, ডাইনোসর নিয়ে আমার মূলত লেখার আগ্রহ জাগে গত মাসে ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত ডাইনোসর নিয়ে একটা প্রামাণ্য চিত্র দেখে! আর সেই থেকেই একটু একটু করে পোস্ট লিখেছি আর ড্রাফট করেছি! তবে আজকে পূর্নাঙ্গ ভাবে পোস্টটা প্রকাশ করলাম!



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা!

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুমন কর বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট !! আংশিক পড়ে, + দিয়ে গেলাম.... ;)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আংশিক পড়ে প্লাস দিয়ে গেলেন! তাইলে পুরোটা পড়ার পর কি দেবেন ভাই?



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ডাইনোসর উপাখ্যানের খানিকটা পড়ে গেলাম সাসভাই। আবার আসবো। ৯ম + ৬ষ্ট প্রিয়তে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: খানিকটা যে পড়ছেন, তাতেই তো মোগাম্ব খুশ হুয়া! তবে আবার আসলে খুশিই হবো! আপনার আসার জন্য একটু প্রতিক্ষা না হয় আমি করলাম.....!!


মন্তব্য, পাঠ, প্লাস এবং পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য চারবার ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

নীল বরফ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট করেছেন। আমি কিছু প্রামান্যচিত্রে দেখেছি আসলে ওই প্রায় ২৩ কোটি বছর পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের ওই পারে অবস্থিত মেক্সিকোর ইউকাটান জঙ্গলে বিশাল এক ধূমকেতু আঘাত হানার ফলেই ওদের প্রায় (৬৫%) বিলুপ্ত হয়ে যায়। আঘাত হানার ফলে ভয়ংকর লেভেলের প্রচণ্ড শকওয়েভ, উল্কাবৃষ্টিপাত, প্রচণ্ড সুনামি আর ভূমিকম্পন হয়ে পুরো পৃথিবীর চেহারা পাল্টে গিয়েছিলো। ধূমকেতুর আঘাত ছিল নাকি এখনকার সময়ের ১০লক্ষ আণবিক বোমার সমান!। এর ফলে পরবর্তীতে নতুন পৃথিবীর সৃষ্টি হয়, সাথে নতুন গাছপালা আর প্রাণীদের আগমন ঘটে। সাথে নতুন থেরোপড( আধুনিক পাখি) দের আগমন দেখা দেয়। বিজ্ঞান বলে হোমো সেপিয়ন্স( আধুনিক মানুষ) যাত্রার শুরু নাকি এর পরপরই।
ওই প্রামাণ্যচিত্রগুলো দেখে যা বুঝেছি তাই শেয়ার করলাম আরকি!!।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, বিজ্ঞানী এবং জীবাশ্মবিদদের পর্যালোচনা দেখলে আপনার মন্তব্য একদিক থেকে ঠিক, আবার অন্য আর একদিক থেকে ভুল! কারণ আজ পর্যন্ত কোন গবেষকই এই ব্যাপারে একমত হতে পারেননি যে, শুধুমাত্র মেক্সিকোর ইউকাটান জঙ্গলে আঘাত হানা সেই ধুমকেতুর কারণেই ডাইনোসরদের মধ্যে অধিকাংশই মৃত্যু মুখে পতিত হয়। কিংবা শতকরা ৬৫%-ই ধ্বংস হয়ে যায়! তাছাড়া শুধুমাত্র মেক্সিকোর বুকে আঘাত হানলেও যে পৃথিবীর অন্য স্থানে বসবাসরত ডাইনোসররা ধ্বংস হয়ে যাবে এমনটা ভাবাও ঠিক না!


ইহা ছাড়াও সেই আঘাতের ফলে শুধুমাত্র ডাইনোসরই ধ্বংস হবে কেন? সে সময় আরো প্রাণীতো এই পৃথিবীতে ছিল, তাহলে তারা কেন ধ্বংস হলো না?

সত্যি বলতে এই ব্যাপারটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে একাত্মতা হতে পারছে না! এক একজন, এক একটা যুক্তি উপস্থাপন করছে। এবং সে তার সেই যুক্তিটাকেই সঠিক বলে ধরে নিচ্ছে! তবে ডাইনোসর নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপাকভাবে গবেষণা চলছে। ধারনা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই সবাই একটা সমাধানে পৌঁছাবে!

আর একটা কথা হলো, সৃষ্টিকর্তার আঘাত সব সময় অন্য কিছুর তুলনায় একটু বেশিই হয়! দেখুন না, সামান্য কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে সমগ্র পৃথিবী কেমন তছনছ হয়ে যায়!


চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার ধারনাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


একেবারে ডাইনোসরনামা হয়ে গেলো!!! কঠিন বিষয়ে 'সাহসী' উদ্যোগ! সত্যিই অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন।

আপনার বর্ণনার বিশালদেহী প্রাণীটির (বা প্রাণীগুলোর, কারণ এদের মধ্যেও প্রজাতি আছে) কারণগুলো আরও স্পষ্ট হলো।

ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণ ও পরিণতি নিয়ে মানবজাতির ভাবতে হবে, কারণ মধ্যে লুকিয়ে আছে আরও কিছু প্রাণীর বিলোপ হবার সম্ভাবনা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রিয় মইনুল ভাই, ভয়ংকর প্রাণী বা ঐ জাতীয় কিছু নিয়ে লিখতে গেলে একটুতো সাহসী উদ্দ্যোগ নিতেই হয় তাই না? আর আমিও বসে বসে না ঝিমিয়ে শুরু করে দিলাম ডাইনোসর নামা লিখতে! আর যেহেতু ডাইনোসরকে জীবনে স্বচোখে কখনো দেখা হয়নি তখন একটু খোঁজাখুঁজি করতেই হয়!


