নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্পিত সম্পত্তি আইন- হিন্দুদের উপর অত্যাচারের হাতিয়ার

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার আর দেশত্যাগে বাধ্য করার মুল হাতিয়ারই হচ্ছে শত্রু সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি আইন আর বাস্তবে এর যথেচ্ছ ব্যবহার যা আসলেই একটা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বলে আমি মনে করি।

ধরুন, আপনার কোন আত্মীয় আমেরিকা, কানাডায়, এমনকি পাকিস্তানেও চলে গেলে সেই সম্পত্তি তারই থাকে বা তার উত্তরাধিকাররা তা ভোগ দখল করে বিনাপ্রশ্নে, বীরদর্পে। আর যদি একজন হিন্দু ভারতে চলে যায়, তাহলে তার সম্পত্তি হয়ে যায় 'শত্রু সম্পত্তি' একটু ভাল ভাষায় বলা হয় 'অর্পিত সম্পত্তি'; মানে ঘাড়ের নাম গর্দান! আর তার সব আত্মীয়-স্বজন থাকে আতংকে, জমি বাসস্থান হারানোর ভয়ে। এছাড়াও আছে চাঁদাবাজি; এক্ষেত্রে বক্তব্য এমন, “তোর ভাই, কাকা ইন্ডিয়া চলে গেছে, এর জন্য তুঁই দায়ী, নে এবার টাকা দে! না দিলে কিন্তু ...... ?”

এছাড়াও যেটা সবচেয়ে ভয়ংকর, সেটা হল, যে গেছে তার সাথে সাথে বাংলাদেশে বসবাসরত তার ভাই, আত্মীয়-স্বজনদেরও সম্পত্তিও অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে কাগজ কলমে লিখে দেওয়া হয় শয়তানী করে তাদের অজান্তে। এর সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জড়িত থাকে ভূমি অফিসের/ মাঠ জরিপকারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও সেই জমির আশেপাশের প্রতিবেশীরা। মাঠ জরিপের সময় জমির মালিকের ‘হিন্দু নাম’ দেখেই শুধু একবার "ভারতবাসী" লিখে দিলেই হল, সারাজীবনের জন্য কেল্লাফতে! আর সেটা একবার লেখা হয়ে গেলে হয়রানী চলে যুগের পর যুগ, যা এখনো বর্তমান, কোন সমাধান ছাড়াই এই অত্যাচার চলছে হিন্দু জনগোষ্ঠীর উপর গত ৪২ বছর ধরে (পাকিস্তান আমলকে বিবেচনায় নিলাম না)।

এক্ষেত্রে যেটা ঘটে সেটা হল- সেই জমির খাজনা নেওয়া হবে না, বিক্রি করতে পারা যায় না, এমনকি উত্তরাধিকারীদেরও নামেও দলিল করে দেওয়া যায় না। শুধুমাত্র ভোগ দখল করা যায়। সেক্ষেত্রে পড়শি কেউ যদি সেই সম্পত্তি দখলে নেয় বা জাল দলিল করে নেয় বা সরকার থেকে লীজ নিয়ে নেয় তাহলেই গেছে। পুড়ো সম্পত্তি হাতছাড়া।

আর মামলা? কে কে জিতেছে যেন? আর যুগের পর যুগ মামলা লড়ে নাছোড়বান্দা কেউ যদি জিতেও যায়? সেক্ষেত্রেও সেই সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে হয় জলের দামে সেই দখলকারীদের কাছেই।

শুধু এই আইনের প্যাঁচে ফেলেই লক্ষ লক্ষ হিন্দু পরিবারকে নিজ সম্পত্তিতে ভোগ দখলে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে, ক্ষেত্র বিশেষে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে এবং অনেক দাঙ্গা হাঙ্গামার কারণও এই আইন।

অনেকেই বলবেন, এই আইন এখন আর কার্যকর নেই। আমি বলবো, এটা ভুল কথা, বাস্তবতা ভিন্ন, আপনি ভুক্তভোগী নন বলে জানেন না। একটু ভূমি অফিসে গেলেই জানতে পারবেন!

ধন্যবাদ !!!

