নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট: একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা\'র পুনঃপর্যালোচনা

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

উৎসর্গ: ব্লগার অর্ক, নতুন ও তাদের সমমনা চিন্তাধারীদের...
মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট বিষয়ে আলোচনার শুরুটা প্রয়োজন মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের ইতিহাস পর্যালোচনার মাধ্যমে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ইতিহাস এই ব্লগ পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন। ইতিহাস জানার পর সরাসরি আজকের মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করা যায়।

হামাস কর্তৃক ৭ই অক্টোবরের আক্রমণকে ক্রমবর্ধমান ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া বললে আর প্রশ্ন উঠানো যায় না। এছাড়াও ইসরাইল সম্প্রতি সৌদি সহ আরব দেশগুলোর সাথে বিভিন্ন চুক্তির যে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা বস্তবায়ন হলে ফিলিস্তিনের অধিকারের যে দাবী তা আর আরব বিশ্বে কোন মূল্যই রাখবে না। এহেন অবস্থায় হামাসের ৭তারিখের আক্রমণ অযৌক্তিক মনে না হওয়া স্বাভাবিক।

এই পোস্টে ইসরাইল ফেরত একজন ব্রিটিশ মুসলিমের কথা প্রকাশ করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশ ইসরাইল ভ্রমণকে নীতিবহির্ভূত মনে করে সেহেতু এসকল পাসপোর্টধারী কারো ইসরাইলে ভ্রমণ করা সম্ভব হয় না, যদিও তা বায়তুল মাকদিস দেখার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশের পাসপোর্টে সংশোধন এসেছে। আমি যে ব্রিটিশ মুসলিমের কথা বলছি তা অনেক পূর্বের। আমার যতদূর মনে পরে, তার কথাগুলো ছিল এরকম, "বায়তুল মাকদিস ভ্রমনকালে আমি দেখলাম, ফিলিস্তিনের আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ইসরাইলীরা ডেরা গেরে বসেছে। এরা দিনের বেলা এখানে আসে আর সন্ধায় চলে যায়। এভাবে দীর্ঘ সময় ডেরাগুলোতে অবস্থানের পর এক সময় এই এলাকায় ইসরাইলী ডেরাধারী লোকজন গৃহ নির্মানের মাধ্যমে নিজেদের বস্তি স্থাপন করে ফেলে। আর বস্তি স্থাপনের পর ইসরাইলী সৈন্যরা এদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে সেখানে অবস্থান শুরু করে। এভাবে ধীরে ধীরে এক একটি ফিলিস্তিনি এলাকা ইসরাইলীদের দখলে চলে যায়।"

এই ব্রিটিশ মুসলিমের কথাগুলোকে অবিশ্বাস করলেও আমাদেরকে স্বীকার করতে হচ্ছে ইসরাইল ক্রমাগত ফিলিস্তিনি এলাকা গ্রাস করে চলেছে। যা বাস্তবেই ঘটছে। এখন এমন অবস্থায় বিবেচনা করতে পারি আমাদের মাতৃভাষার উপর আক্রমণের দিকটি। যেখানে আমরা আমাদের মাতৃভাষা ও অধিকারের উপর পাকিস্থানীদেরকে আমরা সহ্য করতে পারিনি সেখানে তারা কিভাবে পারবে নিজেদের জন্মভুমি ও অধিকার হরনকারীদের সহ্য করবে?
আশা করা যায়, নিজ ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞাত একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের অনুভব করার কথা ফিলিস্তিনিদের কষ্ট।

পশ্চিম তীর সহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় ইজরাইলীদের অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধের পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে তাদের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দিয়ে ফিলিস্তিন ছেড়ে ইসরাইলী সৈন্যদের প্রত্যাবর্তনই একমাত্র শান্তির পথ। কিন্তু ইসরাইলী সরকার এরকমটা কখনো চায় না। এমন অবস্থায় কীভাবে শান্তি স্থাপন হতে পারে?

