নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভাজনের এক ভয়ংকর পদ্ধতি অনুসরণ করছে হেফাজত, আওয়ামীলিগ, এবং আমরা সবাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

হেফাজত সেই অক্টোবর মাস থেকে শুরু করছে "ফ্রান্স বয়কট", নবী (স) অবমাননার সম্মান রক্ষার্থে আন্দোলন করছে কোন আপত্তি নাই, আমিও চাই করুক। যাত্রাবাড়ীতে প্রায় শখানেক মাদ্রাসা আছে, এইসবের প্রানকেন্দ্রে ভাস্কর্য করবে আপত্তি থাকবেই স্বাভাবিক। কারণ যত যুক্তিই দেখাক ইসলামে ভাস্কর্য নিষিদ্ধ। তবে হেফাযত, আওামিলীগ, এদের উপর বেশ বিরক্ত কয়েকটা কারণে।
২০১৩ সালে শাহবাগ আর হেয়াফজতের দ্বন্দের ফলে সমস্যা হয়েছে সাধারন মানুষদের। পুরো একটা বিভাজননীতি যাকে বলা যায় Divide and Conquer এই নিয়ম মেনে চলছে। এর ফলাফল হচ্ছে ভয়াবহ। আজ দেখলাম এক বক্তাকে এক নেতা ওয়াজ থেকে উঠায়ে দিচ্ছে। উঠায়ে দেয়ার সময় নেতা প্রথমে বলল "বান্দীর বাচ্চা", আমি অনেক হুজুর বক্তা ইমামকে দেখছি এই গালিটা দিতে, এইটা নাকি ইসলামিক গালি, আরেকটা গালি হচ্ছে " গোলামের পুত"। কিন্তু তারপরে নেতা যেই গালি গুলো দিল সেইটা অশ্রাব্য ছিল। বক্তার চোখ দিয়ে পানি বের হওয়া বাকি। এত অপমান সে নিল। এইটা গেল একটা প্রেক্ষাপট। আরেকটা ঘটনা সমাজে ঘটবে তা হচ্ছে একটা ধারনা তৈরি হচ্ছে যে শতকরা আটাশি ভাগ মুসলিমের দেশে অন্য মানুষজন বিশেষ করে অন্য ধর্মালম্বিদের সামনের দুর্গা পুজায় এই ভাস্কর্য ইস্যু তে এলাকায় আদৌ ঠিক মত পুজা করতে দিবে তো?
আমি কেমন বাংলাদেশ চাই বলি- একটা হিন্দুর এই দেশে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এইটা আওয়ামীলীগ হোক আর বিএনপি হোক এমন কাউকে মনোনয়ন দিবে না, যাতে ঘটনা কমলা হ্যারিসের মত হয়। আওয়ামীলীগও ট্রাম্প, হেফাজত, শাহবাগি সবাই ট্রাম্প এইদেশে। সবার সমান অধিকার এইটা ইসলামিক আইন দিয়ে আসবে, নাকি দেশের সংবিধান দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে আসবে আমার কাছে মোটেও এইটা গুরত্বপুর্ন বিষয় না। বিষয় হচ্ছে- এই দেশে মুসলিম ছাড়া অন্য কারো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমি বলছিনা আমি কোন মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীকে প্রধানমন্ত্রী বানাব, আমি জানতে চাচ্ছি, রাষ্ট্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেকোন সময় যে কেউ সুষ্ঠুভাবে যেতে পারবে কিনা? যদি না পারে ভেবে নিন, যতই ইসলামিক পোষ্ট দেন আর ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের পোস্ট দেন, আপনি নিজেও বিভাজনকারী, এবং আপনি ন্যায়বিচার করতে পারেবন না।
দয়া করে আর বিভাজন কইরেন না, যদি সাম্য, ন্যায়বিচার, সবার সমান সুযোগ দিতে পারেন ভালো, নাইলে সাধারন মানুষকে উত্তেজিত করে পুরো ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রনের বাইরে নেয়ার কোন মানে হয় না।
বিঃদ্রঃ১৪০০ বছর আগে ইসলাম ন্যায়বিচার করে দেখাইছে এই টাইপ ডায়লগ না দিলেই খুশি হব, কারণ আপনি সাহাবী (রা) না, পক্ষপাতদুষ্ট মানুষ। আর দেশ স্বাধীন হইছে এই সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য, ছাইপাশ সাম্য হইছে এই দেশে, বিচার মানি তালগাছ আমার এই ধরনের সাম্য আমি চাই না।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ভেঁড়ার চামড়া পরে সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন; আপনি আসলে ভেঁড়া নন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি এখনও জানি না আমি ভেড়া, নাকি ছাগল। ভাবতেছি আপনাকে নিয়োগ দিব আমার পরিচয় খুজে বের করার জন্য।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শতকরা ১৫ জন বাংগালী সমস্যা, কষ্ট, কুশিক্ষা ও অসহায়ত্ত্বের কারণে মানসিক সমস্যায় ভোগে, এরা জাতির জন্য বোঝা; আপনি এদের মাঝে আছেন কিনা দেখেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি সবসময় পয়েন্ট কে কন্ট্রাডিক্ট করে কথা বলেন কেন? আপনি যেই সমস্যার কথা বললেন সেইটাও একটা সমস্যা, কিন্তু এইটাই কি একমাত্র সমস্যা। কোন সমস্যার কি চূড়ান্ত সমাধান আছে? আমি বলেছি এক প্রসঙ্গে আপনি বলছেন আরেক প্রসঙ্গে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, ".... আমি বলেছি এক প্রসঙ্গে আপনি বলছেন আরেক প্রসঙ্গে। "

