নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈশাখী বৃষ্টি
***********
মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু
******************
আমি যখন লাঙ্গল ধরে
হাঁকাই বলদ জোড়ে,
তুমি তখন আমার জন্যে
আনছ পান্তা বেড়ে।
আমি তখন হাল ছেড়ে দে
রৌদ্রে ঘেমে মেখে,
পেটের খিদে জোর দিয়েছে
আসতে তোমায় দেখে।
তুমি তখন পান্তা ভাতে
লবন- লঙ্কা মেখে,
মুখে মধ্যে দিচ্ছ তুলে
শ্রান্ত আমায় দেখে।
তুমি হঠাৎ ঈশান কোণে
দেখালে আঙ্গুল তুলে,
স্তন্যবতী মেঘ আসছে ধেয়ে
তাহার কাল খোপা খুলে।
মেঘ যেন নয় কালো মেয়ে
দেখছি অবাক হয়ে,
ভারি তাহার স্তনের বোঁটা
কেমন পরেছে যে নুয়ে।
জীর্ণ শীর্ণ শস্য শিশু
মুখ মেলে সব চায়,
স্তন্যবতী মেঘ তাদের মুখে
দুধ ঢেলেদে যায়।
দুধ জমলো শস্য ক্ষেতে
অবাক তোমার দৃষ্টি,
তোমায় আমায় ভিজিয়ে দিল
হঠাৎ বৈশাখী এই বৃষ্টি।
[বিঃদ্রঃ ২০০১ সালে স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশ হওয়ার পর ১৯তম লাইনটি নিয়ে বিতর্ক শুরুহলে তার পরিবর্তে সংশোধন করে লিখি " ভারি তাহার বুকটা কেমন পরেছে যে নুয়ে।" এবারে আমার দুজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, স্থানীয় কিছু কবি লেখকসহ ও আমার বাবার তোপের মুখে পরি। তাদের কথার সারমর্ম এইযে, " তোমার ঐ বাক্যটি অশ্লিল নয় বরঞ্চ মানব শিশুসহ সকল প্রাণির শিশু সন্তানের বেঁচে থাকার একমাত্র এবং অনিবার্য ভরসাস্থল যে মায়ের স্তন্য তা অকপটে স্বীকার করা হয়েছে কিন্তু তোমার নিজের জ্ঞানের প্রতি ভরসা ও মানুষের সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা নাই।" পরবর্তীতে আমি সংশোধনী বাক্যটি বাদ দিয়ে পূর্বের বাক্যটি স্থায়ী করি এবং অারিফুল ইসলাম পল্লব ভাই সম্পাতিদ "কথা" পত্রিকায় পুনঃপ্রকাশিত হয়।]
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে।