নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে, বুঝি নি এখনো তবু সন্ধানে...........

পাশেই কারোর একখানা হাত ধরো, কাছেই কাউকে তোমার বন্ধু করো… দূরেও রয়েছে বন্ধু মিষ্টি হেসে, হয়তো কোথাও হয়তো অন্য দেশে।

সুমন কর

আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।

সুমন কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুগের হালচাল ও একটি প্রেমের গল্প।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৭





ছিঃ, ছিঃ, তুমি আজও জিন্স প্যান্ট আর টি-শার্ট পড়ে আসো নি! তোমাকে না, কাল রাতে ফোনে বারবার বললাম, আমার দেওয়া কাপড়গুলো পড়ে আসতে। ফেসবুকে চ্যাট করার সময়ও তো বললাম! তারপরেও তুমি এই রকমভাবে চলে আসলা?



চোখ গরম করে, হাঁপাতে হাঁপাতে কথাগুলো বলেও যেন শেষ হয়নি, এমন একটা বিরক্তিকর ভাব নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে নন্দি।



দূর্জয়, যথারীতি হেসে ওঠে। হোঁটের কোণে হালকা দুষ্টমি হাসি। নন্দির এসব কথাবর্তায় খুব মজা পায় সে। কারণ, অনেকবার নন্দির এই কথা শুনবে বলে কখনো শোনেনি। বলা যায়, কথা দিয়েও রাখেনি।



আচ্ছা! এই প্রচণ্ড ভ্যাঁপসা গরমে মানুষগুলো এত মোটা জিন্স প্যান্ট পড়ে কিভাবে? যদিও কিছু পাতলা ধরণের জিন্স প্যান্ট বাজারে পাওয়া যায়। তবে তা সংখ্যায় অনেক কম। বাসের মধ্যে যখন জ্যামে বসে থাকি কিংবা বাদুড় ঝোলা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি তখন ভাবি পাশের লোকটি বা আজকালের ইয়াং জেনারেশনের ছেলেটি যার সারা শরীর দিয়ে ঘাম পড়ছে আর জিন্স প্যান্ট হাঁটুর উপর ধরে টান দিয়ে বাতাস বের করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে!! দেখে হাসি পায়। এত গরমের মধ্যে জিন্স প্যান্ট পরার কারণ খুঁজে পাই না। আজকাল আবার কিছু উঠতি যুবকের নতুন ফ্যাশান হয়েছে। তারা গায়ে ঝুলাবে একটা পাতলা টি-শার্ট নতুবা টাইট ফিটিং শট শার্ট যা কোন রকমে কোমড়কে স্পর্শ করে করে! আর জিন্স প্যান্টটি এমনভাবে পড়ে যেন তাদের পশ্চাৎ ভাগের কিঞ্চিৎ অংশ ভালভাবেই দর্শন হয়!! লজ্জা লাগে যখন দেখি, তা দেখে পাশের কোন মেয়ে লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নেয়। খারাপ লাগে যখন শুনি, পাশের কোন বয়স্ক লোক অবজ্ঞাসূচক বাক্য ছুড়ে।



অবশ্য যারা পড়াশুনার গণ্ডি পেরিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে তারা কিন্তু সেগুলোকে মর্জিত এবং রুচিসম্মত ভাবেই ব্যবহার করে। বলতে পারেন, কেতা-দুরস্ত হয়ে অফিস পাড়ায় যেতে হয় সেই নিয়মের বলয়ের কারণে! যত সমস্যা করে এই হাল ফ্যাশান যুগের উঠতি যুবক-যুবতীরা! মাঝে মাঝে লজ্জায় নিজের মাথা হেড হয়ে যায়।



কিছুক্ষণ পর নন্দিই চেচিঁয়েই উঠে, তা এখানে কি হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকবা নাকি যাবা?



আমি কিছু বলছি, না তুমি কিছু বলতে দিচ্ছ? একা একাই তো পো পো করে যাচ্ছ।



চুপ, একদম চুপ। একটাও কথা বলবে না। যাও, রিকশা নাও।



রিকশায় বসে, নন্দিকে ভাল করে দেখল দূর্জয়। এতক্ষণের চ্যাঁচামেঁচিতে উপরের ঠোঁটে আর নাগের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। আজ মনে হয়, নন্দিকে একটু বেশীই সুন্দর লাগছে। হালকা রঙ্গের একটি শাড়ি আর তার সাথে মিলিয়ে কানে ছোট পাথরের দুল পড়েছে। বড় ঘরের মেয়ে নন্দি। তাই বলে বড়লোকী কোন ভূত তার মাথায় চেপে বসেনি। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত মেয়ের মত জীবনযাত্রা। মারসিডিস গাড়ি দিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা করত না। পোশাক, চাল-চলন এবং কথাবার্তায় আছে ভদ্রতার ছাপ। প্রথমে দেখে কেউ বিশ্বাস করবে না, যে তার বাবার প্রচুর টাকা আছে।



