নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে ঢেউ তোলে, আর সেই ঢেউয়ে ভাসিয়ে তলিয়ে নিয়ে যায় জীবন তরী”

সৈকত মিত্র বড়ুয়া

❝পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে

সৈকত মিত্র বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে মানুষটার পরম মমতায় কাটে আমাদের প্রতিটা মূহুর্ত, সেই প্রিয় মানুষটি আমাদের মা

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২৪

আজকের দিনটাকে মা মা করে ফেসবুক ওয়াল ভরিয়ে ফেলবেন সবাই। যেটা আমিও করতেছি। কিন্তু কথা হল যারা ভাবতেছেন প্রতিদিনই তো ভালবাসি মাকে। তাই আজকের এই একটা দিনে ঘটাকরে সেলিব্রেট করার কোন মানে হয়। না মানে হয় না !


কারন এটা তারাই বলবেন যারা আজকের দিনটাকে সেলিব্রেট করতেই নারাজ। ভাবছেন আজকের এই একটা দিনে সেলিব্রেট করার দরকারি বা কি, বরং ভুল করে আজকের দিনটাকেই মিস করবেন। যতই দুরেই থাকুন, অন্তত আজকের দিনটাতে মায়ের কাছা কাছিই থাকুন।


যারা সত্যিকার অর্থে জীবন জীবিকার টানে দূর প্রবাসে কিংবা মার কাছ হতে হাজার হাজার মাইল দূরে আছেন তারা মাকে হুট করে যে কোন একটা সারপ্রাইজ দিতে পারেন। দেখবেন খুশিতে মায়ের হাসি মাখা মুখটা কেমন টলমল করতেছে। আমরা তো মাকে প্রতিদিন, প্রতিক্ষন, প্রতিমুহুর্তেই ভালোবাসি। আজকের দিনটাতে না হয় একটু বেশি।

ব্যক্তিগত জীবনে আমি আমার বাবার চাইতে মাকেই একটু বেশি ভালবাসি। তার কারন হিসেবে মা যতকিছু সহ্য করেন বাবা হয়তো তেমন করতে পারেন না। যত আবদারি হোক ঐ মায়ের কাছে। বাবা যদি পাশেও থাকে তবুও মাকে বলা হয় সবকিছু। আর সেটা যতক্ষন না পুরণ হয়, পিছন পিছন শাড়ির আঁচল ধরে আবদার পুরণ করার জন্য আঠার মত লেগে থাকতাম। যখন পূরণ হয় আমার পাশাপাশি মায়ের মুখেও ফুটে উঠে ছোট্ট স্বর্গীয় মলিন হাসি।

কষ্ট যে কি পরিমান দিয়ে থাকি সেটা বলার মত না। যত রখমের দুষ্টুমি করে রেহায় পায় একমাত্র মায়ের কাছে। ছেলে যত দোষ করুক না কেন মায়ের কাছে সে তো এক অবুঝ শিশু। যদি বাইরে বের হই, মা বলে- “বাবা সাবধানে যাস, গাড়ি ঘোড়া দেখে চলবি” তখন আমি ঠাট্টা করেই বলতাম- “ মা, গাড়ি আছে কিন্তু ঘোড়া তো নাই” মা আর কি বলবে ঐ আগের মত ছোট্ট স্বর্গীয় মলিন হাসি।

মায়ের ভালবাসা পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। মা তো মা-ই যার সাথে আর কোন কিছুর তুলনা করা চলে না।
“মা” তোমায় সত্যিই অনেক অনেক ভালবাসি।

কোন এক মুণি ঋষি বলেছেন, যার মা আছে সে কখনো গরীব হয় না :) “মা দিবসে আমার মা সহ পৃথিবীর সকল মা সাথে অনাগত মায়েদের প্রতি রইল আমার অন্তরের অন্তস্থল হতে শ্রদ্ধা সাথে রইল অফুরন্ত ভালবাসা, আমাদের এত কষ্ট করে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য। আমার মা সহ পৃথিবীর সব মা, ভাল থাকুক, সুস্থ থাকুক এবং বেঁচে থাকুক আজীবন” একজন মানুষ ৪৫ ইউনিট ব্যাথা একবারে সহ্য করতে পারে, কিন্তু একজন মা যখন একটি শিশুকে জন্ম দেন ,
তখন তিনি ৫৭+ ইউনিট ব্যাথা সহ্য করেন !! এই ব্যাথা একসাথে ২০ টি হাড্ডি ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাথা থেকেও বেশি !!

মাকে নিয়ে আসলে বলার কিছুই নাই। মায়ের অবদানের কথা কি লিখে শেষ করার মতো! ১০ মাস ১০ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণের কষ্ট তো মাকেই সইতে হয়! তার চুল পরিমাণ কষ্টও কি বাবা সহ্য করেন? তারপর নিজের বুকের দুধ খাইয়ে তিল তিল করে সন্তান বড় করে তোলেন মা। রাতের পর রাত নির্ঘুমে কাটান মা। সন্তানের ঠাণ্ডা লাগতে পারে সেই ভয়ে নিজে ভেজা জায়গায় শুয়ে সন্তানকে বুকের ওপর রাখেন! একটা ক্ষুদ্র পিঁপড়াও যাতে কামড়াতে না পারে, সে জন্য সারাক্ষণ কত সতর্কতা!

যে মানুষটার পরম মমতায় কাটে আমাদের প্রতিটা মূহুর্ত, সেই প্রিয় মানুষটি আমাদের মা, সে মাকে শুধু মা দিবসে কেন, প্রতিদিন বলব, মা তোমায় ভালবাসি, অনেক ভালবাসি।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ভালো লাগলো পড়ে, মুগ্ধতা।

মা'য়ের প্রতি ভালোবাসা রইল অপরিসীম।

শুভকামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.