নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায় বিড়বিড়

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

ভুয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলিল ভুইয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছেন। রাত নয়টা। রাম্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। মফস্বলের জন্য বেশ রাত। ভুয়াপুর স্কুলে তার শিক্ষকতার বয়স প্রায় বারো বছর। এলাকার সবাইকে তিনি চিনেন। অনেকেই তার ছাত্র। এছাড়া তিনি ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করেন না। তাই রাতবিরোতেও নিঃশঙ্কে তার চলাফেরা। বাজার থেকে ফসলান্দির দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে সেটিই তার বাড়ির শর্টকাট পথ। তিনি সে পথেই হাঁটতে শুরু করলেন। কিছুদূর এগুতেই রাস্তার মোড়ে রাখা ইটের ঢিবির পেছন থেকে নারী কন্ঠের আর্তনাদ ভেসে আসলো, 'বাঁচাও, বাঁচাও...'
কন্ঠটি তার চেনা। কালাম ব্যাপারীর মেয়ে রাজিয়া। এ বছরই এস এস সি পাশ করেছে। মেয়েটির আবেদনে সাড়া দিতেই তিনি দ্রুতই ঢিবিটির দিকে এগিয়ে গেলেন। ধস্তাধস্তির শব্দের সাথে মেয়েটির গোঙানী স্পষ্টতঃই শুনতে পাচ্ছেন। হঠাৎ চোখে পড়ে ঢিবিটির সামনে পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শামিম চেয়ারম্যানের সাগরেদ হান্নানকে। হান্নান তার স্কুলেরই ছাত্র ছিল। নেশাখোরদের পাল্লায় পড়ে লেখাপড়া হয়নি। এখন শামিম চেয়ারম্যানের পেছন পেছন ঘুরে। স্যারকে দেখে হান্নান সালাম দিয়ে ধাতব কন্ঠে বলে, 'চেয়ারম্যান সাব অপারেশনে আছেন। স্যার আপনি চলে যান, আপনি কিন্তু কিছুই দেখেননি, কিছুই শুনেননি '। কথা শেষ করেই পিস্তলে হাত বুলাতে শুরু করে সে।

জলিল ভুইয়া একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ভূতগ্রস্তের মত বাড়ির দিকে দৌঁড়াতে শুরু করেন। কেউ পাশে থাকলে নিশ্চিত শুনতে পেতো স্যারের অসহায় বিড়বিড়, 'আমি কিছু দেখিনি, আমি কিছু শুনিনি।'

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.