ফিলিস্তিনের অধীকার আদায়ে আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধভাবে দাবী উত্তাপনের এখনো কোন সংবাদ জানা যায় নি। এপর্যন্ত যেসব রাস্ট্র ফিলিস্তিনের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে তা কেবল মৌখিক সীমাবদ্ধতায় আক্রান্ত। লেবাননের হিজবুল্লাহ তাদের সীমানায় সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরাইলকে সীমান্তে ব্যস্ত রাখার চেষ্টার বাহিরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আর কেউ তেমন কিছু করছে না। বিপরীতে আমেরিকা ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি নৌযান পাঠিয়ে দিয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে।


একজন ব্লগার হিসেবে স্বরণ থাকার কথা বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আমেরিকা পাকিস্থানিদের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি কী পরিমাণ হৈ-হুল্লোড় করেছে। খুদ প্রেসিডেন্ট নিক্সন, হেনরি কিসিঞ্জার সহ আরো অনেক নেতৃস্থানীয় পাণ্ডাগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কীরকম চেচামেচিটাই না করেছে। কিন্তু দিন শেষে মাটি যার সেই তার স্বাদ উপভোগ করতে পারে। অবশ্য মধ্য পথে রক্তের বন্যার প্রয়োজন হয়। আর ফিলিস্তিনিরা সেই রক্তের সময়টা অতিক্রম করছে।


১৯৭১ সময়ের ছাত্রলীগ যুদ্ধের যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল, যেভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্থানীদের উপর গেরিলা আক্রমণ করছিল তা আজও প্রশংসনীয়। কিন্তু সেই সময়ে অনেকেই তাদের আক্রমনকে খারাপ চোখে দেখেছেন। কারণ তাদের আক্রমণের পর পাকিস্তানি সৈন্যরা সাধারণ নাগরিকদের উপর ঝাপিয়ে পরতো। বাস্তবে এটা মুক্তিবাহিনীর কারণে ছিল না, পাকিস্তানি সৈন্যরা যুদ্ধ নীতির বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের কাপুরুষোচিত ঘৃণিত আচরণেরই প্রমাণ দিচ্ছিলো। এই সহজ বিষয়টি ধরতে না পেরে তৎকালীন অবস্থায় যারা উলটা মুক্তিবাহিনীকে দোষারোপ করেছিল। আজও সেই শ্রেণির একদল লোক মুক্তিকামী হামাসকে সেই বুদ্ধিমত্তায় বিবেচনা করছেন।
বাংলাদেশের পাশে যেভাবে ভারত এসে দাঁড়িয়েছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ যেসকল রাস্ট্র সক্রিয় হয়েছিল তেমনি যদি ফিলিস্তিনের পাশে আরব বা তাদের আশপাশের রাস্ট্রগুলো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ফিলিস্তিনিরা মুক্তি লাভ করে, তাহলে আজ যারা তাদের পক্ষে লড়ছে তাদেরকে আপনারা কী বলবেন? পারবেন তখনো সন্ত্রাসী বলতে? পারবেন না।



ছবি: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভিটেমাটিহীন সাধারণ মানুষের।


বি:দ্র: যুদ্ধ কখনো শান্তি নিয়ে আসে না। নিজ মাতৃভূমি রক্ষায় যারা সক্রিয় তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা যুক্তিসঙ্গত নয়।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেগম খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে ভেবেছিলেন যে বাঙ্গালীরা পাকিস্তানীদের সাথে সহজেই পরাজিত হবে। এই কারণে তিনি সেনানিবাস ছাড়েননি। মেজর জিয়া ২/৩ বার তাকে নিয়ে আসার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তাতে রাজী হননি। আমি একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম যে বেগম জিয়া যুদ্ধের শুরুতে মেজর জিয়াকে বলেছিলেন যে তুমি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের পক্ষে শপথ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছ। তাই তোমার বিদ্রোহ করা ঠিক হবে না বা হয়নি। এই কথা সত্য কি না সেটা অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পাড়ছি না।

