নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে, বুঝি নি এখনো তবু সন্ধানে...........

পাশেই কারোর একখানা হাত ধরো, কাছেই কাউকে তোমার বন্ধু করো… দূরেও রয়েছে বন্ধু মিষ্টি হেসে, হয়তো কোথাও হয়তো অন্য দেশে।

সুমন কর

আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।

সুমন কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: মেমোরী ইরেইজ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০





আমি আজ কাউকে চিনব না। সবাই আমাকে চিনবে। এটা ভাবতেই এক বিস্ময়কর অনুভূতি আমার মস্তিককে শীতল করে দিচ্ছে। আবার নতুন করে চিনতে হবে পৃথিবী নামক গ্রহের অদ্ভুত জীব সত্তাকে। যারা বদলায় দিনের সূর্যের মতো, রাতের চাঁদের মতো। প্রহরে-প্রহরে। জ্যোৎস্নায় আর অমাবস্যায়। যারা হিংস্র পশুর মতো লোলুপ থাবা বাঁড়ায় তার-ই পরিচিত কোন নিরীহ জীবের ওপর। যা হোক, ক’টা দিন নিশ্চিতে থাকা যাবে। উৎকণ্ঠা, ভয়, দ্বিধা, উদ্বেগ, পাপাচার, পরহিংসা আমাকে গ্রাস করবে না।



একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার। আমার কিন্তু এই শহরের সব পথ, উঁচু-নিচু ইমারত, অফিস পাড়া, ব্যস্ত জীবন, লঞ্চ-বাস, তোমার-আমার ঠিকানা সব পরিচিত। কেননা এগুলো জড়। জীবন নেই। অনুভূতি শূন্য। স্বার্থে টান লাগলে সাপের মত বিষ ছুঁড়ে মারে না। আমি শুধু জীবদের, মনে করতে পারছি না!!



বাসার ঠিকানাটা মনে করে পৌঁছে, দরজায় লাগানো কলিং বেলটায় চাপ দিলাম। ওপাশ থেকে মাঝ বয়সী একটা মেয়ে দরজা খুলে দিল। তার চেহারা আর পোশাক দেখে বুঝতে কষ্ট হলো না, সে এই বাসায় কাজ করে। মানে ভদ্র সমাজে যাদের বলা হয়, কাজের মেয়ে। আমি ড্রয়িং রুম দিয়ে সোজা হেঁটে আমার ঘরে গিয়ে বসলাম। একটু পরে, একজন পঞ্চাশের কাছাকাছি মহিলা এসে বলে উঠলো, “কি ব্যাপার, দু’দিন ধরে কোন খবর নেই? মোবাইল টাও বন্ধ করে রেখেছো?”

চোখ দু’টো বড় বড় করে, একটু বিশ্রাম নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলতে লাগল,

“অফিসে ফোন দিয়ে জানলাম, সেখানেও নাকি দু’দিন ধরে যাও না। নিজেও ফোন করে বলতে পারতে।”



আমি অবাক হয়ে, চুপচাপ সোফার চেয়ারে গা এলিয়ে, শুনে যাচ্ছিলাম। উনার কথাবর্তা শুনে এটা স্পষ্ট, উনি আমার মা। আমি অসহায় মতো তাকিয়ে থাকলাম। কথা শুনছি, এমন একটা ভাব প্রকাশ করতে চেষ্টা করছিলাম। আমার কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। যা হোক, উনি আরো কিছু উপদেশ আর হতাশা মূলক বাক্য দিয়ে খচমচ করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।



আমি আমার ঘরটাই নতুন করে দেখতে লাগলাম। যেন অনেকদিন পর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে আগমন। না, এতো চিন্তা করার দরকার নেই। দু’দিন ধরে গোসল করা হয়নি। এক বিছানায় শুয়ে শুয়ে গায়ে ঘামের বিশ্রী গন্ধ লেগে আছে। আমি বাথরুমের শাওয়ারে নিচে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ গোসল করলাম। যেন বহু বছরের জমে থাকা স্মৃতির ময়লা ধুয়ে যাচ্ছে।



