নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবর্ত

আমি এই ব্লগের নীতিমালা মেনে আমার সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করব

সুব্রত মল্লিক

আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..

সুব্রত মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষকতা পেশাঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৪

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। স্বাধীনতার পর এই দেশটি হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশটি গত কয়েক দশকে অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ অনেক বিষয়ে ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। আমাদের দেশে এখন শতভাগ ছেলে-মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও সংখ্যার বিচারে একটি বড় অংশের ছেলে-মেয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিচ্ছে…তবে সম্প্রতি যে প্রশ্নটি সবার সামনে এসে প্রকট ভাবে দেখা দিচ্ছে সেটি হলো মানসম্মত শিক্ষকের অনুপস্থিতি...এখন এই দেশে মেধাবী ছেলে-মেয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসতে চায় না, আর যারা শিক্ষকতা পেশায় আছেন তাদের একটি বড় অংশ শিক্ষকতার সেই সুমহান ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে শিক্ষকতা পেশাকে শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফলে ছাত্র-শিক্ষকের যে মধুর সম্পর্ক রচিত হওয়ার কথা তার পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী একটি বড় অংশের শিক্ষকের বিরদ্ধে নেতিবাচক ধারনা নিয়ে গড়ে উঠছে। অথচ হওয়ার কথা উল্টো। একজন আদর্শ শিক্ষককে দেখে শত শত ছেলে-মেয়ের অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা। তাদের স্বপ্ন দেখার কথা সেই শিক্ষকের মতো হয়ে তারা তাদের জীবনটাকে গড়ে তুলবে। হঠাৎ কেন আমাদের দেশে শিক্ষকের এই দৈন্য দশা? শিক্ষকের একটা বড় অংশ কেন তাদের চিরায়ত আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে, তাদের নীতি-নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে যেনতেন ভাবে টাকা উপার্জনের ধ্যানে মগ্ন হয়ে উঠলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে একটু অতীতে ফিরে যেতে হবে।



কার্ল মার্কসের মতে, পূঁজিবাদ সবসময় অপ্রয়োজনীয় চাহিদা সৃষ্টি করে। আর পূঁজিবাদের আরেকটি প্রকট বৈশিষ্ট্য হলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির অবাধ আহরণ। পূঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি ইচ্ছেমতো সম্পদ আহরণ করতে পারে। এখন বাংলাদেশে বিশেষত নব্বই দশকের শুরুতে পূঁজিবাদ ভালোভাবে বিকাশ লাভ করতে থাকে। এখন পূঁজিবাদের হাত ধরে আমাদের সেই প্রাচ্যের সেই সুমহান চিন্তা-চেতনা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকে এবং তার পরিবর্তে পশ্চিমা ধ্যান-ধারনা দ্রুত প্রসার লাভ করতে থাকে। বিশেষত স্যাটেলাইট চ্যানেলের অবাধ প্রবাহের ফলে আমাদের মূল্যবোধের একটা বিরাট পরিবর্তন ঘটছে। একটানা বর্ষিত হওয়া বিজ্ঞাপনগুলো আমাদেরকে ভোগবাদী হতে উৎসাহিত করছে। এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের শেখাচ্ছে এই পন্যায়িত পুঁজিবাদী বিশ্বে আমরা যদি সেই ঝা-চকচকে পন্যগুলো না কিনতে পারি কিংবা গাড়ী, বাড়ি, ফ্ল্যাটের মালিক না হতে পারি তাহলে আমাদের জীবনের কোনো মূল্য নেই। এর সাথে পূঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় উত্তরণের ফলে আমাদের সমাজে দ্রুত একটি ভোগবাদী মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটছে। আর যার ফলে সমাজে দেখা দিচ্ছে ভারসাম্যহীনতা। এখন একজন শিক্ষক যখন দেখছেন তার পাশের বাড়ির একজন দ্রুত বিত্তের মালিক হচ্ছেন তখন সেই শিক্ষক ও চাচ্ছেন যে তার সেই প্রতিবেশির মতো দ্রুত ধনী হতে। এখন ঐ প্রতিবেশি হয়তো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত, অথবা তিনি ব্যবসায়ী অথবা কোনো মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনে চাকরি করেন। এখন আমাদের দেশে শিক্ষকরা মূলত সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। স্বভাবতই প্রাইভেট সেক্টরের চাকরিজীবীদের তুলনায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা অনেক কম। এখন তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে টাকা উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষাকে পন্য হিসেবে বিক্রি করা। আর তাই একটা বড় অংশের শিক্ষক এই পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় টিকে থাকার জন্য তাদের সেই গর্বের ধনকে পন্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।



