নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যানন্দ প্রতিষ্ঠানে দেওয়া যাকাত কি আদায় হবে? (এ বিষয়ে সঠিক সমাধান নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা )

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০


নিশ্চয়ই বিদ্যানন্দ ভালো কাজ করছে। ভালো কাজে নিয়োজিত প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান তাদের ভালো কাজগুলোর কারণে তাদের ভুল কাজের দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না। ভুল নিয়ে চলার চেয়ে সংশোধনই কাম্য।

দেখুন, আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ার পূর্বেই জেনে রাখুন, আমি বিদ্যানন্দের বিরোধী কেউ নয়। আমি ধর্মান্ধদের দলেও নয়। আমি তো কেবল বিদ্যানন্দের চোখে দেখা যাকাতকে মুসলিমদের চোখে যেভাবে রয়েছে সেভাবেই তুলে ধরছি।
আমি আমার এই লেখায় খুব সংক্ষেপে যাকাত ও দানের পার্থক্য এবং যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে ও কাদেরকে দেওয়া যাবে না সে বিষয়ে লিখবো; যার রেফারেন্স নিম্নে দেওয়া থাকবে। এই বিষয়ে এটাই যে প্রথম লেখা তা নয়। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে অনেক লেখাই প্রকাশ পেয়েছে।

দয়া করে, লেখাটি না পড়ে মন্তব্য করবেন না। আমি এখানে কোন মতবাদের পক্ষে বা বিপক্ষে লিখতে আসিনি। আমি কেবল আমার আপনজনদেরকে তাদের ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিতে চাচ্ছি। যাই হোক, সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা শুরু করা যাক।

প্রথমত আমাদের জানতে হবে, যাকাত কী? যাকাত হচ্ছে মুসলিমদের আবশ্যক পালনীয় বিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। যে সম্পর্কে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে,

وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوةَ ؕ وَ مَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَیْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ۝۱۱۰

তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন। -সূরা বাকারা : ১১০

وَ الْمُقِیْمِیْنَ الصَّلٰوةَ وَ الْمُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ اُولٰٓىِٕكَ سَنُؤْتِیْهِمْ اَجْرًا عَظِیْمًا۠۝۱۶۲

‘এবং যারা সালাত আদায় করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে আমি তাদেরকে মহাপুরস্কার দিব।’ সূরা নিসার ১৬২ নং আয়াত।
আরো জানতে পড়ুন→

উপরের দু'টি আয়াত থেকে যাকাতের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা এবং এর সুফল ও উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল।

নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়ার পরও যারা যাকাত আদায় করে না, তারা যাকাতের সকল সুফল থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে যে মর্মন্তুদ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তা-ও কুরআন মজীদে বলে দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-

وَ لَا یَحْسَبَنَّ الَّذِیْنَ یَبْخَلُوْنَ بِمَاۤ اٰتٰىهُمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖ هُوَ خَیْرًا لَّهُمْ ؕ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّهُمْ ؕ سَیُطَوَّقُوْنَ مَا بَخِلُوْا بِهٖ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ ؕ وَ لِلّٰهِ مِیْرَاثُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِیْرٌ۠۝۱۸۰

আর আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তোমাদেরকে দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তারা যেন কিছুতেই মনে না করে যে, এটা তাদের জন্য মঙ্গল। না, এটা তাদের জন্য অমঙ্গল। যে সম্পদে তারা কৃপণতা করেছে কিয়ামতের দিন তা-ই তাদের গলায় বেড়ি হবে। আসমান ও যমীনের স্বত্ত্বাধিকার একমাত্র আল্লাহরই। তোমরা যা কর আল্লাহ তা বিশেষভাবে অবগত। -সূরা আলইমরান : ১৮০

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু সে তার যাকাত দেয়নি কিয়ামতের দিন তা বিষধর স্বর্পরূপে উপস্থিত হবে এবং তা তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার উভয় অধরপ্রান্তে দংশন করবে এবং বলবে, আমিই তোমার ঐ ধন, আমিই তোমরা পুঞ্জিভূত সম্পদ।’ -সহীহ বুখারী

এই আয়াতটি দেখুন, বলা হয়েছে
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقٰتِكُمْ بِالْمَنِّ وَ الْاَذٰی ۙ كَالَّذِیْ یُنْفِقُ مَالَهٗ رِئَآءَ النَّاسِ وَ لَا یُؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ

‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা অনুগ্রহ ফলিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান-সদকাকে বিনষ্ট করো না। ওই লোকের মতো যে লোক দেখানোর জন্য সম্পদ ব্যয় করে আর ঈমান রাখে না আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর।-সূরা বাকারা : ২৬৪

