নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ফুটবল ও এর উপকারিতা

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

চার বছর পর পর বাংলার মানুষ বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে যে উন্মাদনা দেখায়; আমি একে পজিটিভলি দেখি। কারণ আমি মনে করি- এতে করে এক মাস সময়কাল ধরে এরা নির্ভেজাল আনন্দে থাকে, হৈ হুল্লোড় করে; বাড়ী, পাড়া, মহল্লা মাতিয়ে রাখে। আর এটা কে না জানে, মানুষ আনন্দে বা হাঁসি খুশি থাকলে সে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকে যা মেডিকেল সাইন্সেও প্রমাণিত।



এছাড়াও আরও যে উপকারগুলো হয় তা নিচে এক এক করে বলে যাচ্ছি:



১) নতুন, পুড়নো বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়ে যায়।



২) পরিবারের মধ্যে বন্ডিং দৃঢ় হয়। শিশু থেকে শত বয়সী, সবাই যার যার মত করে সাপোর্টটার সংগ্রহ বা দল ভারি করার চেষ্টায় মশগুল হয়ে পড়ে। এমনও দেখা যায়- বাবা তার ছোট্ট মেয়েকে পটাচ্ছে ব্রাজিল সমর্থন করার জন্য, অপরদিকে মা চেষ্টায় রত ছেলেকে তার দল; মানে আর্জেন্টিনার সমর্থক বানাতে।



৩) পাড়া মহল্লায় ভাই-বন্ধু বেড়ে যায়। এমনও দেখা যায়- ঘর কুনো ছেলেটি যে কিনা স্কুল, বাবা-মা, টিভি ছাড়া কিছুই বোঝে না, সেও তার প্রিয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে মহল্লার নতুন বন্ধুদের সাথে মিলে দলবেঁধে ওয়াল পেইন্টিং করছে, পতাকা ওড়াচ্ছে, রাত জেগে খেলা দেখার সাথে সাথে পিকনিক করছে, এমনকি ফুটবলও খেলছে।



৪) পরিবার, সমাজে ছোট-বড় ব্যবধান কমে যায় এবং পারস্পরিক আলোচনায় খেলার পাশাপাশি অন্য প্রসঙ্গের জ্ঞানও আদান প্রদান ঘটে যা সবাইকেই সমৃদ্ধ করে এবং উন্নত চিন্তার দুয়ার খুলে দেয়।



৫) অনেক এককেন্দ্রিক মানুষও অন্যের সাথে মিশে যায় যা খেলার শেষেও থেকে যায়।



৬) অনেক ক্ষেত্রে পারস্পরিক শত্রুতাও কমে যায়।



৭) মানুষের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নতুন বন্ধুত্ব তৈরি হয় যা কখনো কখনো বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, গোত্রের বাঁধা ভেঙ্গে ফেলে ।



৮) এমনও দেখা যায়, অনেক স্বামী-স্ত্রী যারা সাংসারিক চাপে নিজেদের মধ্যে দুষ্টামি বা চটুলতা করতে ভুলে গেছে, তারাও দুইজনে দুই পক্ষ নিয়ে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এবং নিজেদের মধ্যে নতুন করে খুনসুটি করার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় তা পুড়নো দিনগুলোকেই তাদের মননে ফিরিয়ে আনে।



৯) ক্ষেত্র বিশেষে দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তথা পাড়া মহল্লায়, চুরি-চামারি কমে যায়।



১০) মানুষের মধ্যে কিছুটা খরচের প্রবণতা বেড়ে যায় যা প্রকারান্তরে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকেও গতিশীল করে।



এছাড়াও একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপই বাংলার ঘরে ঘরে একযোগে নির্ভেজাল আনন্দের উপলক্ষ নিয়ে আসে, যাতে দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষই কমবেশী মাসাধিক সময়কাল ধরে জড়িয়ে থাকে- যা অন্যকোন ইভেন্ট দ্বারাই সম্ভবপর না।



১১/০১৭/২০১৪, ৩.৫৫ বিকাল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.