নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার ফতোয়াবাজরা আবারও পরাজিত হয়েছে

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৭



বাংলার ফতোয়াবাজরা আবারও পরাজিত হয়েছে
সাইয়িদ রফিকুল হক

বাংলাদেশে কতরকমের ফতোয়াবাজ রয়েছে। হিসাব করতে গেলে কম্বলের লোম-বাছার মতো অবস্থা হবে। প্রায় প্রতিটি কাটমোল্লাই এখন ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত। এতে এদের কামইরোজগার হয় ভালো। শানশওকতও বাড়ে খানিকটা। এজন্য তাদের ফতোয়াবাজি থেমে নেই। বরং তারা আগের চেয়ে আরও জোরেশোরে তাদের মনগড়া ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত হচ্ছে। আর তারা কথায়-কথায় অমুক-তমুক হারাম-হারাম বলে চেঁচামেচি করছে।
সেই ব্রিটিশ আমল থেকে তাদের এই অপকাণ্ড চলে আসছে। পাকিস্তানি আমলেও তারা জোরেশোরে ফতোয়াবাজি করেছে। তখন তারা বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে, বাঙালি-জাতির বিরুদ্ধে, বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা নেতাদের বিরুদ্ধে, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরুদ্ধে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সীমাহীন ফতোয়াবাজি করেছে। শুধু তাই নয়, একাত্তরে নিজদেশের মা-বোনদের পাকিস্তানি জানোয়ারদের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষেও নির্লজ্জভাবে ফতোয়াবাজি করেছে। আর আমাদের দেশের মা-বোনদের পাকিস্তানিদের ভোগ্যপণ্য হিসাবে আখ্যায়িত করার জন্য তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে ফতোয়াবাজি করেছিল। সেই সময় তারা দেশের মা-বোনদের ‘মালে গনিমত’ বা ‘গনিমতের মাল’ বলে অভিহিত করেছিল!
এরা প্রতিনিয়ত নিজেদের স্বার্থের জন্য ফতোয়াবাজি করে থাকে। আজ পর্যন্ত দেখিনি-শুনিনি এরা ইসলামধর্মের ও দেশের জন্য কোনো ভালো কাজ করেছে। কিন্তু দেশ, জাতি, মানুষ, মানবতা ও ধর্মের ক্ষতি করার জন্য এদের ফতোয়াবাজি চলছে সমানতালে।
পৃথিবীতে ৩৬৫ দিন পর নতুন একটি বছরের আগমন ঘটে। নতুন বছর বা নববর্ষপালনের এই ঘটনা বিভিন্ন দেশের মানুষজনের কাছে নতুন কোনোকিছু নয়। আদিকাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নববর্ষপালনের রেওয়াজ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী তাদের দেশীয় নববর্ষপালনের পাশাপাশি খ্রিস্টিয় নববর্ষও পালন করে থাকে। ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার সুবাদেই খ্রিস্টিয় নববর্ষের ব্যাপক প্রচলন হয়েছে। তবে পৃথিবীতে আধুনিককালে নববর্ষপালনের ব্যাপক জাঁকজমক লক্ষ করা যায়। কিন্তু একটি প্রতিক্রিয়াশীলচক্র সবসময় এর বিরুদ্ধাচরণ করছে। আর এক্ষেত্রে তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে তাদের এই বিরোধিতাকে আরও সামনে আনার চেষ্টা করছে। এভাবে তারা বাংলা ও খ্রিস্টিয় নববর্ষ আসার আগে থেকে এর বিরুদ্ধে জোরেশোরে ফতোয়াবাজি শুরু করে দেয়। বিশেষত এরা বাংলা-নববর্ষের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাকে তারা ‘জিহাদ’ হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। তবুও বাংলার মানুষ তাদের বিষোদগারকে পদদলিত করে ‘বাংলা-নববর্ষ পালন করে থাকে। মদীয় নিবন্ধের বিষয় এটি নয়। মদীয় আলোচ্য বিষয় হলো বাংলাদেশে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের খ্রিস্টিয় নববর্ষপালনের ঘটনাক্রম।
খ্রিস্টিয় নববর্ষ (আমাদের দেশের মানুষ যাকে ভুলবশত ‘ইংরেজি-নববর্ষ’ বলে থাকে) এটি পালনের রেওয়াজও আমাদের দেশে নতুনকিছু নয়। পাকিস্তান-আমলেও এটি হয়েছে। আর বর্তমানেও হচ্ছে। কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বর্তমানে নববর্ষপালনের ক্ষেত্রে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সাধারণ মানুষ ফতোয়াবাজির শিকার হচ্ছে বেশি। গতবছরও ফতোয়াবাজগোষ্ঠী বাংলা-নববর্ষের মতো খ্রিস্টিয় নববর্ষপালনের বিরুদ্ধেও ব্যাপক ফতোয়াবাজি করেছিল। এবছরও তারা ডিসেম্বর-মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ৩১-এ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাটে-মাঠে-ঘাটে তথা রাস্তাঘাটের ওয়াজ-ব্যবসায় ও কয়েকটি জুম্মার নামাজে আসল বয়ান রেখে এই খ্রিস্টিয় নববর্ষের বিরুদ্ধে অহেতুক ফতোয়াবাজি শুরু করেছিল। তাদের মনগড়া-ফতোয়াগুলো ছিল:

১. ইংরেজি নববর্ষপালন করলে মুসলমানদের ঈমান থাকবে না!
২. মুসলমান কখনো ইংরেজি নববর্ষপালন করতে পারে না।
৩. মুসলমান যদি খ্রিস্টানদের মতো ইংরেজি নববর্ষপালন করে তাহলে তাদের ঈমান চলে যাবে। মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
৪. থার্টিফার্স্ট-নাইট-পালন করা হারাম ও কুফরি!
৫. থার্টিফার্স্ট-নাইট চরিত্রবিধ্বংসী এক উৎসব!
৬. থার্টিফার্স্ট-নাইট ঈমান ধ্বংসের এক মহাউৎসব!
৭. থার্টিফার্স্ট-নাইট কাফির ও মুশরিকদের জন্য। কোনো মুসলমান এই রাত উদযাপন করতে পারে না!
৮. থার্টিফার্স্ট-নাইট, নববর্ষ, বছরের প্রথম দিন পালন করা হারাম ও কুফরি!
৯. ইংরেজি নববর্ষ হচ্ছে বেহায়াপনা। এটা শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম!
১০. ইংরেজি নববর্ষের নামে উলঙ্গপনা, নোংরামি, বেহায়াপনা, মদ খেয়ে ফুর্তি করা চলবে না। কোনো মুসলমান থার্টিফার্স্ট-নাইট বা ইংরেজি নববর্ষপালন করবেন না।
১১. ইংরেজি নববর্ষপালন ইহুদি-খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি।
১২. বাংলা-নববর্ষ হিন্দুদের সংস্কৃতি!

এরা একটু সুযোগ পেলেই বাংলা-নববর্ষের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করে থাকে। নইলে, এই ডিসেম্বর-মাসে খ্রিস্টিয় নববর্ষের বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজি করতে গিয়ে মসজিদে-মসজিদে বাংলা-নববর্ষকে তৎসঙ্গে এখনই আক্রমণ করতে হবে কেন?

এদের দৃষ্টিতে মুসলমানদের সংস্কৃতি হলো বুঝি ফতোয়াবাজি!