এখানে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে, যাদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে তারা তা যেন অনুগ্রহ কিংবা কষ্ট দেয়া বা লোক দেখানোর জন্য যাকাত আদায়ের চেষ্টা না করেন। আর বলা হয়েছে, যাকাত আদায় করার জন্য মুসলিম হওয়া শর্ত।

দ্বিতীয় আমরা জানি, মুসলিমরা তাদের ধর্মের সৃষ্টি থেকে নিয়েই দান খয়রাতে যথেষ্ট আগ্রহী। দানের বিষয়ে তাদের ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে বলা হয়েছে,

وَ لَا تَجْعَلْ یَدَكَ مَغْلُوْلَةً اِلٰی عُنُقِكَ وَ لَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُوْمًا مَّحْسُوْرًا.

(দান না করে) তুমি তোমার হাতকে গলায় আটকে রেখো না, আবার তা সম্পূর্ণরূপে বিছিয়েও দিয়ো না। অন্যথায় তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে। -সূরা ইসরা (১৭) : ২৯

হাদিসে এসেছে,

رَجُلٌ تَصَدّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ.

এমন ব্যক্তি, যে এতটাই গোপনে দান করে, তার ডান হাতের দান বাম হাতও জানতে পারে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪২৩

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে,
جَهْدُ الْمُقِلِّ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ.

অর্থসম্পদ যার কম, যে অসচ্ছল, কষ্ট করে সে যা দান করে (সেটাই সর্বোত্তম সদকা)। আর তুমি তোমার অধীনস্তদের দিয়ে শুরু করো। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৬৭৯

তৃতীয়ত, যাকাত অস্বীকার করার কারণে যেরকম শাস্তির বিধান পবিত্র কুরআনে রয়েছে, দান না করার কারণে সেরকম কোন বিধান নেই। যার কারণে স্পষ্ট হয়, দান এবং যাকাত সমান নয়।

আমাদের অনেক ব্লগার ভাইয়েরা, দান এবং যকাতের পার্থক্য বুঝেও না বুঝার ভান করেন যা খুবই লজ্জার।

চতুর্থত যাকাত পাওয়ার হকদার কে। এই বিষয় নিয়েই আমরা অধিক প্যাচালগ্রস্থ। যাই হোক, এই বিষয়ে বিস্তারিত এভাবে বলা হয়েছে যে,

যাকাত শুধু মুসলমানদেরকেই দেওয়া যাবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান বা অন্য কোনো অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া হলে যাকাত আদায় হবে না। তবে নফল দান-খায়রাত অমুসলিমকেও করা যায়। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১৬৬,৭১৬৭, ৭১৭০; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৫১৬-৫১৭

যাকাতের টাকা যাকাতের হক্বদারদের নিকট পৌঁছে দিতে হবে। যাকাতের নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করে অন্য কোনো জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হলে যাকাত আদায় হবে না। যেমন রাস্তা-ঘাট, পুল নির্মাণ করা, কুপ খনন করা, বিদ্যুত-পানি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

যাকাতের টাকা দ্বারা মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করা, ইসলাম প্রচার, ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা দেওয়া, ওয়াজ মাহফিল করা, দ্বীনি বই-পুস্তক ছাপানো, ইসলামী মিডিয়া তথা রেডিও, টিভির চ্যানেল করা ইত্যাদিও জায়েয নয়।

মোটকথা, যাকাতের টাকা এর হক্বদারকেই দিতে হবে। অন্য কোনো ভালো খাতে ব্যয় করলেও যাকাত আদায় হবে না।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৬৯৪৭,৬৯৪৮, ৭১৩৭,৭১৭০

দান যে কাউকে দেওয়া যায়। কিন্তু যাকাত যে কাউকে দেওয়া যায় না। দান আপনি আপনার বিধর্মী ভাইকে করতে পারেন। কিন্তু যাকাত নয়।

সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হলো যে, বিদ্যানন্দ বা বিদ্যানন্দের মতো মহৎকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দান খয়রাতের পুরো অংশই দেওয়া যাবে। তবে যাকাত আদায়ের উদ্দেশ্যে কেউ এরকম প্রতিষ্ঠানে কোন কিছু দিতে চাইলে তার যাকাত আদায় হবে না।

ছবি: ইন্টারনেট
তথ্যসূত্রঃ মাসিক আল কাউসার

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জাকাত এক স্পেশাল ফান্ড যে টাকাটা বিশেষ কিছু খাতে খরচ করা যাবে। আপনি সঠিক বলেছেন;

