নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ১৭ই রমজান: ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ দিবস ও ঘটনা

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫১



আজ ১৭ রমজান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ, হিজরি দ্বিতীয় বর্ষের ১৭ রমজান ৩১৩ জন সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে মহানবী (সা.) মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ৮০ মাইল দূরে বদর নামক স্থানে কাফেরদের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ইতিহাসে এ যুদ্ধকে বদর যুদ্ধ বলে অবহিত করা হয়। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের সেনাপতি ছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগে তিনি দোয়া করেন- 'হে আল্লাহ! ক্ষুদ্র এ (মুসলিম) দলটি যদি আজ শেষ হয়ে যায়, তবে কিয়ামত পর্যন্ত তোমার নাম নেওয়ার মতো কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।'

রাসুল (সা.)-এর এই দোয়া থেকেই স্পষ্ট হয়, বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট কী ভয়াবহ ছিল! মহান আল্লাহ দয়া করে সেদিন ফেরেশতাদের মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেছিলেন। যদিও এটি ক্ষুদ্র একটি যুদ্ধ ছিল, কিন্তু এর প্রভাবে বিশ্বের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বাতাসের গতি পরিবর্তন হয়ে যায়। যারা একদিন আগেও ইসলামের যাত্রাপথ রোধ করাকে সহজ মনে করেছিল, তারা বুঝতে পেরেছে যে ইসলামের এ অগ্রযাত্রাকে রোধ করা কেবল কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে।

মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে জনবল ছিল মাত্র ৩১৩ জন। এর মধ্যে ৭০ জন মুহাজির ও বাকিরা আনসার। অন্যদিকে কাফের কুরাইশ বাহিনীর সংখ্যা ছিল এক হাজার। তন্মধ্যে ১০০ জন অশ্বারোহী, ৭০০ জন উষ্ট্রারোহী ও বাকিরা পদব্রজী ছিল। সত্যপথের অনুসারী অল্পসংখ্যক রোজাদার মুসলমান বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করায় সত্য-মিথ্যার চিরপার্থক্য সূচিত হয়ে যায়। তাই এ দিবসকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের দিন বলা হয়।

যুদ্ধের ক্ষেত্রটির অবস্থান এবং পরিবেশ: মুসলমানেরা যে স্থানটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন সেখানে সূর্যের তেজ সরাসরি তাদের মুখের ওপরে পতিত হয়। কিন্তু কাফেরদের মুখে দিনের বেলায় সূর্যের আলো পড়ে না। মুসলমানেরা যেখানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করবেন সেখানের মাটি একটু নরম, যা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত নয়। অপর দিকে কাফেররা যেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন সেখানের মাটি শক্ত এবং যুদ্ধের জন্য স্থানটি উপযুক্ত।

যুদ্ধের ঘটনা: মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার নিকট সেজদায় পড়ে সাহায্য প্রার্থনা করছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সা.). কেঁদে কেঁদে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। রাসূল (সা.)-এর আন্তরিক আকুতি-মিনতি মহান আল্লাহ্ নিকট কবুল হয়ে গেল। হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর মাধ্যমে আল্লাহ্ পক্ষ থেকে জবাব এলো- সাহায্য আসবে, তোমার যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত হও, তোমাদের শিরকে উঁচু করো এবং দৃঢ় পদক্ষেপে দাঁড়াও।

পবিত্র কুরআনের সূরা আনফালের ৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তা’য়ালার এই ঘোষণাটি দিয়েছেন।
'তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট, তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান করলেন যে, আমি তোমাদিগকে সাহায্য করব ধারাবহিকভাবে আগত হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে।' -সুরা আনফাল, আয়াত-৯