মুসলিমলীগ, জামাতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী দলগুলি এবং এই দেশের বিহারীরা পাকিস্তানীদের বিজয়ের ব্যাপারে প্রথম দিকে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পক্ষে অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবীও ছিল। খন্দকার মোশতাক যুদ্ধের মাঝ পথে পাকিস্তানের সাথে সমঝোতার জন্য কাজ করেছিলেন।

তাই ১৯৭১ সালে অনেকেই পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। পরে ভোল পালটিয়েছে। ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের সাথীদের সাথে ফিলিস্তিনিরা পারবে না এটা বোঝাই যায়। কিন্তু মূল অপরাধী হল আরব দেশের শাসকগোষ্ঠী। এদের স্বার্থপরতার কারণে ফিলিস্তিনের মানুষ বিচার পাচ্ছে না। এরা একতাবদ্ধ হলে যুদ্ধের পরিস্থিতি ঘুরে যেত। এরা ফিলিস্তিনের সাথে নাই বলেই এই ধরণের তথাকথিত নিরপেক্ষ লেখা পাচ্ছেন জনগণের কাছে থেকে। যে যার মত ওয়াজ নসিহত করছে ফিলিস্তিনিদের। তোরা তো ভালোই আছিস। ইসরাইল তো শুধু জমি নিয়েছে। একটু চুপ থাকলেই তো শান্তিতে থাকতে পারতি। ইহাই উন্নত দেশগুলির মানবাধিকার। এদের সমর্থকেরও অভাব দেখা যাচ্ছে না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: খালেদা জিয়ার ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে আমারও জানা নেই। এটি তার বিপরীতে প্রোপাগাণ্ডা হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। এরকম একজন পাকিস্তানপন্থী যে দীর্ঘসময় শাসন করেছে তা এরকম ঘটনার সত্যতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করে অবশ্যই।


ফিলিস্তিনের পক্ষে বিপক্ষে করা ওয়াজ নসিহতগুলোর মধ্যে ইসরাইল পন্থী ওয়াজগুলো বড়ই মধুর শুনায় আমার কাছে। কারণ এদের অবচেতন মস্তিষ্কের আস্ফালনকে আবার এরা স্বাধীন ও মুক্তচিন্তাধারন কারী বলে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। আমি নিশ্চিন্তে বলে দিতে পারি, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এরা থাকলে, নিশ্চিন্তে পাইক্কাদের চামচামি করতেন। ভয়ও ছিল, কখন জানি মুক্তিবাহিনির হাতে ধরাও পরতেন, আল্লাহ এদের বাঁচাইছে।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

নতুন বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান চেয়েছিলেন, সেই পথেই তিনি হাটছিলেন। পাকিস্তানীরা সেদিন আক্রমন না করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের আক্রমন করতেন না।

কারন সেই ক্ষমতা তখন আমাদের ছিলো না। নেতার অবশ্যই চাইবেনা তার দেশের মানুষ মারা যাক।
যুদ্ধ আমাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া ছিলো এবং সেটা সময়ের প্রয়োজনেই মানুষ করেছে।

ইসরাইল আর ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি ভিন্ন।
হামাস ইসরাইলের কয়েজন হত্যা করেছে এখন ইসরাইল কয়েক হাজার হত্যা করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান চেয়েছিলেন, সেই পথেই তিনি হাটছিলেন। পাকিস্তানীরা সেদিন আক্রমন না করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের আক্রমন করতেন না।

কারন সেই ক্ষমতা তখন আমাদের ছিলো না। নেতার অবশ্যই চাইবেনা তার দেশের মানুষ মারা যাক।
যুদ্ধ আমাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া ছিলো এবং সেটা সময়ের প্রয়োজনেই মানুষ করেছে।

ইসরাইল আর ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি ভিন্ন।
হামাস ইসরাইলের কয়েজন হত্যা করেছে এখন ইসরাইল কয়েক হাজার হত্যা করবে।
২০০৮ থেকে ২০২৩ পযন্ত ১.৫ লক্ষ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বনাম ৬ হাজার

এই হারে যুদ্ধ আপনি কতদিন চালিয়ে যেতে পারবেন।

আরেকটা প্রশ্ন যেহেতু ধর্ম টেনে এনেছেন তাই করছি।

রাসুল সা: কি হামাসের এই সাধারন মানুষের উপরে হামলার অনুমুতি দিতেন? যদি তিনি এখন উপস্থিত থাকতেন?
নাকি উনি আলোচনার মাধ্যমে এই সমাধানের চেস্টা চালিয়ে যেতেন?