যাকাতের টাকা দ্বারা মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করা, ইসলাম প্রচার, ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা দেওয়া, ওয়াজ মাহফিল করা, দ্বীনি বই-পুস্তক ছাপানো, ইসলামী মিডিয়া তথা রেডিও, টিভির চ্যানেল করা ইত্যাদিও জায়েয নয়।

কেউ যদি বিদ্যানন্দে দিতে চায় সে দান হিসাবে দিতে পারে। জাকাত কোন দান বা দয়া প্রদর্শন না। জাকাত হোল দরিদ্র মানুষের হক বা অধিকার। জাকাত দিয়ে কেউ কাউকে দয়া করছে না বরং সে তার অবশ্য করনীয় দায়িত্ব পালন করেছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,
অদ্ভুতভাবে লক্ষ করবেন, এই বিষয়টি কেউ একটি বারও ভাবেনি যে, মানবতার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে যদি যাকাত দেওয়া যেতো, তবে আজ পর্যন্ত এরকম কত বিদ্যানন্দ মুসলমানরা পরিচালনা করতো!

যাই হোক, কিছু দিন পূর্বেও আহলে হাদিস পন্থী দল এবং জামাতের সুবিধাবাদী আলেমগণ জাকাতকে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করেছেন। অথচ জাকাতের বিষয়টি কতই না স্পষ্ট।

যাই হোক, মূল কথা হচ্ছে, যাকাত এমন একটি আর্থিক অংশ যা কেবলমাত্র তার মুসলিম হকদারই পাবেন। কোন প্রতিষ্ঠান নয়। বিদ্যানন্দ তো দূরের কথা, মসজিদ মাদ্রাসা পর্যন্ত নয়।

দান সদকা সেটা যে কাউকে করতে পারেন। তাতে বাধা নেই কোন।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদ্যানন্দ যদি এই অর্থ স্বচ্ছতার সাথে জাকাতের জন্য বৈধ কোন খাতে খরচ করে সেই ক্ষেত্রে জাকাত দেয়া যেতে পারে বলে আমার মনে হয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,

যেহেতু আপনি মনে করছেন এরকম একটি সুযোগ রয়েছে। যা সম্ভব। দয়া করে সে বিষয়ক সুযোগটি বিস্তারিত বলবেন!

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: যার যার যাকাত সে দিবে -পাপ পুণ্যির দায়ভার তার। না জেনে বুঝে দিলে সেটা তার সমস্যা!
সেই যুগে দ্রব্যমুল্যের ঘন্টায় ঘন্টায় উলম্ফন হোত না। ট্যাক্স ভ্যাট সহ হাজারো সেবা বা সার্ভিস বিলের ঝামেলা ছিল না। অবশ্য টাকা আয়ের এত হাজার পন্থাও না। ওদিকে সুইস ব্যাঙ্কে অবৈধ টাকা জমানোর কোন উপায়ও ছিল না। এতো প্যাঁচালো জীবন না থাকায় মানুষ সহজ সরলভাবে ভাবত। এখন মানুষের ভাবনা দিন দিন জটিল হচ্ছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, অবশ্যই যার যার যাকাত বা ধর্মীয় আইনকানুন মানা না মানা তার একান্ত বিষয়। কিন্তু সে যদি ভুল বিষয় জেনে থাকে তবে অবশ্যই আপনার তাকে সঠিক বিষয়টি জানানো উচিত।
তাছাড়া, যদি তার ব্যাক্তিগত ধর্ম নামানার বিষয়টি অন্য কাউকে প্রভাবিত করে এবং স্বাভাবিক ধর্ম পালনে অন্য কাউকে বাধা দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে সচেতন করা উচিত।

আপনি তো অবশ্যই যাকাত সম্পর্কিত বিধান জানেন, আমাকে স্পেসিফিক করে বলবেন, যাকাতের কোন বিধানটি বর্তমানে পালন করলে আমাদের সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরিকরণের কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হবে। দয়া করে বলবেন আশা করি!

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৪

জগতারন বলেছেন:
যাকাত দিতে হবেঃ
যাকাত-এর হকদার প্রথম;
গরীব আত্মীয় স্বজন ও গুষ্ঠির মানুষদের।
২য়ঃ পাড়া-প্রতিবেসী
৩য়ঃ গ্রামবাসী।
৪র্থঃ দেশবাসী।
যাকাত ও দান সম্পূর্ন দুইটি ভিন্ন পন্থ।
যাকাত ফরজ আর দান বা অনুদান নফল।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

জগতারন বলেছেন:
...যাকাত ও দান সম্পূর্ন দুইটি ভিন্ন পন্থা।
যাকাত ফরজ আর দান বা অনুদান নফল।