ওই রাতে মরুভূমিতে প্রবল বৃষ্টি হলো। যেটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বৃষ্টি মুসলমানদের উপকারে লাগল। কারণ বৃষ্টির কারণে কাফেরদের যুদ্ধের মাঠের শক্ত মাটি কাদায় ভরে পিচ্ছিল হয়ে গেল। অপর দিকে মুসলমানদের যুদ্ধের মাঠ শক্ত হয়ে গেল। বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া শীতল হলো, উৎকণ্ঠিত উদ্বিগ্ন মুসলমানগণের চোখে তন্দ্রাচ্ছন্নভাবে প্রশান্তি এসে গেল। অপর একটি ঘটনা, যেটি মহান আল্লাহ তায়ালা ঘটিয়েছেন কাফেরেরা যখন মুসলমানদের ক্যাম্পের দিকে তাকাচ্ছিল ঠিক তখন কাফেরদের চোখে মুসলমানদের ক্যাম্প অনেক বড় মনে হচ্ছিল। তারা চিন্তায় পড়ে গেল এত মুসলমান কোত্থেকে এলো! অপরপক্ষে মুসলমানগণ যখন কাফেরদের ক্যাম্পের দিকে তাকাচ্ছিল তখন কাফেরদের ক্যাম্প মুসলমানদের চোখে অনেক ছোট মনে হচ্ছিল এবং তারা ভাবতে লাগল কাফেররা তো তেমন বেশি না; আগামীকালের যুদ্ধে এদেরকে আমরা পরাজিত করতে পারব। অতঃপর এমন মনে হচ্ছিল যে মুসলমানগণের চোখে দেখা দিয়েছিল অন্য এক স্বপ্ন যে, আমরা তাদের সমান সমান। আর এ ধরনের চিন্তা-চেতনা মহান আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলমানদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাতে করে মুসলমানেরা তাদের মনোবল হারিয়ে না ফেলেন। অতঃপর দিনের বেলায় যুদ্ধ শুরু হলো। প্রথমে তিনজন করে উভয় পক্ষ থেকে এলো এবং কাফেরদের তিনজনই মৃত্যুবরণ করল। অতঃপর কথা মোতাবেক উন্মুক্ত প্রান্তরে উন্মুক্তভাবে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। সেই আমলের যুদ্ধের অস্ত্র হতো তরবারি, তীর, ধনুক, বর্ম, বল্লম ইত্যাদি। মুসলমানগণ প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুসলমানদের সাহায্যের জন্য ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলেন। সাধারণত ফেরেশতারা মানুষের চোখের অদৃশ্য থাকে। কিন্তু যুদ্ধের পর সাহাবিগণ সাক্ষী দিলেন যে, আমরা মানুষ দেখিনি তথা পরিচালনাকারী দেখিনি; কিন্তু আমরা দেখেছি দীর্ঘ আকৃতির তরবারি; যেগুলো শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করছিল।

আবার আরেকটি পর্যায়ে যুদ্ধ চলাকালে জিব্রাঈল (আ.) এসে মহানবী (সা.)-কে এসে জানালেন, হে আল্লাহ্ রাসূল, আপনি আপনার হাতে এক মুষ্টি ধুলো নিন আর শাহাদাত আঙুল ইশারা করে কাফেরদের দিকে ছুড়ে দিন। রাসূল (সা.) এক মুষ্টি ধুলো তার হাতে নিলেন এবং শত্রুপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করলেন।

সম্মানিত পাঠককুল বিষয়টি আসলেই আশ্চর্যের। আমরা চাইলেই এক মুষ্টি ধুলো কিংবা বালু হাতে নিয়ে এ কাজটি করতে পারি। শিশুরা খেলার মাঠে দুষ্টুমিবশত এ কাজটি করে থাকে। কিন্তু চিন্তা করার বিষয়টি হলো এক মুঠ ধুলো যদি কেউ কারো দিকে ছুড়ে দেয় তাহলে তা কত দূর উড়ে যাবে? কিন্তু অসংখ্য প্রমাণ এসেছে সেই বদরের মাঠে রাসূলের ছুড়ে দেয়া ধুলো সেদিন অনেক দূর পর্যন্ত গেছে এবং সব কাফেরের চোখে-মুখে নাকে গিয়ে লেগেছে। এ ছাড়া পবিত্র কুরআনের সূরার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ‘হে রাসূল, সেদিন সেই ধুলো আমি সবার চোখে পৌঁছে দিয়েছি। আপনি কেবল নিক্ষেপ করেছেন। এর কারণ ছিল কাফেররা যেন ভালোভাবে তাদের যুদ্ধের অবস্থান না দেখতে পারে এবং অতি দ্রুত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়; এমনকি বলা হয়েছে তারা তাদের হাতের অস্ত্র ছেড়ে চোখ কচলাতে শুরু করেছিল। একটু চিন্তা করলে দেখা যায় যদিও আমরা জাগতিক দৃষ্টিতে দেখলাম ধুলোগুলো রাসূল (সা.) তার হাত দিয়ে ছুড়েছেন, কিন্তু এই এক মুষ্টি ধুলো কিভাবে শত্রু বাহিনীর চোখে গেল? তাই বলতে হচ্ছে এটা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সম্ভব নয়, এটা হয়েছে অস্বাভাবিক দৃষ্টিতে; যা স্বয়ং আল্লাহ্ ঘটিয়েছেন। আর এটাই হলো ঐশী বা গায়েবি সাহায্য।

