নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ আগাচ্ছে কিনা জানি না তবে বাঙ্গালী যায়গাতে দাড়িয়ে স্বার্থের খুঁটির চারদিকে হাজার বছর যাবত একই ব্যাসার্ধে পাক খাচ্ছে

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

ঘটনা ১ঃ কবি নজরুল তার মৃত্যু ক্ষুধা নাটকের সত্ত্ব বিক্রয় করে ছিল কয়েক কেজি চালের বিনিময়ে।
পরে তিনি বলেছিলেন আমি আজ চালের বিনিময়ে আমার সৃষ্টি বিক্রয় করছি কিন্তু এমন এক দিন আসবে যেদিন আমাকে বা আমার সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার জন্য হাজার টাকা খরচ করা হবে এবং ঐ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে টেবিল চাপরে ভেঙ্গে ফেলবে। উনি ভাগ্য গননা করে কিংবা চাপাবাজি করে এ কথা বলেন নি। স্রষ্টা মাত্রই তাঁর সৃষ্টি কর্মের মূল্য বুঝে যা কোন মাথা মোটা ব্যাক্তির দ্বারা বুঝা সম্ভব নয়। উনি উনার সৃষ্টিকর্মের মূল্য বুঝেই এমন মন্তব্য করেছিলেন।

ঘটনা ২ঃ জামাল নজরুল ইসলাম (জন্ম ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৯৩৯ - মৃত্যু মার্চ ১৬, ২০১৩) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত্ববিদ ও অর্থনীতিবিদ। তিনি মহাবিশ্বের উদ্ভব ও পরিণতি বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। ড. ইসলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল এন্ড ফিজিকাল সায়েন্সের এর গবেষক এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। বিএসসি শেষে ১৯৫৭ সালে ইসলাম কেমব্রিজে পড়তে যান। কেমব্রিজের প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান থেকে আবারও স্নাতক ডিগ্রি (১৯৫৯) অর্জন করেন। তারপর এখান থেকেই মাস্টার্স (১৯৬০) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসসিডি (ডক্টর অফ সায়েন্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন (সুত্রঃ উইকিপিডিয়া)। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই পণ্ডিত ব্যাক্তির নাম আমি তাঁর মৃত্যুর পরে জেনেছি!!

ঘটনা ৩: কবি রফিক আজাদের মৃত্যুর পরে তাঁর জন্য শোকে টাইমলাইন ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এই কবি জীবিত থাকতে আমরা কত জন তাঁর খোঁজ নিয়েছি? তাঁর উনুনে হাড়ি চরেছে কিনা কজনা জানে?

বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যে দেশে জীবিত গুনির রাজনৈতিক লবিং না থাকলে কেউ তাঁকে চিনবে না। কিন্তু মারা গেলে তাঁকে নিয়ে ব্যাবসা করতেও কেউ পিছপা হবে না।

সময় বদলায় কিন্তু বাঙ্গালী বদলায় না। সুযোগ সন্ধানী বাঙ্গালী সর্বদা হুজুগে মেতে থাকতেই ভালবাসে। :(

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাঙ্গালী যায়গাতে দাড়িয়ে স্বার্থের খুঁটির চারদিকে হাজার বছর যাবত একই ব্যাসার্ধে পাক খাচ্ছে!

(কবি রফিক আজাদকে অন্য দুজনের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি।
ঘটনা ৩: তাঁর উনুনে হাড়ি চরেছে কিনা কজনা জানে?
৭৪ এ ভাতের দাবি দিয়ে বিখ্যাত হলেও কবি রফিক আজাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল, চরম আভিজাত্যের মধ্যে তিনি ছিলেন এদেশের একজন এলিট! যাদের কারনে হাভাতের সৃষ্টি উনি কবিতায় তাদের বন্দনা না করলেও উনি ছিলেন তাদেরই কাছের!

কবিকে সালাম, ৭৪ এর দুর্ভিখের কথা শিল্পী জয়নুল আবেদিন, আহমদ ছফা এবং কবি রফিক আজাদ ছাড়া অল্প কয় জনেই বলেছেন। এই প্রজন্ম ৭৪ কি, কেন হয়েছিল তা জানেই না।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের কথা খানি বা কজনা জানে ভাই?
লেখার উদ্দেশ্য আসলে কবি নজরুল, প্রোফেসর নজরুল কিংবা কবি আজাদ নয়। এরা লেখার অলঙ্কার মাত্র।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার আক্ষেপের সাথে সমব্যথী। তবে, বাঙালী জাতিকে ঢালাওভাবে কতটুকু দোষ দেওয়া যায় সেটি ভেবে দেখতে হবে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: বাঙালি কে তো বলি নাই
বাঙ্গালী বলেছি।
আমার মতে বাঙালি = বাঙ্গালী এর সাথে বাংলা ভাষায় কথা বলে এমন সত্যিকারের মানুষ সকল।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

এম.এস. রানা বলেছেন: মনটা খারাপ করে দিলেন জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের কথা লিখে।
এদেশে যার পিছনে মিডিয়া নেই তার কোন মূল্য নেই.. এদেশের মিডিয়া জাফর ইকবাল স্যারকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন কাউকে ছোট করার উদ্যশে বলছি না,জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের কাছে জাফর স্যারের কোন তুলনাই চলে না। খুব কাছে থেকে দেখেছি কতটা নির্মোহ ছিলেন স্যার.। এমন একজন একজন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত্ববিদ ও অর্থনীতিবিদ কে আমরা মুল্যায়ন তো দুরের কথা উনার পরিচিতি টুকু ও জাতির সামনে তুলে ধরতে পারিনি। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্যারের মন্তব্য হলো, জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের বই পড়ানোর মত খুব কম শিক্ষক আছেন বাংলাদেশে। উনার লেখা বই কেমব্রিজে পড়ানো হয় নিয়মিত।
স্যার জান্নাতবাসি হোন। এ দোয়া করছি।
ভাল থাকুন আপনিও।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বাঙ্গালী শতবর্ষেও মানুষ হবে না...গরুর মত স্বার্থের খুঁটি ধরে ঘুরতেই থাকবে!

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: কিছুটা সহমত। তবে আমি আশাবাদী এক দিন হবে। সকল লেজুর বৃত্তি সম্পন্ন দোপেয়ে দৈত্য গুলো একসময় সমাজের কিটে পরিণত হবে। সেই দিনের অপেক্ষাতে থাকলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.