-আপনার আসল অবস্হানটাই ভুল অবস্হান, আপনার ভাবটাই ভুলের শুরু মাত্র, আপনি জয়ী হলে ভুলের বিজয় ঘটবে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি ভুল হতেই পারি। কিন্তু একটা বিভাজন হচ্ছে এইটা একটা জাতির জন্য বেশ কাল হয়ে দাঁড়াবে।
পোস্টে আমি একটা প্রশ্ন করেছি- আপনি একটা রাজনৈতিক দল করেন, এখন আপনি কি ভিন্ন ধর্মালম্বী কাউকে মনোনয়ন দিবেন? যদি দেন তাহলে কোন কথা নেই, কিন্তু আপনার মাথায় যদি আসে যে হিন্দু কাউকে আপনি আপনার দলের প্রধান বানালে আপনি হারবেন কারণ মানুষ মানবে না। আমি এই ব্যাপারটাকেই ভীতিকর ভাবে দেখছি।
আমি জানি না আপনি কি কথা বুঝেন, নাকি না বুঝেই হইচই লাগায়ে দেন? এত ভেঙ্গে বলার পর ও যদি কথা না বুঝেন, তাহলে আমার মূল বক্তব্য আপনি বুঝেন নাই, কথা বাড়াবার আর মানে হয় না।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিভাজন হচ্ছে আপনাদের মতো মনোভাবে লোকজনের কারণেই; আপনারা পড়েন ইন্জিনিয়ারিং, জাতি আশা করেন যে, আপনারা পদ্মাসেতু গড়বেন, পদ্মার ইন্জিৈয়ারিং নিয়ে লিখবেন ; কিন্তু আপনারা হেফাজতের পক্ষে, তালেবানদের পক্ষে লিখছেন! আজগুবি গদয় লিখেন, সাপুড়ে কবিতা লিখেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইটা আপনি বলতেই পারেন, যে এইসব নিয়ে লিখা না কেন? কথা হচ্ছে আমি যে কখনই লিখি নাই ব্যাপার তো এমন না। আমি লিখেছি। আমার প্রায় ৩৫ টা ব্লগ পোস্টের মধ্যে ৮-১০ টা বিজ্ঞান ভিত্তিক পোস্ট তো হবেই। আমি তো সেইটাকে বাদ দিয়ে কখনই লিখি না। আবার এইটাও ঠিক যে এইসব আলবাল নিয়ে বেশি কথা বললে বিভাজন আরও বাড়ে। আমি এই বক্তব্যের সাথেও একমত। দেশের মানুষ হয়ে যাচ্ছে সব পক্ষপাতদুষ্ট, কেউ কাউরে সহ্য করতে পারে না, সম্মান দিতে পারে না। সেইখানে পদ্মা সেতু বানালে স্প্যান বসানো নিয়ে মজা হয়। এই ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে কি ঘোড়ার আণ্ডা হবে? কোনটা নিয়ে মজা করতে হয়, কোন্টার আফটার ইফেক্ট কি, এইটা যদি না বুঝে তাহলে সমস্যা। সারাদিন বিজ্ঞান, কঠিন কঠিন আলাপ করলেই হয় না, খুব সাধারন মানুষ সেই আলাপ বুঝে কিনা, সেইটা তার মনোজগতে কি প্রভাব ফেলছে সেইটা না বুঝে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কি করব। প্রকৌশলদের মূল্যবোধ পড়ানোর কারণ হচ্ছে এইটাই, সে তার আশেপাশে নিয়ে ভাবে কিনা? এপল বাজারে আইফোন আনার আগে ডিজাইন নিয়ে প্রথমে বসে, এই ডিজাইন মানুষ্কে কতটূক আকৃষ্ট করবে সেইটা নিয়ে। অন্যের মনোজগত না বুঝলে, অন্যের মনোজগতের প্রভাব না বুঝলে প্রকৌশল হয়ে ঘোড়ার আণ্ডা হবে। সব জঙ্গি হবে।
