নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্মশান ঠাকুর

শ্মশান ঠাকুর

nothing to say

শ্মশান ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার শিক্ষামান বিচার

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৭

শিক্ষা এবং বাঙালীর শিক্ষার আলোচনায় মান বিচারের প্রশ্ন উঠে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শতবর্ষ হয়ে যাওয়ার পরও তার মান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কি না সে প্রশ্নও উঠে আসার সময় হয়েছে। বৃটিশ কাঠামো এবং পোস্ট কলোনিয়ান বিষয়ের মধ্যকার পার্থক্য এবং আধিপত্যকার কারণও লুকিয়ে আছে। ধরা নেয়া যাক, বাঙালী জাতির মৌলিক এবং আধ্যাত্মিক চর্চার সাথে জড়িত ব্যাক্তি কারা, খুজে নেয়ার জন্য একটি পরীক্ষা চালানো যাক। শিল্প এবং সংস্কৃতিকে মানদন্ড হিসাবে রাখলে, লালন সংগীত সমাজের কোন শ্রেণীর মানুষ বেশি শুনেন? ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খ) শ্রমজীবি মানুষ বা রিকশা চালক।
আমার লেখাটি যদি ইংরেজি অথবা ডার্স ভাষা হতো তবে ক উত্তর হতে পারতো কিন্তু মৌলিক চর্চাহীন শিক্ষায় আমরা জানি উত্তর হবে খ। এর পেছনে যুক্তি হিসাবে প্রথমেই লালন সংগীতকে গীত এ নামানো হবে এবং গীত এবং সংগীতের আলাদা মানদন্ড দিয়ে নিজের জ্ঞানশুন্যতাকে পূর্ণ প্রকাশ করে আরাম অনুভব করবে। গত ত্রিশ বছরের বাংলা কবিতা এবং কবি যে ধারায় ইউরোপীয় ধারার বুদ্ধিজীবিদের বিকট নাম মুখস্ত করেছে, সেখানে জাতিগতভাবে মৌলিকত্বে সন্ধান বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রয়োজনীয়তা এবং মান নিয়ে প্রশ্ন অতি প্রয়োজনীয়।
আবারো ধরে নেয়া যাক, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপযুক্ত মানের শিক্ষা দিচ্ছে এবং অতিরিক্ত ইউরোপীয় এবং বৃটিশ মান ধরে রাখার জন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিমিটেড কোম্পানীগুলো ভাল ব্যবসাও করছে। কিন্তুু প্রশ্ন এই মানের শিক্ষিত জনশক্তি কোন কাজের উপযুক্ত মানদন্ডে মান সম্পূর্ণ হচ্ছে। ক) যারা ইউরোপ আমেরিকা যাচ্ছে, সমাজ এবং তারা নিজেরাও বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্য ধরে নিচ্ছে।খ) সরকারী এবং কর্পোরেট এর দপ্তরিক কাজ করছে। যার বাজার দর আছে। দক্ষতার অন্য মাধ্যমগুলো নিয়ে আলোচনা করাটা লজ্জার। মোটা উদাহরণে চিকিৎসক এবং ইঞ্জিনিয়ার তৈরি উদাহরণ পাওয়া যায়, ভারতের চিকিৎসারত বাংলাদেশীর অর্থ বিয়োগের তালিকা থেকে এবং গত পঞ্চাশ বছরের ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বাড়িগুলোর গঠন দেখলে।
অর্থনীতির একটি উদাহরণ দিয়ে মোটা দাগের উদাহরণ শেষ করবো। বর্তমান সংসারের আয়ের প্রধান মাধ্যম বিদেশ যাওয়া স্কুল পালানো সেই ছেলেরা, যারা কি এক অজানা কারণে সারাজীবন বিদেশ শ্রম দিয়ে সমগ্র অর্থ দেশে পাঠিয়ে মারা যাচ্ছে। হয়তো তার লাশও দেশে আসে না। আর দ্বিতীয় আয় দেশীয় শ্রমিক এর সম্মোনয় নেতা বা মালিকদের ভাষায় গার্মেস্টস । সেখানেও স্কুল শিক্ষা বঞ্চিত দক্ষ জনশক্তি
কাজ করছে।
আমার বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা বন্ধু ,আবেগের সময় তার পুরাতন প্রেমের স্মৃতি স্মরণ করে নিজের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ভারতীয় সিনেমার নায়ক শাহরুখ খান থেকে ভালোবাসা শিখবার কথা স্বীকার করলো। তার এই সরল স্বীকার নিষ্পাপতা তবে এখানে ভাবনার বিষয় রয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় পাশ সফল আমার বন্ধুর মতো দশকের পর দশক ধরে সিনেমা দেখে ভালোবাসা অনুুভব এবং শিক্ষা নেয়া সমাজ। যেখানে সিনেমায় তার চরিত্র হয় সমাজের আর্দশ, সেখানে মৌলিক চরিত্রের সন্ধান থাকে না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা এবং শিক্ষার গঠন কাঠামো মূলত বাংলা এবং ইংরেজি জানা কেরানী তৈরি ছাড়া মৌলিক কোন কাজে অংশ রাখছে না।সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয়তা এবং বিজ্ঞাপণ নিয়ে আরো একবার ভাবনার প্রয়োজন রয়ে যায় প্রত্যেকেরই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার গভীর কোন জ্ঞাণ না থাকলেও কিছু কিছু বিষয় আমার জানা হয়েছে। তার অনেকগুলো বিষয়-ই আপনি তুলে ধরেছেন। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমেরিকায় বিশ্বাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে বাংলাদেশ থেকে আসা কয়েকজন উচ্চ ডিগ্রীধারী ব্যক্তির সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। যারা এদেশে এসে ব্যাচেলরস্ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বিশেষ কোর্সে (মূল প্রোগ্রামে নয়) ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিশেষ করে ইংরেজী আর ম্যাথমেটিকস্-এ, তবে এর বেশীরভাগই অকৃতকার্য ছিলো ইংরেজীতে। বিষয়গুলো আমার কাছে বেশ অবাক করার মতো মনে হয়েছে, তার চেয়ে বেশী উদ্বেগের।