আপনার মন্তব্যের শেষ প্যারাটার সাথে পূর্ন সহমত জ্ঞাপন করছি! আসলেই শুধু ডাইনোসর নয়, এমন অনেক নাম না জানা প্রাণী আছে যারা এক সময় এই পৃথিবীতে বসবাস করলেও, আজ তারা সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে/যাচ্ছে। যদি ডাইনোসর বিলুপ্তির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে বের করা যায়, তাহলে অন্য বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী গুলোকে হয়তো বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা!

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!!!!


ভাইয়া তুমি এবার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের নিয়ে গবেষনা শুরু করেছো নাকি জিনিয়াসভাইয়া!!!!!!!!:)


প্রজাতিভেদে ডাইনোসরের মধ্যে আকার ও আকৃতিগত দিক থেকে অনেক বিভিন্নতা ছিল। বৃহত্তম সরোপড ডাইনোসরেরা ৫৮ মিটার (১৯০ ফুট) পর্যন্ত দীর্ঘ এবং ৯.২৫ মিটার (৩০ ফুট ৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত উঁচু হত। তবুও উড়তে অক্ষম ডাইনোসর মাত্রই বিশালাকার হবে- এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ উড়তে অক্ষম ডাইনোসরদের মধ্যে অনেক প্রজাতিই ছিল যারা দেখতে অনেকটাই ক্ষুদ্র/ছোট ধরনের। তবে বর্তমানে আবিষ্কৃত জীবাশ্মের বেশির ভাগই বড় মাপের ডাইনোসর- এ'কথা ঠিক। কিন্তু এর কারণ হল জীবাশ্মের আকার বড় হলে তা প্রকৃতির প্রতিকূলতা সহ্য করে প্রস্তরীভবন পর্যন্ত সহজে টিকে থাকতে পারে। এছাড়াও বৃহদাকার ডাইনোসরদের মধ্যে যেগুলোর নাম উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে একটি হলো Giraffatitan brancai যার উচ্চতা ছিলো ১২ মিটার(৩৯ ফুট), লম্বায় ২২.৫ মিটার(৭৪ ফুট) এবং ওজন ছিলো ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ কেজি। তাঞ্জানিয়ায় এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়।এছাড়াও আছে T Rex প্রজাতির ডাইনোসর, যার দৈর্ঘ্য ছিল ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ছিল ১৫ থেকে ২০ ফুট।


ডাইনোসররা যদি এখনও বেঁচে থাকতো কি হত ভাবছি !!!!!!!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপুনি, ইদানিং আমার করা পোস্ট গুলোতে মনে হচ্ছে আপনি সাংঘাতিক ভাবে ভয় পাচ্ছেন? মন্তব্যের মাধ্যমে কখনো বাপরে, কখনো ভয়ংকর, আবার কখনো গেছিরে বলছেন? বিষয়টা কি (?) ভয় তাড়ানোর জন্য একজন পরাবাস্তব কবিরাজ পাঠিয়ে দেবো নাকি?



আপুনি, সব সময় বনে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে এখন নিজেই একটা অপরাবাস্তব ডাইনোসর হয়ে গেছি। আর সে কারণেই জাত ভাইদের নিয়ে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস!

ভাল থাকবেন আপুনি, এবং শুভ কামনা জানবেন!

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

জুন বলেছেন: সাহসী ছোট বেলায় পুরনো একটা ইন্ডিয়ান পুজা সংখ্যা ম্যগাজিনে পড়েছিলাম এক ভয়ংকর ডাইনোসরের কাহিনী । আজকে এই পোষ্ট পড়ে আবার সেই ছোট বেলার কথা মনে পরলো । বরফের নীচে ঘুমিয়ে থাকা এক ডাইনোসরের ঘুম ভাঙ্গিয়েছিল তারা । তারপর যে কত ভয়ংকর সেই সব গা শিউড়ে ওঠা কাহিনী । আর স্পিল্বার্গের জুরাসিক পার্ক এরপর সাহসীর ডাইনোসর :-&
না বাপু আর না । পৃষ্ঠাগুলো ঠাস করে বন্ধ করে সোজা প্রিয় বুকসেলফে রেখে দিলাম । দরজা লাগাতে ভুল করিনি সাহসী :)
অনেক দিন পর সাহসীর এত এত তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট দেখে অনেক অনেক ভালোলাগলো সাহসী ।
+

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: সামু ব্লগের ইবনে বতুতা খ্যাত জুনাপুর ইতিহাস সমৃদ্ধ পোস্টের কাছে 'সাহসী'র পোস্ট তো একটা ক্ষুদ্র অনুর সমান! তারপরেও সেই ব্যক্তিটার কাছ থেকে এত এত প্রশংসা পেয়ে নিজেকে তো অনেক ধন্য মনে করছি!


