নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের খসড়া \'ডেটা সুরক্ষা আইন\' নিয়ে কিছু কথা। (এই পোস্টটি উক্ত বিষয়ের উপর সচেতন ব্লগারদের পুনশ্চঃ মতামত জানার প্রত্যাশায় প্রকাশিত!)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৬


'ডেটা সুরক্ষা আইন' নিয়ে করা একটি পোস্ট কিছুদিন যাবত আমাদের সামু ব্লগে স্টিকি করে রাখা হয়েছে। যে পোস্টের শিরোনাম ও পুরো লেখা পড়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের ডেটা নিরাপত্তা কিংবা স্বাধীকার হরণের ধারণা জন্ম নেওয়া স্বাভাবিক। অনেক ব্লগারের কাছে তো বিষয়টি কোন গুরুত্বই পায়নি, এসব মূলত লেখকের অস্পষ্ট মতামত প্রকাশের ফল।

"বাংলাদেশ" নাম দেখা মাত্রই আমরা পুরো বাংলাদেশের সর্বসাধারণকে নিয়ে ভাবি। বাংলাদেশের ভেতর থাকা সকল সম্পদ নিয়ে ভাবি। যে কারণে আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশের পূর্বে চিন্তা করি সাধারণ থেকে অসাধারণ সকল শ্রেণির মানুষের কথা। কিন্তু আমাদের এই বাংলাদেশের সম্পদ বলুন আর সর্বসাধারণ বলুন, এই পুরো দেশটাকেই নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সরকার ব্যবস্থা। যা সংখ্যায় অতি অল্প হলেও মারাত্মক ক্ষমতাধর। এখানে আরেকটি বিষয় মাথায় রেখে চিন্তা করতে হবে, আমরা জনগণের পক্ষে তথা ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে যেন নিজ দেশের কোন ক্ষতি করে না বসি। পাশাপাশি আমেরিকার রাষ্ট্রদুতের কথায় রেগে যাওয়া বা নিজ দেশের স্বাধীকার রক্ষার নামে নিজেদের নিরাপত্তা বিকিয়ে দেওয়া কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সব কিছু গভীরভাবে চিন্তার মাধ্যমে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। এখন আসা যাক মূল বিষয়ে এবং অতি সংক্ষেপে।



আমাদের সকলের জানা, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন" এর নামে একটি আইন বাস্তবায়ন করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এই আইনের দ্বারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরা হয়। হরণ করা হয় বাক স্বাধীনতা। নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের। তাদের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করলেই গ্রেফতার। মূলত এই আইনের দ্বারা সরকারের দুর্নীতি ও অপরাধী শক্তিকেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে। যা স্পষ্ট হয়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা মামলার বাদীপক্ষের পরিমাণে। যেখানে দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলার শতকরা ৮৫ ভাগ বাদীপক্ষের জায়গা দখল করে আছেন বর্তমান সরকার দলীয় কর্মী। সূত্র> এই লিংকে।

তখন 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে'র নামে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর উঠে। প্রতিবাদ থামাতে সরকার থেকে আইনটি সংশোধনের আশ্বাস দেয়া হয় এবং বলা হয়, সাংবাদিকরা জনগণের স্বার্থে সংবাদ প্রকাশে এই আইনের শিকার হবেন না। কিন্তু না আজ পর্যন্ত এই আইনের কোন পরিবর্তন আসলো, না সাংবাদিকেরা বলতে পারছে স্বাধীনভাবে কথা। ফলস্বরূপ মোট ৫৩ জন সাংবাদিককে যেতে হয়েছে জেলে। এমনকি লেখক মুশতাক আহমেদকে পুলিশি হেফাজতে কাশিমপুর কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যেতে হয়েছে। সূত্র> এই লিংকে।

কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, বাংলাদেশের খসড়া 'ডেটা সুরক্ষা আইন' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন'এর কথা আসছে কেন। দেখুন, এগুলো একটির সাথে আরেকটি সম্পর্কযুক্ত। বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার বা টিকটকে যদি কোন অপরিচিত আইডি থেকে সরকার দলীয় কারো অপকর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয় যা রাষ্ট্রের পক্ষে পড়ে এবং সরকার ঐ লোকটিকে ধরতে চায়, তাহলে সরকারকে সেই আইডিধারী সম্পর্কে জানার জন্য ফেসবুক বা টুইট ইত্যাদি কোম্পানির কাছে আবেদন করতে হয়। এই আবেদনের একটা লিমিট সংখ্যা আছে। কিন্তু যখন এরকম ব্যক্তির ডাটা সরকারের কাছেই থাকবে তখন সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার বিষয়টি সরকারের কাছে হাতের ময়লার মত হয়ে যাবে।

