নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছোট গল্প-

১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

এক জনপ্রতিনিধির নৈশ ভোজে উপস্থিত সাংবাদিক জনপ্রতিনিধিকে প্রশ্ন করলেন,
"দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে এই ভোজের আয়োজন কেমন যেন বেখাপ্পা হয়ে গেল না স্যার?"
জনপ্রতিনিধিঃ কোথায় সংকট দেখলেন আপনি? আমার বাসায় আসতে কি আপনি রাস্তাতে ট্যাংক বা যুদ্ধের কোন আবহ দেখেছন?
সাংবাদিকঃ না স্যার সেই কথা না, দেশের মানুষের এতো কষ্টের রিজার্ভের টাকা গায়েব হয়ে গেল, এটা কি সংকট নয়?

জনপ্রতিনিধিঃ কোন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন?
সাংবাদিকঃ স্যার, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেছি।

জনপ্রতিনিধিঃ রাবিশ, এই হইল বাংলাদেশের এক সমস্যা, আপনি অর্থনীতির কি বুঝেন? রিজার্ভের মানে বুঝেন?
সাংবাদিকঃ স্যার আম আসলে অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদই কাভার করে থাকি তো তাই অল্প বিস্তর পড়াশুনা আছে এই বিষয়ে।

জনপ্রতিনিধিঃ তাহলে তো আপনি জানেনই, রিজার্ভের টাকা রিজার্ভে থাকে এটা দেশের কোন কাজে এখন লাগবে না। এই টাকা গেছে তো কি হইছে এটা এমন কোন ব্যাপার না। আমরা আগামি ২০ বছরে আরও ৪ গুন অদক্ষ শ্রমিক বৈধ অবৈধ পথে মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্যান্য রাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেব। বাংলাদেশের মানুষ রাবিশ হলেও এই সকল ক্ষেত্রে খুব সহনশীল ভাবে কাজ করে। এরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেখবেন আগামি ২০৪১ সালের মধ্যে আবার এই পরিমাণ রিজার্ভ তৈরি করে দিবে। এগুলো নিয়ে এই খাবার টেবিলে কথা বলার কোন যুক্তি নেই। এটা এমন বড় কোন বিষয় না। এই বলেই তিনি হাক ছাড়লেন "এই কে কোথায় আছিস দেখছিস না আমার প্লেটে কিছু নাই, দুইটা রোষ্ট দে এখানে, আর এসি টা বন্ধ কেন জানিস না আমি এ সি ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারি না? যত সব রাবিশের দল। এসি ছাড় দ্রুত।

সাংবাদিকঃ স্যার, ২০৪১ সালেও যদি আবার এমন কিছু হয়?

জনপ্রতিনিধিঃ আপনি তো দেখি কোন খবরই রাখেন না, আরে এবার তো আমরা আইটি বিষয়ে সর্বজ্ঞানীর সাথে সাথে ভারতীয় এক আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিচ্ছি। ভারত মাথার উপরে থাকলে আর এমন কিছু ঘটনা ঘটবেই না। নিশ্চিত থাকেন।
সাংবাদিকঃ স্যার, ভারতের আইটি বিশেষজ্ঞ কেন? আমাদের অনেক আইটি বিশেষজ্ঞ ও তো অনেক উন্নত রাষ্ট্রের আইটি সেক্টর দেখাশুনা করছে, তাঁদের কে কেন ডাকা হল না?

জনপ্রতিনিধিঃ তুমি তো খুব নালায়েক, তোমাকে সাংবাদিকতার কার্ড দিছে কে? এই ভোজে দাওয়াত ই বা কে দিয়েছে তোমাকে? তুমি উঠো আমার টেবিলে বসার যোগ্যতা তোমার নেই।
সাথে সাথেই জনপ্রতিনিধির টেবিলে বসে থাকা দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদগণ সমস্বরে বলে উঠল "এই নালায়েক দেখ না আমরা এতগুলো মানুষ এই বিষয়ে কোন কথা বলছি না তুমি তো দিলে স্যারের মেজাজটা বিগড়ে। বের হয়ে যাও এখনই"

বিদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক বাস্তবের সাথে মিল খুঁজে পেলে লেখক দায়ী নয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

এরশাদ বাদশা বলেছেন: মিল তো খুঁজে পেলাম..তাহলে দায়ী কে??? :-P

১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আপনার মন। এই মন নিয়া সাবধানে থাকতে হবে।
:) ;)

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:৩০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: শিক্ষা খাঁতে অর্থাভাবে বানিজ্যিকিকরন চলছে অথচ দেশের টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি বাবার কল্যানে,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.