খুব সুন্দর করে বলেছেন। ইসলামের কথা এটাই।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: সবাই ঠিক মতো ট্যাক্স দিলে যাকাতের প্রয়োজন হয় না।সরকারী জাকাত ফান্ডে জমা দেয়া উত্তম।কারো যদি জনসেবা করার ইচ্ছা থাকে নিজের টাকায় করতে পারে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
ট্যাক্স এবং যাকাতের মধ্যেও পার্থক্য আছে। আসলে আমরা এখনো সেরকম মানসিকতার হয়ে উঠতে পারিনি; অন্যের হক বলতে আমরা নিজেদের প্রশান্তি ভাবতে পারি না। যেদিন আমরা অন্যের শান্তিতে নিজের প্রশান্তি খোঁজে পাবো সেদিন যাকাত, টেক্স ও দান সবকিছুতেই একটা সুস্থিরতা পাবো। তখন আর পার্থক্য নিয়া বিষদ আলোচনা দেখতে হবে না।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২২

তানভির জুমার বলেছেন: যাকাত একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের ৫ স্তম্বের একটি। যাকাতের হকদারকে আপনি নিজে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। কাকে দিতে হবে ইহাও কোরআনের আয়াত দিয়ে স্পেসিফাই করা আছে। যাকাতের উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না। যাকাতের শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ এভাবে সঠিকভাবে যাকাত আদায় হয় না। বলা হয়ে থাকে প্রত্যেক মুসলিম যদি সঠিক নিয়মে যাকাত প্রদান করতো তাহলে মুসলিম দেশগুলোতে গরীবী থাকতো না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

তানভির জুমার খুব সুন্দরভাবে বলেছেন: যাকাতের শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ সঠিকভাবে যাকাত আদায় হয় না। বলা হয়ে থাকে প্রত্যেক মুসলিম যদি সঠিক নিয়মে যাকাত প্রদান করতো তাহলে মুসলিম দেশগুলোতে গরীবী থাকতো না।

আপনার কথার সাথে একমত। আমরা মুসলমানরা যদি ইসলামের বিধানগুলো পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আদায় করতাম তবে আমরা নিজেরাও শান্তিতে থাকতে পারতাম, আশপাশের সবাইকেও শান্তিতে রাখতে পারতাম। আমরা তো সকলে ব্যস্ত হয়ে আছি নিজ সুবিধার্জনে।

এই অল্পস্বল্প যে ধর্মটুকু পালন করছি তাও মানবতার সাথে পাল্লা দেওয়ার ভাওয়তামিতে ডুবিয়ে দিচ্ছি। বিষয়টক এরকম হয়ে যাচ্ছে যে, যেন ইসলাম ধর্মে মানবতা নেই। যাই হোক, আমাদেরকে ধর্মীয় বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে হবে। সঠিক জায়গা থেকে জানতে হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৬

জিনাত নাজিয়া বলেছেন: বিদ্যানন্দের সাথে আমি আর আমার ছেলে জড়িয়ে আছি অনেক দিন থেকে।
এদের সব ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ভালো। মানুষ
মানুষের জন্য,এরা এটা কিছু লোভী মানুষের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে
দিয়াছে। এই বিষয়ে লেখার জন্য লেখক কে অনেক ধন্যবাদ।
বিদ্যানন্দের জন্য ও শুভকামনা থাকলো।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
বিদ্যানন্দ ও বিদ্যানন্দের মত মহৎ কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য শুভকামনা থাকলো। আপনার নিকট আমার লেখাটি আবার পড়ার অনুরোধ রইলো।

শুভকামনা জানবেন।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৮

জটিল ভাই বলেছেন:
যারা এর দোষ খোঁজছেন তারা নিশ্চই জানেন জাকাতের আগে কলেমা, নামাজ, রোজা রয়েছে। সেগুলো তারা ঠিকভাবে করছেনতো???

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার কী মনে হয়!

যাকাতের পূর্বে কেবল ঈমান থাকাটা শর্ত। যেটাকে আপনি কালেমা বলছেন। নামাজ ও রোজার অবস্থান যাকাতের সমপর্যায়ে।
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা তাদের প্রতি অবশ্যই ভালো ধারণা রাখি। যেমন ভালো ধারণা রাখি বিদ্যানন্দের মত উত্তম প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তম কর্মের প্রতি।

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনে করেন আমার প্রতিবেশী একজন অমুলসিম। সে আমাকে বলল যে আপনার জাকাতের একটা অংশ আমাকে দেন এটা আমি আমার পরিচিত একজন দরিদ্র মুসলমানকে দিতে চাই। আমি যদি প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করে টাকাটা দেই সেই ক্ষেত্রে আমার জাকাত কি আদায় হবে না? প্রতিবেশী তো একটা মাধ্যম মাত্র। জাকাতটা সঠিক লোকের কাছে গেল কি না এটাই তো মুখ্য বিষয়।