সুতরাং সবসময় এইসব এড়িয়ে চলা যায় না। কারণ আমি এই দেশের অংশ, পচন এক জায়গায় ধরলে সর্বত্রই ধরে।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "যত যুক্তিই দেখাক ইসলামে ভাস্কর্য নিষিদ্ধ"। আপনি তো ইহা বিশ্বাস করেন?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমার বিশ্বাস অবিশ্বাসে কিচ্ছু যায় আসে না। এইটা হচ্ছে একটা ধর্মের বিধান। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী এইটা সত্য। আমার এই শব্ধ উচ্চারনের কারণ, একটা মতবাদের কথা না বুঝলে আমি সেইটা নিয়ে কথা বলতে পারব না। এখন ইসলাম ধর্মে কোন আঙ্গিকেই এইটা বৈধতা দেয়া হয় নাই। আমি আরেকটু বুঝিয়ে বলি আপনাকে, আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমে কোয়ান্টাম মেকানিক্সে যা বলছে সব মেনে নিতে হবে, আপনি শুরুতেই যদি এই তত্ত্ব মানতে চায় না, এ তত্ত্বের ভুল ব্যাপারগুলো নিয়ে পড়া শুরু করেন, আপনি মোটেও বুঝবেন না, যে আসলে বলছে কি। তো আমি এই প্রেক্ষাপট থেকে বলছি যে ইসলাম ধর্মে এইটা নিষিদ্ধ। আমি এই নিষিদ্ধ বলার পর বলতে চেয়েছি, এইটা ভাস্কর্য যদি না বানাতে পারে এর পুরো ঝামেলা পড়বে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের, কারণ এই ভাস্কর্য না বানানোর ব্যর্থতায় একটা সম্প্রদায় পরের বছরে দুর্গা পুজায় উত্তরা সেক্টর ১৩ এর মত ঘটনা ঘটাবে। এর দায় কখনই হেফাজত নিবে না, কোন ইসলামিক লেখক নিবে না। এরা একটা বিভাজন তৈরি করছে। এমনকি ওয়াজিন রাও ঠিকমত ওয়াজ করতে পারবে না।
হেফাজত এইসব ব্যাপারগুলোকে নিয়ে এসে যারা মোটেও এইসবের সাথে জড়িত না, এদের উস্কে দিচ্ছে। আর আওয়ামীলীগ এদের এখন যেইভাবে দমন করছে, এতে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ওরা ভোট পাবে না, কারণ জনমানুষ ভেবে নিচ্ছে ওরা হিন্দুপন্থি, আর বিএনপি হেফাজত ঠিক এই সুযোগ টাই নিবে। ফলাফল আরও বিভাজন।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


