নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
কাঠের ভেতর ঘুণ, ঘুণের ভেতর আমি। নিকষ কালোতে ভাঙছি আমি প্রমিথিউস ঢেউ।
শীৎকারে নয়, ভালোবাসার আওয়াজে ডুব দাও, তোলে আনো অলীক। এক ডুবে। আয়নায় খেলবে শ্বেতশুভ্র।
জীয়ল মাছের দাপাদাপি সময়ের ঝাপ্টায় দোল খায়, স্বপ্নদেয়ালে জমে কি শ্যাওলা!
বালক দেখে স্বপ্ন। লৌহজং বুকে কোশা ভাসিয়ে ঢেউয়ে ঢেউয়ে পৌঁছে যাবে সাগর মোহনায়। বালক হারিয়ে গেছে সেই কবে। স্বপ্নটুকু রয়ে...
বাতাসে খনার কাটা জিহ্বার জলছাপ; মর্মে কাঁদে অপ্রকাশিত সত্য।
যুক্তির করাতে না্চে হেঁয়ালি ধুপ, বিভ্রমেই আসক্তি; ঠিকানা হারিয়ে ফেলে লক্ষভ্রষ্ট তুণ।
মানুষ আসে, মানুষ যায়, আড়ালেই থাকে গুঢ়।
ধন্দ জাগায় তাকলাগা অভিধান।
আইনস্টাইন ঠুলি চোখে
সত্য-মিথ্যার বালিয়াড়ি
লোপ পায় সীমারেখা।
স্থান-কাল-পাত্র ভেদ
বদলে যায় ভাবনা বলয়
তবুও নেশা-
পরমসত্যে হাত বাড়াই।
গল্পের শেষেও গল্প শুরু হয়। শেষের গল্পটুকু একই সাথে হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর এবং আনন্দময়। জয়তির সাথে এতোদিন পর আবারো যে দেখা হবে ভাবিনি কোনদিন। আমরা্ দুজনেই পুরানো গল্প মলাটে...
অদৃশ্য কালিতে লেখা সনদ
জন্মাবধি বয়ে বেড়াই
ঘড়ির কাটা টিক টিক
জীবন চলছে জীবনের পথে -
কীরো বেটা তুই ভাগ !
কবরে বসেই করবো পাঠ গায়েবী সনদ।
মেয়েটির বয়স তখন কতোই বা হবে! ছয় কিংবা সাত। অসম্ভব ভালোবাসতো পাপাকে। সুযোগ পেলেই পাপার বুককে বিছানা বানিয়ে ঘুমিয়ে পড়তো। পাপারও সর্বস্ব ছিলো মেয়েটি।
বেশ কিছুদিন হলো পাপাকে খুঁজে পায় না...
কোকশাস্ত্রভেজা দেহনেশা পুরুষ জানে
আমিও পুরুষ ...
তবে কবিও তো আমি ...
তৃতীয় মাত্রায় রাখা দিব্যচোখ
রেটিনায় বিম্বিত তুমি -
সরোবরে ভেসে থাকা বেহেশতী জেওয়র
মাতাল হাওয়ায় পাঠ করে যাই নারীসুবাস।
সবকিছুই কি যায় বলা
ওহীতে খোলাসা থাকে কতোটুকু!
রূপকে রূপকে রহস্য ইঙ্গিত -
মহাজন করে যায় পাঠ ।
মোহিনী হাসির আবডালে
টুপটাপ ঝরে দুঃখসলতের নোনা জল
বেকুব প্রেমিক খুঁজে পায় আনন্দদীঘি।
মিঠাইয়ের মোহে দৌঁড়ায় সারি সারি পিপীলিকা
বিশ্বায়ায়নের হাতছানি -
ফ্রিমার্কেট ইকোনমি, ডেমোক্রেসী, ফ্রিডম অব স্পীচ,
উইমেন লিব -
আলোর নীচে অন্ধকার
নূরানী দাড়ি লুকিয়ে রাখে কবিরা গুনাহ।
পারো যদি হয়ে যাও কলুর বলদ
করাতসময়ে জিভ চেটে তোলে...
মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র আলিয়া মাদ্রাসা নয়, কওমি মাদ্রাসাগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন সমাজের মূলস্রোতের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত...
নিরামিষ লৌকিক জীবন অহরহ পেতে চায় অলৌকিক পরশ। কামজ জোছনায় আলোড়িত দিশেহারা প্লেটোনিক প্রেম নিশানাহীন বহুমুখি ফ্লাইওভারে করছে হাপিত্যেশ।
পথচিত্র হাতে স্টিয়ারিং ঘুরাচ্ছে পথভ্রষ্ট এক যুবক। \'যুবক, তুমি কি পথ হারাইয়াছো?\'...
কায়াহীন ছায়া জ্যোৎস্না ছড়ায়
উৎসের মোহে মাতাল আমি
পূর্বপুরুষেরাও একদিন ...
গায়েবী ঘুঙুরের রহস্য নাচ
প্রাচীন কেতাবে নকশা কাটা।
সাঁইজি ঘোর লাগায় -
ওড়াওড়ি করে অচিন পাখি
আমিও টের পাই।
মাল্টিটাস্কিং নয়া কোন কাহন নয়
রথদেখা-কলাবেচা খেলায় পূর্বসুরীরাও ছিল মজে
নীলচুমুতে বেড়েছে শুধু বিষময় খতিয়ান -
প্রতিবন্ধী রেতঃপাতে উঠেছে মেতে অসফল সৃজন।
বিশ্বায়ায়নে চটকদার কেরামতি উড়ে আসে
ঢাল নেই, তলোয়ার নেই -
সব্যসাচীর মুখোশ তবু খেলে...
অমঙ্গলেও জ্বলে উঠে মঙ্গল আলো। বিভ্রমে প্রেরিত পুরুষ। কোরান বর্ণিত মুসা ও খাজা খিজিরের গল্পটুকু স্মরণ করো।
মুঠোয় মুঠোয় দিচ্ছ যে ছিটিয়ে অপ্রেম ঘৃণার হলকা !
হতাশার ছানিপড়া চোখে ঢেউ তোলে আশার...
©somewhere in net ltd.