বোখারি শরীফের হাদিস মোতাবেক যুদ্ধের শেষে সাহাবিগণ সাক্ষী দিয়েছেন কেউ কেউ যে, আমরা সাদা পোশাক পরিহিত কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে দেখেছি। তাদেরকে আমরা যুদ্ধের আগে কখনো দেখিনি এমনকি যুদ্ধের পরেও দেখিনি। আবার কিছুসংখ্যক সাহাবি বলেছেন, আমরা তরবারি ব্যবহারকারীকে দেখছি না, কিন্তু তরবারিটি দেখছি। তাদের তরবারিগুলো আমাদের তরবারিগুলোর চেয়ে দৈর্ঘ্যে অনেক লম্বা এবং সেগুলো শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করছিল। সেদিন সাদা পোশাক পরিহিত ফেরেশতাদের আকৃতি কারো চোখে দেখা গিয়েছিল আবার কারো চোখে দেখা যায়নি। মূলত তারা ছিল আল্লাহ্র প্রেরিত ফেরেশতা। মুসলমানদের হয়ে বদরের প্রান্তরে তারা যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে দেখা গেল যে কাফেরদের মধ্য থেকে ৭০জন নিহত হয়েছে এবং ৭০ জন বন্দী হয়েছে। অপরপক্ষে মুসলমানদের মধ্য থেকে শহীদ হয়েছিলেন ১৪ জন; তার মধ্যে ছয়জন ছিলেন মোহাজের সাহাবা, অপর আটজন ছিলেন আনসার।

-বদর যুদ্ধে শাহাদত বরনকারী ১৪ জন সাহাবীর নামের তালিকা

এই যুদ্ধের আরেকটি ঘটনা হলো, আল্লাহ্ তা’য়ালা মুসলমানদের সাহায্য করেছিলেন ফেরেশতা দিয়ে। অপরপক্ষে মক্কাবাসী কাফেরদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য অভিশপ্ত ইবলিসও এসেছিল সেদিন। আর ইবলিস এসেছিল সোরাকা নামক একজন ব্যক্তির আকৃতি ধরে। কিন্তু মক্কাবাসী পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাঠে নেমে যখন সেই ইবলিস দেখল আল্লাহ্র ফেরেশতাগণ মুসলমানদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধরত মাঠে বিদ্যমান, ঠিক তখন ইবলিস পালিয়ে যেতে লাগল। কাফেরদের মধ্য থেকে কেউ একজন বলে উঠল, সোরাকা তুমি কোথায় যাচ্ছো? সোরাকা তুমি কি বলোনি যে, তুমি আমাদের সাহায্য করবে? আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে না? সে সময় ইবলিস (ছদ্মবেশে সোরাকা) বলল, আমি এখানে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি যা তোমরা দেখতে পাও না। আল্লাহ্কে আমার ভয় হচ্ছে, তিনি কঠোর শাস্তিদাতা। এরপর ইবলিস আত্মগোপন করেছিল।

বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম সমন্বিত এবং যতটুকু সম্ভব পরিকল্পিত যুদ্ধ। যুদ্ধের ময়দানে সুবিধাজনক অবস্থান নেয়া, পানির উৎস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সূর্যের আলোর গতিবেগ লক্ষ্য করে সৈন্যদের দাঁড় করানো এবং যুদ্ধের আগে শত্রুদলের চার পাশ পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি বিষয় শিক্ষণীয়।

সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় ছিল অজাগতিক তথা সব কিছুর জন্য আল্লাহ্র ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করা। তাওয়াক্কুলের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় আমরা বলতে পারি যে, নিজের দ্বারা সম্ভব সর্বপ্রকার প্রস্ত্ততি গ্রহণ করা হবে, কিন্তু সাফল্যের জন্য সে প্রস্ত্ততির ওপর নির্ভর করা যাবে না, সাফল্যের জন্য নির্ভর করতে হবে একমাত্র আল্লাহ্ তা’য়ালার ওপর। বদরের যুদ্ধে মুসলমানেরা জয়ী না হলে কী হতে পারত, সেটা কল্পনা করার প্রয়োজন নেই। আল্লাহ্ তায়ালার অসংখ্য দয়া আর মেহেরবানির বদৌলতে মুসলমানদের অগ্রযাত্রার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছিল এবং বদরের যুদ্ধের মাধ্যমে তিনি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। আজ চৌদ্দ শ’ চৌত্রিশ বছর পর বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলমানগণ সেই অকুতোভয় সৈনিকদের স্মরণ করবেন এবং নিজেরাও প্রয়োজনে বদরের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে পারেন সেই মানসিকতায় বলীয়ান রূপে নিজেদেরও সজ্জিত করবেন বলে আশা করি। তবে বদরের যুদ্ধ যেমন ছিল আত্মরক্ষার্থে, তেমনি মুসলমানগণের সব যুদ্ধ হবে আত্মরক্ষার্থে, সত্যের অনুকূলে, নির্যাতিত-নিপীড়িতদের অনুকূলে এবং কল্যাণ কামনায়।


তথ্যসূত্র:
১. দিনের আলো
২. কিতাবুল ইলম
ছবি:নেট

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

আহলান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ...