নবীর (স: )'এর সময়, আরব বেদুইনরা ভাস্কর্য বানাতে জানতেন, নাকি ইটালিয়ান, গ্রীক ও মিশরীয়রা ভাস্কর্য বানাতে জানতেন?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: সব জাতির মধ্যে এই ধরনের শিল্পী ছিল, আছে থাকবে।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ফটিকলাল বলেছেন: সেকুলার রাস্ট্রের প্রথম চরিত্র হনন করে জিয়া আর সেটাকে কফিনে চড়ান এরশাদ। হাসিনা ক্ষমতার মোহে যেভাবে বাংলাদেশের খতনা শুরু করেন এ পথ থেকে ফিরে আসতে অনেক সময় লাগবে এবং এ পথটাও বিপজ্জনক।

মুসলিম দেশে সেক্যুলার শব্দটিই হলো একটা গালি যদিও মডারেট মুসলমানরা ইসলামকেই সবচে বেশী অসাম্প্রদায়িক বলে মিথ্যা অত্যুক্তি করেন। আদতে যতদিন না রাস্ট্রের চরিত্র সংশোধন করতে না পারছি ততদিন আপনার আশায় গুড়েবালি।

আর চাদগাজি সাহেবকে আপনি ভুলভাবে হ্যান্ডেল করছেন। আপনার বয়োবৃদ্ধ দাদাকে যেভাবে হ্যান্ডেল করেন তাকে সেভাবে করুন, এনজয় করতে পারবেন।

বয়োবৃদ্ধ মানুষের সাথে একবার জমলে তখন আপনি পরিপক্ক এনজয়মেন্ট পাবেন। তাকে যেমন খুশি যেদিকে খুশি চালাতে পারবেন

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: চাদ্গাজীর সাথে এই প্রথম আমি আলোচনা করে মজা পাচ্ছি, সাধারণত উনি একটু বেশি আক্রমনাত্বক থাকে, আর উনি বুঝে গেছে হয়ত আমি এইসব পাত্তা দেই না। এই কারণে সেই সুর একটু নরম হইছে।
আমার আশায় গুড়েবালি আমি জানি, কারণ আমি নিজে রাজনীতিক দল দিলে এইদেশের আলেম সমাজ আমাকে হিন্দু/ মুসলিমদের দেশে ইমান হারানোর শেষ পেরেক গুজে দিচ্ছি এই অপবাদ থেকে বাচতে হলেও আমি দুইবার ভাবব। কিন্তু এইটা হওয়ার কথা ছিল না। এই দেশে একটা মেথরের ছেলে/ মেয়ের রাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এইভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। ধর্মের চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই সাম্যটাই ৫০ বছরেও প্রতিষ্ঠা হয় নাই। এইটাই সবচেয়ে বড় আক্ষেপের কথা। মানুষ হিসেবেই বাচতে দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশ এখনও একজন হিন্দু/খ্রিস্টান কাউকে সাহস করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বানাতে পারছে না ...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ভোট হারানোর তো সাহস কারও নাই, ধর্ম মন্ত্রী কেন? একজন হিন্দু কে রাষ্ট্রপতি/ স্পীকার বানায়ে দেখুক কি যে হবে, উঠে পড়ে লাগবে।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: আমার বিশ্বাস অবিশ্বাসে কিচ্ছু যায় আসে না। এইটা হচ্ছে একটা ধর্মের বিধান।

