নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
উচ্চলম্ফে সময় হাঁটছে জিগজাগ পথে
গজ-ফিতা পারে না ধরতে প্রজন্ম-ব্যবধান
কচি কচি মুখ, কতো খোলামেলা
তবুও গোপন -
হাইব্রিডে হেসে উঠে বিশ্বায়ন মুখ।
শেষটায় ভবিতব্যের কাছে হেরে যাই আমি মানব।
আমলনামা সাথে যায় না, কালের গায়ে আঁচল মেলে থাকে। শ্যাওলায় ঢেকে যায় একদিন, শুকতারা হয়ে জেগে থাকে তবু কারো কারো।
কর্পূরউড়ালে ছুটে চলে চিরবিচ্ছেদ শোক
মৃতদের গায়ে শ্যাওলা জমে
ফসিলপাঠের ফাঁপড় নেয় ক'জনায়!
জলজ্যান্ত তুমি আছো এই শহরে -
চিরবিচ্ছেদ নয়, তবে বিচ্ছেদ তো বটেই
বিভাজন রেখায় শুয়ে আছে চাপাকান্না
কাঁদি আমি -
তুমিও কি কাঁদো?
মুদ্রার দুই পৃষ্ঠের গল্পই শুধু শোনা যায়
লিঙ্গাতীত ভাবনাও জ্বালাতে জানে রোমাঞ্চ আলো -
যে নদীতে গাহন করো তাকে জিজ্ঞেস করো
যে পাহাড়ে আশ্রয় খুঁজো তাকে জিজ্ঞেস করো
যে বৃক্ষে নাড়া...
সন্ন্যাসযাপনে থেমে যায় পাখির গান
তসবির দানা পাঠে পাঠে বুড়ো বটগাছের ঝুরি বেয়ে নেমে আসে
খেয়াঘাটে ডিঙ্গি বাঁধা আছে জানি, কুয়াশাঝাপসা নদীর ওপার...
বংশানুক্রমিক মাদুলি ফাঁস হয়ে গেঁথে আছে
নপুংশক ইচ্ছে কী করে উগলায়!...
আহা কতোদিন করি নি গাহন, ভুলে কি গেছি সেই নদীর মুখ !
সময়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকানো ফসিল, সহসা উঁকি মারে
কুয়াশাঢাকা মেঠো পথ, মাঘের শীতে হেঁটে হেঁটে চলা
আলের ধারে বালকের জট, আগুনপোড়া...
- এই,ফেইসবুকে তোমার কবিতায় মেয়েদের এতো কমেন্ট আর লাইক কেন?
- তাতে কি হয়েছে? মেয়েরা হয়তো আমার লেখা পছন্দ করে ...
- যত্তসব! আমি বুঝি না, কবিতা দিয়েই তুমি কচি থেকে বুড়ি-ধাড়ি...
ক্ষণিক সময়ে মৌরসিপাট্টা
এক ফোঁটায় অনন্ত মোহ -
আমার বাড়ি, আমার গাড়ি, আমার নারী
আমার, আমার, আমার।
ব্যালেন্সশীটে কতোই না মউজ!
মৃত্যুছোঁয়া বাড়ি হাসে মিটিমিটি।
পাটিগণিত ভুলে গেছি
সুদেআসলে বাড়ছে দেনা, কে করে পরোয়া!
ফালতুতে চোখ রেখে যাই গাহনবেলা
আনন্দমার্গ ফেলে আলো -
প্রজাপতি করে কি পরিধি নিকেষ !
অন্ধকুপে আসে যদি মুনকির নাকির
বলবো আমি-
এসো হে বন্ধুরা করি খেলা
চেয়ে দ্যাখো,...
নদীতীরে বটবৃক্ষ ছড়িয়েছে ঝুড়ি
প্রবীণ থেকে প্রবীণতর
বাউন্ডুলে চোখ হাতড়ায় সময়
ভিটেতে কি চড়বে এখন ঘুঘু !
উদাস ঢেউয়ে ভাঙ্গছে সময়
ভাটিয়ালি সুর -
নাইয়োরী নৌকায় সোয়ারী বঁধু
সেলফিতে কি চিহ্ন সাথে যাবে !
"সত্যিই তুমি আমারে নিয়া কবিতা লিখেছো? কবি হইছো আমার লাইগ্যা! .. হিঃ হিঃ হিঃ .. হিঃ হিঃ হিঃ ..."
দমকে দমকে হাসি। থামতেই চায় না। অভিমানভরে বলি,
- হাসছো কেন? কী হয়েছে?
-...
জীয়ল মাছের দাপাদাপি সময়ের ঝাপ্টায় দোল খায়, স্বপ্নদেয়ালে জমে কি শ্যাওলা!
বালক দেখে স্বপ্ন। লৌহজং বুকে কোশা ভাসিয়ে ঢেউয়ে ঢেউয়ে পৌঁছে যাবে সাগর মোহনায়। বালক হারিয়ে গেছে সেই কবে।...
বাঘিনীর চোখে শুয়ে থাকা আবেগের ঘ্রাণে পেয়ে গেছি মৌলবচন্।
মিছেই শব্দের ফুলঝুড়ি, বিমূর্ত আকাশে চোখ মেলেছে অনুভূতির অনুরাগ।
ছুঁয়ে থাকো শুধু, কোন কথা নয়!
অবশেষে মুখোমুখী
হয়েছে শেষ তপস্যা প্রহর -
পাথরে পাথর ঝরায় স্ফুলিঙ্গ।
চেয়ে দ্যাখো-
যৌথগোলায় ধরেছে আগুন
স্বপ্ন কি ফুরোবে এখন!
©somewhere in net ltd.