নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়া, অথৈ ও হানিফ পরিবহনের বাস সার্ভিস বন্ধ করা হোক

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

দুটো খবর পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেছে আজ, পাশাপাশি আতংকিতও হয়েছি। এর-

প্রথমটা হলো, মহাসড়ক গুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার ৯১ শতাংশের জন্য দায়ী বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালনা; যার জন্য মূলত চালকরাই দায়ী।
এইসব দুর্ঘটনায় শুধু সাধারণ মানুষই মারা যায় না? মারা যায় চালক ও এর সহযোগীরাও। পাশাপাশি বাস মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দ্বিতীয়টা হলো, কয়েকদিন আগে নাটোর-হাটিকুমরুল সড়কে একটা ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা হয় যাতে মারা যায় কমপক্ষে ৩৪ জন সাধারণ মানুষ আর আহত হয় আরও অনেকেই; সেটার জন্যও দায়ী ছিল এই দ্রুতগতিতে গাড়ী চালানো ও ওভার টেকিং।
এই দুর্ঘটনায় কেয়া ও অথৈ বাস সার্ভিসের দুটো যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মূলত বেপরোয়া গতিতে ওভার টেকিং করতে যেয়ে; যার জন্য দুই বাসেরই চালকরা দায়ী ছিল এবং এরাও মারা গেছে সম্ভবত।
আমার মন খারাপ বেশী হয়েছে এটা জেনে যে, সেই দুর্ঘটনার সময় হানিফ পরিবহণের আর একটা বাস, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটোর ছাদ থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়া আহত মানুষদের উপর দিয়ে দ্রুতগতির চলে গেছিলো ব্রেক না কষে। হয়ত সেটাও দ্রুতগতিতে চলছিল বা এই দুর্ঘটনার জন্য সেও দায়ী ছিল। কারণ আমি অনেক দেখেছি, পাশাপাশি দুটি প্রতিযোগী কোম্পানির বাস একই দিকে চলতে থাকলে সামনের গাড়ীটা পিছনেরটাকে সহজে সাইড দেয় না। সেক্ষেত্রে পিছনের গাড়ীটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আর কোনভাবে সুযোগ পেয়েই সেই গাড়িটা বেপরোয়া হয়ে ওভারটেকিং করতে চায়; অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় সামনের গাড়িটা ঠিক শেষ মুহূর্তে এসে ডানদিকে চাপ দেয়- যাতে সে উঠে যেতে না পারে অথবা দুর্ঘটনায় পড়ে।
সেদিন যারা রাস্তায় পড়েছিল তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ হয়ত বেঁচেও যেত কিন্তু হানিফ পরিবহণের বাসটির ড্রাইভারের নির্মম আচরণে তারা তা পারেনি এবং চাকায় চাকায় পিষ্ট হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ কেউ কোনদিন করতে পারবে না। হয়ত বাসগুলির মালিকরা তাদের সমিতি মাধ্যমে একটা ক্ষতিপূরণ দিয়ে পার পেয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে আবারো ঘটবে একই ঘটনা।
তাই আমি মনে করি, সময় এসেছে বাস মালিকদের এই ক্ষতির জন্য জবাবদিহি করার; যাতে করে তারা তাদের চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হয়। আর এটার জন্য দরকার কেয়া, অথৈ ও হানিফ পরিবহণ তিনটির সব রুটের সব বাস সার্ভিস অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া। এতে করে হয়ত এই দুর্ঘটনার রোগ সারবে না; কিন্তু বিনা চিকিৎসায় মানুষকে মরতে দেওয়াটাও তো ঠিক না।
হ্যাঁ, আইনগত ভাবে হয়ত সরকার এটা করতে পারবে না কিন্তু প্রশাসনিক বা জনস্বার্থে তো এটা করা যায়!
কিন্তু সরকার কি তা করবে?
২২/১০/২০১৪ দুপুর: ১.`৫৪

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

যুবায়ের বলেছেন: সড়ক দুর্ঘটনা একটি বড় সমস্যা বর্তমানে। এটিকে নিয়ন্ত্রনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আর বাস চালকদের সতর্কভাবে বাস চালাতে হবে।

তবে তার অর্থ এইনা যে কোন বাস সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিতে হবে!
মাথাব্যথার কারনে কি মাথা কেটে ফেলাই যৌক্তিক?

অন্য দুইটি পরিবহনের কথা নাহয় নাই বললাম শুধু হানিফ এন্টার প্রাইজের একটি তথ্য বলছি। সারাদেশে হানিফ এন্টার প্রাইজের এসি-নন এসি বাসের সংখ্যা ২০০০+ যা বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্হার এক বিশাল নেটওয়ার্ক। একটি বাসে যাত্রী ধারন ক্ষমতা ৪০ জন হলে ২০০০ বাসে ৮০,০০০ যাত্রী যা ২৪ ঘন্টায় আপ ডাউন করলে ১৬০,০০০ যাত্রীকে পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এখন আপনার বক্তব্য অনুসারে হানিফ পরিবহন কে নিষিদ্ধ করলে সরকারের যত বিআরটিসি বাস আছে সকল বাস দিয়েও হয়তো এত বড় পরিসরে যাত্রীসেবা দেওয়া সম্ভবপর নয়।

আমিও প্রতিবাদ জানাই যে বাসটি উক্ত দুর্ঘটনার সময় আহত ব্যক্তিদের চাপা দিয়েছে সেই বাসের ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। আর হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রক বাড়ানো হোক। ওভারস্পিডে চালানো চালকদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান করা হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.