আমি পরিপাটি হয়ে অফিসের দিকে এগোতে লাগলাম। আমার ডেসকে গিয়ে কিছুক্ষণ বসার পর, একজন আটাশ বছরের স্মার্ট, সুদর্শন যুবক এসে একটা নীল ফাইলের দিকে মুচকি করে হেসে জিজ্ঞেস করছে, “কি ব্যাপার এখনো সিঙ্গাপুরের প্রজেক্ট তৈরি হয়নি? আজ কিন্তু প্রেজেনটেইশন। মনে আছে?”



আমি যেহেতু দু’দিন ধরে অফিসে আসিনি তাই ফাইলটি এখানেই পড়ে ছিল। উনার আচরণ দেখে বুঝতে চেষ্টা করলাম, উনি সম্ভবত আমার চেয়ারটা দখল করার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় আছে। কারণ আমি কাজটি শেষ করতে না পারায় উনি খুব খুশি হয়েছেন এবং চোখে-মুখে এক ধরনের দাম্ভিক ভাব প্রকাশ পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পিয়ন এসে বলে গেল, অফিসের বস আমাকে দেখা করতে বলেছেন। আমি আমার অশুভ ফলাফলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম।



যথারীতি চাকরীটা গেল। আর আমার জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হলো সেই সুদর্শন যুবককে। চাকরীটা চলে যাওয়ায় কষ্ট হবার কথা কিন্তু আমার তেমন কষ্ট লাগছিল না। যেহেতু আমি কাউকে চিনতে পাচ্ছি না, তাই কোন মানুষের প্রতি আমার দায়িত্ব-কর্তব্য বা দূর্বলতা বোধ বা বেঁচে থাকার জন্য শুধু চাকরীটা মুখ্য মনে হচ্ছে না। পরে কিছু একটা করা যাবে। জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতার স্রোতের তাগিদে আমাকে আবার কাজ করতে হবে। আবার ফিরে যেতে হবে পৃথিবীর মানুষের ক্রোধানলে। যেখানে আবার আমি হয়ে উঠবো পাকা অভিনয় শিল্পী।



অফিস থেকে বের হয়ে, সোজা পার্কে গিয়ে বসলাম। কয়েকটা ছেলে মাঠের অভাবে পার্কেই ক্রিকেট খেলছে। অনেক লোকজন আসছে, যাচ্ছে। জুটিরা বেঞ্চে বসে প্রেম করছে। মনে পড়ে যায় –



বেঞ্চিগুলোর কাঠ, রোদে পুড়ে জলে ভিজে

সমকাল এসে বসেছে সেখানে আহত প্রেমিক সেজে।



পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো

ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চাগুলো।



লোহার গেটের পাশে উনুন ধরায় কারা

রেলিং ঘেসেই সংসার করে ক’জন বাস্তুহারা।



আর মনে করতে পারছি না। তাইতো পার্কে মধ্যে যারা জীবন-যাপন করে, তাদের চেয়ে আমি তো অনেক ভাল ছিলাম। হয়ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, মাথার উপর ছাদ, ফ্যান, টিভি, মাস শেষে অনেক টাকা, সংসার সব ছিল। কিন্তু এই রঙ্গমঞ্চে আমরা জীবন ধারনের জন্য সবাই অভিনয় করে যাচ্ছি। আমরা কি আমাদের সব কথা বলতে পেরেছি? সব সঠিক কাজ করতে পেরেছি? সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পেরেছি? অসততাকে দূরে ঠেলতে পেরেছি? আমরা কি নিজের সাথে প্রতারণা করছি না?