ডাইনোসর নিয়ে আমার লেখা এই পোস্টটার মাধ্যমে আপনার ছোট বেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পেরেছি বলে অনেক ভাল লাগছে! আমারতো মাঝে-মাঝে ইচ্ছা করে, প্রিয় জুনাপুর সাথে একদিন সময় করে বেরিয়ে পড়ি বিশ্ব ভ্রমণে!


পাঠ, মন্তব্য, প্লাস এবং পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য আপনাকে থ্যাংস টু দি পাওয়ার ফোর! ভাল থাকবেন আপু!

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠ -২২২ , লাইক - ১৪ , প্রিয়তে -১১ , কমেন্ট - ১৮ । =p~ =p~

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: লিটন ভাই, আপনাকে ২৬৫টি টা ধন্যবাদ জানাইলাম! শুভ কামনা জানবেন!

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ডাইনোসর নিয়ে শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা।

আমার ছেলের এই নিয়ে অনেক বই আছে। কত্ত কিছু যে বলতে থাকে রাতদিন এই ডাইনোসর নিয়ে, শুনতে শুনতে একেবারে বিরক্ত হয়ে গেছি।

আপনিও দেখি এখন ডাইনোসরের আদ্যোপান্ত নিয়ে পোস্ট করেছেন।

কত জন কত কিছু হতে চাই, আর আমার ছেলে এখন পর্যন্ত বলে সে ডাইনোসরের গবেষক হবে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আহারে, পোস্টুর মাধ্যমে রুহীপুর কান ঝালাপালা করনের লাই পেত্তমেই ছুরি (স্যরি)! তয় আপনার ছেলের কাছে অনুরোধ রাখছি, সে যেন আমার এই পোস্টটা পড়ে আপনার ঝালাপালা আরো দ্বিগুন করে দেয়! ;) আসলে বিষয়টা হইলো কি আপু, আমারও অনেক ভাল লাগে আমার আম্মুরে জ্বালাইতে! আর সেজন্য যারা মাকে এইসব বিষয় নিয়ে জ্বালায়, আমি সব সময় তাদের পক্ষে! :`>


মন্তব্য পরিশেষে আপনার ছেলে যে ডাইনোসরের গবেষক হতে চাচ্ছে সেইটা জেনে ভাল লাগলো! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কিন্তু দাবিটা কার কাছে করি বলেন তো? - এবার তো টেনশানে ফেলে দিলেন !! আমাদের প্রধানমন্ত্রী ম্যাডামের কাছে করলে কেমন হয় !!!

হুম বুঝতে পারলাম । এখনো অনেক কিছুই বিতর্কিত ।

আপনি রেস্ট নিন । ভাল হয়ে উঠুন ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমাগো দুস্ক দেখনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কি আর এত টাইম হবেরে ভাই! উনারা কত বিজি মানুষ......!!


আপাতত একদম সুস্থ আছি। তয় একখান নখ হারানোর বেদনায় গভীর দুস্কে কাতর! কবে নাগাদ যে আমার হারানো ধন ফিরে পাবো!


ফিরতি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি! শুভ কামনা জানবেন!

২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

রাবার বলেছেন: এক সময় ডাইনোসর দুনিয়ায় আছিল জানতাম। কিন্ত এত খবর জানা আছিল না ভাই। আপনারে ধইন্যা।
++++++++++++্

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাস খিলানোর জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধইন্যাপাতা দিলাম! শুভ কামনা জানবেন!

২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

লেখোয়াড়. বলেছেন:
তথ্যবহুল মেগা পোস্ট।
অসাম!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লেখোয়াড় ভাই, শুভ কামনা জানবেন!

২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: ডাইনোসর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অাপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য, ভুল টা আমার হয়েই গেলো, মিলিয়ন টা মাথায় ছিল কিন্তু লেখার সময় লেখা হয় নি। আবার প্রশ্ন যাগে মনে।

০১ ডাইনোসর পরবর্তী যুগে ধরে নিচ্ছি অন্য কোন প্রানী ছিল তবে তাদের ফসিল কোই ?
০২ ডাইনোসরদের ফসিল পৃথিবীর পরতে পরতে আছে যা আজ আমরা খুজে পাচ্ছি, তবে মানুষের ফসিল কেন পাচ্ছি না। তবে কি ডাইনোসরের শারীরিক কাঠামো কি ভিন্নতর ছিল ? যা পচন শীল নয়। আমার জানা মতে এক মাত্র হিলিয়াম গ্যস পারে সব কিছু অনন্ত কাল জমিয়ে রাখতে। আর জতটুকু জানি অনেক শুষ্ক ও আদ্র অঞ্চলেও ডাইনোসরের ফসিল প্রায় অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: রানা ভাই, আমার এই পোস্টে আপনার উপস্থিতিটা উক্ত পোস্টের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব বহন করছে! এবং সেই সাথে পোস্টটাও অনেক প্রানোবন্ত হয়ে উঠেছে। আর সেজন্য প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ! এবার আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে-




আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে এখানে একটা কথাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে হচ্ছে। আর সেটা হলো, ডাইনোসর আয়তনের দিক থেকে অন্য প্রাণীদের তুলনায় অনেক বৃহৎ আকৃতির। এখন কথা হলো, আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে মরে যাওয়া কোন প্রাণীর জীবাশ্ম যদি পেতেই হয় তাহলে সেই প্রাণীটিকে ঠিক ততটাই বড় হওয়া লাগবে, যতটা বড় হলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যেও উক্ত জীবাশ্মটি টিকে থাকতে পারবে। আমার জানা মতে তৎকালিন সময়ে শুধুমাত্র ডাইনোসর বাদে এমন আর কোন বৃহৎ প্রাণী ছিল না যাদের কে নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি চিন্তিত। তাছাড়া সেই যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এই পৃথিবীর বুকে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্প, ঘুর্ণিঝড়, সাইক্লোন, টর্নেডো ইত্যাদী! এখন বিষয়টা হলো, সামান্য একটা পিপড়ার (ধরে নিলাম আর কি) জীবাশ্ম কি এইসব প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে? নিশ্চই পারবে না? তাছাড়া অন্যান্য প্রাণীর যে ফসিল পায়নি সেটা আপনাকে বলল কে? এইতো কয়েকদিন আগে বিবিসির এক সংবাদে দেখলাম, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কোন এক জঙ্গলে মানুষের মাথার মত একটা মাথার খুলি পাওয়া গেছে। আর সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন নানান ভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করছে! তাহলে আপনার প্রশ্নটা আমি কিভাবে মানবো যে, শুধুমাত্র ডাইনোসর বাদে অন্য কোন প্রাণীর ফসিল আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি?


আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে আসি। দেখুন মানুষ কিন্তু সামাজিক জীব। এবং অন্যান্য প্রাণীর যেভাবে মৃত্যু হয় মানুষের মৃত্যুটা ঠিক সেভাবে হয় না। আর হলেও মৃত্যুর পর অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে যেমনটা হয়, মানুষের ক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক তেমনটা হয় না! অন্যান্য প্রাণীর মৃত্যু হলে তারা যেখানে সেখানে পড়ে থাকে, কিন্তু মানুষকে কি কখনো মরে যেখানে সেখানে পড়ে থাকতে কিংবা পঁচে গলে যেতে দেখেছেন? সাধারণত কোন মানুষের মৃত্যুর পর জাতিগত প্রথা অনুযায়ী যে যে সম্প্রদায়ের হয় তাকে ঠিক সেই সম্প্রদায়ের রিতি নীতি অনুযায়ী তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়! উদাঃ সরুপ- মুসলমান হলে কবর দেয়, হিন্দু হলে পুড়িয়ে ফেলে, খ্রিষ্টান হলে কফিনে রাখে।

আর এই রিতিটা চলে আসছে সেই আদি যুগ, মানে প্রথম মানব থেকেই! দেখেন কুরআন শরীফে এবং হাদিস শরীফে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে যে, হযরত আদম (আ.) এর পুত্র কাবিল কিভাবে তার ভাই হাবিল কে হত্য করলো। এবং হত্যা পরবর্তি কিভাবে সেই লাশকে দাফন করলো। সুতরাং প্রকৃতির বুকে ডাইনোসর বা অন্যান্য প্রাণীর মত মানুষের ফসিল খোঁজাটা শুধুমাত্র বোকামী বই অন্য কিছু নয়!


আর কিভাবে ডাইনোসরের ফসিলকে শুষ্ক এবং আদ্র অবস্থাতে পাওয়া গেছে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি স্বচোখে দেখেছি, অনেক মরা গরু বা মরা কুকুরের হাড় দু'পাঁচ বছর পর্যন্ত রাস্তার পাশে বা নালার পাশে অবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে। সুতরাং ডাইনোসরের হাড়ও হয়তো সৃষ্টিকর্তার কুদরতেই আজও অবিকৃত অবস্থায় অনেক স্থানে পড়ে আছে!

আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পেয়েছেন? ভাল থাকবেন ভাই!

২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার এই তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট । এভাবে হয়তো আমরাও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবো , হয়তো আসবে অন্য কোন প্রজাতি । তবে বিলুপ্ত না হবার সম্ভাবনাও রয়েছে । বিজ্ঞানীরা নানা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে মানুষের বিলুপ্তি ঠেকেতে । আর এই বিলুপ্তি ঠেকাতে গিয়ে আমরা ন্যাচারাল প্রসেসটা নষ্ট করে ফেলছি ধীরে ধীরে । যাক বেশী কথা বলে কাজ নেই ...

আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন , এই কামনা করি । :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: গুলশান আপু, প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর মন্তব্যের জন্য! আসলে সত্যিটা হলো, সেই দিনই মানুষ সহ সমস্থ সৃষ্টিজগত বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যেদিন সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক কিয়ামত সংগোঠিত হবে!




আমি আপাতত সুস্থ আছি। আপনার জন্যও শুভ কামনা!

২৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

টোকাই রাজা বলেছেন: বরাবরই ঐ ব্যাটার প্রতি(ডাইনোসর) আমার আগ্রহ প্রচুর। তাই প্রিয়তে নিলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পাঠ এবং প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ডাইনোসর ফুড অ্যান্ড ফিডিং হ্যাবিটের দিক দিয়ে তিনধরণের ছিল----Herbivore, Carnivore, Omnivore (সর্বভুক)। রিকি আপির কথায় ভয় পাইলাম :-&

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ডাইনোসর এখন তো আর এই পৃথিবীতে নেই। তাহলে হঠাৎ এত ভয় পাওয়ার কি আছে?





মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

২৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: চমৎকার তথ্য বহুল গবেষণা ধর্মী মেগা পোস্ট । বেশ খাটাখাটনি এবং সময় নিয়ে পোষ্টটি করেছেন বুঝা যাচ্ছে।
শুভ কামনা রইল। !:#P



১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, এরকম পোস্ট করতে গেলে একটু খাটাখাটনি তো করাই লাগে ভাই! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলে কি যে মন্তব্য করব বুঝতাসি না। এক কথায় অসাধারন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও ভাই আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর যে কি করবো বুঝতাছি না! এক কথায় চমৎকার! শুভ কামনা জানবেন!

৩০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ডাইনাসোরের বিলুপ্তি হয়েছে কি? আমার জানা মতে তেলাপোকাদের সাথে ওদের একটা সংযোগ রয়েছে।

সে যাই হউক, আপনার এই পোষ্টটি আমার জানা মতে ডাইনাসোর নিয়ে লেখা সেরা লেখা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ডাইনোসরের সাথে তেলাপোকার সম্পর্ক? বিয়াপুক চিন্তায় ফ্যালাই দিলেন ভাই!




মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অতিকায় ডাইনোসর বিলুপ্ত হইয়া গেছে... মুরগী এখনো টিকিয়া আছে :|

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, আমরা সবাই একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবো! ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ!

শুভ কামনা!

৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

রিকি বলেছেন:

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ডাইনোসর ফুড অ্যান্ড ফিডিং হ্যাবিটের দিক দিয়ে তিনধরণের ছিল----Herbivore, Carnivore, Omnivore (সর্বভুক)। রিকি আপির কথায় ভয় পাইলাম :-&

না সত্যি ছিল, দেখেন--- সংখ্যা কম ছিল যদিও।লিঙ্কে ক্লিক করে দেখতে পারেন। :) :)

view this link

Ornithomimus



Oviraptor



B-) B-) B-) B-)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: গোল্ডেন গ্লাইডার ভাই না দেখলেও আমি দেখছি! আর আপনার মন্তব্যের অংশটা আমি আগেই পোস্টে সংযুক্ত করে দিয়েছিলাম!


পূণমন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি!

৩৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

রিকি বলেছেন: আপনাকে বারোভাজার শুভেচ্ছা !!!! ;)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকে আইসক্রিমের শুভেচ্ছা!

৩৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বিষয়বস্তু + সাইজ দুইটাই ডাইনোসরিক। =p~

কিছুটা পড়লাম। বাকিটা বকেয়া পাঠ্য রইল। মন্তব্যগুলান সব পড়লাম।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন রাজপুত্র! শুভ কামনা!

৩৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

জুন বলেছেন: ফেবু নাই :(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাইলে আর কি করাম! মুখ গোমড়া করে বসে থাকি.....!!

৩৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মেসোজোয়িক মহাযুগ বা এরা হলো এজে অব ডাইনোসর আর তাদের এক্সটিংশন নিয়ে আছে দারুন কিছু কনসেপ্ট ব্যাপারগুলো খুব মজার । দারুন তথ্য বহুল পোস্ট চোখ বুলালাম । প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । আবার পড়বো সময় করে ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

জেন রসি বলেছেন: একদিন হয়তো মানুষ নিয়াও এমন কিছু লেখা হবে!! একসময় মানুষ নামে এক বিস্ময়কর প্রাণী ছিল!! তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ নামক এক খেলা খেলত!! তারপর সেই খেলা খেলতে খেলতে তারা বিলীন হয়ে যায়! ;)

চমৎকার পোস্ট সাহসী ভাই। মনে হইতেছিল জুরাসিক পার্ক মুভির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা পড়তেছিলাম! :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: বর্তমান বিশ্ব পরিবেশের দিকে তাকালে আপনার মন্তব্যের যথার্থ সত্যতা উপলব্ধি করা যায়! মানুষ ইচ্ছা করলে ভাঙতেও পারে আবার গড়তেও পারে!


পারমানবিক বোমা আবিষ্কার হওয়ার পর এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তৎকালিন একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ইসিডর রাবি মন্তব্য করেছিলেন যে, "প্রকৃতির সকল নিয়ম আজ উল্টে গেল, মানুষ আজ থেকে পৃথিবী ধ্বংসের স্রষ্টা হলো!"


চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন রসি ভাই! শুভ কামনা!

৩৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভীষণ কষ্টসাধ্য একটা কাজ করেছেন , সেজন্য সাধুবাদ। অনেক কিছু জানা হলো, সেজন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ তনিমা আপা! শুভ কামনা জানবেন!

৩৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: একদিন হয়তো মানুষ নিয়াও এমন কিছু লেখা হবে!! একসময় মানুষ নামে এক বিস্ময়কর প্রাণী ছিল!! তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ নামক এক খেলা খেলত!! তারপর সেই খেলা খেলতে খেলতে তারা বিলীন হয়ে যায়! ;)

লেখাটা পড়বে কে/কারা?