বাংলার সর্বস্তরের ভণ্ড মোল্লা, মুন্সি ও আর কাটমোল্লা জোট বেঁধে কতরকম ফতোয়াবাজি করেছিল―কিন্তু তাদের কোনোকিছুই কাজে লাগেনি। মাওলানা-লকবধারী অনেক ভণ্ড আগের মতো তাদের রেডিমেট ফতোয়াও দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেনি।
২০২০ খ্রিস্টাব্দের ৩১-এ ডিসেম্বর রাত সাড়ে এগারোটার পর থেকে সারা ঢাকা-শহরে শুরু হয়েছিল বৃষ্টির মতো পটকা ফুটানোর ধুম। আকাশজুড়ে পুড়ছিল হাজার-হাজার রঙিন আতশবাজি! আর আতশবাজির ফুলকিতে বাংলার আকাশ আলোকিত ও আলো ঝলমলে হয়ে উঠেছিল। তার সঙ্গে চলছিল হাজার-হাজার ফানুস উড়ানোর প্রতিযোগিতা। রাত বারোটা বাজার কয়েক মিনিট আগে থেকে আতশবাজি আর ফানুসে ছেয়ে গিয়েছিল ঢাকার আকাশ! আমি কয়েকশ’ সুউচ্চ ভবনের ছাদে শুধু মানুষ-আর-মানুষ দেখেছি। আর ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে এরা সবাই মুসলমান। সবার হাতে আতশবাজি কিংবা ফানুস দেখেছি। কিংবা কারও হাতে পটকা। চারিদিকে পটকা ফুটানোর শব্দে মনে হচ্ছিলো দেশজুড়ে বিরাট কোনো এক উৎসব শুরু হয়েছে! আর সমগ্র ঢাকাকে উৎসবের শহর মনে হচ্ছিলো!
গতবছরও আমি একই চিত্র দেখেছি। ইতঃপূর্বে আমি কখনো বাংলার আকাশ এত উজ্জ্বল আর আলোকিত হতে দেখিনি! ফতোয়াবাজদের যত ‘হারাম-ঘোষণা’র বাড়াবাড়ি ও লাগামহীন বক্তব্য আসছে―মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনাও যেন তত বাড়ছে! কেউ ফতোয়াবাজদের কথায় ঘরে বসে ছিল না। অধিকাংশ মানুষকে ছাদে উঠতে দেখেছি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেছে। আবারও বলছি: প্রতিটি ছাদে শুধু মানুষ-আর-মানুষ দেখেছি। আর দেখেছি মানুষের সীমাহীন তথা বাঁধভাঙা আনন্দ! এই আনন্দের যেন কোনো শেষ নেই!
কোনো মানুষকে আমি মদ আর মেয়েমানুষ নিয়ে ছাদে উঠতে দেখিনি! মানুষের হাতে ছিল, পটকা, আতশবাজি আর রঙিন ফানুস (দেশের যে মুষ্টিমেয় মানুষ মদ্যপান করে তারা মদীয় আলোচনার বাইরে)। আমি শুধু সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের থার্টিফার্স্ট-নাইট উদযাপনের সংক্ষিপ্ত একটা চিত্র এখানে তুলে ধরেছি। বাংলার মানুষ কখনো কায়েমি-স্বার্থবাদীদের মনগড়া-ফতোয়া মানেনি আর মানবেও না কখনো।

দেশের সাধারণ মানুষ তথা মুসলমান ও পবিত্র ইসলামধর্ম আজ একশ্রেণীর সস্তা মোল্লা-মৌলোভীদের অতিসস্তা ফতোয়াবাজির শিকার। এরা যোকোনো বিষয়কে খুব সহজে ‘হারাম’ বলে ঘোষণা করতে কোনোরকম দ্বিধা করছে না। আসলে, এদের সবকিছুই মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এইসব ঘটনাকে নিতান্ত দায়সারাভাবে দেখলে আমাদের চলবে না। এর মূলে রয়েছে ধর্মব্যবসায়ীদের সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত। দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার স্বার্থে এই চক্রজাল ছিন্ন করার জন্য রাষ্ট্রকে সর্বস্তরের মানুষের স্বার্থচিন্তায় আজ আরও কঠোর আর আরও বেশি মানবিক ও সংবেদনশীল হতে হবে। আর যথেচ্ছা মনগড়া ও লাগামহীন ফতোয়াবাজি নির্মূল করার জন্য রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে।



সাইয়িদ রফিকুল হক
০১/০১/২০২১

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: কিছুই না আপনি এদের ঝোলায় ২০০ টাকা গুজে দেন ফোতোয়া পরিবর্তন হয়ে যাবে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সত্য। এরা টাকার পাগল।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: অশিক্ষিতরা এবং ধার্মিকেরা ফতোয়া দেয়। শিক্ষিত সমাজ ফতোয়ার ধারধারে না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: কিন্তু, শিক্ষিতের হার যে দেশে কম!!!!!

অশেষ ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে কোনো চরমপন্থাই হিতে বিপরীত হয়ে দাড়ায় | এই ফতোয়াবাজরা ফালতু বিষয় নিয়ে এতো মাতামাতি করে যে তাদের মাতামাতির আড়ালে মূল সমস্যাগুলো চাপা পড়ে যায় | আজ পর্যন্ত ফতোয়াবাজদের দেশের দুর্নীতি, লুটপাট ও ধান্দাবাজির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে দেখেছেন কখনো ? এরা মূলত ক্ষমতাসীনদের পেইড এজেন্ট অথবা হালুয়া-রুটির বেনিফিশিয়ারি হিসাবেই কাজ করে | কখনো ভাগ কম পড়লে ট্রেড ইউনিয়নের মতো দরকষাকষি করে |