নন্দি একটু ঠাণ্ডা হবার পর, দূর্জয় নন্দির একটি হাত তার দু’হাতে জড়িয়ে ধরে বলে - আচ্ছা, আমি কি কখনো তোমাকে ক্যাটরিনা বা দিপীকার মত মিনি স্কাট পড়ে আসতে বলেছি? না, তুমি কখনো ঐ সব পড়বে? তাহলে আমাকে কেন বল?



মাঝে মাঝে যখন দেখি, মেয়েরা জিন্সের সাখে বোরখা পড়ে, তখন হিসেব মিলাতে পারি না। তারা আসলে কোন অনুশাসন অনুসরণ করে কিংবা তাদের অভিভাবকও কেন এগুলোতে সম্মতি দেন? আজকাল আবার কিছু মেয়েদের দেখা যায় স্কিন টাইট জিন্স প্যান্ট পড়ে। দেখে মনে হয়, আঠার মত চামড়ার সাথে লেগে থাকে। ভাবতে আবাক লাগে, কিভাবে তারা এইগুলো পড়ে আর খুলে? শুনেছি, বাসায় গিয়ে অন্য আরেক জন দিয়ে কিংবা বিভিন্ন রকমের শরীরের কসরত করে টেনে-হিঁচড়ে কষ্ট করে খুলে। আরে বাবা, এত কষ্ট করে অন্য জনের সাহায্য নিয়ে প্রতিদিন খুলতে লজ্জা করে না! ওদিকে উত্তরা, বনানী, গুলশান এবং আরো কিছু জায়গায় হাই সোসাইটিতে, আধুনিকতার ছোঁয়া চরমভাবে প্রভাবিত করছে। তারা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ধ্বংশ করে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষদের চিন্তাধারণা এখনো ঐ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেনি যে, তারা পশ্চিমা সমাজ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করবে।



তাছাড়া স্বাধীনতা মানে তো উচ্ছঙ্খলতা নয়, যে তুমি স্বাধীনতার নামে যা খুশি করে যাবে। যে কোন কিছুই সুন্দর ও শালিনতার মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। আধুনিকতার নামে তুমি নোংরামী আর নিজ দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং কৃষ্টিকে অপমান করবে, সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না। আর শিক্ষিত এবং সুনাগরিক হিসাবে তোমার কাছ থেকেও দেশ এটা আশা করে না। তাই সব সময় নিজেকে মার্জিত ভাবে প্রকাশ করার মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ।



হয়েছে, অনেক হয়েছে। তোমাকে আর বলতে হবে না। স্নিগ্ধ হেসে উঠে নন্দি।



একটু পরেই দূর্জয় আর নন্দি তাদের নতুন জীবন শুরু করবে। নন্দি তার বাবা-মাকে বলেই এসেছে, বিয়ে যদি করতেই হয় দূর্জয়কেই করবে। তা না হলে কাউকে করবে না। নন্দি আত্মহত্যা করতে চায় না। কারণ, সেটা পাপ। তবে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু হলে, পরে ভেবে দেখবে বলে তার বাবা-মাকে ভয় দেখিয়েছে। নন্দি খুব জেদী প্রকৃতির মেয়ে। তাই তার বাবা তাকে শুধু বলেছে, ঘর ছেড়ে চলে যেতে।



দূর্জয় খুব সাধারণ চাষী ঘরের ছেলে। তার মা তার জন্মের সময়ই মারা যায়। মামার কাছে শুনেছে চার বৎসর বয়সের সময় তার বাবা মারা যায়। সেই থেকে মামার কাছে কলেজ জীবন শেষ করে পড়াশুনার জন্য ঢাকায় এসে মেসে থাকা শুরু করে। এখন পড়াশুনা শেষে একটা সরকারী চাকরী জোগাড় করে, দু’রুমের একটি ছোট বাসা ভাড়া নিয়েছি, নন্দিকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করবে বলে !!!