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন দরিদ্র, অসহায়, বিপদগ্রস্তকে দান এবং সাহায্য করা যায়। তবে জাকাত কোন দান বা সাহায্য না। এটা হোল ধনীদের দায় মুক্তির একটা পন্থা। গরীবের হক আছে ধনীদের সম্পদে। জাকাতের মাধ্যমে সেটাই আদায় করা হয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট খাত ছাড়া জাকাতের টাকা ব্যবহার করা যায় না।

জাকাত নিয়ে অকারণেই অনেকে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। কারও যদি বিধর্মী কাউকে সাহায্য করতে ইচ্ছে হয় সে সাধারণ দান হিসাবে সেটা দিতে পারে। এটার জন্য সওয়াব আছে। প্রতিবেশী বিধর্মী হলেও তার খবর রাখা মুসলমানদের দায়িত্ব। বিধর্মী প্রতিবেশীর খাদ্যের অভাব থাকলে তাকে সাহায্য করা ফরজ, যদি সামর্থ্য থাকে। অন্যথায় তার নামাজ কবুল হবে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ব্যস্ততার দরুন আমি আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে পারিনি।

আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশে আপনি বলেছেন, 'মনে করেন আমার প্রতিবেশী একজন অমুলসিম। সে আমাকে বলল যে আপনার জাকাতের একটা অংশ আমাকে দেন এটা আমি আমার পরিচিত একজন দরিদ্র মুসলমানকে দিতে চাই। আমি যদি প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করে টাকাটা দেই সেই ক্ষেত্রে আমার জাকাত কি আদায় হবে না? প্রতিবেশী তো একটা মাধ্যম মাত্র। জাকাতটা সঠিক লোকের কাছে গেল কি না এটাই তো মুখ্য বিষয়।'

আপনার মন্তব্যের প্রথমাংশের উত্তর এভাবে আসবে।
যেহেতু আমরা ইসলামের একটি আবশ্যক পালনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলছি, সেহেতু আমাদেরকে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখতে হবে। আবেগের দৃষ্টিকোন থেকে নয়।
যাকাত আদায়ের মাধ্যমের বিষয়ে ইসলামের কথা হচ্ছে, যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে মু'আক্কিল এবং উকিল উভয়কে ইসলামধর্মী হতে হবে। বিধর্মী বিশ্বাসযোগ্য ভাইকে তখনই মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, যদি উনার কার্যকলাপে বুঝতে পারেন যে উনি ভবিষ্যতে ইসলামের প্রতি ধাবিত হবেন বা ইসলাম গ্রহণ করবেন। অথবা তাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে উনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

এখানে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন যে, ইসলাম নিজ ধর্মকে একমাত্র সত্য ধর্ম বলে বিশ্বাস করে। তার মূল বিশ্বাস যেহেতু এক আল্লাহর প্রতি, সেহেতু সে এক আল্লাহ ব্যাতীত অন্য কোন কিছুর উপাসনাকারীকে সত্যের পথে রয়েছে বলে মানতে চায় না। এই অবস্থান থেকে বিধর্মীর প্রতি সত্যবাদি ধারণা সে লালন করতে পারে না এজন্য যে, বিধর্মী তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।


আপনি আপনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্যারায় খুব সুন্দর ভাবে যাকাত ও দানের বিষয়টিকে আলাদা করে তুলে ধরেছেন। যার সাথে আমি পূর্ণ সহমত।

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অমুসলিম গরীবদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না ইসলাম এই অমানবিক কথা জীবনেও বলবে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যাকাত না দিলে অমানবিক! আপনি ইসলামের পুরো অংশকেই বলবেন অনাধুনিক আর যাকাতকে আপডেট। যারা বিদ্যানন্দের প্রতি না খোশ তারা এমনটাই বলছেন। দেখুন, আমরা যারা সমাধান খোঁজি তারা সবসময় এড়িয়ে চলতে চাই সব ফাউলামি!যাই হোক, আমি এ বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট জানাচ্ছি খুব দ্রুত।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: যাকাত সব আমি এবং আমার পরিবার নিজেরাই দেওয়ার চেষ্টা করি । আত্মীয় স্বজন এবং আশে পাশের পাড়া প্রতিবেশীদের । এভাবেই দিয়ে এসেছি সব সময় । কখনই কোন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেই নি । যাকাত নিয়ে যে বিধান আছে সেটা পালনের চেষ্টা করে এসেছি সব সময়।