২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: সমস্ত প্রশংসা করুণাময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ'রই! লেখককে ধন্যবাদ পবিত্র রমজান মাসে এমন একটি সুন্দর প্রাসংগিক লেখা উপস্থাপন করার জন্য! ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ,এই ব্লগটি প্রকাশ করার জন্য!

২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১০

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হে হে ফেরেশতা যুদ্ধ করছে!!
ইতিহাস না ঠাকুরমার ঝুলি!!!

২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: অবাক হবার কিছু নেই ভাই। ইসলাম ধর্মকে ভালভাবে জানার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার মনের সকল দ্বিধা-দ্বন্দ দূর হয়ে যাবে আশা করি।
-ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মাত্র সাত-আটশত মক্কাবাসিদের ঠ্যাকাতে ফেরেসতা নামাতে হল।
ফেরেস্তার কথা এইপ্রথম শুনলাম ..

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আরোও জানার চেষ্টা করুন ইসলামকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: 'আরণ্যক রাখাল' ও 'হাসান কালবৈশাখী' খুব সম্ভবত নিক নেম। তাই যদি হয়, তাহলে বলবো-- লেখকের দলিল-ভিত্তিক বক্তব্যকে ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখার অর্থ, 'ইসলাম'-কে না জেনে তাঁদের এই নেতিবাচক মন্তব্য, আত্মপরিচয়হীন অজ্ঞতার প্রকাশ।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গায়েন ভাই, এগুলা পড়লে হাসিই পায়। মনে হয় ছোট বাচ্চাকে গল্প শোনানো হচ্ছে।
শত্রুর কাফেলাকে ছোট আর মহাম্মদেরটা বড় দেখাচ্ছিল!!! এটা বিশ্বাসযোগ্য???

৭| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০১

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: আপনি অরণ্য-রাখাল,বন্য-রাখাল বা মেঠো-রাখাল যে নামেই নিজেকে প্রকাশ করুন না কেন, আপনার নামটাই যে নকল নাম,সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি। তো ভাই, সারা পৃথিবীর লোক তো আর পাগল নয় যে না জেনে, না বুঝে কোনও ঘটনাকে বিশ্বাস করে। আপনি করুণাময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ'র অস্তিত্ব'র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারলে, এমন কথা বলতে পারতেন না। ইসলাম-বিষয়ক অজ্ঞতার জন্য আপনার পক্ষে প্রকাশিত ঘটনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অনেক কিছুই বিশ্বাস করতে পারি না, এসব আমাদের মানসিক দীনতার জন্য। এমন অনেক অদ্ভূত মানুষ আছে, যারা মাটির প্রতিমা নিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সারা পৃথিবীতে এমন হৈ-হুল্লোড় শুরু করে যে মনে হয় যেন ভগবান পৃথিবীতে এইমাত্র নেমে এসেছেন। তাঁরা ভগবানে বিশ্বাসী, অথচ আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না। এইসব মানুষরা বেশিরভাগ ইসলাম বিদ্বেষী। আপনি যদি এসবের কোনোটাই না হ'ন, ভাল। স্বাগত জানাই আপনাকে অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস না করার জন্য! কিন্তু বিস্তারিত আলোচনার জন্য,একটু সময় হাতে রাখুন,যাতে আপনি আমার সংগে ইসলাম-বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে জ্ঞানলাভ করতে পারেন।

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গায়েন ভাই, জানতেই তো চাই!!
ওটার সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা কি?? এই যে বড়কে ছোট আর ছোটকে বড় দেখার?
আছে ব্যাখ্যা?? না থাকলে, যদি গালগল্প বলি খেপবেন না। এক্সপ্লেইন করুন সাইন্টিফিকালি, এক্ষুণি মেনে নেব।
আর হ্যাঁ, এই নাম নিয়ে আমার কোন প্রবলেম নেই, আসল নামে লিখে কোপ খাব নাকি??
যাই হোক, আশা করি উত্তরটা দেবেন

৯| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ও গায়েন ভাউ, কই লাপাত্তা হইলেন?
জিহাদে গেলঘন নাকি?

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০১

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: পাঠক-লেখক বন্ধু আরণ্যক রাখাল,
ইসলাম সম্পূর্ণ সত্য'র উপর প্রতিষ্ঠিত! আপনার মিথ্যে পরিচয় এবং অমার্জিত ভাষা, আমাকে ব্যথিত করেছে। তাই আপনার সাথে কোনও সুন্দর আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না। ধন্যবাদ!...আন্দামান, ভারত থেকে রইসউদ্দিন গায়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.