নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কুশীলবেরা আমাদের একটু শান্তিতে থাকতে দিন

১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য দুই শ্রেণীর দোপেয়ে দৈত্য দায়ী -

প্রথম শ্রেণীঃ এরা ধর্ম সম্পর্কে খুব অল্প জ্ঞানের অধিকারী। কিছুদূর পড়াশুনা করেছেন। দু চারটি লেনিন বা স্টালিন কিংবা এই জাতীয় লেখকের বই পরে নিজেদের জ্ঞানীর পর্যায়ে ভাবা শুরু করছেন। অথবা উচ্চতর গবেষণা কাজে নিয়োজিত থেকে একটি মাছির পায়ের ডি এন এ এর গঠন নিয়ে বিস্তর জ্ঞান লাভ করেছেন। এখন আর মানুষের পর্যায়ে তিনি নেই। তিনি দৈনিক একবার করে "সৃষ্টিকর্তা কে?" টাইপের কথা না বললে তার অহমবোধ কমে যায়। নিজের সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টির অপার রহস্য ভেদ করে ফেলার দাবী রাখেন এবং সুজুগ পেলেই এই ধরণের মন্তব্য অনলাইন বা যার যত টুকুন দৌড় আছে তত টুকুন পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়ে নিজেকে জ্ঞানী প্রমানে ব্যাস্ত থাকেন।

দ্বিতীয় শ্রেণীঃ এরা ধর্ম গ্রন্থ রিডিং পড়তে জানেন। হয়ত ধর্মীয় লাইনে দু চার কলম পড়াশুনাও করেছেন। যে কোন কারনে অশার ফতোয়া দিতে এনারা কার্পণ্য করেন না। নিজেদের অনেক বেশী ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন মনে করেন। আর উপরোক্ত দোপেয়ে দৈত্য দের কথা শুনে বা পড়েই এই দোপেয়ে দৈত্য গণ চাপাতি ধার দিতে থাকেন। উনারা ভুলে যান মক্কা বিজয়ের পরে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) চাইলে তার সাথে পূর্বে যে রকম অত্যাচারি আচরণ মক্কার কাফের রা করেছে তাঁদের ধ্বংস করে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং বিনা রক্তপাতে মক্কায় ইসলামের ঝাণ্ডা উঠিয়ে ছিলেন। এনারা এই ও ভুলে যান যে মুসলমানগণ একমাত্র কেউ তাকে আঘাত করতে আসলে আত্ম-রখারথে (অর্থাৎ Islam allows defensive attack not offensive) কাউকে আঘাত করতে পারে। ইসলাম মানে শান্তির ধর্ম এই কারনেই বলা হয়।

আর এই দুই শ্রেণীর এহেন ঘোলা পানিতে মনের সুখে বসে বসে মাছ শিকার করে আরেক শ্রেণী এরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে দাবী করেন আসলে ওনারা চতুরজীবী। কারন উনারা নিজেদের মকসদে পৌছাতে যেকোনো চাতুরতার আশ্রয় নিতে কার্পণ্য করেন না হোক সে চতুস্পদ জন্তুসম।

সামান্য জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব কিন্তু সমালোচনা নয় এই সামান্য কথা এদের কারো মাথাতে ঢুকে না।


আল্লাহ্‌ এই তিন শ্রেণীর দোপেয়ে দৈত্যদের হাত হতে আমাদের দেশের মানুষ এবং দেশকে রক্ষা করুন। আমীন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.