নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

- ভূতেরা সব পালিয়ে যাচ্ছে-

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৪

সেদিন নিকেতনে বাসায় ফিরতে বেশ রাত হল। বনানী থেকে ফিরছি, রাত প্রায় বারোটা। রাস্তায় কোন রিক্সা নেই দেখে অবাকই হলাম। পরিচিত দোকানীকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি কড়াইল বস্তিতে পুলিশি হামলার কারণে দুপুর থেকে চলছে রিকসা ধর্মঘট। অগত্যা হেঁটেই চলতে শুরু করি। নিকেতন পার্কের কাছে আসতেই শুনি কুঁই কুঁই আওয়াজ। উৎস খুঁজতে যেয়ে কর্পোরেশনের আবর্জনা ফেলার বিনে উঁকি দেই। ওমা, এ যে দেখছি একটি ছোট্ট শিশু ! হাত পা নাড়িয়ে অচিন স্বরে শব্দ করছে। খানিকটা অবাক হলেও অভূতপূর্ব কোন বিষয় বলে মনে হলো না। কুমারী মায়েদের সমাজ থেকে রক্ষা করতে শুভাকাঙ্খীদের এমনতরো নির্মম কাজ করতে তো প্রায়ই দেখা যায়। এই নিষ্পাপ শিশুরাও ঈশ্বরের সন্তান। আপাতত একে বাঁচানো দরকার। তাই আগপিছু না ভেবেই হাত বাড়ালাম।

বাচ্চাটিকে আলগোছে কোলে নিতেই শরীরে যেন হাইভোল্টেজের শক খেলাম। হাত থেকে ছিটকে পড়ে গেলো সে। চেয়ে দেখি মাটিতে শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে। ধাতব কন্ঠে বলা শুরু করে সে -

- কি ভয় পেয়ে গেলে?
- ইয়ে মানে, ঠিক ভয় না
- তোমরা মানুষেরা এমন কেন? সত্য তোমাদের বিপক্ষে গেলেই সহজে মানতে চাও না। তবে তোমার নার্ভ বেশ শক্ত, অত বেশী যে ভয় পাওনি তা বেশ বুঝতে পারছি।

ছোট্ট বেবীর এমন ম্যাচুউরড গুছিয়ে বলা কথাবার্তা শুনে ভড়কেই গেলাম।জিজ্ঞেস করি, 'তুমি কে?'
- আমি ভূতের বেবী।
- ভূত? আমি ভূতে বিশ্বাস করি না, ভূত বলে তো কিছু নেই
- আশ্চর্য তো তুমি আমাকে চাক্ষুস দেখেও বিশ্বাস করছো না? আমাকে কোলে রাখতে পারোনি কেন জানো? অশরীরি ভূত, আত্মা, প্রেতাত্মা সবাই কিন্তু হাইভোল্টেজের ইলেকট্রিসিটি। কিন্তু আমরা নরমাল ইলেকট্রিসিটি নই। আমাদের চেতনা আছে। আর ইচ্ছে করলেই আমরা শরীরি রূপ নিতে পারি।
- তা তুমি ঐ বিনে আসলে কীভাবে?
- আসলে হয়েছে কি আমরা সব ভূতেরা একসাথে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমি তো এখনো শিশুভূত, অশরীরি হয়ে শিশুরা দুই/তিন ঘন্টার বেশী থাকতে পারি না। অনেকক্ষণ ধরে সবার সাথে উড়ে উড়ে যাচ্ছিলাম, তাই বিশ্রামের জন্যই শরীরি রূপ ধরে ঐ বিনটিতে শুয়ে ছিলাম।
- তা তোমার সঙ্গীরা কোথায়?
- ওরা তো আছে আমার সাথেই। অশরীরি হয়ে আছে তো, তাই তুমি দেখতে পাচ্ছো না।
- তা তোমরা সবাই বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছো কেন?
- ও মা, যাবো না কেন! যেভাবে তোমরা পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মারছো নিরীহ মানুষগুলোকে! তোমরা যে কত অমানবিক... আমাদের আর সহ্য হচ্ছে না আর। ভূত হলেও তো আমাদের বিবেক আছে ... আমরা তোমাদের মতোন নই। যাহোক, এখন আমাকে যেতে হবে, সবাই আবার উড়তে শুরু করছে। বাই বাই ...

তাকিয়ে দেখি, মাটিতে শুয়ে থাকা বেবীটা নিমেষেই উধাও। কোথায় গেলো ...

বাসায় ফিরে ভাবলা্ম সবটুকুই কি হ্যালুসিনেশন! নাকি এটি হ্যালুসিনেশনের সত্য!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: এমন ভুতের পাল্লায় পড়েছো ভাইয়া?


মন খারাপের ভুত এটা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.