২০/১০/২০১ ১০.১৪ সকাল

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার কোন কথার-ই ভিত্তি নেই। মন প্রসূত একটা কথা বলে দিলেন। অযথা সমাজে একটা কেওয়াস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

আহলান বলেছেন: খারাপ বলেন নাই। ভুমি নিয়ে এই দেশে পুকুর চুরি আর সমুদ্র সমান দূণীতি হচ্ছে ..... বলার অপেক্ষা রাখে না ..... তবে যে সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বি এই দেশ ছেড়ে চিরতরে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন তাদের ব্যপারে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। জমি তো আর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে না বছরের পর বছর .... আর মসুলিম ফরায়েজ আইনের সাথে হিন্দুদের সম্পত্তি ভাগাভাগির আইন এক নয় ..........

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

রইসউদ্দিন গায়েন বলেছেন: যা রটে,তা কিছু তো বটে। বাংলাদেশ থেকে যেসব মানুষ ভারতে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন,তাদের ফেলে আসা স্বজনভূমি ফিরে পাবার অধিকারী তারা। কিন্তু শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ফিরে পাওয়া সম্ভব কিনা,এ প্রশ্ন আমারও। দেশপ্রেমিক বাঙালি-বন্ধু,আপনার কাছে আমার প্রশ্নের সদুত্তর পাবো কি?

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: কিছুদিন আগে এই আইন রহিত করার ঘোষণা এলে আমার উকিল বললেন তিনি দম নেবার ফুসরত পাচ্ছেন না। ভারত থেকে আগত জমির মুল মালিকদের জমি কোর্টে নিবন্ধন করে মামলা বা আবেদনের পালা চলছে দখল হয়ে যাওয়া জমি ফিরে পাবার জন্য। ১৬০০ আবেদনের তালিকা দেখালেন। এরা ক্ষমতাসীন দলের কেউকেটা ধরে আগে ভাগেই দর দাম বিক্রি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তারা অধিকার পাওয়ার পরদিনই তা সাফ কবলা মুলে বিক্রি করছেন। টাকা যাচ্ছে হুন্ডিতে। এই মুহূর্তের খবর জানিনা , রাতে উকিলকে ফোন করে জানব । পাশেরবাড়ীর হিন্দু গোপনে ভারত চলে গেছেন জমিজমা বিক্রি করে । বিপদে পড়েছে তার প্রতিবেশী। গ্রামে একটি র‍্যাকেটের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা এসটাবলিসমেনটের আশ্রয়ে থাকে যাদের কাজ হচ্ছে হিন্দুদের জমি দখল, ভয়ভিতি দেখিয়ে জমি বিক্রিতে বাধ্য করান, ভারতে চলে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি, এবং এই সময়ে কমদামে সেটেল করা।

ভারতে গেলে খুব দোষের হয় কিন্তু আমেরিকায় গেলে ভারত গেছে বলে অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়। নিদারাবাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চয় ভুলে যাননি । কুড়াল চালিয়ে নাভিমুলের নিচে কয়েক কোপে জীবন্ত মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ৮ জঙ্কে হত্যা করে ৮ মাসের শিশুটিকে আছাড় দিয়ে হত্যাকারির মুখে কোন পরিতাপ ছিলনা । তার ফাসি হয়েছিল।

হিন্দুদের এই দেশত্যাগ আনন্দের নয় । রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ ।

এই রাষ্ট্র সৃষ্টির সবচে বড় আত্মদান হিন্দুদের । আমি ফিরে আসা শরণার্থীদের সেবায় নিযুক্ত ছিলাম বলেই জানি এসব। আসলেই কি পরাধীনতা ভালো ছিল? বুটের লাথি আর নিন্মমানের হিন্দুজাতপ্রসুত মুসলিম হিসাবে পাকিদের শাসন? হয়তবা তাই ----------। দুঃখ তোমাদের জন্য , মুসলিম হয়ে নিজের জমিই রক্ষা কোরতে পারছিনা আত্মীয় স্বজনদের চকচকে লোভের কারনে , বিক্রিও অসম্ভব সিন্ডিকেটের কারনে ।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.