আমি কি আমার বাবা-মাকে সব খুশি দিতে পেরেছি? তাঁরাও কি আমাকে সব দিতে পেরেছে? কর্মক্ষেত্রে কি সবসময় সঠিক কাজটি সম্পন্ন করেছি? না। অনেক কিছুই করতে পারিনি, করা হয়নি। কাউকে কথা দিয়েছিলাম, কেউ কথা দিয়েছিল! রাখতে পারিনি, রাখে নি! চলে এসেছি। চলে গেছে। হারিয়ে ফেলেছি। হারিয়ে গেছে। সব হারিয়ে যাবে। দূর-বহুদূরে। আমি হয়তো কাউকে চেয়েছিলাম। পাইনি। তবুও আমাকে বাঁচতে হবে। অভিনয় করতে হবে। হাসতে হবে। সুখী-সুখী ভাব প্রকাশ করতে হবে। বংশবৃদ্ধি করতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। আরো অনেক; অনেক কিছু। অবশ্য আমি যদি - মরে না যাই!!



এইসব কিছুকে ভুলে থাকার জন্য আমি, দু’দিন আগে; আমার মেমোরী ইরেইজ করেছি। ওরা বলেছে, তিন মাস আমি পুরানো কাউকে মনে করতে পারব না। তাই এ ক’টা দিন আমি আবার নতুন করে ওদের চিনে নিচ্ছি। বুঝতে চেষ্টা করছি। কিন্তু তিন মাস পর, তাদের স্মৃতির পেরেক আমার মেমোরীকে আঘাত করবে। মনে পড়ে যাবে সব। শুরু হবে আবার বেঁচে থাকার জন্য অপরূপ অভিনয়।



মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গল্প বেশ ভালো লাগল।

++++ রইল

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
+ পেয়ে আমি ধন্য।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

এহসান সাবির বলেছেন: বাহ্ বেশ লাগলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ভালো লাগা রইল।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
কেমন আছেন?

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
চমৎকার থিম! +++
গল্প ভাল লেগেছে, ভাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। হঠাৎ করে থিমটা এসে গেল।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার লেগেছে !

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। চমৎকার লেগেছে, বলে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৫

শ্যামল জাহির বলেছেন: চমৎকার গল্প!
অনেক ভাল লাগলো পড়ে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার লেগেছে, বলে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১১

মাগুর বলেছেন: বাহ! চমৎকার হয়েছে! গল্পের থিমটা অসাধারণ :)

একগাদা প্লাসের সাথে শুভকামনা :)
+++++++++++++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
+ পেয়ে আমি ধন্য। ভালো থাকবেন।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
হয়ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, মাথার উপর ছাদ, ফ্যান, টিভি, মাস শেষে অনেক টাকা, সংসার সব ছিল। কিন্তু এই রঙ্গমঞ্চে আমরা জীবন ধারনের জন্য সবাই অভিনয় করে যাচ্ছি। আমরা কি আমাদের সব কথা বলতে পেরেছি? সব সঠিক কাজ করতে পেরেছি? সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পেরেছি? অসততাকে দূরে ঠেলতে পেরেছি? আমরা কি নিজের সাথে প্রতারণা করছি না?

প্যারাটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

সুমন কর বলেছেন: ভালো লেগেছে, জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সুন্দর গল্প, বাস্তব উপলব্ধি।

এরকম হলে কেমন হয় , আমাদের দুঃসহ স্মৃতিগুলো মেমোরি থেকে ইরেজ করে দিবো ! অবশ্য ভয় আছে, এটা নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে তখন।

শুবকামনা সুমন কর

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

সুমন কর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি আসলে, আমাদের দুঃখ, কষ্ট আর না পাবার যন্ত্রণাকেই বুঝিয়েছি।
ব্লগে স্বাগতম।
ভালো থাকবেন।

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর গল্প । ভাল লেগেছে ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

টুম্পা মনি বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগলো। শুভকামনা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি মানুষই একেকজন খুব ভালো মানের অভিনেতা। জীবন ও জীবনের সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু জীবন বা তাদের প্রত্যাশা টেনে নেয়ার জন্য আমাদের সবাইকে অভিনয় করতে হয়, ভুলে থাকতে হয় কিছু স্মৃতি।

তবে সত্যি যদি এমন ওষুধ পাওয়া যেত তাহলে সবাইকেই সব সময় নতুন করে চেনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হত মনে হয়। অনেকটা আত্মহত্যার সামিল না হয়ে যায়।