তবে এখানে একটা কথা বলি । বিদ্যানন্দ যা করছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই কিন্তু এই কাজ গুলো করছে, মানে যাকাতের টাকা তুলছে । সে সব নিয়ে আসলে কখনই হইচই হয় নাই, এতো আলোচনা হয় নি । বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা যদি একজন মুসলিম হত তাহলে বিদ্যানন্দকে নিয়েও এতো আলোচনা হত না ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আপনি এবং আপনার পরিবার যে পদ্ধতিতে যাকাত আদায় করছেন, সেটাই হচ্ছে উত্তম এবং নির্ধারিত পন্থা। আর এটা হচ্ছে আপ্পনাদের পারিবারিক শিক্ষা এবং কালচারাল সচেতনতার কারণে।

পাশাপাশি আপনি বলেছেন,
বিদ্যানন্দ যা করছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই কিন্তু এই কাজ গুলো করছে, মানে যাকাতের টাকা তুলছে । সে সব নিয়ে আসলে কখনই হইচই হয় নাই, এতো আলোচনা হয় নি । বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা যদি একজন মুসলিম হত তাহলে বিদ্যানন্দকে নিয়েও এতো আলোচনা হত না ।

আমার আলোচনার মূল কথা এইটাই। আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অপু তানভীর সঠিক মন্তব্য করেছেন।
বিদ্যানন্দ যদি যাকাতের যে যে খাতে যাকাত দেওয়া যাবে সে সে খাতে ব্যয় করে তাহলে কোনো সমস্যা হবে? গতবার কিন্তু এই বিষয়ে কথা উঠার পর তারা বলেছে তাদের যাকাতের টাকা ব্যয় করার জন্য ওলামা পরিষদ আছে। তাদের পরামর্শে যাকাতের টাকা ব্যয় হয়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হ্যা, ব্লগার অপু তানভীর সঠিক কথা বলেছেন। এবং আপনিও সুন্দরভাবে জানতে চেয়েছেন।

বিদ্যানন্দ একটি বিধর্মী প্রতিষ্ঠান। যেহেতু যাকাতের বিষয়ে যাকাত আদায়কারী ও গ্রহণকারী এবং মাধ্যম উভয়কে ইসলাম ধর্মাবলম্বী হতে হবে, সেহেতু বিদ্যানন্দ অন্যের যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে মাধ্যম হতে পারে না।

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশে বিদেশে এমন প্রচুর মানুষ আছে যাদের যাকাত দেবার মত গরীব আত্মীয় স্বজন বা পাড়া প্রতিবেশী নাই, আবার গ্রামের সাথেও কোন প্রকার সংযোগ নাই। এরা স্বল্প কিছু পরিচিত দরিদ্রদের যাকাত দিয়ে বেশিরভাগ টাকাই কোন যাকাত ফান্ডেই দান করে থাকে। সরকারী যাকাত ফান্ডে দেয়ার চাইতে বিদ্যানন্দের ফান্ডে দেয়াই হাজার গুনে উত্তম যেহেতু সেখানে স্বচ্চতা রয়েছে। দেশের ছিন্নমুল মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেেত্রে দারুন দৃৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিদ্যানন্দ । তারা যদি কিছু আলেমদের সংযুক্ত করে থাকে যাকাতের টাকা নিয়মানুযায়ী ব্য্যায় করাতে তাহলেতো আর কোন প্রশ্নই উঠা উচিত নয়।

দেশীয় অল্প শিক্ষিত হুজুরদের দৃষ্টিকোন থেকে ইসলামকে না জেনে বৃৃহত্তর গন্ডি থেকে জানতে হবে। ইসলাম নিয়ে গবেষনা করা ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্য শুনতে হবে। তানাহলে ইসলাম ধর্মকে মানবতার ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না করে নির্দিষ্ট গন্ডির মাঝে সীমাবদ্ধ কিছু প্রথা পালনের ধর্ম বলে মনে হবে।

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


যাকাত বণ্টনের খাত ৮ টি
পবিত্র কুরআনে যাকাত প্রদানের ৮টি খাত উল্লেখ আছে। সুত্র আছে। চাইলে দেয়া যাবে।


(১) ফকীর : নিঃসম্বল ভিক্ষাপ্রার্থী।

(২) মিসকীন

(৩) যাকাত আদায়কারী ও হেফাযতকারী :

আল্লাহ তা‘আলা যাকাত প্রদানের তৃতীয় খাত হিসাবে ঐ ব্যক্তিকে উল্লেখ করেছেন, যে ব্যক্তি যাকাত আদায়, হেফাযত ও বণ্টনের কাজে নিয়োজিত। অতএব উক্ত ব্যক্তি সম্পদশালী হলেও সে চাইলে যাকাতের অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
(দুর্নিতীর সুযোগ। কোন ব্যক্তি বা সংস্থার মাধমে জাকাত দিলে জাকাতের সিংহভাগ বৈধভাবে আত্নসাতের সুযোগ)

