নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেডিক্যাল এর প্রশ্ন ফাঁস এবং আমাদের হাহুতাশ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭


পরিপার্শ্বিক রোদন দেখিয়া নিজেকে সংবরণ করিতে পারিলাম না। ইহা এক অতীব আশ্চর্যের বিষয়ের মত হইয়া দারাইছে আমাদের শিক্ষিত সমাজের নিকট। এই সকল রোদনে দুইজন ব্যাক্তির কথা মনে না করিয়া পারিলাম না, প্রথম জন হইলেন অধ্যাপক হুমাউন আযাদ। যিনি বলেয়াছিলেন "সব নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে"। আসলেই গিয়েছে তবে তিনি যাহাদের নষ্ট বলেছেন তাহাদের হাতে না, গিয়েছে তিনি যাহাদের অন্ধকারের আলোক বর্তিকা ভাবিয়া ছিলেন তাঁহাদের হাতেই। কিন্তু সমস্যা হইল ইহারাই নষ্ট হইয়া গিয়েছে। ইহাদের চউখে ২৫ বছরেই ছানি পড়িয়াছে যাহাতে ফিল্টার করিলে ইহারা তেলবাজী এবং উদরপিণ্ডী বুদর ঘাড়ে না চাপাইয়া পারে না।

অনেক জ্ঞানী লিখিতেছেন মেডিক্যাল এর প্রশ্ন আউট হইয়া জাতিকে এক অমানিশার কালো অন্ধকারে নিপাতিত করিয়াছে। আহা কি তাহাঁদের রোদনের ভাষা, কি তাহাঁদের দরদ। প্রাচিন আরবরা (জাহেলিয়াতের যুগে) নাকি কেউ মারা গেলে ভাড়া কইরা মহিলাদের আনিয়া রোদন করাইত এবং ইহাতে তাহাদের সম্মান বা সামাজিক অবস্থান বুঝা যাইত। আজ ২০১৫ সালে আসিয়া সেই অসভ্য জাতীর সভ্য কালচার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করিতে সচেষ্ট হইয়াছি। তবে যে ধর্ম তাহাদের সত্যিকারে সভ্য করিয়াছিল তাহাকে জলাঞ্জলি দিতেই আমরা আধুনিকতার দাবিদার হইয়া উঠিতেছি।

যাহা হউক পূর্বে বলিয়াছিলাম প্রশ্ন আউট বাংলাদেশের এখন এক খানা গর্ব করার মত অর্জন। এখন আউট হওয়া প্রশ্ন খানা নিয়া রোদন না করিয়া অন্য দিকে একটু দৃষ্টি দেই। আচ্ছা প্রশ্ন খানা কত জন পড়িয়াছেন? ভর্তি পরীক্ষার কোচিং যদি করাইয়া থাকেন বুকে হাত দিয়া বলেন তো এই প্রশ্নখানা কত টুকুন মাণ সম্পন্ন ছিল? আমার এক বন্ধু (২০০৩ সালে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা হইয়াছিল) ঐ প্রশ্নে নাকি ৭০ খানা উত্তর সঠিক ভাবে প্রদান করিতে সক্ষম হইয়াছে। যদিও আমি তাহাকে বলিয়াছি ইহা তোমার মস্তিষ্কের বিকৃতির লক্ষন কারন লক্ষন সেনের বাংলার বাঙ্গালিরা নিজেদের এই ভুল শোধরানো রাখিয়া তোমাকে পিছনের দরজা দিয়া পরপারে চালান দিতে একটু ও কুণ্ঠিত হইবে না। কারন তোমার এই কথা তাহাঁদের বাহাদুর মহোদয়, কিংবা যাহাদের পায়ের পাতা লেহন করিয়া আমাদের শিক্ষিত সমাজ আজ নিজেদের বুদ্ধিজীবী (পড়ুন চতুর জীবী) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে তাহাঁদের তুমি এই কথার দ্বারা ইজ্জত মারিতেছ। কি সাংঘাতিক ব্যাপার সেই বন্ধু আবার সরকারী চাকুরীজীবী।