এটা গেল একটা দিক এবা আসি অন্য প্রসঙ্গে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ত্রুটি হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো সুষ্ঠু এবং কার্যকর নীতিমালা গড়ে ওঠেনি। আমরা যদি সেক্টর ধরে আলোচনা কর তাহলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ আমাদের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে তা হলো

১. কোটা ব্যবস্থার বাড়াবাড়িঃ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ নারী কোটা, এর সাথে আছে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটা ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন এই কোটার বেড়াজাল ডিঙিয়ে একজন মেধাবী ছাত্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া আর এভারেস্ট জয় করা সমান কথা।

২. প্রাথমিক শিক্ষকের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেলঃ

প্রাথমিক শিক্ষকের পদমর্যাদা একবারে নিচের দিকে। সম্ভবত পিওনের দুই ধাপ আগে আর বেতনও পর্যাপ্ত নয়। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এন্ট্রিলেভেলের বেতন স্কেল ৪৯০০ টাকা এখন এই বেতন স্কেলে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দরখাস্তই করার কথা নয়। আরও মজার ব্যাপার হলো বর্তমানে প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে দপ্তরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং এন্ট্রি লেভেলে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চেয়ে পিওনের বেতন বেশি!!!!!!!!!!

৩. শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি-প্রশ্নফাঁসঃ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলো একটি সর্বজন বিদিত বিষয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সকল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকে (যদিও কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেন না অধিকাংশ ক্ষেত্রে)। এর সাথে আছে অবৈধ টাকার লেনদেন। ভাইভাতে ঘুষ এবং ক্ষমতাসীন দলের লোকদের প্রাধান্য দেয়া হয়। এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে, এতসব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে খুব বেশি মেধাবীরা এই পেশায় আসতে পারছে না।

অপরদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেশিরভাগ হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সেখানে শিক্ষকদের দৈন্যদশা আরও প্রকট। একটি বেসরকারি স্কুলে নিয়োগ পেতে হলে কমপক্ষে ৫-৬ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়া লাগে। অন্যদিকে বেসরকারি কলেজে এই অংক বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এর সাথে আছে রাজনৈতিক দৌরাত্ন। ক্ষমতাসীন দলের আনুকুল্য না পেলে সেখানে নিয়োগ পাওয়া এক কথায় অসম্ভব। এর সাথে আছে তীব্র বেতন বৈষম্য। বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকরা শুধু মূল বেতনই পেয়ে থাকেন। তাদের বাড়ি ভাড়া হলো ৫০০ টাকা (এই টাকায় একটি মুরগির বাসা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ)। নেই কোনো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, পদোন্নতি এমন কি অবসরে সরকারি চাকুরেদের মতো পেনশন সুবিধা। আরও অবাক করা ব্যাপার হলো একজন শিক্ষক উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন তার বেসিকের মাত্র ২৫ ভাগ, সেখানে পিওনরা পায় বেসিকের ৫০ ভাগ। ফলে দেখা যাচ্ছে একজন পিওন এবং একজন শিক্ষকের উৎসব ভাতা প্রায় সমান!অন্যদিকে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে একজন শিক্ষকের বেতন স্কেল হলো ৮০০০ টাকা। ফলে এখানেও এত কম বেতনে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মেধাবীরা আসতে চায় না।