আমরা ব্লগাররা ও ব্লগ পাঠকেরা খুব ভালোভাবেই জানি, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলার একটা লিমিট আছে। সরকারের ঐসব কাজকারবারের গঠনমূলক সমালোচনা করা তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন করে। এবং এটা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলেরও বৈশিষ্ট্য বটে। এখন রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন আটকাতে যে কোন নাগরিক তার দলের বা বিরোধী দলের যে কোন কর্মকাণ্ডের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারে। এটা তার গনতান্ত্রিক অধিকার।

এখন যদি এরকম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাসকারী একজন নাগরিক তার নিজের অধিকার কিংবা রাষ্ট্রের অধিকার রক্ষায় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে জেলে গিয়ে মরতে হয়, তাহলে এই আইনের দ্বারা জনগণের কী উপকার হল?

দেখুন, ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে যে সব নাগরিকদেরকে বাকস্বাধীনতা হরণ করা যাচ্ছে না, যাদের ডাটা সরকারের কাছে না থাকায় সরকার তাদের টুঁটি চেপে ধরতে পারছে না, তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসাই এই 'ডেটা সুরক্ষা আইন'এর উদ্দেশ্য। আর হ্যাঁ, এই সীমার মধ্যে সামু ব্লগ সহ মুক্তমনা ব্লগ এমনকি ব্যক্তিগত ব্লগের ডাটাও সরকারের কাছে থাকতে বাধ্য; যারা বাংলাদেশে বসে ব্লগিং করবেন। বাংলাদেশে বসে মাল্টি নিক ইউজ করবেন, তার আর প্রয়োজন পরবে না।

উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলো নিজেদের ডেটা নিজেদের সংরক্ষণে রাখছে। এটা তাদের জন্য পার্ফেক্ট। অনুসন্ধান করে দেখুন, তারা নিজেদের বিরুধী দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যারা তাদের সমালোচনা করে, তারা সমালোচনাকারীদের প্রতি অন্তত আক্রমনাত্মক মনোভাব লালন করে না। আর আমরা? জানেন, শতকরা ৪১ ভাগ মামলা সরকার দলীয় নেতাদের সাথে বেয়াদবী পূর্ণ কথার কারণে।
কী একটাবস্থা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের পাশাপাশি তাদের চামচারা পর্যন্ত নিজেদেরকে প্রভুর আসনে বসিয়ে জনগণকে শাসন করছে। এটা একেবারে মহল্লা থেকে রাজধানীর বিচার বিভাগ পর্যন্ত। প্রভুদের বিরুদ্ধে কিছু বলাই যাবে না। আসলে, জনগণেরই বা কী করার, এক সাথে এতো প্রভুর কীভাবে উপাসনা করবে ওরা। কিন্তু প্রভুদের কি তা বুঝার বিষয়! মোটেই নয়।

দেখুন, এতো বছর যাবত যেখানে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' সংশোধন করা হচ্ছে না। তার উপর এই 'ডাটা সুরক্ষা আইন' এর নামে নতুন আরেক শিকল।
যদি 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' এর সকল জটিলতা দূর করার পাশাপাশি এই আইনটিকে সরকার দলীয় নেতাদের আঁচল থেকে বের করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে প্রয়োগ করা হত, তবে হয়ত নতুন এই 'ডেটা সুরক্ষা আইন'কে জনগণের সুরক্ষা আইন বলেই ধরে নেওয়া যেত। 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' যেখানে জনগণের বাকস্বাধীনতা, নিরাপত্তা সব কেড়ে নিয়েছে সেখানে নতুন ' ডেটা সুরক্ষা আইন' তো একেবারে গলাটিপে মারার হাতিয়ার বৈ অন্য কিছু হওয়ার কথা নয়।

তাছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন এই আইন তৈরি করতে হবে? এটা কি বিরোধী দলীয় কর্মীদের ইনবক্স সহ সব কিছু নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা? যা সাধারন জনগণকে বুঝানো হচ্ছে স্বাধীকার রক্ষা বা নিরাপত্তা রক্ষার নামে!
একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে এখন আপনি/আমি/আমরা কোন নিশ্চয়তায় এই আইনের পক্ষে কথা বলতে পারি!

কেউ হয়ত বলবেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' পরিবর্তন হয়েছে। আরে ভায়া, এটা কেবল সাংবাদিকদের সাথেসাথে গ্রেফতার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জামিনে রেখে টুঁটি চেপে ধরা তো আটকানো হয়নি!