(৪) কোন অমুসলিমকে যাকাত প্রদান করা : মুলত ভবিষ্যতে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বা কাফেরের প্রলভন ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে বা কোন কারন ছাড়াই অমুসলিমকে যাকাতের অর্থ প্রদান করা যায়।

(৫) দাস মুক্তির জন্য : যারা লিখিত কোন চুক্তির বিনিময়ে দাসে পরিণত হয়েছে।

(৬) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে তার ঋণ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে যাকাত প্রদান করা যাবে। হাদীছে এসেছে,

(৭) আল্লাহর রাস্তায় : আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে জিহাদ, দ্বীনী ইলম অর্জনের যে কোন ধরনের প্রচেষ্টা ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ এ খাতের অন্তর্ভুক্ত। হাদীছে এসেছে। (জংগি ফান্ডে টাকা যাওয়ার সম্ভাবনা)


(৮) মুসাফির : সফরে গিয়ে যার টাকা শেষ হয়ে গেছে সে ব্যক্তিকে যাকাতের অর্থ প্রদান করে বাড়ী পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে যাকাতের অর্থ দান করা যাবে। এক্ষেত্রে উক্ত মুসাফির ভিন্ন ধর্মের বা সম্পদশালী হলেও তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে।

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল পোস্টে যেটা খুঁজছিলাম, সেটা ১৪ নম্বর কমেন্টে পেলাম।

মসজিদ বা মাদ্রাসায় কি যাকাত দেয়া যাবে? জানা যাচ্ছে যে আরো অনেক প্রতিষ্ঠানই যাকাতের টাকা সংগ্রহ করে থাকে। যদি মসজিদ, মাদ্রাসা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যাকাতের টাকা সংগ্রহ করতে পারে, তাহলে বিদ্যানন্দ-তেও যাকাতের টাকা দেয়া যেতে পারে বলে আমার মনে হয়। মসজিদ বা মাদারসা যাকাতের টাকা নিজেরা খরচ না করে গরীব্দের পেছনেই খরচ করে। বিদ্যানন্দের কাজও তাই।

এ বিষয়টা নিয়ে অহেতুকই ক্যাচাল সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্যাচালে আবার বিদ্যানন্দের পক্ষের লোকদের মধ্যেই উগ্র মনোচাব বেশি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টা সত্যিই দুঃখজনক।

১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনোচাব ---- মনোভাব হবে।

১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যাকাত দেওয়ার বিধান সুস্পষ্ট। নির্ধারিত ক্যাটগরির বাহিরে যাকে তাকে যাকাত দিলেই যাকাত আদায় হবেনা। ধন্যবাদ সুন্দর বিষয় শেয়ারে। +++++

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

কিরকুট বলেছেন: যাকাত গরীব অসহায় আর বিকলংগ মানুষের পাওনা । কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যাকাতের দাবিদার নয় । এমন কি এতমখানাও না ।

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু রমজানের একমাস না। আমি সারা বছরই জাকাত ফেতরা দিয়ে থাকি।

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় তাজুল ভাই,
ভালো একটা দিশা পেলাম আপনার পোস্টে ++
তবে ব্যক্তিগতভাবে দুটি মাদ্রাসায় ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছি। কিন্তু ওনারা তো এতিম বাচ্চাদের জন্য নিচ্ছেন বলছেন।তার উপর ওনারা আমার পরিচিত; ইসলাম সম্পর্কে ওনাদের এই যুক্তিকে খন্ডন করি কেমনে?

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

সেজুতি_শিপু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ব্যস্ততার দরুন আমি আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে পারিনি।

আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশে আপনি বলেছেন, 'মনে করেন আমার প্রতিবেশী একজন অমুলসিম। সে আমাকে বলল যে আপনার জাকাতের একটা অংশ আমাকে দেন এটা আমি আমার পরিচিত একজন দরিদ্র মুসলমানকে দিতে চাই। আমি যদি প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করে টাকাটা দেই সেই ক্ষেত্রে আমার জাকাত কি আদায় হবে না? প্রতিবেশী তো একটা মাধ্যম মাত্র। জাকাতটা সঠিক লোকের কাছে গেল কি না এটাই তো মুখ্য বিষয়।'