এবার আসি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার প্রসঙ্গে। বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ক্যাডার চয়েস তালিকা দেখলে খুব সহজে যে সত্যটি ধরা পড়ে সেটি হলো, অধিকাংশের পছন্দক্রমের সবার শেষে থাকে শিক্ষা ক্যাডার। এখানে যোগদান করার পর একটি বড় অংশের শিক্ষকের লক্ষ্য থাকে জেনারেল ক্যাডারে সুইচ করার দিকে। অপরদিকে যারা থাকতে বা্ধ্য হন তাদের একটি বড় অংশের মধ্যে লক্ষ্য করেছি, সবসময় হতাশা কাজ করে। তারা সবসময় অন্য কাড্যারের সাথে সুযোগ সুবিধা নিয়ে তুলনায় ব্যস্ত। আর টাকা, ক্ষমতা, প্রভাব না পেয়ে হতাশায় দিন অতিবাহিত করেন। হাঁ একটি ক্ষুদ্র অংশের শিক্ষক পাওয়া যাবে যারা এই পেশাটাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে, সেবার মানসিকতা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে চলেছেন। শিক্ষা ক্যাডারে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এখানে পদোন্নতির বঞ্চনা, অন্যান্য ক্যাডারে এমনকি নন-ক্যাডারে একজন অফিসারের বসার জন্য একটি নির্দিষ্ট চেয়ার টেবিল আছে। আর এখানে অধিকাংশ কলেজে শিক্ষকদের স্টাফ রুমে বসে দিন অতিবাহিত করতে হয়। একই সাথে এক বন্ধু হয়তো্ এডমিন ক্যাডারে যোগদান করার কিছু বছর পর গাড়ি, বাংলো সুবিধা পাচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ সরকারি কলেজের প্রিন্সিপালের কোনো গাড়ি সুবিধা নেই। আর অন্যান্য সুবিধার কথা বাদই দিলাম। তো এত সব বঞ্চনার ফলে মেধাবীরা এখন আর শিক্ষা ক্যাডারে আসতে চাইছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার ধরণ আবার একটু অন্য রকম। সেখানে মেধাবীরা এখনও যেতে চায়। কিন্তু সমস্যা হলো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নিয়োগ হয় একটি মাত্র ভাইভার মাধ্যমে! ফলে একজন মেধাবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেতে হলে তাকে হেড, ডীন, ভিসি, রাজনৈতিক কানেকশান এইসব প্রপঞ্চগুলোকে একত্রে একসূত্রে গাঁথতে গিয়ে তাকে মোটামুটি বৈরাগী হওয়ার উপক্রম হতে হয়। তাই এখানে প্রকৃত মেধাবীদের আনতে গেলে আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কার করতে হবে।

এখন যে প্রশ্নটি সবার সামনে চলে আসে সেটি হলো কিভাবে প্রকৃত মেধাবী এবং আগ্রহীদেরকে শিক্ষকতায় আনা যাবে? আমার মতে সবার আগে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার, কোটা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ( অন্যান্য ক্ষেত্রে মেধার হেরফের হলে খুব বেশি সমস্যা হয়না কিন্তু শিক্ষকতার ক্ষেত্রে এর সুদূর প্রসারী প্রভাব লক্ষ করা যায়, কয়েক প্রজন্মকে ভূগতে হয়)। শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে যাতে শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে না হয়। স্বতন্ত্র ও যুগোপযোগী বেতন কাঠোমো প্রণয়ন করে প্রাইভেট টিউশনি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। ভালো বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা গেলে তখন শিক্ষকরা আর প্রাইভেটের দিকে ঝুঁকবেন না। ভারতে শিক্ষকদের আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়ন করে প্রাইভেট টিউশনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর সাথে শিক্ষকদের নন-মনিটারী এ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে ( যেমন প্রতিবছর শিক্ষক সম্মেলন, সব স্তরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার, যে সকল প্রতিষ্ঠান ভালো ফলাফল করবে তাদেরকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।) এভাবে আমরা যদি শিক্ষকতা পেশাকে নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি তাহলে মেধাবী শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হবে আমাদের শিক্ষাঙ্গনগুলো। নীতি, নৈতিকতা, আদর্শ আর মূল্যবোধ নিয়ে প্রিয় শিক্ষকের আলোয় আলোকিত হবে আগামী প্রজন্ম। আর যদি আমরা প্রকৃত মেধাবী, যোগ্য, নিবেদিতপ্রাণ তরুণদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হই তাহলে ভবিষ্যতে নাসার কাছ থেকে শক্তিশালী দূরিবীন ভাড়া করে আনলেও আমরা প্রকৃত আলোর দিশারি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হব। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হতে চাইনা আমরা চাই সফল হতে। এখন প্রশ্ন হলো বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে ?

মন্তব্যে এ কথাটি লিখতে যাচ্ছিলুম। আপনিই ছাপ্পা দিয়ে রেখেছেন। ঘণ্টা বাঁধবে রাজনীতিতে ফেরত যেতে হবে, সুব্রত মল্লিক। আর তো উপায় দেখি নে !

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৯

ভিটামিন সি বলেছেন: হাই স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক পদে ঢুকতে চেয়েছিলাম যে স্কুলে আমি পড়েছি সেই স্কুলে। থানা লেভেলের প্রথম স্কুল। প্রধান শিক্ষক ঘুষ চায় ৩.৫ লাখ + বেতন করাতে হবে নিজের + একটি কম্পিউটার।
সরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার পদে চাকুরি নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। এখানে স্পিড মানি চায় ৬ লাখ। এক পয়সা ঘুষ দিয়ে চাকুরি নেব না। শালার চাকুরির কপালে লাথ্থি দিলাম। জীবনে কারো চাকর হবো না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

সুব্রত মল্লিক বলেছেন: একটি দেশকে কিন্তু নেতৃত্ব দেয় রাজনীতিবিদরাই..এই দেশেই একটা সময় ছিল যখন সবচেয়ে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসতেন, দেশের সমস্যা নিয়ে ভাবতেন আর দেশকে নেতৃত্ব দিতেন.।কিন্তু এখন তো মেধাবী কিংবা ভালো মানুষ এসে রাজনীতিতে টিকতে পারেনা..এমপিরা সংসদে আইন পাশ করেন, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো সংসদে এখন অধিকাংশ এমপি হলেন ব্যবসায়ী, তারা রাজনীতিকে দেখেন বিনিয়োগ হিসেবে। এখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হলো কি না হলো তাতে তাদের যায় আসে না কারণ তাদের ছেলে-মেয়েরা এই দেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে না.।হয় প্রাইভেটে পড়ে না হয় বিদেশে যায়, তো তারা কোন দুঃখে এই সমস্যা নিয়ে ভাবতে যাবেন? তাই যতদিন রাজনীতিতে মেধাবী ভালো মানুষ না আসবে ততদিন এই অবস্থা চলতেই থাকবে, আর এক্ষেত্রে আমাদের সাধারণ জনগনের দায়ও কিন্তু কম নয় কারণ আমরাই তাদেরকে নির্বাচিত করি!!!!!!!!!!!

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

সুব্রত মল্লিক বলেছেন: চাকরিই জীবনের সব নয়.চেষ্টা করলে অন্য সেক্টরেও নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায়..সম্মানের সাথে জীবন অতিবাহিত করা যায়, সিস্টেমগুলো এমন করাপ্টেড হয়ে গেছে কি বলব!!!!!!!!!! এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না.

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

আবু শাকিল বলেছেন: বিষয় গুলো সরকারে র ভাবা উচিৎ ।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০০

সমানুপাতিক বলেছেন: চলমান সমস্যাগুলোর ওপর আলোকপাত করা হলে সমাধান সহজতর হয় । ভালো লিখেছেন ।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

সুব্রত মল্লিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভালো ছিল

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শিক্ষকতা একটি মহান পেশা --- কিন্তু সেই পেশাতেও এখন কালিমা লেগেছে -- আমার বাবাও একজন শিক্ষক ছিলেন ----- ভীষণ খারাপ লাগে ---

ভাল লিখেছেন ----- লেখায় ++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.