নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে, বুঝি নি এখনো তবু সন্ধানে...........

পাশেই কারোর একখানা হাত ধরো, কাছেই কাউকে তোমার বন্ধু করো… দূরেও রয়েছে বন্ধু মিষ্টি হেসে, হয়তো কোথাও হয়তো অন্য দেশে।

সুমন কর

আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।

সুমন কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ও রাজনীতি| পর্ব-০২

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩২

শিক্ষা ও রাজনীতি| পর্ব-০১

Click This Link



শিক্ষা ও রাজনীতি| পর্ব-০২

যদিও প্রথমদিকে সরকার বলেছিল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু তা কখনো সকল বিষয়ে দেওয়া হয়নি। আর বর্তমানে তা বিলুপ্ত। আমি উদাহরণসরূপ একটি বিষয়ের কথা বলতে চাচ্ছি। ঢাকা শহরেই অনেক স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ প্রশিক্ষণ করে এসে তাঁদের স্কুলের কম্পিউটার কক্ষটি খোলা পায় না বা ছয় মাসের মধ্যে একবারও খোলা হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে? কোন কোন স্কুলে কম্পিউটার থাকলেও একটি/দু'টি বা নষ্ট। যদি ঢাকা শহরের স্কুলগুলোতে এই অবস্থা হয় তাহলে গ্রামাঞ্চলে কি দশা? আমি নিজে ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে দেখেছি, তাদেরকে কখনো কম্পিউটার কক্ষে পাঠ প্রদান করা হয়নি। আরো একটি বিষয়ে কথা না বললেই নয়, উচ্চতর গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়সমূহের যোগ্য শিক্ষক/শিক্ষিকা ঢাকা শহর তথা সম্রগ বাংলাদেশে এখনো পর্যাপ্ত নেই। কোন কোন স্কুলে উচ্চতর গণিতের ক্লাসই ঠিঁকমত হয় না। আবার কলেজগুলোতে গণিত, পদার্থ এবং রসায়ন বিজ্ঞানের মত বিষয় সমূহের সৃজনশীল মূলক পাঠ প্রদান করা হয় না।



বর্তমানে উত্তর পত্র মূল্যায়নে এসেছে পরিবর্তন। কেননা পরীক্ষকদের কিছু বিশেষ নিয়মানুসারে উত্তর পত্র মূল্যায়ন করতে হয়। যা কিনা সরকার প্রদত্ত এবং পাসের হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর এরজন্য যোগ্য শিক্ষার্থী থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে।



আমাদের সময় ভূগোল নামে একটি বিষয় আবশ্যিক ছিল। সেসময় বাংলা প্রথম পত্র এবং ভূগোলে ৮০ নম্বর পাওয়া ছিল কষ্টসাধ্য এবং অনেক কমসংখ্যক ছাত্রছাত্রী তা পেত। আজকাল যেভাবে সমাজিক বিজ্ঞান ও বাংলাতে ৮০ নম্বর পাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ৮০ নম্বর পাওয়াটা অনেক সহজ। মনে আছে, আমাদের সময় গণিতে একটি চিহ্ন ভূল করলে সে প্রশ্নটিতে শূন্য নম্বর দেওয়া হত। আর আজকাল গণিতে চিহ্ন ভুল করলে তো অবশ্যই, বরং গণিতটি ভুল হলেও নম্বর প্রদান করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের সময় উপপাদ্যে একটি চিহ্ন ভুল হলে আমাদেরকে শূন্য প্রদান করা হত। আর এখন শুনেছি, ৬ নম্বরের মধ্যে ৫ বা ৬ নম্বর প্রদান করা হয়। তারমানে আমরা ছিলাম খারাপ; এখনকার শিক্ষার্থীরা ভালো!! তাহলে আমাদের মূল্যায়ন কি যথার্থ হয়েছে?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



পোষ্টে +++
আমার মনে হয় অঙ্কের খাতা দেখার নিয়মটা আমাদের সময়ই ঠিক ছিলো। তবে এখনকার নিয়মে পাশের হারটা বৃদ্ধি পাচ্ছে অঙ্কের খাতা দেখার নতুন নিয়মের কারনে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

সুমন কর বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

এম মশিউর বলেছেন: আপনার ২টা পোস্টই পড়লাম।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্রামের ছেলেমেয়েরা ঠিক মত গাইড লাইন পায় না; শহরের ছেলেমেয়েরা যদিও তাদের টিউশন মাস্টারের কাছে অনেক দিক নির্দেশনা পায়।

আর অঙ্কে নাম্বার দেওয়ার জন্য বড় ধরনের ভুল না থাকলে কিছু নম্বর দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা একেবারে নিরাশ হয় না।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আসলে এখন আর খাতা তেমন ভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। আগামী পর্বে আরো কিছু থাকবে।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষার মানের এই ক্রমাবনতিতে আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন বোধ করি। সমস্যাটাকে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

সুমন কর বলেছেন: মূল সমস্যা শিকড়ে। তাই একদম শুরু থেকে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.