আপনার মন্তব্যের প্রথমাংশের উত্তর এভাবে আসবে।
যেহেতু আমরা ইসলামের একটি আবশ্যক পালনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলছি, সেহেতু আমাদেরকে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখতে হবে। আবেগের দৃষ্টিকোন থেকে নয়।
যাকাত আদায়ের মাধ্যমের বিষয়ে ইসলামের কথা হচ্ছে, যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে মু'আক্কিল এবং উকিল উভয়কে ইসলামধর্মী হতে হবে। বিধর্মী বিশ্বাসযোগ্য ভাইকে তখনই মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, যদি উনার কার্যকলাপে বুঝতে পারেন যে উনি ভবিষ্যতে ইসলামের প্রতি ধাবিত হবেন বা ইসলাম গ্রহণ করবেন। অথবা তাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে উনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

এখানে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন যে, ইসলাম নিজ ধর্মকে একমাত্র সত্য ধর্ম বলে বিশ্বাস করে। তার মূল বিশ্বাস যেহেতু এক আল্লাহর প্রতি, সেহেতু সে এক আল্লাহ ব্যাতীত অন্য কোন কিছুর উপাসনাকারীকে সত্যের পথে রয়েছে বলে মানতে চায় না। এই অবস্থান থেকে বিধর্মীর প্রতি সত্যবাদি ধারণা সে লালন করতে পারে না এজন্য যে, বিধর্মী তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন

এই অবস্থান থেকে বিধর্মীর প্রতি সত্যবাদি ধারণা সে লালন করতে পারে না এজন্য যে, বিধর্মী তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
ধর্মের মূল যে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে তা নিয়ে আমার কোন কথা নেই। কথা হচ্ছে এই অংশ নিয়ে। এই ব্যাখ্যানুসারে কোন অমুসলিমকে 'সত্যবাদি' ভাবাই যাবে না!
কী ভয়ংকর কথা !

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিধর্মীকে সত্যবাদী মানা যাবে না এই কথাটা আমি মানতে পাড়ছি না। রসুল (সা) কাফের, ইহুদির সাথে চুক্তি করেছেন। রসূলের (সা) চাচা কাফের ছিলেন কিন্তু রসূল (সা) তাকে খুব ভালোবাসতেন। বিধর্মী মানেই মিত্থাবাদি এই কথা ইসলামের সাথে যায় না। বিধর্মীদের সাথে লেনদেন করা যায়। প্রতিবেশী হলে তার খেয়াল রাখতে হয়।

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ঢাবিয়ানঃ এই লিঙ্কটা দেখেন, তারপরে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেন দেখি? https://www.youtube.com/watch?v=5qNCMXxLVN8

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

বিটপি বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান, আপনার কাছে অমানবিক মনে হলেও এটা সত্য যে অমুসলিমদেরকে যাকাত দেয়া যাবেনা। একাধিক হাদীস দ্বারা এই ফতোয়া প্রমাণিত। এখন ইসলামকে আপনার কাছে অমানবিক মনে হলে আসলেও কিছু করার নেই।

যাকাত একটা ইবাদত। ইবাদত করা হয় আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য। অমুসলিমদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট নয়। তাহলে একটা ফরজ ইবাদতের বেনিফিট কিভাবে তারা পেতে পারে, যাদের উপর আল্লাহ সন্তুষ্টি নয়? লজিক দিয়ে চিন্তা করুন।

অমুসলিম দরিদ্র্যরা যাকাত না পেতে পারে - দান সদকার টাকা পেতে তো কোন অসুবিধা নেই। যাকাতের বাইরে যত দান সদকা, দরকার হলে সবই অমুসলিমদের করুন - এতে আল্লাহ মোটেও অখুশি হবেন না।

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

বিটপি বলেছেন: বিদ্যানন্দ একটি প্রতিষ্ঠান, যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ আছে - তাই তাকে যাকাত দেয়া যাবেনা। দরিদ্রদের প্রতিনিধি হিসেবেও তাকে যাকাত দেয়া যাবেনা, কারণ সে যে যাকাতের আটটি খাতেই ব্যয় করবে - সেটা আপনি নিশ্চিত নন।

কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান অমুসলিম হলে কি ঐ প্রতিষ্ঠানে যাকাত দেয়া যাবে? উত্তর হচ্ছে, ঐ প্রতিষ্ঠানে যাকাত দেবার কারণে উক্ত অমুসলিম ব্যক্তি কি প্রদানকৃত যাকাতের টাকার মালিক হয়ে যাবে? যদি তাই হয়, তবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে যাকাত দেয়া যাবেনা। তবে উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি ঐ টাকার মালিকানা গ্রহণ না করে তা যাকাতের নির্ধারিত খাতে ব্যয় করার জন্য আলাদা ফান্ড গঠন করে - তাহলে তাকে যাকাত দেয়া যাবে।

আশা করি বিদ্যানন্দের ব্যাপারে সবার ধারণা এখন পরিষ্কার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.