এই ফতোয়াবাজির আড়ালে কিছু হিংস্র চরমপন্থীর সৃষ্টি হচ্ছে যা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ | এরা ধর্মকে কাস্টমাইজ করে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে যা মূলধারার নিরীহ ধর্মপালনকারীদের জন্য ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি করবে | ব্লগেও এই সকল ফতোয়াবাজদের চেলাচামুন্ডাদের আস্ফালন দেখা যায় মাঝেমধ্যে, যারা প্রয়োজনে অন্য মুসলিমদের মুনাফিক, মুশরিক ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে আক্রমণও করে থাকে |

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: নিরেট সত্য বলেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর শুভেচ্ছা অগণিত।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

এমেরিকা বলেছেন: ১, ৩, ৪, ৮ নং ফতোয়ার ক্ষেত্রে আপনি হারাম ঈমান এরকম কতগুলো শব্দ ইউজ করেছেন। আপনি কি কোন আলেমের ভিডিও দেখাতে পারবেন যারা এগুলোকে কুফুরি বা হারাম ঘোষণা করেছেন? নাকি শোনা কোথায় কান দিয়ে একটা মস্ত বড় ব্লগ প্রসব করে ফেলেছেন?

ফতোয়াবাজদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হাজার হাজার মানুষ ছাদে ওঠায় আপনার কাছে ঈদের আনন্দ লেগেছে। আতশবাজি দেখতে মানুষ তো উঠবেই, কিন্তু অসুস্থ, বয়স্ক আর শিশুরা যাদের রাতের বেলা সময়মত ঘুমানো একরকম ঔষধের ডোজের মত, তাদের অসহায়ত্বের কথা কি আপনার একবারো মনে জেগেছে? মন হয়েছে সারা বিশ্ব আনন্দে মাতলেও আমাদের জন্য এরকম উৎসব করা বিলাসিতা?

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০১

রানার ব্লগ বলেছেন:

এমেরিকা বলেছেনঃ কিন্তু অসুস্থ, বয়স্ক আর শিশুরা যাদের রাতের বেলা সময়মত ঘুমানো একরকম ঔষধের ডোজের মত, তাদের অসহায়ত্বের কথা কি আপনার একবারো মনে জেগেছে? মন হয়েছে সারা বিশ্ব আনন্দে মাতলেও আমাদের জন্য এরকম উৎসব করা বিলাসিতা?


আপনার এই কথাগুলি ওয়াজের নামে বিকৃত গলায় নকল সুরে উচ্চস্বরে গান, রাত ১২ টা পর্যন্ত লং হর্ন বাজিয়ে তিব্র শব্দ সৃষ্টি করে শব্দ দুষন করার সময় আপনার এই নিতি বাক্য কই ছিল। সারা বিশ্ব আনন্দে মাতলে আমাদের কেন বিলাসিতা মনে হবে এটাই বুঝলাম না, আমরা আমাদের সামর্থ মত আনন্দ করেছি। এটাই ফ্যাক্ট। আর যতদুর জানি এরা লং হর্ন বা লাউড স্পিকার ব্যাবহার করে নাই যেমন করে ওয়াজ মাহাফিলে ঘরের পাশে কানের কাছে উচু খাম্বায় লং হর্ন বেধে তিব্র ভয়ানক বিকৃত আওয়াজ সৃষ্টি করে।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

ফয়াদ খান বলেছেন: আমি শরিয়ত সম্পর্কে খুব জানাশোনা লোক নই, তবে ইসলামী শরিয়তে ফতোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এবং এ বিষয়ে কথা বলতে হলে শরিয়তের গভীর জ্ঞান থাকা উচিত। ঢালাও ভাবে হিংসার বশবর্তী হয়ে ফতোয়ার বিরুদ্ধে বিশোদগার করা চরম মূর্খতারই বহিঃপ্রকাশ ।
কেননা ফিকহ ও শরিয়তের গভীর জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিই কেবল কোরআন-হাদীস-ফিকহের যথাযত গবেষণার উপর ভিত্তি করে ফতোয়া দিয়ে থাকেন, তাই এ বিষয়ে আনাড়ি ব্যক্তিদের উচ্চবাচ্য নিঃসন্দেহে মুর্খতা !!!
সে জন্যই আল্লাহ বলেন --
وَ لَا تَقۡفُ مَا لَیۡسَ لَکَ بِہٖ عِلۡمٌ ؕ اِنَّ السَّمۡعَ وَ الۡبَصَرَ وَ الۡفُؤَادَ کُلُّ اُولٰٓئِکَ کَانَ عَنۡہُ مَسۡـُٔوۡلًا ﴿۳۶﴾

যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়োনা। কর্ণ, চক্ষু, হৃদয় - ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে।
And follow not (O man i.e., say not, or do not or witness not, etc.) that of which you have no knowledge (e.g. one's saying: I have seen, while in fact he has not seen, or I have heard, while he has not heard). Verily! The hearing, and the sight, and the heart, of each of those you will be questioned (by Allah).

