নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিখ্যাত কেউ নই আমি, অতি ভদ্র কিংবা নষ্টাও নই। মানুষ মাত্র, যা দেখি যা শুনি, তা গিলিয়ে খাই।

স্রাঞ্জি সে

না বলা শব্দ গুলো ফানুশ হয়ে উড়ে বেড়াক নীলাকাশে

স্রাঞ্জি সে › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত গরল জীবন

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০১




অল্প একটু পরই ভোর হবে। আযান হবে, পাঁচ দশ মিনিট পর পর কাছের কিম্বা দূরের কোন মসজিদের। চারিদিক থেকে মোরগ এর ডাক ভেসে আসবে। সালাত, সালাত বলে চিনা-পরিচিত মুরব্বিরা ডাকবে।

তাহাজ্জুদ পড়ে, কুরআন শরীফ নিয়ে বসেছি। পাশের রুমে আম্মু তাহাজ্জুদ আদায় করে মোনাজাত ধরেছে। চুপ চুপ কান্না আম্মুর। তাঁর সন্তানদির জন্য কান্না। এরা যেন মানুষের মতো মানুষ হউক। পথে ঘাটে বিপদ-আপদে উপরওয়ালা যেন রক্ষা করে। প্রতিদিন মায়ের এই শেষ রাতের নিঃশব্দে কাঁন্নাটা অদ্ভুত লাগে।

মায়ের মোনাজাত শেষ করে এসে বলে। "বাবাজান নামাযের সময় কাছে চলে আসতেছে। তাড়াতাড়ি মসজিদে গিয়ে সুন্নাত আদায় করে নিস। যা বাবা, দেখেশুনে যাস, কুকুরের পাশ ঘেঁষে যাস না। নামাজ পড়ে এসে সুরা ইয়াসিন পড়ে নিস। "

মায়ের এমন ভালোবাসাটা খুব ভালো লাগে। মা আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতো। বড় হয়ে ভালো একটা হুজুর হবে। দ্বীন'হারা মানুষদের ইসলামের দাওয়াত দিবে। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করবে। মসজিদের সেবক হবে। আরো অনেক অনেক স্বপ্ন দেখতো আম্মু।

হ্যাঁ! এসব আম্মুর স্বপ্নএ থেকে গেলো। এই সাত বছরে নিজের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আম্মু যা যা চাইতো আমাকে নিয়ে। তা আর হলো না। বয়স যখন ষোলোতে, নিজেকে নিজের মতো করে নিয়েছি। চার দেয়ালের গন্ডি পেরিয়ে অনেক অজানা কে জেনেছি। দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষাটা শেষ করে নিজেকে আরো মডিফাই করেছি। ভালো খারাপ কি হয়ছি সেটা বলবনা কিন্তু পারিবারিক মতাদর্শ টারে ইগনোর করা শিখেছি।

এখন সেই পনেরো বয়স টা আর নাই। শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ, কুরআন পড়া টাও বাদ গেছে। এখন তো মসজিদেই যাই না। এই ধর্মকর্ম বাদ দিয়ে দিছি। শেষ কবে জুম্মা টা আদায় করছি মনে নাই।

ঘর ছেড়েছি দুই টা বছর পেরোল। সাথে ছেড়েছি মায়ের ঈশ্বর কেও। মা-ইতো আমার ঈশ্বর। কিন্তু কজনে ঈশ্বরের স্বপ্ন পূরণ করে। তাদের মাঝে আমিও একজন। ধীরে ধীরে এই ঈশ্বরের অবাধ্য হতে চলেছি।

বাইশের মাঝামাঝি চলতেছে এখন। শহুরে ব্যাচেলরে থাকি। নিঃসঙ্গ। যদিও রুমমেট একজন আছে। তারপর এই শহুরে শিকড় ছাড়া থাকা টা নিজেকে ভিষণ একা লাগে। সারারাত ড্রাগসে সপ্তাহে একবার ব্রোথেলে নিজেকে এখন আবিষ্কার করি। মাঝেমাঝে নিজেকে নিয়ে ভাবলে অদ্ভুত খারাপ লাগে।

আর এখন ভাবি যে তখন আমাকে, আমাদের নিয়ে উপরওয়ালার কাছে চাইত মা। এখনো কি চাই নাকি অভিশাপ দে। মায়েরা কি তাঁর অবাধ্য সন্তানদের জন্যে অভিশাপ দে.....?







মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: সারা রাত ড্রাগস আর সপ্তাহে একবার ব্রথলে যাবার সাথে বাকি জীবনের পরিবর্তনের কি সম্পর্ক এটাই বোঝা গেলো না। ধর্ম কর্ম থেকে বিচ্যুতি হলে মানুষ ড্রাগস নেয় ব্রথলে যায় এমন ধারণা হলো কি ভাবে।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সরল জীবনে গরল প্রবেশ! কার জীবনে তা অবশ্য জানা হলো না।
মনে হচ্ছে বহুদিন পর ব্লগে এলেন। আপনি এখন কোথায় আছেন? কী করছেন বা পড়ছেন?

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

নজসু বলেছেন:


দোস্ত, অনেকদিন পর তোমার লেখা পাঠ করলাম।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বহুদিন পর আপনাকেত ব্লগে পাওয়া গেল । ব্লগে সুস্বাগতম । আপনার জন্য শুভকামনা ।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এত দুঃখ কীসের?

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগময় লেখা।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

চারাগাছ বলেছেন:

ঈশ্বর, ধর্ম কর্ম ছেড়েছেন বলে কোন রুপ আফসোস বা আক্ষেপ না রাখাই উত্তর আপনার জন্য।
ব্রোথেল কিংবা ড্রাগস বেছে নিয়েছেন নিজেকে উপভোগ্য করার জন্য!

আমাদের এখানেই ভুল হয়।
যারা ধর্মের সীমায় থাকে তারা কেউ কেউ হয়তো মনে ধর্ম যারা পালন করে না ড্রাগসে কিংবা বোথ্রেলে থাকে। কারণ এগুলো ধর্মে নিষিদ্ধ। যেমন আপনি ভেবেছেন। একটি নিয়মের বিচ্যুতি ঘটলে হয়তো সমস্ত নিয়ম ভাঙ্গতে ইচ্ছা করে।

পৃথিবী ভুল পথে চলে না। শুভকামনা।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানুষ মাত্রই ভুল পথে হাটতে পছন্দ করে।
ইচ্ছে থাকা সত্তেও বেশিরভাগ মানুষ ভাল পথটা ধরে রাখতে পারে না।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নতুন বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: সারা রাত ড্রাগস আর সপ্তাহে একবার ব্রথলে যাবার সাথে বাকি জীবনের পরিবর্তনের কি সম্পর্ক এটাই বোঝা গেলো না। ধর্ম কর্ম থেকে বিচ্যুতি হলে মানুষ ড্রাগস নেয় ব্রথলে যায় এমন ধারণা হলো কি ভাবে। :|

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশা করি আপনার মায়ের দোয়ার কারণে আপনার জীবনের লাইনচ্যুত ট্রেন একদিন লাইনে আসবে। ড্রাগস, ব্রদেল এগুলি কোন সমাধান না। এগুলি আপনাকে শেষ করে দিবে।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার কি খবর? কেমন আছেন? ব্লগে দেখলাম আপনাকে।
কথা বলুন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০৭

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: জীবন আর সংসার তাড়নায় কোনমতে সময় ব্যয় করতাছি। পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছি। এমনি কাটছে দিনকাল। আশা করি আপনি ভালো আছেন।

আর লেখালেখি মন থেকে যেন পালিয়ে গেছে। কি করা যায় একটা পরামর্শ দিবেন এই আপনার অনুজকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.