যাই হোক, এই পর্যন্ত আমি যা বললাম, তা হয়তো স্রোতের বিপরীতে অনেকের চিন্তার উলটো ভাবনা হতে পারে। দয়া করে কেউ ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিষয়টিকে গুলিয়ে দিবেন না। দেখুন, এ বিষয়ে ব্লগে অনেক অল্প লেখা আসতেছে। এটি আপনার আমার আমাদের সবার নিরাপত্তার বিষয়। আমেরিকার রাষ্ট্রদুতের কথায় রেগে যাওয়া বা নিজ দেশের নাগরিকদের স্বাধীকার রক্ষার নামে নিজেদের নিরাপত্তা বিকিয়ে দেওয়া কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবই এখন আমাদের সামনে স্পষ্ট।



শুভ ব্লগিং
(জানি না, এই শুভকামনা ক'দিন সবার জন্য থাকছে। তবু আশা রাখবো, যেন সকলে নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারি।)





খসড়া 'ডেটা সুরক্ষা আইন' নীতিটি পড়তে ক্লিক করুন:
এই লিংকে।
ছবি: গুগল ও বিবিসি নিউজ।


মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঐ স্টিকি পোস্টে কিছু ব্লগার যা বলতে চেয়েছিল তা পানির মত পরিষ্কার করে দিয়েছেন আপনি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট আমরা সবাই জানি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:


ঐ পোস্টের ব্লগার খুবই সচেতন ভাবে আমাদের স্বদেশীয় বিষয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের নাক গলানোকে সামনে নিয়ে আসার মাধ্যমে অধিকাংশ ব্লগারদের সম্মতি আদায় করে নিয়েছেন। এমনকি উনি সেখানে জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করেছেন। বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে যেখানে জনকগণের অধিকার হরন করা হচ্ছে সেখানে এই আইনটি যে জনগণকে একেবারে হাতের মোটোয় নিয়া আসাই উদ্দেশ্য তা তিনি একটি বারও তার পোষ্টে তুলে ধরেন নি।

যাই হোক, আশা করি আমার পোস্টটি 'ডেটা সুরক্ষা আইন' বিষয়কে কিছুটা পরিষ্কারের চেষ্টা করছে৷ আমার এই আশা করাটা তখন সঠিক হবে, যখন দেখবো ব্লগারগণ এই বিষয় নিয়ে সত্যিই কিছু ভাবছেন।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার অবজারভেশন সঠিক। বাংলাদেশের অদক্ষ আমলা, দুষ্ট রাজনীতিবিদ এদের কারণে সাধারন থাকে অসাধারণ কারো ডাটা সুরক্ষিত থাকবে না। শুধু যে সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে তা না। ব্যবসায়িকভাবে একটি অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হবে। এক ব্যবসায়ীর গোপনীয় ডাটা অর্থের মাধ্যমে, ঘুষ দিয়ে আরেক ব্যবসায়ী কিনে নেবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আপনার মন্তব্যে বলেছেন, 'আপনার অবজারভেশন সঠিক। বাংলাদেশের অদক্ষ আমলা, দুষ্ট রাজনীতিবিদ এদের কারণে সাধারন থাকে অসাধারণ কারো ডাটা সুরক্ষিত থাকবে না। শুধু যে সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে তা না। ব্যবসায়িকভাবে একটি অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হবে। এক ব্যবসায়ীর গোপনীয় ডাটা অর্থের মাধ্যমে, ঘুষ দিয়ে আরেক ব্যবসায়ী কিনে নেবে।'

দুঃখজনকভাবে হলেও আমি আপনার মতামতের উপর একমত। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতা সমাজে এতটাই ভয়ের বিস্তার ঘটিয়েছে যে, যদি এলাকার জনপ্রতিনিধি নিরপেক্ষ দলীয় লোক হয় এবং এলাকার প্রয়োজনে সরকার বিরোধী কোন কর্মীর কথা না মানতে পারে তাহলে সেই কর্মী যে এলাকার একজন সাধারণ নাগরিক সেও নিজ দলের অপক্ষমতায় জনপ্রতিনিধিকে অপমান করে বসে।

এরপর এমন সব জনপ্রতিনিধিরা চলেন স্রোতের সাথে ভেসে। আমাদের সমাজের সর্বস্তরে এরা তাদের ক্ষমতার বলে দুর্নীতি করে যাচ্ছে। এখন এই 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' কে আরো শক্ত করার জন্য 'ডেটা সুরক্ষা আইন' করার মাধ্যমে জনগণকে একেবারেই শিকলবন্দী করার ধান্দা।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: এই আইন মানে হচ্ছে সরকারের হাতে জনগনের নিয়ন্ত্রনের আরও একটা চমৎকার উপায় ।

