নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও শেখ মজিবুর রহমান সম্পর্কে প্রয়াত জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ\'র কিছু কথা!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৩



"প্রয়াতজনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ'র রাজনৈতিক উপন্যাস 'দেয়াল' থেকে নেওয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তৎকালীন সময়

সম্পর্কে কয়েকটা উদ্ধৃতি"
* শুক্রবার ভোরে প্রেসিডেন্ট জিয়া নাস্তা খাচ্ছিলেন। আয়োজন সামান্য।
চারটা লাল আটার রুটি। দুই পিস বেগুন ভাজি। একটা ডিম সিদ্ধ ।
জিয়ার সঙ্গে নাশতার টেবিলে বসেছেন তার বন্ধু ও সহযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুর ।
জেনারেল মঞ্জুর বিস্মিত হয়ে বললেন, এই আপনার নাশতা ?
প্রেসিডেন্ট বললেন, হতদরিদ্র একটি দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই নাশতা কি যথেষ্ট না ? (দেয়াল, হুমায়ুন আহমেদ, ১৮৯-পৃষ্ঠা)

** জিয়াউর রহমানের পাঁচ বছরের শাসনে প্রতি মাঘের শেষে বর্ষন হয়েছিল কিনা তা কেউ হিসাব রাখেনি ,তবে এই পাঁচ বছরে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি । অতি বর্ষনের বন্যা না , খরা না , জলোচ্ছাস না । দেশে কাপড়ের অভাব কিছুটা দূর হলো । দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া হলো না । বাংলাদেশের নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়তে লাগলো ।

বাংলাদেশের মানুষ মনে করতে লাগলো অনেক দিন পর তারা এমন এক রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে যিনি সত্ । নিজের জন্য বা নিজের আত্নীয়স্বজনের জন্য টাকা পয়সা লুটপাটের চিন্তা তার মাথায় নেই । বরং তার মাথায় আছে দেশের জন্য চিন্তা । তিনি খাল কেটে দেশ বদলাতে চান । জিয়া মানুষটা সত্ ছিলেন , এতে কোনো সন্দেহ নেই । লোক দেখানো সত্ না , আসলেই সত্ । তার মৃত্যুর পর দেখা গেল জিয়া পরিবারের কোনো সঞ্চয় নেই । (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৩)

*** তারিখ ৩০ মে রাত এগারোটা । জিয়া প্রান হারান তার একসময়ের সাথী জেনারেল মঞ্জুরের পাঠানো ঘাতক বাহিনীর হাতে । বলা হয়ে থাকে , জেনারেল মঞ্জুর তার রুপবতী স্ত্রী দ্বারা পরিচালিত ছিলেন । এই স্ত্রী মঞ্জুরের শেষ দিন পর্যন্ত তার সঙ্গী ছিলেন । সেনা অভ্যুত্থান ঘটানো এবং জিয়া হত্যার পেছনে প্রলয়ংকারী স্ত্রীবুদ্ধি কাজ করতে পারে । সে সময় জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভ করতে থাকে। তাদেশে মনে হল, এই যেন পুরো দেশ কাঁদছে। (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৬)

**** বঙ্গবন্ধুর অতি কাছের মানুষ তার রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বসে আছেন রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তর সাভারে । আতঙ্কে তিনি অস্থির । বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন ।

বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীবাহিনী ঝিম ধরে বসে আছে । একসময়ের সাহসী তেজি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদও ঝিম ধরে বসে আছেন । শুরু হয়েছে ঝিম ধরার সময় । রাস্তায় মিছিল বের হয়েছে । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি , সেই মিছিল আনন্দ মিছিল । শফিক বাংলামোটরে গিয়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখল । সেখানে রাখা ট্যাংকের কামানে ফুলের মালা পরানো । কিছু অতি উত্সাহী ট্যাংকের উপর ওঠে নাচের ভঙ্গি করছে । আমার বাবর রোডের বাসার কথা বলি । বেতারে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে একতলার রক্ষীবাহিনীর সুবেদার পালিয়ে গেলেন । তার দুই মেয়ে ছুটে এল মা'র কাছে । তাদের আশ্রয় দিতে হবে । মা বললেন তোমাদের আশ্রয় দিতে হবে কেন ? তোমরা কি করেছ ? তারা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল , খালাম্মা , এখন পাবলিক আমাদের মেরে ফেলবে । এই ছোট্ট ঘটনা থেকে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার এবং তাদের প্রতি সাধারন মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃনাও টের পাওয়া যায় ।
(দেয়াল, পৃষ্ঠা-১০৭)।

একজন জিয়া আর একজন মুজিব,
পার্থক্যটা এখানেই।
………লাল সবুজের বাংলাদেশ পেজ থেকে

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হুমায়ুন আহমেদের বাবাকে পাকীরা মারার পরও মুক্তিযুদ্ধে যাননি, কুলাংগার।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪২

সাবু ছেেল বলেছেন: Humayan (Kumayun) Ahmed got Married With Her "Almost Daughter".Shame And Spit Goes To Humayun (Kumayun) Ahmed!!

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

রাজীব বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের চরিত্র খারাপ।
এখন কেউ কেউ তাকে নাস্তিক ও বলেতে পরেন।

কি আর করা, এখন তো তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো যাবে না তাই গালাগালিই সম্বল

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পার্থক্যটা এখানেই। …

ক্ষমতার দম্ভে যে সত্য বদলে ফেলা কখনো সম্ভব নয়। হয়তো কিছূদিন জোর করে ধামাচাপা দেওয়া যাবে।
সত্য বড়ই তেতো!

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই উপন্যাসে বিদ্রোহের নামে প্রায় তিন হাজার সেনাকর্মকর্তা হত্যার কাহিনীও বলা আছে, খুনীদের পুনর্বাসিত করার কাহিনীও উল্লেখ আছে ।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

সত্যচারী বলেছেন: তার মানে জিয়া দুধে ধোয়া তুলসী পাতা, আর মুজিব নর্দমার কীট,
এটাইতো বোঝাতে চাইলেন, তাই তো?

(দেয়াল উপন্যাস টা ভালোভাবে পড়ে দেখবেন, পুরো উপন্যাসজুড়েই মুজীবের জয়গান করা হয়েছে,দুয়েকটা লাইন উদৃত করে কি বোঝাতে চাইলেন)

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

রাখালছেলে বলেছেন: কথা সত্য না মিথ্যা তা প্রমান করুন । এখানে বেশীরভাগই মানুষ যুদ্ধ দেখেনি । তার পরের পরিস্থিতি দেখেনি । আমিও না । আমার নানু দেখেছে । সেও বঙ্গবন্ধুর আমলকে ভাল চোখে দেখেন না । এটাও সত্য যে তখন দেশের নিজের বলতে কিছুই ছিল না । অভাব আর অভাব। আমাদের জীবনের একশ বছর আর ইতিহাসের একটা পাতা সমান । ইতিহান বিকৃতি করে লাভ নাই । ইতিহাস তার নিয়মেই চলবে। চামচামি করে কিছুদিন হয়ত ভাল থাকা যায় তবে ইতিহাসের পাতায় ঠাই পাওয়া এত্ত সহজ না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.