নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্মশান ঠাকুর

শ্মশান ঠাকুর

nothing to say

শ্মশান ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ড

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

মানুষ মরলে মানুষের লাভ হয় কি না জানি না, তবে শ্রমিক মরলে লাভ হয়।
কার লাভ হয়, ঠাকুর? তুমি শুধু নেগেটিভই দেখো। গতবার শ্রমিকদের ভিতর সুন্দরী আপা যখন শাড়ি পরে এসে মাইকে কথা বলছিলো, তুমি তাতেও নেগেটিভ দেখেছো। কর্পোরেট যৌনতা বিক্রি করতে পারে, আমরা বিপ্লবে নারীকে ব্যবহার করতে কেন পারবো না? মিসিলের শুরুতে নারী থাকবে, পুলিশ কম পেটাবে, পেটালেও মেয়েরা অর্ধ নগ্ন হয়ে রাস্তায় ফটো তুলবে, সবাই হায় হায় করবে? এইসব রাজনীতি তুমি বুঝ না।’
‘আসলে বুঝা আর না বুঝা অপেক্ষা করে , লাভ-লোকশানের উপর। শ্রমিক তখনই মরে যখন মালিকের তাদের খুন করে লাভ হয় অথবা দুর্ঘটনা। আর দুঘটনায় বা ঘটনা যাই হোক, মালিকের বীর্মা করা থাকে, সামাজিক সুবিধা এবং ব্যাংকের সহযোগিতায় মালিক নতুন শক্তিতে ব্যবসা বদলাতে পারে।সুতরাং মালিকের কোন লস নাই।
‘ তা নাই। মালিক নিয়ে তো কথা হচ্ছে না। তুমি বললে শ্রমিক মরলে সবার লাভ হয়। এই সবাইটা কে বুঝতে চাইছিলাম।’
‘ এরপর মনে করেন, শ্রমিক সংগঠন। যাদের কোন কাজ নাই, শ্রমিক খুন-গুম হলে তারা ইস্যু পায়। মালিকের কাছ থেকে লেনদেন শুরু হয়। সরকারী সচিবদের সাথে একটা সম্পর্ক হয়।’
‘ মানে....? যেমন...?’
মনে করেন রানা প্লাজা বা তাজরীন ফ্যাশন এ যে শ্রমিক মারা গেছে, যদি কোন শ্রমিক সংগঠন এদের সারাজীবনের জন্য গুসিয়ে না নিতো, তবে এইসব শ্রমিকের সন্তান বা তারা নিজেরাও আত্মঘাতি হতে পারতো, বা বড় কোন বিপ্লবের সূচনা হতে পারতো। কিন্তু বাজারী বামদের দিয়ে এদের রাগ/ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দীর্ঘস্থায়ী সংগঠনগুলোও সুবিধা পায়।
সরকারী টেবিলে বসা, মালিকের সাথে আলাপ, মিডিয়ায় নেতা হওয়ার সুয়োগ আর আন্তজাতিক শ্রমিক নামে ধনীদের শ্রমদালাল হিসাবে বিদেশ ভ্রমণ ।’
‘ তার মানে তুমি শ্রমিক শক্তিকে অস্বীকার করছো নাকি?’
‘ তা কখন করলাম। বললাম, শ্রমিককে যেমন ধনীরা ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি ব্যবহার করে মধ্যবিত্ত নেতা হতে চাওয়া সুবিধাবাদি অংশ। যেমন সাভারে একজনের নেতা হতে ইচ্ছা হলো, সে সব ইজিবাইক চালকদের একসাথে করলো, সমাবেশ হলো সবাই চিনলো, ঢাকার সভাপতিকে। তারপর সব শেষ। এইসব শ্রমিকদের একত্রিত করা হয়, শুধুমাত্র দু একটা সুবিধাবাদী দালালকে পরিচিত করার জন্য, এখানে কোন রাজনীতি দরকার হয় না। যে কোন বিষয় নিয়ে শ্রমিকদের একত্রিত করা যায় তবে একত্রিত রাখা যায় না। ‘
‘তা তুমি শ্রমিক রাজনীতির উপর এত খেপলে কেন?
‘ চারপাশে দেখে। একজন সরকারী সচিব রেজা ভাই, দুই ঘন্টায় শ্রমিকদের রাষ্ট্র বুঝিয়ে দেন। সুন্দরী প্রতিযোগিতা ছেড়ে আসা সুন্দরী নারী শ্রমিকের স্লোগান দেয়।এইসব মধ্যবিত্তের ফ্যাশানই শ্রমিকের শক্র। শ্রমিকের সাথে এত প্রহসন শয়তানও করার সাহস পাবে না। সিলেটে চা শ্রমিকদের পাশে গিয়ে আমরা ছেলেমেয়ে মিলে চা এলাকায় গিয়ে নাচ-গান- যৌনতায় ভরপুর করে, নিজেদের আন্দোলনকারী ভাবছি কিন্তু এমন অভাগার উঠানে নাচানাচি পেটের ক্ষুধাও কমায় না, সমাজের আর দশজন মানুষের সাথে মিশতেও দেয় না। ঢাকার একটি সংস্কৃতি খায়েসি গ্রুপ আছে,অবশ্যই বাম রোগে আসক্ত। গ্রুপে মেয়ে বেশি থাকায় তাদের প্রতিবাদ গান, নাচ আর প্রদর্শন।’ এসবই শ্রমিকের ঘাম-রক্তকে নাটকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা।
‘ অনেক হয়েছে। এবার চলো কোথা ঘুরে আসি।
‘চলো দৃক এ। আগুনে পোড়া শ্রমিকদের দিয়ে ছবি প্রদর্শন চলছে। ইউরোপের লোকজন সেসব দেখবে, শ্রমিকের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে শ্রমিকের পোড়া মাংসকেও কাজে লাগানোর এমন কৌশল শিখবার আছে বৈকি?
‘শ্রমিক পোঁড়া ফটোগ্রাফী। ওয়াও বলবো নাকি ভয়ংকর বলবো? ওখানে দুপুরের খাওয়া পাওয়া যাবে, ঠাকুর?
‘খাওয়া পাওয়া যাবে, তবে ধনী বা বিদেশীদের খাওয়ার। বুঝেন না। ধনীরা যেখানে শ্রমিকের পোঁড়া ছবির উৎসব করে, সেখানে গবীর যেতে বাধা।’
‘ আমার নামে ঠাকুর আছে। সব কলঙ্ক একা বহনের শক্তি আছে। ধনীদের বিছানা থেকে গরীবের রান্না ঘর সব চেনে আছে।’
আমরা দুই বন্ধু মিলে দৃক এ পোড়া-মরা- বিভৎস ছবির উৎসব যাত্রা শুরু করলাম। মনে মনে ঠিক করলাম ইংরেজিতে কিভাবে পোড়া গরীবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: অতীত বাঙ্গালীরা মনে রাখে না। আপনি কেন আমাদের জোর করে মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.