নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ছালেম এবং মেকী চেতনা

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১২

১৯৭১ সাল ভোলা জেলার মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষদের কাবু করতে পারছে না পাক বাহিনী এবং তাদের দোষর মোহাম্মদ টোনির দলবল। ভোলার সকল পোল উড়িয়ে দিয়েছে ইদ্রিস তালুকদার দের মুক্তি বাহিনী। যে সুযোগে বরহানুদ্দিন এর খালে ডুবিয়ে এক মাঝি ৮-১০ জন পাকিস্তানী সৈন্য মেরে ফেলেছিল। তবে কষ্টের বিষয় কি জানেন এই ব্যাক্তি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পান নি যেহেতু তাঁর অস্ত্রের ট্রেনিং নাই (!)। অথচ এই ৮-১০ সৈন্য খালের পার হয়ে ঐ পাশে যেতে পারলে অন্তত ৪-৫ শত লোক মেরে ফেলত। যাই হোক এমন পদে পদে বিপর্যস্ত পাকি বাহিনী সুবিধা করতে না পেরে যখন রাগে উন্মাদ তখন টোনির সাহায্যে বাংলাবাজারের যুদ্ধে ইদ্রিস তালুকদার, রাজ্জাক সহ প্রায় ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা দের হত্যা করে (এই নিয়ে পরে একদিন গল্প হবে)। হত্যাকাণ্ড শেষ করে তাঁরা জানতে পারে ইদ্রিস তালুকদার বড়মানিকা ইউনিয়নের অধিবাসী। উন্মাদ পাকি বাহিনী চলে এসে আমাদের বাড়ির পাশের আব্দুর রব, সুলতান শিয়ালী, কাসেম, রহিজল, কালু, সিদ্দিকদের লাইনে দাড় করায়। কালুর কোলে ছিল তাঁর ২ বছরের ছালেম। ছালেম কে কোল থেকে ফেলে দিয়ে তাঁর চোখের সামনে কালু সহ অন্যান্য দের গুলি করে। গুলির শব্দে এবং ঘটনার আকস্মিকতা তে ছবির ছালেম আজো পাগল হয়ে আছে। ছালেম পাগল হলেও ওর শরীরের এক বিন্দু রক্ত ও কিন্তু অসৎ নয় আপনি বাজার করে ওর হাতে দিয়ে দিলে পথে ওর জান যাবে কিন্তু আপনার বাজারে কাউকে হাত লাগাতে দিবে না। ও হ্যাঁ আপনারা যারা চেতনাবাদী তাদের বলি এই ছালেম দের পরিবার কিন্তু কোন ভাতা পায় না। ঐ ছয় জনের মধ্যে রহিজল প্রানে বেঁচে যায় শেষ বয়স পর্যন্ত ঢাকাতে রিকশা চালিয়ে মারা যায়।


আজ রাজাকারের নাতির কাছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিখতে হয় আফসোস। আমি এই সব লিখলে আমার কিছু বন্ধুবর কাউন্টার দিতে আসে তাদের রেফারেন্স হল একাত্তরের মুরগী ব্যাপারীর বই না হয় যে ব্যাক্তি ১৯৭১ সালের নয় মাস ঘরে বসে থেকে যুদ্ধে যাবার প্রস্তুতি নিতে নিতে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে তাদের বই! আর আমি মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস শুনেছি আমার বাবা, কাজী আফতাব কাকা দের কাছ থেকে। এই চেতনাবাগিরা জানেই না সুলতান বা কালুদের কবর কই। কাজী আফতাব কাকা কে কি চিনতে পেরেছেন? চিনার কথা না আপনারা তো মুরগী কবিরের বই পরে স্বাধীনতার ইতিহাস শিখেছেন শেখানে কাজী আফতাবদের মত ত্যাগী নেতাদের স্থান হয় না। উনার গল্প আরেকদিন হবে শুধু এই টুকুন বলি এই কাজী আফতাবের নির্দেশে ৭ মার্চ থেকে কোন শ্রমিক বা কর্মচারী কোন অফিসে কাজ করে নি। তবে কাকা মারা গেছেন, যদিও একজন যুদ্ধ অপরাধী প্রান আর এফ এল এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব: ) আমজাদ খান চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদাতে দাফন করা হয়েছে কিন্তু কাকার দাফন হয়েছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের হাতে বেওয়ারিশ লাশের মত। কারন দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে তিনি নিজের সন্তানদের জন্য কিছুই করতে পারেন নি। তাই আমাকে সহ তিনি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে গিয়ে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানান যেন তাঁরা তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর সন্তানদের উনার লাশের সৎকারের মত ঝামেলাতে না ফেলেন। তবে আমি ২০১৩ সালে জাপানে আসার আগে দেখা করতে গেলে কাকা আমাকে আফসোস করে বলেছিলেন ১০০০০ টাকা হলে একটা স্থায়ী কবরে দাফন করতে পারত আঞ্জুমান কিন্তু এই টাকা উনি কোথায় পাবেন?

হ্যাঁ মুরগী কবিরের চেতনাবাগীরা আমরা যতদিন জীবিত আছি তত দিন লবন চোর কে লবন চোর বলে যাব আমাদের সন্তানকে সিখাব। আপনাদের এই আবেগ ছালেম বা আমাদের মৃত্যুর পরে দেখাবেন দয়া করে। কারন এই আবেগ দেখলে আমাদের হাসি পায়। ছালেম এর মা সারা জীবন আমার চাচার বাসাতে কাজ করেছে। ছালেম খুদা লাগলে আমার মায়ের কাছে এসে বলেছে “চাচি আইজ বাইত ভালো কিছু নাই একটু সালন (তরকারি) দিবেন” এবং ভাত পেয়ে এই পাগল ছালেম কে খুশী হতে আমি দেখেছি। সেই আমি আপনাদের এই মেকী চেতনা কীভাবে মেনে নিব বলুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হ্যাঁ মুরগী কবিরের চেতনাবাগীরা আমরা যতদিন জীবিত আছি তত দিন লবন চোর কে লবন চোর বলে যাব আমাদের সন্তানকে সিখাব। আপনাদের এই আবেগ ছালেম বা আমাদের মৃত্যুর পরে দেখাবেন দয়া করে। কারন এই আবেগ দেখলে আমাদের হাসি পায়।

+++

চেতনাবিনজ্যকারীরাই বড় মুক্তিযোদ্ধা সাজে এখন! আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা/ বীর শ্রেষ্ঠদের জন্ম মৃত্যু দিবস নিরবে চলে যায় চোখের আড়ালেই!

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: বাংলাদেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সচিব ও পাওয়া গেছে অথচ ঐ মাঝি বা ছালেমের বাবা মুক্তি যোদ্ধা নয়।
আফতাব কাকার মতে বাংলাদেশের রাজাকার বাদে সবাই মুক্তি যোদ্ধা কারন ১৯৭১ সালে রাজাকার রা বাদে কেউ নেই যারা স্বজন হারা হন নি। অথচ ওনার এই তত্ত্ব উনি চালু করতে পারলেন না এই লবন চোরা দের উপদ্রবে। এই লবন বা কম্বল চোরারা এখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনায়। :(

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুল করে হোক, বা ইচ্ছা করে হোক, মুক্তিযোদ্ধাদের সবকিছু থেকে দুরে সরায়ে দিয়েছে তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেব।

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: সহমত নই সঠিক ইতিহাস একটু জানুন এর পিছনে আসলে কাদের হাত ছিল।
কাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন "সবাই পায় সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.