নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনার চক্কর !

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০৭

গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে, স্বর্ণকার যদি তার মায়ের জন্যও গহনা বানায় তাহলেও সে চুরি করবে। তারপরও মানুষ এটা জেনেই গহনা বানায় বা কেনে, অনেকটা শেয়ালের কাছে মুরগী বন্ধক রাখার মত অবস্থা; আর কি !!!



স্বর্ণের প্রতি মানুষের লোভ জন্ম জন্মান্তর ধরে চলে আসছে স্থান কাল পাত্র বিহীন ভাবে। এটা কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বা হবেও না, যতদিন না এর বিকল্প কোনকিছু বের হচ্ছে বা মেয়েরা এর ব্যবহার বন্ধ করছে। অবশ্য ছেলেরাও এখন এটা ব্যবহারে কম যায় না! জনাব বাপ্পি লাহিড়ী এর জলজ্যান্ত উদাহরণ।



এক সময় রাজা মহারাজদের রাজকোষে থাকা সোনা প্রমাণ করত তার ক্ষমতা যা এখনও বর্তমান। আবার মন্দিরে মন্দিরে সন্তুষ্টি ও অর্ঘের নামে দেবতাকে স্বর্ণদানের খবর কে না জানে? এছাড়াও আছে ফারাওদের সোনার মকুট, তৈজসপত্র আর কফিন।



স্প্যানিশদের দ্বারা ইনকা সভ্যতা ধ্বংসই হল এই সোনার কারণে। আজ আফ্রিকায় যে এত হানাহানি তারও মুলেও আছে এই সোনা। জনাব ঘোড়ি ভারত আক্রমণ করেছিলই এর লোভে। তার হাতে লুট হওয়া সোমনাথ মন্দির তো ইতিহাসের অংশ। আরব শেখদের সোনার গাড়ী আর বিমানের খোঁজ আমরা কয়জন রাখি? এছাড়াও আসছে হালের ফ্যাশন আইফোন; তবে সেটা হচ্ছে স্বর্ণের। অর্থাৎ ছোট থেকে বড়, ধনী থেকে গরীব সবাই সোনার জন্য লালায়িত।



এখন আসি মূল প্রসঙ্গে- বর্তমানে আমাদের দেশে সোনা চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার মুল কারণ হল, ভারতে সোনা আমদানির উপর সেই দেশের সরকার ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েছে আর এই কারণে চোরাচালান কারীরা বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে খরচ কমানোর জন্য আর যতটুকু ধরা পড়ছে তার অন্তত: ৯৯ গুণ বেশী ধরা না পড়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ ধরা পড়াটুকুকে খরচের খাতায় ধরেই সব কিছু হচ্ছে। চোরাচালানের নীতি অনুযায়ী !



ভারত, প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের মত সোনা আমদানি করে প্রতি বছর, এর কিছু অংশ পাচার হয়ে যাবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে। আর এগুলো বিক্রি হবে মূলত ভারতের কালোটাকার মালিকদের কাছে কারণ এর কোন ডকুমেন্ট থাকবে না ভারতের কাস্টমসে। আবার বিক্রেতারও সেলস হিসেবে এটা যুক্ত হবে না।



এটা জানা দরকার যে, ভারতে কালোটাকা মানে ‘কালোটাকা’! আমাদের মত করে চিন্তা করলে ভারতে এই কালোটাকা ধারীর জ্বালা বা প্রকৃত শাস্তি বোঝা যাবে না। আয়কর দফতরের ভয়ে; এরা এই টাকা লুকানোর জন্য হেন কোন পদ্ধতি নাই, যা ব্যবহার করে না, আর সোনা হল টাকা লুকানোর সেরা ও সহজ মাধ্যম !



অর্থাৎ যারা কালোটাকা বিনিয়োগ ও লুকাতে ভয় পাচ্ছে বা বিদেশে সেই টাকা পাচার করতে পারছে না বা সেই সামর্থ্য নেই তারা কালোটাকার নোটের বদলে সোনা সংগ্রহ করছে যাতে করে ছোট কোন জায়গায় এটা লুকানো যায়। আবার এর বিক্রেতারা কালোসোনা বা চোরাই সোনা দিয়ে ছোট ছোট কালো টাকার মালিকদের নিকট থেকে কালো টাকা সংগ্রহ করে তা একযোগে হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার করে দিচ্ছে, যার শেষ গন্তব্য হচ্ছে সুইস ব্যাংক। আর কে না জানে সুইস ব্যাঙ্কে আছে সবচেয়ে বেশী ভারতের মালিকদের টাকা যার পুড়োটাই কালো। আর ব্যবসায়ীদের এবার জনাব নরেন্দ্র মোদীকে একযোগে সমর্থনের পিছনেও আছে এই লুকায়িত টাকা ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার একটা গোপন ইচ্ছা!



নিজের টাকা বেনামে রাখতে আর কতক্ষণ ভাল লাগে বা যদি ভোগে না লাগে তবে টাকা রেখে কি লাভ? তাই ব্যবসায়ীদের একটা গোপন ইচ্ছা; জনাব মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে কালোটাকা বিনিয়োগ করার একটা সুযোগ দিবে কারণ ভারতের মত দেশে এই সুযোগ দান এত সহজ নয়, যেখানে জনাব আনা হাজারের মত সামাজিক আর জনাব কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক সৎ নেতৃত্ব বর্তমান। আর তাই চাই মোদী’র মত সাহসী নেতা!

আবার জনাব মোদী যদি সত্যিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন এবং কালোটাকা সহজ বিনিয়োগের সুযোগ দেন তাহলে সেখানে সোনার দাম কমে যাবে এবং এর এখনকার ঠিক উল্টো স্রোত বইবে।



অতএব, এটা ধরে নেওয়াই যায় যে, এই সোনার চক্কর থেকে এত সহজে আমাদের মুক্তি মিলবে না !!!



১৪/০৫/২০১৪, ৪.৩০ বিকাল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

আইচ্ছা এই তাইলে কাহিনী

১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: হ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.