যেই ধর্ম মানব সভ্যতার সাথে সাংঘর্ষিক, উহা অবশ্যই ভুল।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ব্যাপারটা এত সহজ না, মানব সভ্যতার সাথে সাথে ধর্ম বিকশিত হয়েছে, মানুষ এইটা নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, এবং সভ্যতা বিকাশের একটা বড় কারণ এই যুদ্ধও। এত সহজে আপনি এইটাকে এডিয়ে যেতে পারেন না।

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সমাজে ধনী গরিবের বিভাজনের পরে আছে রাজনৈতিক বিভাজন । এখন হলো হেফাজতের বিভাজন

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: বিভাজনের চেয়ে বড় বিষয় মনে হয় আমার কাছে, সব কিছুর যেন একটা কাউন্টার ব্যাখ্যা তৈরি থাকে। এই পাল্টা ব্যাখ্যা দিতে দিতে ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তখন আর নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকে না। আমি একটা উদাহরন দেই, যেমন এইটা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কথা বলার পর একটা ব্যাখ্যা পেলাম, রাফান আহামদের এবং এদের কাছাকাছি একটা গোষ্ঠীর কাছ থেকে এই মুক্তিযুদ্ধ কি অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশের জন্য হইছে, এইটা তৎকালীন মানুষদের কাছ থেকে জরিপ নিয়ে বলতেছে। এইটা একটা পাল্টা ফালতু যুক্তি, মানে মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে জায়েজ করার চেষ্টা করছে। ঠিক একই রকম পাল্টা যুক্তি পাওয়া যায় ভাস্কর্য হালাল করা নিয়ে।

সমস্যা ঠিক এইখানে একটা করে ইস্যু নিয়ে আসতেছে, এবং এমন এমন ইস্যু নিয়ে আসবে যে এইদেশের সাধারন মানুষ বেশ প্যারায় পড়ে যাবে, করবে টা কি।

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মান্ধগোষ্ঠীকে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে নির্মূল করা ছাড়া পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবার কোনও পথ নেই !

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: নিচে নুরুরল ইসলাম আপনার কথার একটা উত্তর দিয়ে দিছেন। এর চেয়ে ভালো হয় কোন রকম দ্বন্দ্বে না জড়ায়ে, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে ভাবা।

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: লেখক একটা চরম সত্য কথা বলেছেন।একটা যুদ্ধের মাধ্যমেই মুসলিম অমুসলিম সমস্যার একটা চুড়ান্ত সমাধান হবে।
বর্তমানে মুসলমানদের বিজয়ের সম্ভাবনা ০% এর কম। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যত্ই বলতে পারে।
তাহলে মুসলমানরা কি বসে থাকবে। অবশ্যই থাকবে না,এখানে ওখানে চুলকাবে এবং ঘা করবে,তারপর বিধর্মীরা মলম দিবে।সহজে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইটা চলতেই থাকবে। থামা উচিত কোথাও।

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

মাহিরাহি বলেছেন: Harris is a multiracial American[4] and a Baptist, holding membership of the Third Baptist Church of San Francisco, a congregation of the American Baptist Churches USA

হ্যারিস একজন ব্যাপটিস্ট

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মাহিরাহি বলেছেন: আমেরিকানরা একই ধর্মের লোক হলেও ক্যাথলিকদের রাষ্ট্রিয় পদে কোনদিন পছন্দ করেনি।

কেনেডি প্রথম ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট হলেও তাকে কথা দিতে হয়েছিল, তিনি পোপের কথা শুনবেন না।

জো বাইডেন প্রথম ক্যাথলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট, তার প্রথম স্ত্রীর বাবা মা, ক্যাথলিক বলে বিয়ে দিতে দ্বিধা করছিলেন।
অথচ আমেরিকায় ক্যাথলিকদের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি।

“Not that long ago, the prospect of the head of the Catholic Church addressing Congress would have been unthinkable. Catholics in politics were a source of suspicion and a subject of slander for generations. Even as John F. Kennedy became the first Catholic elected president, he felt compelled to defend his faith by asserting that he would not take orders from the pope.”