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

সদয় খান বলেছেন: ভাল লাগলো । :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গল্পটি আর একটু দীর্ঘ হলে আরও ভালো হতো। +++ রইল।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

সুমন কর বলেছেন: আমি আসলে দু'টো কথা বলতে গিয়ে গল্পের আশ্রয় নিয়েছি। আর সময়ের অভাবে বড় করতে পারি নি। যাই হোক পড়া এবং প্ল­াসের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

এম ই জাভেদ বলেছেন: সিরিয়াস কথাগুলির কারনে গল্প মাঝে মাঝে হোঁচট খেয়েছে মনে হল। কিছু মনে করবেন না, আমি গল্প লিখতে পারিনা। তবে আমার যেটা মনে হল খোলা মনে বললাম সেটা ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৪

সুমন কর বলেছেন: সিরিয়াস কথাগুলোই গল্পের মাধ্যমে বলতে চেয়েছি; গল্পটা মুখ্য নয়। আর ব্লগ সবার জন্য মুক্ত। তাই আশা করি আপনি আমি সবাই সত্য মন্তব্য দিয়েই ব্লগারদের উৎসাহ দিবো।
আর ব্লগের মাধ্যমে কিছু বলাটাও আমাদের দায়িত্ব।
ভালো থাকবেন।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: প্রপিকের ছবিতে লাল রঙয়ের প্যান্ট টা কি জিন্স ? বাহ খুব সুন্দর লাল কালারের জিন্স- দুষ্প্রাপ্য কালেকশান =p~ B-))

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৫

সুমন কর বলেছেন: বিমূর্ত কিছু দিতে চেয়েছিলাম, তাই আর কি....... =p~ ;) =p~

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ঘটনা বেশ সাধারণ কিন্তু আপনার লেখনীর কারণে তা চমৎকার গতিময় হয়েছে। ভালবাসা মানে না কোন বাধা। তাইতো নন্দী সম্পদশালী পরিবারের হওয়া সত্ত্বেও ভালবেসেছে দূর্জয়কে। মনে হলো হ্যাপী ইনডিং। প্রধান চরিত্র দুটির মধ্যে বেশ মিল রেখেছেন দেখছি। গল্পেতো বটেই বাস্তবেও এই ধরণের জুটির সংসার জীবন অনেক সুখের হয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪

সুমন কর বলেছেন: গল্পের মাধ্যমে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

এম মশিউর বলেছেন: ভালো লেগেছে। তবে আরেকটু বড় করলে মনে হয় ভালো হত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

সুমন কর বলেছেন: গল্পটা মুখ্য নয়। ব্লগের মাধ্যমে কিছু বলাটাও আমাদের দায়িত্ব। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: ফ্যাশন একটা কালচারের অংশ । পোষাকে রুচিহীনতার আধিক্যেতা দেখে মাঝে মাঝে ভাবি, আমরা কি পোস্ট মডার্ন যুগে চলে এসেছি!

গল্প ভাল হয়েছে ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

সুমন কর বলেছেন: আসলে কিছু কিছু ব্যাপার মেনে নেওয়া কষ্ট কর। যেমন উগ্রতা এবং নোংরামী। তাই এই বিষয়ে কিছু বলতে গিয়ে এই গল্পের সৃষ্টি। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১১

তাসজিদ বলেছেন: ভাল লাগলো, তবে বাস্তবতা বিবর্জিত।

গরিবের সাথে প্রেম বাংলা মুভি তে থাকে, বাস্তবতায় থাকে না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

সুমন কর বলেছেন: আপনি হয়ত গল্পটি অন্যভাবে নিয়েছেন! আসলে গল্পের দূর্জয় চত্রিটি কিন্তু কলেজের পর থেকে ঢাকায় থাকে। তারমানে তখন তার বয়স কত হবে? ১৮/১৯। সেখান থেকে এখন সে সরকারী চাকরী পেয়েছে। ততজন পায়? বাবা চাষী হলেই যে, ছেলে সারাজীবন গরীব থাকবে সেটা এখন আর প্রচলিত হয়। ভালভাবে থাকার জন্য শিক্ষিত হওয়া এবং একটা সরকারী চাকরীই যথেষ্ট। আর আমি গল্প ইচ্ছে করে বড় করি লিখিনি। তাহলে আর আপনি ঐ ধারণায় থাকতে পারতেন না। একটা মেসেজ দেবার চেষ্টা করেছি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে এইভাবেই আলোচনার মাধ্যমেই তো আমরা কিছু বলতে পারব।
ভালো থাকবেন।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে। চমৎকার বর্ণনায় প্রানবন্ত গল্প। গল্পে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আসলেই রুচিশীল পোষাক নিয়ে গবেষণার ব্যাপার আছে।স্টাইল আর সভ্যতা শালীনতার মধ্যে একটা সামঞ্জস্যতা থাকা উচিৎ।না হলে সমস্যা। :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