আর পৃথিবীর রসদ যেভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজাতির উদ্ভব হলে মনে হয় খুদে আকৃতির হবে। আমরা তখন ডাইনব হবো। ;)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: রাজপুত্র ভাই, সব থেকে সত্যি কথাটা হলো। এই পৃথিবী থেকে যেদিন মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে, সেদিন আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। সুতরাং সেই লেখাটাও কেও লিখবে না, আর পড়ার মতোও কেও অবশিষ্ট থাকবে না!




পূনমন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন! শুভেচ্ছা!

৪০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কার্বোনিফেরাস (Carboniferous) সময়টা পেনসিলভিনিয়ান ও মিসিসিপিয়ান দুটো টাইম ইউনিটের সমন্বয়ে গড়া । এসময়ে সৃষ্টি হয়ে খনিজ কয়লা ।এটি পেলিওজোয়িক ইরার অংশ । প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের বেলায় টাইম ইউনিট গুলি খুব গুরুত্ব রাখে । সময়ের সঙ্গেই প্রাণীর বিবর্তন এক্সিংশন । মোটামুটি ভাল হয়েছে । অনেক পরিশ্রম করেছেন । আপনার পরিশ্রম প্রশংসার দাবী রাখে । এক সময় ভাল লিখতে পারবেন ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাল কিছু লেখার চেষ্টা করছি সেলিম ভাই, তবে স্বার্থক হচ্ছি কিনা জানিনা! কিন্তু তারপরেও লেখাটাযে আপনার কাছে মোটামুটি লেগেছে তাতেই আমি স্বার্থক!


ধন্যবাদ জানবেন!

৪১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

জেন রসি বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: একদিন হয়তো মানুষ নিয়াও এমন কিছু লেখা হবে!! একসময় মানুষ নামে এক বিস্ময়কর প্রাণী ছিল!! তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ নামক এক খেলা খেলত!! তারপর সেই খেলা খেলতে খেলতে তারা বিলীন হয়ে যায়! ;)

লেখাটা পড়বে কে/কারা?

আর পৃথিবীর রসদ যেভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজাতির উদ্ভব হলে মনে হয় খুদে আকৃতির হবে। আমরা তখন ডাইনব হবো। ;)


লেখাটা পড়বে প্রাকৃতিক নির্বাচনে টিকে থাকা অন্য কোন বুদ্ধিমান প্রাণী! যখন ডাইনোসররা ছিল তখন কিন্তু আমাদের অস্তিত্বই ছিলনা। তেমন কিছু ভবিষ্যতেও হতে পারে!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: সেই প্রাণী গুলো কেমন হতে পারে তার কোন বর্ননা কি আপনি দিতে পারবেন রসি ভাই?
আমারতো মনে হয় মানুষ বিলুপ্তির সাথে সাথে সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে যাবে!

৪২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

শায়মা বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র আর জিনিভাইয়ার কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে ক্রমান্বয়ে লিলিপুট টাইপ প্রজাতিতে পরিনত কোনো অতি বুদ্ধিমান জাতিই একমাত্র টিকে থাকবে। অতিকায় থেকে অতিক্ষুদ্র!!!!!:)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম হইতেই পারে। কারণ আপুনি যখন কইছে তখন আর অ-স্বীকার করার কিছু নেই। তবে সেগুলোর নাম লিলিপুট টাইপের কিছু না হয়ে জাম্বুপুট টাইপের কিছু একটা হবে।

৪৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: একদিন হয়তো মানুষ নিয়াও এমন কিছু লেখা হবে!! একসময় মানুষ নামে এক বিস্ময়কর প্রাণী ছিল!! তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ নামক এক খেলা খেলত!! তারপর সেই খেলা খেলতে খেলতে তারা বিলীন হয়ে যায়! ;)

লেখাটা পড়বে কে/কারা?

আর পৃথিবীর রসদ যেভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজাতির উদ্ভব হলে মনে হয় খুদে আকৃতির হবে। আমরা তখন ডাইনব হবো। ;)

এধরণের হওয়ার কোন সুযোগ নাই । সীমিত জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ যে জানে না আগামী বাচবে কি মরবে তাদের এমন প্রেডিক্শন মূর্খদের বিভ্রান্ত করবে এতে কোন সন্দেহ নেই ।

ইতিমধ্যে তেমন কমেন্ট আসা শুরু হয়েছে ।বুদ্ধিমান মানুষ এগুলোকে পাগলের প্রলাপ ভাববে । #:-S

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই মানুষের মধ্যে দুইটা শ্রেণী। এক শ্রেণী প্রশ্ন করে, আর এক শ্রেণী উত্তর দেই। কেও জানার জন্য প্রশ্ন করলে বোকা থাকে দুই মিনিটের জন্য। আর যারা প্রশ্ন করতে লজ্জা পায় তারা বোকা থাকে সারা জীবনের জন্য!