“কয় দিন আগেও, কংগ্রেসকে সম্বোধন করা ক্যাথলিক চার্চের প্রধানের সম্ভাবনা কল্পনাতীত ছিল। রাজনীতিতে ক্যাথলিকরা প্রজন্ম ধরে সন্দেহের কারণ এবং অপমানের বিষয় ছিল। জন এফ। কেনেডি প্রথম ক্যাথলিক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও তিনি পোপের কাছ থেকে আদেশ নেবেন না বলে জোর দিয়ে নিজের বিশ্বাস রক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিল। "

আমেরিকানদের মধ্যে ধর্মীয় গোড়ামি বেশ প্রবল।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমেরিকানদের মধ্যে ধর্মীয় গোড়ামি প্রবল হলে, সেইখানে এত সকল ধর্মের মানুষের সমাবেশ ঘটত না। ওরা কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামাকেও নেতা মেনেছে। এবং সংবিধান এই নিশ্চয়তা দিয়েছে, সাথে তা বাস্তবায়ন করেছে। আর আমাদের দেশের সংবিধান হচ্ছে নামে, কাজে প্রয়োগ নাই। আর কোন রাজনৈতিক দলের বুকের পাটা নেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বি কাউকে দলের প্রধান বানাবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বি মনে হয় বেশি হয়ে গেছে, পরিবার তন্ত্রের বাইরে তো যাবে বলে মনেই হচ্ছে না। এই চর্চাই নাই।

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

এমেরিকা বলেছেন: ইসলামে ভাস্কর্য নিষিদ্ধ - এই ব্যাপারে সব মাওলানা একমত নন। আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে কিছু মাওলানা পোষে - তাদের কাজ হচ্ছে ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের সব কাজ জায়েজ করা। হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান এরকম একজন। তিনি মনে করেন, কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে পূজা না করে, তাহলে সেই ভাস্কর্য নির্মাণ করা জায়েজ আছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: কি যে বলব কিচ্ছু বুঝি না এদের কাজ কাম। নানা মুনির নানা মত। নিজ নিজ ধান্ধায় মানুষ নিজের পছন্দমত মত পছন্দ করে, তারপর সেই মতের প্রচার ও প্রসার করে। সবই লীলাখেলা।

১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭

ফটিকলাল বলেছেন: ইমাম বাকির রহ , ইমাম সাদিক র. এর মতো আলেম স্কলার গনও মনে হয় আ.লীগ করে। সমস্যা হইলো তারা লীগের জন্ম হওয়ার বহু বছর আগে ইন্তেকাল করছে এবং তারা বাংলাদেশী নন। কিন্তু তারা এসব আর্ট ভাস্কর্যের পক্ষে শর্ত সাপেক্ষে বর্নিত ফতোয়া দিয়ে গেছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: মামুনুল হকের চেয়ে বড় আলেম এই দুনিয়ায়ে নাই, উনি যা বলবেন তাই হক কথা। বিঃদ্রঃ কথাটা একটু ব্যঙ্গাত্মক ছিল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনার উলামায়ে শু নিয়ে একটা পোষ্ট দেখলাম। পোষ্টটা বেশ ভালো লেগেছে। কাছাকাছি ধারনার একজন ফেসবুক লেখক কে আমি চিনি। সন্দেহ হচ্ছে আপনি সেই লোক কিনা। আমি একটু আন্দাজ করছি আপনার নাম কি মুহাম্মদ ইশরাক?

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভাস্কর্য আমার ভালো লাগে। ইহা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: শৈল্পিক দৃষ্টিকোন থেকে আমার খারাপ কিছু মনে হয় না। অন্তত ইতিহাস সভ্যতা কৃষ্টি সংস্কৃতি শিখা যায়। যদিও বাংলাদেশি কৃষ্টি সংস্কৃতি নাকি হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি। এই কারণে দেখবেন হুজুররা গোশত বলে মাংস বললে না ইমান থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.