এদেশে পড়াশোনা করে আমার যেটা বারবারই মনে হয়েছে যে বাংলাদেশে স্কুল জীবনে আমার ক্লাসে সে ছেলেটা বা মেয়েটা ১-১০ রোল নাম্বার এ থাকতো, সেই ছেলেমেয়েগুলো এদেশে পড়তে আসতে পারলে খুব ভালো করতে পারতো। আমি বরাবরই মাঝারি মানের ছাত্র ছিলাম, তারপরেও এদেশে এসে আমার রেজাল্ট বেশ ভালো ছিলো। কথাটার সত্যতা আমি পেয়েছি আরো পরে। আমার স্কুল জীবনের এক সহপাীঠ (ও রোল বরাবরই ১/২ এ থাকতো) বাংলাদেশে খুব সম্ভবত বুয়েট থেকে পড়াশোনা করে এখানে এসে মাস্টার্স করেছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের খুব নামকরা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে বিষয়গুলো খুব রেয়ার এটা মানতেই হবে।

যতটুকু জানি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব সম্ভবত মৌলিক গবেষণামূলক কাজ খুব কম হয়। মোটামুটি সকল নাম-দামী প্রফেসরগণ তাদের উচ্চশিক্ষা (মাস্টার্স, পি.এই.ডি) বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন। বিষয়গুলো নিয়ে ভাববার অবকাশ রয়েছে। সে সাথে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে যথেষ্ট উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। অবশ্য নীতি নির্ধারকরাই যদি ইন্টারমিডিয়েট পাশ বা কোটা ব্যবস্থায় এসে সংসদে বসে আলোচনার পরিবর্তে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, তবে সেখানে এ ধরনের আলোচনা প্রত্যাশা করাটাও বোকামি। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২

শ্মশান ঠাকুর বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য শুকরিয়া। এবং মূল বিষয়টি শেষ লাইনে তুলে ধরার জন্য আরো শুকরিয়া। আমাদের রাজনীতি বা নীতি নির্ধারকরা মূলত টেন্ডারবাজ চেতনাধারী গুন্ডা।
ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রইল।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১২

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার লিখার বিষয় বস্তু এবং আলোচনা- খুবই গুরুত্বপূর্ন, কিন্তু দু:খের বিষয়- নীতিনির্ধারকদের কেউ এই ব্লগে আসেনা।

শুভ কামনা।

২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৩

শ্মশান ঠাকুর বলেছেন: মতামতের জন্য শুকরিয়া। নীতিনির্ধারক যদি থাকতো, তবে দেশের এ অবস্থা হতো না। নীতিহীন সমাজের নীতি নির্ধারক খুব ভয়ংকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.