এই আইন হলে সামুর ডেটা সেন্টারও তো এই দেশেই রাখতে হবে । আগে তো সামুর কোন ব্লগার সম্পর্কে কোন তথ্য সরকারই চাইলে সেটা যথাযত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হত । এবং এই তথ্য চাওয়ার ব্যাপার টা আমি যতদুর জানি কোন একটি আন্তর্জাতিক রেকর্ডে উঠে আসতো । এখন আর এসবের বালাই হবে না । সব তথ্য তো থাকবে দেশের ভেতরেই সরকারের হাতেই । এমন কি একজন ব্লগার কোন স্থান থেকে লগিন করতে সেই তথ্যও থাকবে সেখানে ।

আর কে জানি বলছিলো বিদেশীদের হাতে আমাদের তথ্য থাকাটা নাকি নিরাপদ নয়। সত্যি বলছি আমাকে যদি অপশন দেওয়া হয় যে আপনি কার কাছে আপনার অনলাইন তথ্য রাখা পছন্দ করবেন কোন দেশী কোম্পানী/সরকারের কাছে কিংবা কোন বিদেশী কোম্পানীর কাছে । আমি বিদেশী কোম্পানীকেই নির্বাচন করবো ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্য পাঠে মনে হচ্ছে আপনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

সামু সহ পুরো স্যোসাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে নেওয়া মাধ্যমে জনগণের টুঁটি চেপে ধরার কাজকে সহজ করা হবে। এমনকি কেউ যদি সরকারের কোনো গঠনমূলক সমালোচনা করে তাহলে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। ধীরে ধীরে এভাবেই হরণ করা হবে বাক স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং জনগণের সকল অধিকার।

প্রিয় ব্লগার, আমরা আপনাকে একজন উচ্চমানের গল্পকার হিসেবে জানি। যেহেতু আপনি এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন, সেহেতু আপনার নিকট ব্যক্তিগতভাবে আমার অনুরোধ থাকবে আপনি গল্পের মাধ্যমে এই বিষয়টিকে সামনে তুলে আনার চেষ্টা করবেন। এই দুটি আইনের মাধ্যমে জনগণের কী পরিমাণ অধিকার হরণ করা হচ্ছে তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
শুভকামনা জানবেন।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি বলতে কি ঐ পোস্ট স্টিকি হিসেবে কেন নির্বাচিত হল সেটাই অবাক হবার বিষয়। ঐ পোস্টের লেখক সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন , তা তিনি তার পোস্টে উল্ল্যেখ না করলেও প্রতিউত্তরে ভাল করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ।

ব্লগারদের সুচিন্তিত মতামত আশা করছি আপনার পোস্টে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্যে ফিরে আসায় আপনাকে ধন্যবাদ।

উনার পোস্টটি স্টিকি করার কারণেই হয়তো আমি এই লিখাটি লিখতে পেরেছি। একইভাবে বিষয়টি সবার সামনে ফুটে উঠেছে।
যদিও উনি উনার পোস্টে অবচেতনে কিংবা সচেতনতার সাথে এই আইনের ক্ষতিকর দিকগুলো এড়িয়ে গিয়েছেন তথাপি পোস্টটি স্টিকি করার কারণে সবার সামনে উঠে আসাটাই ছিল স্টিকি করার মূল কারণ। এটাই আমার ধারণা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অল্প ক'জন ব্লগার ছাড়া বাকিরা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন না।

আপনার নিকট অনুরোধ, আপনি যেহেতু এই আইনের ক্ষতিকর দিকগুলো অনুমান করতে পারছেন, সেহেতু আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত একটি আলোচনা প্রকাশ করুন।
আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রস্তাবিত ডাটা সুরক্ষা আইন নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের কেন তা বিস্তারিত পত্রিকায় এসেছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এবং আপনাকেও।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

নিমো বলেছেন: এই সামহোয়্যারইন ব্লগ আপনার ডেটা নিয়ে কী কারবার করছে, এটা নিয়ে কোন ধারণা আছে ?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার কি মনে হয় সামু আপনার ডাটা সরকারের হাতে দিয়ে রেখেছে বা রাষ্ট্র বিরোধী চক্রের হাতে বিক্রি করছে?

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কি মনে হয় সামু আপনার ডাটা সরকারের হাতে দিয়ে রেখেছে বা রাষ্ট্র বিরোধী চক্রের হাতে বিক্রি করছে?
সেটা যেসব ব্লগাররা খুন হয়েছেন বা শাহবাগ আন্দোলন ও এই ব্লগ নিয়ে লিখতে গিয়ে হাসের পেটে গেছেন, তাদের সুযোগ থাকলে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.