নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'আসুন আমর তাদেরকেও পুরস্কৃত করি এবং এই মহান অর্জন কে উদযাপন করি\'

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

“গত ১ বছরে পরিত্যাক্ত অবস্থাতে ৭১২ টি শিশু উদ্ধার করা হয়েছে” এটি একটি সংবাদ। এবং এটি আমাদের বাংলাদেশের সংবাদ।

ভাবতে ভালই লাগছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বদলে যাও বদলে দাও আমাদের বদলে দিয়েছে। আমাদের মিডিয়া এখন বুক উঁচু করে বলতে পারবে আমরা দেশ বদলে দিয়েছি।

বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক এখন শৈল্পিক পর্যায়ে চলে গেছে। লিপিবদ্ধ ধর্ষণ দৈনিক ৩ টি ছিল এর সাথে এই সকল মিউচুয়াল ধর্ষণ মিলিয়ে দিনে হয়ত গর্ব করার মত ফিগারে এই সকল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলে গেছে।
এই মহামারিকে ছড়িয়ে দেবার আনন্দ কই রাখি?

৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশ হইলেও আমার জানা মতে ইসলাম সহ অন্য সকল ধর্ম এই সকল সম্পর্ক সমর্থন করে না। অর্থাৎ ধর্মহীন সমাজের দিকে আমাদের অগ্রসর হবার গতি একেবারে কম না। ভালো তো ভালো না।


এ এক বিরাট অর্জন, বিরাট সাফল্য। এই অর্জনের জন্য কেউ কোন পুরস্কার দিবে না? অবশ্য অনেকেরই এই অর্জনের উপলব্ধির ক্ষমতা নেই ফলে অনেকেই বুঝতেই পারছে না কত বড় অর্জনের পথে আজ আমাদের মাতৃভূমি রয়েছে।

আসুন আমরা এই সাফল্য উদযাপন করতে পাড়ার মোড়ে মোড়ে মাইক লাগাই এবং তোরণ দিয়ে রাজপথ দখল করি।
কেন যেন মনে হচ্ছে এই সকল সাফল্য উদযাপনের কেউ নেই। নৈতিকতার এমন অবক্ষয় করানো কি খুব সহজ কাজ?

এই প্রসঙ্গে পুরনো এক গল্প মনে পরে গেল যদিও অনেকে জানেন তার পরেও সংক্ষেপে বলি-
শয়তানের মীটিং চলছে, মীটিঙে সবচেয়ে খারাপ কাজ করা শয়তানকে পুরুস্কার দেয়ার রেওয়াজ অনেক দিনের। সকল শয়তান নিজ নিজ কুকর্মের কথা বর্ণনা করতে ছিল। এক শয়তান বলল সে আজ দুই গ্রামে মারামারি করিয়ে ১০ জনের লাশ ফেলে দিয়েছে। কেউ বলল এক যুবক কে দিয়ে সে চুরি করিয়েছে। এমন অনেক ফিরিস্তির পরে শয়তানের নেতা দেখল এক ল্যাংড়া শয়তান এক কোনে চুপচাপ বসে মনমরা দিয়ে সবার কুকর্ম শুনছে। নেতা তাকে ডেকে কাছে নিয়ে বলল “কিরে তুই কিছু করতে পারস নাই?” ল্যাংড়া শয়তান বলল, “হুজুর আমি ল্যাংড়া অন্যদের কাজ শুনে আমার কাজ বলার সাহস পাচ্ছি না”। নেতা অভয় দেয়াতে ল্যাংড়া জানালো যে সে আজ এক ছেলেকে তার মাদ্রাসাতে যাওয়ার পথে বাঁধা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। সাথে সাথে নেতা লাফিয়ে উঠে বলল আজকের সেরা কুকর্ম তুই ই করেছিস। অন্য শয়তানেরা এই সিধান্ত মানতে নারাজ হল। নেতা তাদের বুঝিয়ে বললেন যে এই শয়তান একজন মানুষকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ যাওয়া হতে বিরত রেখেছে এমন প্রতিদিন রাখতে পারলে ঐ মানুষ একদিন অমানুষ হবে আর এক অমানুষ যা কুকর্ম করতে পারে তা হাজার শয়তান ও পারে না। সুতরাং সবচেয়ে বড় কাজ ঐ ল্যাংড়া শয়তানই করেছে।

আমাদের মিডিয়া এবং উদার মানসিকতার কিছু বুদ্ধিজীবী (পড়ুন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী/ চতুরজিবি) এই ল্যাংড়া শয়তানের মত কাজ করে ধীরে ধীরে গোটা সমাজ কে কুলসিত করার কাজ করে যাচ্ছেন।
আসুন আমরাও তাদের পুরস্কৃত করি এবং এই মহান অর্জন কে উদযাপন করি।

আল্লাহ্‌ আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কে এই সকল মিডিয়া ও তাদের দোষরদের সৃষ্ট মহামারী হইতে রক্ষা করুন। আমীন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.