সুতরাং কোন প্রশ্ন করাকে আমি পাগলের প্রলাপ বলিনা। বরং তাকে অবশ্যই ইন্টেলিজেন্ট ভাবি। আর দিশেহারা এবং রসিভাই কিন্তু ঐ গুলো শুধুমাত্র মজা করেই বলেছিল। ঐটা সিরিয়াসলি কিছু না!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

জেন রসি বলেছেন: সেলিম ভাই একদিকে কইলেন মানুষ মূর্খ!!! তাই তাদের প্রেডিক্ট করা ঠিক হবেনা।আবার কইলেন বুদ্ধিমান মানুষ পাগলের প্রলাপ ভাববে!! আবার এইটাও কিন্তু আপনি প্রেডিক্ট কইরা কইলেন!! এখন কন আপনি কি মূর্খ না বুদ্ধিমান!!??? ;)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: সেলিম ভাই শুধু বুদ্ধিমানই নন, একজন জ্ঞানী ব্যক্তিও বটে! সামনে ওনার কবিতার বই বের হচ্ছে জানেন না? সুতরাং ওনাকে অমন কথা বলবেন না, আপনার প্লিজ লাগে!

৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রথম কথা সুপ্রিয় সেলিম ভাই,
সেন্স অব হিউমার বাড়াইতে হইবে। কিঞ্চিৎ বেশি বাড়াইএন।


মানুষ শেষ হওয়াতেই পৃথিবীর সবকিছু শেষ হবে এইটার কোন সলিড প্রুফ না পাইলে বিশ্বাস করতাম না ভাই। যেহেতু মানুষ কেন্দ্র করে পৃথিবীর সৃষ্টি নয় তাই মানুষের সমাপ্তিতে পৃথিবী কেন ধ্বংস হবে? মানুষ সর্বোচ্চ পৃথিবীকে তার নিজের বাসের অযোগ্য করতে পারে। আমি ডারউইনের দিকে হেলিয়া পড়লাম। ;)
পৃথিবী মহাশূন্যে বিলীন হবে না মানুষ বিলীন হবে পৃথিবী থেকে। এবার কোন গ্রহ যদি পৃথিবীতে আইসে হামলে পড়ে তবে অন্য কথা।

যা কোইলাম তাহার সাইন্টিফিক কোন ভিত্তি নাই। এতে জ্ঞানী মূর্খ কেউ ভুল বুইঝেন না। ;)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: রাজপুত্র ভাই কিছু মনে করবেন না, আপনি নিজেই যখন জানেন যে আপনার বলা কথা গুলোর কোন ব্যাখ্যা নেই তাহলে সেই কথা গুলো বলা আদৌ কি ঠিক হলো!


মানুষের জন্য হয়তো পৃথিবীটা তৈরি করা হয়নি। কিন্তু এই মানুষের জন্যই কিন্তু পৃথিবীটাকে বাস যোগ্য করা হয়েছিল। কারণ সৃষ্টির সময় এই পৃথিবীটা কিন্তু একটা গ্যাসের পিন্ড ছিল। যেখানে শুধু মানুষ কেন, কোন প্রাণীরই বসবাস করার ক্ষমতা ছিল না। এমনও হতে পারে, হয়তো সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর আগে অন্য প্রাণী পাঠিয়ে সেটাকে বাস যোগ্য করে তুলেছিলেন!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

বনমহুয়া বলেছেন: ডাইনোসর আমলে কোনো বনের ফুল নাই? অতিকায় ফুল?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হঠাৎ পথ ভুল করে আমার এখানে চলে আসলেন কিনা বুঝতে পারলাম না? তবে এসেই যখন পড়েছেন তখন আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি!


ডাইনোসরের আমলে কোন অতিকায় বনের ফুল ছিল কিনা আমার ঠিক জানা নেই! তবে আপনি জ্ঞানী মানুষ, একটু কষ্ট করলে অন্য কোথার থেকেও আপনার প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে যেতে পারেন!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! আপনার জন্য অফুরন্ত শুভ কামনা রইলো! ভাল থাকবেন!

৪৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



বেশ সাহসী একটি কাজ করে ফেলেছেন । অনেককিছুই জানতে পারবে পাঠক ।
এরকম কঠিন একটি প্রচেষ্টাকে "থাম্বস আপ" বলতেই হয় । পোষ্টে প্লাস ।

শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি । শুভ কামনা রইলো ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: 'থাম্বস আপ'? বিষয়টা বুঝিনি! তবে কথাটা পড়ে কেন জানি হাসি লাগলো। আপনার মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণীত হইলাম জী এস ভাই!




আপাতত সুস্থ আছি! আর আপনার জন্যেও শুভ কামনা!

৪৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রিয় সাহসী ভাই,
আপনিও কিন্তু প্রতিউত্তররে বলেছেন
হয়তো/এমনও হতে পারে
আপনিও নিশ্চিত নন।

ডালটনের মতবাদে পরে ত্রুটি পাওয়া গেছে, ল্যামার্কের অর্জিত গুণের বংশানুসরণ মতবাদ টি ওয়েইজম্যান ভুল প্রমাণ করেছিলেন।
কিন্তু ডালটন বা ল্যামার্ক যদি তাদের সূত্রগুলো তুলে না ধরতো তাহলে আরো লজিকাল কনক্লুশনে আমরা আসতে পারতাম না।

আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে কারো সাধারণ চিন্তা থেকেও অসাধারণ কিছু পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে সাধারণ বলে যদি বলাই বন্ধ করে দেওয়া হয় তবে সব জানাই তো অজানা রয়ে যাবে। [আমি ল্যামার্ক বা ডাল্টনকে সাধারণ বলি নি, নিজেকে বলেছি]