সুমন কর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে সত্যিই ভাল লাগছে। বলতে পারেন অপেক্ষায় ছিলাম! আপনি আমার একটি ফিচার পোস্টে মস্তব্য করেছিলেন। আর আজকে আবার পেলাম, খুশি হয়েছি। আসলে আপনাদের উৎসাহ পেলে আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। গল্পের থিমটা বুঝতে পেরেছেন বলে আবারও ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ছোট গল্প তবে বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। গল্পে +++

যাহা পরিধান করিলে নিজেকে অন্যদের চোখে শালীন ও রুচিসম্মত মনে হবে তাই পরিধান করা উচিত সকলের। যদিও সকলের রুচি একরকম নয় তারপরও যা বেশিরভাগ মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে সেটাই পরিধান করা উচিত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

সুমন কর বলেছেন: ঠিক কথাটিই বলেছেন আমিনুর ভাই। আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ভাই আপনে সিরিয়াস কথা বলেন নাই, মনের অবদমন প্রকাশ করেছেন মাত্র

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ঠিক কথাটি বলেছেন। গল্পের মাধ্যমে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

একজন আরমান বলেছেন:
গল্পের আড়ালে যা বলতে চেয়েছেন তা সবাই অনুধাবন করতে পারলেই মঙ্গল।
আজকাল প্রহসনের আরেকটি নাম ল্যাগিংস ! শীত প্রধান দেশের মেয়েরা যাকে আন্ডারগার্মেন্টস হিসেবে ব্যাবহার করে আমাদের দেশের মেয়েরা তাকে সাধারণ পোশাক বানিয়ে ফেলছে !!!
পশ্চিমা দেশ আর ভারতকে অনুকরন করতে গিয়ে আমরা হয়েছি হাইব্রিড !!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর আরেকটি তথ্য জানতে পারলাম; তোমার মন্তব্যের মাধ্যমে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

অনেক দিন পর, তোমাকে আমার ব্লগের পেয়ে ভাল লাগছে।

ভালো থেকো।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো!!

:) :) :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। !:#P

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১০

তাসজিদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি হয়ত গল্পটি অন্যভাবে নিয়েছেন! আসলে গল্পের দূর্জয় চত্রিটি কিন্তু কলেজের পর থেকে ঢাকায় থাকে। তারমানে তখন তার বয়স কত হবে? ১৮/১৯। সেখান থেকে এখন সে সরকারী চাকরী পেয়েছে। ততজন পায়? বাবা চাষী হলেই যে, ছেলে সারাজীবন গরীব থাকবে সেটা এখন আর প্রচলিত হয়। ভালভাবে থাকার জন্য শিক্ষিত হওয়া এবং একটা সরকারী চাকরীই যথেষ্ট। আর আমি গল্প ইচ্ছে করে বড় করি লিখিনি। তাহলে আর আপনি ঐ ধারণায় থাকতে পারতেন না। একটা মেসেজ দেবার চেষ্টা করেছি।



সুমন ভাই, আপনার সাথে আমি একমত নই। ১৮-১৯ বছর বয়সে তৃতীয় শ্রেণী থেকে ভাল জব পাওয়া যায় না। কারণ Graduation করতে কমপক্ষে ২৪-২৫ বছর লাগে।



আর সরকারী জব পেলেই যে তার জীবন টাকায় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এটি ভুল ধারণা।

আমি একজন সরকারী কর্মকর্তা। কিন্তু যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে মাস চালানো দায় হয়ে যায়। I am still single. So can you imagine what will happen when I won’t be a single!

আর ধনীদের মেয়েরা কিন্তু বোকা নয়। গরিবের ছেলে যত ভাল জব করুক না কেন, তার মেন্টালিটি কিন্তু ধনীদের মত হবে না। তারা বিয়ের সময় সবার আগে দেখে social class.



