নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rahul

রাউল।।

রাউল।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০৫০ সালে আকাশে উড়বে অভিনব বিমান

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬


১২ মার্চ ২০১৬ শনিবার, ১০:০৪ পিএম

২০৫০ সালে আকাশে উড়বে অত্যাধুনিক ও অভিনব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিমান। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের একদল গবেষক তাদের গবেষণায় ২০৫০ সালের বিমানের চিত্র তুলে এনেছেন। বিমানগুলোর ভেতরে ও বাইরে দিয়ে একটি র‌্যাডিকেল নকশা থাকবে। বিমানের ভেতরে আসন সংখ্যা থাকবে প্রায় ১ হাজারের মতো। যাত্রীদের জন্য থাকবে ভার্চুয়াল বাস্তবতা হেডসেট, জানালা ও প্রশস্ত লাউঞ্জ। বিমানের ভেতরে থাকবে ভার্চুয়াল গলফ খেলার ব্যবস্থা। নিঃশ্বাসের সঙ্গে ভিটামিন সমৃদ্ধ বাতাস টেনে নেবেন যাত্রীরা।



এই অবিশ্বাস্য অত্যাধুনিক বিমান ২০৫০ সালে মানুষের সুদূরপ্রসারিত গন্তব্যস্থল ভ্রমণ হতে পারে।
ভবিষ্যতের এই অত্যাধুনিক বিমানের ধারণাটি এসেছে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষকদের কাছ থেকে।

বিমানগুলো নিয়ে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, আগামী ৪০ বছরের মধ্যে এটি নতুনরূপে তৈরি হয়ে মানুষের সামনে আসবে।

এই জোনে ভার্চুয়াল প্রজেকশনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম বেছে নিতে পারবে, এমনকি (3D) চলচ্চিত্র, লাইভ ইমেজ বিমানের অভ্যান্তরের দেয়ালে প্রদর্শন করতে পারবেন।



গবেষকদলের পরিকল্পিত একটি বৃহৎ আকৃতির বিমান। যার ভেতরে প্রসস্ত কেবিন ও ঘুরাফেরার জন্য প্রসস্ত স্থান রয়েছে।



ওই সময়ে এই বিমানে প্রচলিত কেবিনের পরিবর্তে থাকবে বিশেষ প্যাসেঞ্জার জোন। এর মধ্যে একটি জোন হলো ইন্টারেকটিভ জোন। এই জোনে ভার্চুয়াল প্রজেকশনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম বেছে নিতে পারবে। এর মধ্যে হলোগ্রাফিক গেমিং থেকে ভার্চুয়াল পোশাক বদলানোর ঘর পর্যন্ত সবই থাকবে। বিমান ভ্রমণের সময় মোটামুটি গোটা বিশ্বটাই যাত্রীদের সঙ্গে থাকবে।

বিমানের ভেতরের দেয়ালের রং আলোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাবে। এই বিমানের হলোগ্রাফিক পর্দা ও অন্যান্য বিনোদন চলার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করা হবে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা থেকে। বিমানে বসেই বাড়িতে থাকা সন্তানদের ঘুমপাড়ানি গল্প শোনাতে পারবে তাদের বাবা-মা।

গবেষকরা আরো জানান, এই বিমানের দেয়াল হবে খুবই বুদ্ধিমান। এটা দরকারমতো বিমানের ভেতরকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। এছাড়া এটা যেকোনো সময় পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়ে যেতে পারবে। তখন যাত্রীরা বিমানের বাইরে তাদের চারপাশটা পুরোপুরি দেখতে পারবেন। তবে এই বিমানের জন্য যেসব প্রযুক্তির কথা বলছে তার অনেক বর্তমানে থাকলেও বিমানের স্বচ্ছ দেয়াল কীভাবে তৈরি করা হবে সেটার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি গবেষকরা।

বিমান নিয়ে পিএইচডি করা শিক্ষার্থী আদম ওমর জানান, আগামীর অত্যাধুনিক এই বিমানগুলো বর্তমান জেট বিমানের কিছুটা আকার বহন করবে। এগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় থাকবে।পরবর্তী প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিমানগুলো উন্নতরূপে তৈরি হবে। তবে বিমানগুলো এখনকার বিমানের চেয়ে আকারে খাটো হবে। ডানাগুলো একটু ছোট থাকবে। বিমানগুলো জৈবজ্বালানি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হবে।

এছাড়া প্রসস্ত বডি, বড় উইংসসহ ১ হাজার যাত্রীর আসন থাকবে। তবে বিমান বোর্ডে অনেক লোক থাকা সত্ত্বেও এখনকার বিমানের চেয়ে পা রাখার জন্য প্রশস্ত জায়গা থাকবে।

গবেষক দল আরো বলেন, ২০৫০ সালের যাত্রীরা অনেক বেশি আরামদায়ক ভ্রমণ প্রত্যাশা করবে। তবে তারা সব বিলাসিতার পাশাপাশি পরিবেশের বিষয়েও সচেতন থাকতে চাইবে। বিভিন্ন প্যাসেঞ্জার জোনে ভাগ করার ফলে এ বিমান ভ্রমণের সময় যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর পাশাপাশি নতুন আবিষ্কারের রোমাঞ্চকর অনুভূতিও টের পাবে।

ভ্রমণের পাশাপাশি তারা বিমানে বসে আরাম আয়েশ করা, হাঁটা চলা, আসনে বসে ঘুমানো এবং বাইরের দৃশ্য দেখার জন্য প্রশস্ত জানালার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে যাত্রীদের মাঝে কোনোরকম অস্বস্তিবোধ না হয়।



বিমানে যাত্রীদের বসার জায়গা আর বিমানের দুটো পাখা একদম আলাদা, ভবিষ্যতের এই বিমানে তেমনটা থাকবে না।



পরিকল্পিত বিমানের ভার্চুয়াল প্রজেকশনে সাজানো সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: তাতে কি লাভ হবে রে বেচারা বিজ্ঞানি.......................................।। মানুষের জিবনের আসল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত ছিল।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অসাধারণ একটি খবর দিলেন। (+)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.