তাই আমার মনে হয় আমাদের আলোচনা করা উচিত। প্রাসঙ্গিক। তবেই জানার পরিধি বাড়বে।

হ্যাঁ আমার প্রথম মন্তব্যে ভুল আছে। কারণ ঘোড়ার জীবাশ্ম থেকে দেখা যায় যে আজকের ইকুয়াস আদি ইয়োহিপ্পাস থেকে প্রায় ৫ গুণের থেকেও বড়। অর্থাৎ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মানে পরবর্তী প্রজন্ম যে অতিক্ষুদ্র হবে তা ভিত্তিহীন।

এবার ব্যাপারটা হচ্ছে ভাই সাইন্টিফিক ভিউএ আমি মন্তব্য করি নি। মন্তব্য করা শেয়ার করা কথা বলা এটা নিজের পাণ্ডিত্য দেখানোয় সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষপাতী আমি না। বরং হৃদ্যতা বাড়ানোই উদ্দেশ্য।

ধন্যবাদ সাহসী ভাই। ভালো থাকবেন। সম্ভাব্য শুভরাত্রি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: রাজপুত্র ভাই, মন্তব্যের মাধ্যমে আপনি যে সুন্দর কথা গুলো বলেছেন সেটাতে লাইক না দিয়ে পারলাম না! অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে!

আসলে সেটাই সঠিক! কোন বিষয় নিয়ে অহেতুক তর্ক না করে সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে। এটাতে বরং উভয়েরই লাভ। কারণ মন্তব্যের মাধ্যমে শুধু আলোচনাই নয় অনেক নতুন জিনিসও শেখা যায়!

শুভ রাত্রি! ভাল থাকবেন!

৪৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন পোস্ট। অনেক মন্তব্যে আরো কিছু সুন্দর তথ্য উঠে এসেছে।

শারীরিক অসুস্থতার কি অবস্থা?

ভালো থাকুন।

শুভেচ্ছা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য প্রথমেই সাবির ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

বর্তমানে আমি ভাল আছি। এবং শারীরিক অসুস্থতাও অনেকটা ভাল। তবে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আছি ভাই!

আপনার কি খবর বলেন তো? মাঝে মাঝে আসেন, আবার কোথায় হাওয়া হয়ে যান? !:#P অনেক ব্যস্ত আছেন বুঝি?

আপনিও ভাল থাকুন। এবং শুভ কামনা জানবেন!

৫০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: শরীর কেমন আছে ? পা ঠিক হয়েছে তো ??

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: হাজার মানুষের ভিড়ে মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ ভাপু! শরীর ভাল আছে, তবে পা এখনো ঠিকঠাক সেরে উঠেনি! ডাক্তারের নির্দেশ রেস্টে থাকা, আর অফিসিয়ালি নির্দেশ কাজ করা! সুতরাং দুইটার মাঝে পড়ে এখন আলু ভর্তা মার্কা অবস্থা!


আপনার জন্য অফুরন্ত শুভ কামনা!

৫১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হুম । নখ গজানো কিছুটা সময় সাপেক্ষ । রেস্টে থাকা, কাজ করা এই দুইকে ব্যালেন্স করে চলা ছাড়া যে আর কোন উপায় জানা নেই ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: থ্যাংকিউউউউউউউউউউউ!

৫২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ওয়েলকাম্মম্মম্মম !!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: এইবার মুই কিতা কমু? মুই থ্যাঙ্কু দিলাম, আপনে ওয়েলকাম করলেন। তার থাইক্কা কম্বল মুড়ি দিয়া হুইয়া থাহি, কাজে দিবো! :`>

৫৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল গুরত্বপূর্ন একটি পোস্ট।ধন্যবাদ লেখক ডাইনোসর সর্ম্পকে অনেক কিছু জানা গেল।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই কল্লোল পথিক! শুভ কামনা জানবেন!

৫৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

মারুফ তারেক বলেছেন: অনেক ছুড। পরে পড়ব।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আইচ্ছা! :`>

৫৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

সাথিয়া বলেছেন: চমৎকার পোস্ট সাহসী ভাই ----------ভালোলাগা ৩০ নম্বর

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: পাঠ, প্লাস এবং মন্তব্যের জন্য ট্রিপল ধন্যবাদ সাথিয়া! ভাল থাকবেন!

৫৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: প্রিয় ভাই আপনার তথ্যমুলক লিখটা পড়ে অনেক কিছুই জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ!

৫৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী একটা পোষ্ট, ধন্যবাদ।

খুব কষ্ট করে পোষ্টটা তৈরি করেছেন বুঝাই যায়, অনেক তথ্য বহুল, খুব ভালো লাগলো পড়ে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগছে। আর আপনি পড়ে মন্তব্যে সেটা জানাইয়া গেছেন দেখে আরো ভাল লাগছে।

ধন্যবাদ আপনাকে! শুভ কামনা জানবেন!

৫৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখন কেমন আছেন?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি ভাই! আপনিও নিশ্চই ভাল আছেন?

৫৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪০

শের শায়রী বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। জিওলজির সাবেক ষ্টুডেন্ট হিসাবে এই ব্যাপারে আমার সামান্য কিছু পড়া শুনা আছে। ভাবছি কিনা লিখব। আপানি কি এখন আর লেখেন না?

দারুন লিখছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.