আমি বহুদিন বলিয়াছি আমাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হইতেছে, এই ধ্বংসের মুলে রহিয়াছেন এই জাতীর কিছু কাণ্ডারি রূপী হায়েনাগণ। কিন্তু যেহেতু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা জমিদার বাহাদুর সঠিক হ্যায় বলিতে পারিনা এবং খুব ছোট মানুষ তাই আমাদের মত ছোটলোকের বা জাতের কথাতে কান দেবার মত ফুসরত আমাদের শিক্ষিত সমাজের হইবেও না। দ্বিতীয় যে ব্যক্তির কথা আমি এই প্রসঙ্গে বলিতে উদগ্রীব তিনি হইলেন, প্রমথ চৌধুরী তিনি বহু বছর পূর্বে বলিয়াছিলেন "আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই।" অথচ আমাদের রোবট যুগের মহামানব গণ এই সকল জ্ঞানীদের কথাকে পদপিষ্ট করিয়া গত ১০ বছর যাবত দেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার উপর নিজেদের অপরিপক্ক হাতের ছুড়ি, কাচি, কুঠার, দা বটি কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র চালাইয়া নিজেদের হাত পাকানোর নামে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছেন। যার ফলে পাশ এর পরিমাণ বেড়েছে হাজার গুনে কিন্তু শিক্ষিত হওয়ার হার কমেছে জ্যামিতিক হারে। উদাহরণ স্বরূপ গত বছরের ভর্তি পরীক্ষা গুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করিলে বুঝিতে পারিবেন। এই বুঝার পরিমাণ এর মাঝে ধামাচাপা দিতে এইবার মেডিক্যাল এর প্রশ্ন করা হইল জলবৎ তরলং। কিন্তু কি আর করা চোরে কি আর ধর্মের কাহিনী শুনিবে? যে এস এস সি বা এইচ এস সি পাশ করিয়াছে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পত্র দিয়া, যে মহান বাবা তাহার সন্তানের হাতে এই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন তুলিয়া দিয়া তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলিতে অভ্যস্ত তিনি কি আর এই সকল প্ল্যান প্রোগ্রামের ধারধারেন নাকি? তাই যাহা হইবার তাহাই হইয়াছে অর্থাৎ পিতা পুত্র মিলিয়া চুরি করিয়াছে। যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান।

পরিশেষে বলিব এখনো সময় আছে মহানগণ নিজেদের জিহ্বা সামলান, যাঁহা আপনারা লেহ্য মনে করিতেছেন তাহা আসলে সিসার তৈরি। ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া সারা শরিরে ছড়াইয়া পড়িবে তখন আর কাঁদা ছোড়ার মাধ্যমে আত্মরক্ষার সুযোগ পাইবেন না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: সাধু ভাষায় লেখা সাধু শ্রেনীর কথাগুলো ভাল লাগল। তবে এদেশটা খুব নীচু শ্রেনীর পলিটিশিয়ান আর অসৎ লোভি ব্যাবসায়ী মানুষে ভর্তি, আপনার কথায় কোন কাজ হবে বলে মনে হয় না।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: কাজ হবে কিনা জানি না তবে আপনার মত ১০ জন যদি এমন একটি লেখা পড়েন তাহলে হয়ত এর মধ্যে একজন এই কাজকে ঘৃণা করতে শিখবে। আর নিজের কষ্ট ও কিছুটা লাঘব হয় এই সকল ক্ষোভগুলো প্রকাশ করতে পারলে। পরিবর্তন করার মালিক তো আল্লাহ্‌।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: অবশেষে জলের মতোন কিলিয়ার হইয়া গেল উনারা কেন দেশে চিকিৎসা না করিয়া সিঙ্গাপুর আর শ্যামদেশে গমন করেন।
যাহারা চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে কৃতকার্য হইয়া চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হোন তাহারা যে জীবনকালব্যাপী মানবপ্রাণ সংহারে আত্মনিয়োগ করিবে তাহাতে সন্দেহের কোন কারণ নাই।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: যথার্থ বলিয়াছেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.