শুভ কামনা রইল আপনার জন্য। গল্পের জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

সুমন কর বলেছেন: ভালো লেগেছে, জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই সব উচ্চমার্গের লেখা যে ছেলে পিলে কিভাবে লেখে !! পড়তে পড়তে অবাক হয়ে যাই! বেশ ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

সুমন কর বলেছেন: আপনি বলেছেন, “এই সব উচ্চমার্গের লেখা যে ছেলে পিলে কিভাবে লেখে !! পড়তে পড়তে অবাক হয়ে যাই!”
আপনাকে অবাক করতে পারায়, আমি ধন্য।
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

কবিরনি বলেছেন: ভাল লাগল নতুনত্ব

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো!!!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো!!!

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮

সুমন কর বলেছেন: তুমি কোথায় ?

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এই গল্পটা অনেক ভাল লেগেছে। কিন্তু লেখায় একটা বিষয় স্পষ্ট পোস্ট করার পর আপনি আর পড়ে দেখেন না।

আর মনে করতে পারছি না। তাইতো পার্কে মধ্যে যারা জীবন-যাপন করে, তাদের চেয়ে আমি তো অনেক ভাল ছিলাম। হয়ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, মাথার উপর ছাদ, ফ্যান, টিভি, মাস শেষে অনেক টাকা, সংসার সব ছিল। কিন্তু এই রঙ্গমঞ্চে আমরা জীবন ধারনের জন্য সবাই অভিনয় করে যাচ্ছি। আমরা কি আমাদের সব কথা বলতে পেরেছি? সব সঠিক কাজ করতে পেরেছি? সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পেরেছি? অসততাকে দূরে ঠেলতে পেরেছি? আমরা কি নিজের সাথে প্রতারণা করছি না?

আমি কি আমার বাবা-মাকে সব খুশি দিতে পেরেছি? তাঁরাও কি আমাকে সব দিতে পেরেছে? কর্মক্ষেত্রে কি সবসময় সঠিক কাজটি সম্পন্ন করেছি? না। অনেক কিছুই করতে পারিনি, করা হয়নি। কাউকে কথা দিয়েছিলাম, কেউ কথা দিয়েছিল! রাখতে পারিনি, রাখে নি! চলে এসেছি। চলে গেছে। হারিয়ে ফেলেছি। হারিয়ে গেছে। সব হারিয়ে যাবে। দূর-বহুদূরে। আমি হয়তো কাউকে চেয়েছিলাম। পাইনি। তবুও আমাকে বাঁচতে হবে। অভিনয় করতে হবে। হাসতে হবে। সুখী-সুখী ভাব প্রকাশ করতে হবে। বংশবৃদ্ধি করতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। আরো অনেক; অনেক কিছু। অবশ্য আমি যদি - মরে না যাই!!


এই দুই স্তবকের কিছু লাইন বেশ ভাল হয়েছে। কিছু লাইন বাদ দিতে পারলে আরো ভাল হত। কিংবা অন্যভাবে সাজাতে পারলেও হয়ত ভাল লাগত।

তবে গল্পটা কিন্তু আসলেই ভাল লাগার মতো।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

সুমন কর বলেছেন: পড়া + মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ঠিক, আমি আর পড়ে দেখি না। কারণ আমি ওয়ার্ডে কাজ করি তাই পুরোটা পড়েই পোস্ট করি। গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে, এতেই আমি খুশি।

ভালো থাকবেন।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু তিন মাস পর, তাদের স্মৃতির পেরেক আমার মেমোরীকে আঘাত করবে। মনে পড়ে যাবে সব। শুরু হবে আবার বেঁচে থাকার জন্য অপরূপ অভিনয়। -- সমাপ্তিটা চমৎকার হয়েছে। ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮

সুমন কর বলেছেন: আপনি পুরনো পোস্টগুলো পড়ে মন্তব্য করেন, ভালো লাগে। আমার নিজের প্রিয় একটি গল্প।

ভালো থাকুন। সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.