আসলে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বললাম। কম তো দেখলাম না এই জীবনে। কত নোংরামি দেখেছি যে ভাই, সব যদি বলা যেত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

সুমন কর বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। কিন্তু আমি তো বলেছি, গল্পকে আমি দাঁড়া করায় নি! শুধু কিছু কথা বলতে গল্পকে আশ্রয় করেছি। তবে আপনার মন্তব্য ভাল লাগল।

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন: ভাল লেগেছে কিন্তু গুলশান বনানির মানুশদের মুন্ডুপাত না করলে আর ও ভাল লাগত !!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

সুমন কর বলেছেন: দুঃখিত। ভাই কি করব, বলুন? ঐ জায়গাগুলোতে তো হচ্ছে!!! পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

টুম্পা মনি বলেছেন: বাস্তবতার সংমিশ্রণ। শিক্ষনীয় উপাদান তো আছেই। জীবন উপলব্ধিটাও ভালো লাগল।

সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

সুমন কর বলেছেন: মন্তব্য এবং পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি এই মাত্র আপনার গল্পে মন্তব্য করে আসলাম।
ভালো থাকবেন।

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

একজন আরমান বলেছেন:
একটা সময় ছিল যখন ব্লগে ১৮ ঘন্টা সময় দিতে পারতাম ! তখন কারো পোস্ট পরাই বাদ যেত না, কিন্তু এখন গোলামী করতে হয়, তাই কাজের ফাঁকে যতোটুক পারি ততটুক সময় ব্লগে থাকার চেস্টা করি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

সুমন কর বলেছেন: আমি আসলে মন থেকে তোমাকে বলেছি। কারণ মিস করছিলাম।
আমি অন্য কোন অর্থে বলিনি। ভালো থেকো।

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
ছোট গল্প তবে বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। গল্পে +++

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০১

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়া এবং প্লাস দেবার জন্য।

ভালো থেকো।

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩১

একজন আরমান বলেছেন:
আমিও মন থেকেই বলেছি। আমার চিন্তাধারা এতোটা নিচে নয়। আর হ্যাঁ আমি মানুষ কিছুটা হলেও চিনি।

ভালো থাকুন। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সুমন কর বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না? যাই হোক তুমি কেন, আমরা সবাই মানুষ চিনি! হয়ত ঠিক নয়তো ভুল।

ভালো থেকো।

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: "তাছাড়া স্বাধীনতা মানে তো উচ্ছঙ্খলতা নয়, যে তুমি স্বাধীনতার নামে যা খুশি করে যাবে। যে কোন কিছুই সুন্দর ও শালিনতার মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। আধুনিকতার নামে তুমি নোংরামী আর নিজ দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং কৃষ্টিকে অপমান করবে, সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না। আর শিক্ষিত এবং সুনাগরিক হিসাবে তোমার কাছ থেকেও দেশ এটা আশা করে না। তাই সব সময় নিজেকে মার্জিত ভাবে প্রকাশ করার মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ।"


চমৎকার বলেছেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০

শূন্য পথিক বলেছেন: ভালো লাগলো

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পটা যেন হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল! আরও পর্ব লেখবেন না কী? ভালোইতো লাগছিল!

প্রেমিকার নাম হিসাবে "নন্দি"র উপর কোন নাম হরে পারে না, গল্পের চরিত্রের নাম পছন্দ হয়েছে। :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

সুমন কর বলেছেন: আসলে মাঝে মাঝে এমন নোংরামী এবং উগ্রতা চোখে পড়ে। তাই মেসেজটা অন্তত দেবার জন্য এই গল্পটা তৈরি। আর পর্ব লেখার ইচ্ছে এখনো হয়নি, আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন।

২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: শুভ কামনা ওদের জন্য। ভালো লাগল। গল্পটা পরে মনে হল হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল।


০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। !:#P

২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৭

শ্যামল জাহির বলেছেন: মেসেজ:
'মার্জিত ভাবে প্রকাশ করার মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ।'

শুভ কামনা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

নেক্সাস বলেছেন: শেষ হয়েও হইলোনা শেষ। গল্পটা সুন্দর হয়েছে ব্রো

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: একটু তাড়াহুড়ো করে শেষ করেছেন বলে মনে হলে ।
তারপরও ভাল লাগা রইল ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

সুমন কর বলেছেন: মন্তব্য এবং পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা রইল লেখালেখিতে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৩

অপ্রচলিত বলেছেন: আপনার গল্প লেখার হাতটা বেশ ভালো, সহজ সাবলীল ভাষায় আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্প ভালো লেগেছে তবে আচমকাই যেন শেষ হয়ে গেল :(

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

সুমন কর বলেছেন: আসলে আমি সাহিত্যের মার-প্যাঁচ কম দিয়ে সহজ ভাবে সকল পাঠকের কাছে পৌঁছাতে চাই। এতদিন আগের একটি গল্প সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি, আগামীতেও আপনাদের পাশে পাব।
পরের গল্প আর দুম করে শেষ হবে না। :-* আসবেন।

২৯| ২১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি গল্পের মাধ্যমে কিছু মেসেজ রেখে যান, এটা ভালো লাগে।

২১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:১২

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.