সুতরাং যদি যোগ্য পন্ডিত / মুফতি কোরআন -হাদিসের আলোকে
যথাযত কোন ফতোয়া দেন, তা বুঝেশুনে অস্বীকার করা নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতোই আত্মঘাতী !!
আবার যার তার মনগড়া বক্তব্য কে ফতোয়া বলে চালিয়ে দেয়াও আরো বড় ধরনের মূর্খতা !!
সুতরাং দু'চার লাইন লিখতে পারি বলে যাচ্ছেতাই লিখে ফেলা সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয় !!
মনে রাখতে হবে, ফতোয়া কোন ঠুনকো বিষয় নয়, আর যার তার বক্তব্য কে ফতোয়া বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই!!
সুতরাং আমাদের আরো সচেতন ভাবে সজ্ঞানে কলম চালানো উচিত !
আল্লাহ সকল কে সরল পথে পরিচালিত করুন! আমিন !!!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার নিজের নাম আপনি শুদ্ধ করে লিখতে পারেননি!!!!!!!!!!!
ফুয়াদ দেখেছি। কখনো ফয়াদ দেখিনি!!!!!!!!!!!!

মহান আল্লাহ কখনোই কোনো মোল্লা, মওলানা বা মুফতিদের কোনোকিছুকে হারাম ঘোষণা করার এখতিয়ার দেননি।
আপনি কাটমোল্লাদের কথা ও কাজকে সমর্থন করতে পারেন। সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারস্যাপার। কিন্তু কখনো এই বিষয়ে অন্যকেও আপনার মতো হতে বলতে পারেন না।
আপনার দৃষ্টিতে এই প্রবন্ধ ভালো না-লাগলে ভালো কথা। সেজন্য আপনি সরাসরি বলতে পারেন: আপনার কাছে ভালো লাগেনি। কিন্তু একজন ব্লগারের জ্ঞান বা তার চিন্তাধারা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে পারেন না।
আপনি যেমন আপত্তিকর মন্তব্য করে অনধিকারচর্চা করছেন, আমাদের দেশের একশ্রেণীর হুজুরও তদ্রুপ অনধিকারচর্চা করছে। মনে রাখবেন: আপনি শুধু ব্লগারের লেখাকে সমালোচনা করতে পারবেন। ব্লগারের জ্ঞান বা তার অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। এটা ব্লগীয় আইনের ধারায় সঠিক নয়। আমি ধর্মবিষয়ে কতটুকু জানি বা না-জানি, সেবিষয়ে আপনি কেন প্রশ্ন তুলবেন!!!!!??????

ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফয়াদ খান বলেছেন: নামে কি আসে যায় হে মান্যবর !
কামে-কাজে যার নাই খবর !
কারো আমার ব্যক্তিগত কোন বিরোধ নেই !
আমি শুধু বলতে চেয়েছি, কেউ যদি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চায় তবে অবশ্যই তাকে উক্ত বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখা উচিত । না বুঝে ফতোয়া কে অস্বীকার করা কোরআন- হাদিস অস্বীকার করারই নামান্তর ।
ফতোয়া হচ্ছে একটি দলিল প্রমান ভিত্তিক বলিষ্ঠ নির্দেশনা, আপনার মতের বিপক্ষে গেলেই সেটা বাতিল হয়ে যাবে না,
সেটা বাতিল করতে হলে আপনাকেও তথ্য-প্রমাণাদি ও দলিল পেশ করে সকলের সামনে উলথাপন করতে হবে !!
অন্যথায় সেটা পাগলের প্রলাপ বলে বিবেচিত হবে।
আর বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য ঈশারাই যথেষ্ট !!!

আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাই !!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ৩২ বছর যাবৎ মহান আল্লাহর কুরআনচর্চা ও পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ’র চর্চা করছি।
তিনিই আমার পাশে রয়েছেন।
আমার কোনো ভয় নাই।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.