সেনা আক্রমনে যোদ্ধা হত্যার ঠিক আছে? কিন্তু আপনার কি মনে হয় হামাস যে পথ বেছে নিয়েছে এবং মিউজিক কনর্সাটে ২৬০ হস্য হত্যা করলো সেটা কি রাসুলের আদর্শগত সঠিক কাজ?

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে আমার জানা আছে। আর তাই আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামীদের মর্যাদা সমান হিসেবে বিবেচনা করতে চেষ্টা করি।

আপনি যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ও ফিলিস্তিনি মুক্তিকামীদের ভিন্নতা অঙ্কন করতে চান তবে সেটা আপনাকে ধরিয়ে দিলেও পারবেন না। কারণ আপনার কাছে এখন যে বিষয়টি স্পষ্ট সেটা হচ্ছে মৃত্যুর হার। এটা আপনার মত আমাকেও আঘাত করছে। তবে যদি ফিলিস্তিনের পক্ষে যারা কথা বলছে তারা ফিলিস্তিনিদের দাবী নিয়ে সোচ্চার হওয়ার মাধ্যে তা আদায়নকরতে পারে তবে সেট্বি হবে উত্তম। কিমতুনাজ পর্যন্ত এরকমটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ফিলিস্তিনি মিত্ররা প্রকৃত পক্ষে ইসরাইলের মিত্র।

আপনি প্রশ্ন করেছেন,
এই হারে যুদ্ধ আপনি কতদিন চালিয়ে যেতে পারবেন।
এর উত্তর হবে, অপারেশন সার্চ লাইটে যখন বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়, তখন অবশিষ্ট বাঙালিরা আত্মসমর্পণ করে। আমি এমনটাই করবো?

এতে পরদিনের রক্তপাত বন্ধ হত?
আমার অধিকার ফিরে পেতাম?

না, পরদিন থেকেই শুরু হয় পালটা আক্রমণ। বলতে গেলে সে রাত থেকেই নিজেদের রক্ষার যুদ্ধ শুরু হয়। যা পরদিন থেকে পালটা আক্রমণে রূপ নেয়।
এখন আমার পাশে তখন ভারত দাড়ায়, দূর থেকে অন্যরা বলে এটা ভারতের ইন্ধনে হচ্ছে।
এখন যেমন লেবানন বা ইরান দারাচ্ছে, অন্যরা বলছে এটা লেম্বানন মিশর ইরানের ইন্ধনে হচ্ছে। ভারতের মত যদি ওরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে পাকিস্তানের মতই ইসরাইলের সীমানা টানানোর সময় হয়ে যাবে!

আপনার শেষুক্ত প্রশ্নগুলো আমার জন্য হয় নাই। কারণ আমি ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধকে মুসলিম বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করছি না। আমি তাদের ভৌগোলিক পরিমণ্ডল বিবেচনায় সমর্থনের চেষ্টা করছি। আমার পোস্টে ধর্মের আগমনটা ঘটেছে ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমি হরনের উদাহরণ টানতে। সুতরাং অন্য প্রশ্ন করুন!

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার আলোচনা নিরপেক্ষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই; কারণ, আপনি নিরপেক্ষতা বুঝেন না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমার দৃষ্টির সীমানা হয়তো আপনার ধারণা অনুযায়ী তেমন প্রসারিত নয়, আমাকে বলুন আমি কিভাবে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে পারি! যা আপনার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে!

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ইসরাইলের চামচা ফিলিস্তিনীদের জন্য কুমীরের কান্না কানছেন। ১৬ বছরের অবরূদ্ধ গাজা জেলখানায় ফিলিস্তিনীরা তিলে তিলে মরল তখন তাদের খবর নাই। এখন কয়েকজন ইহুদি মরল যারা বেশির ভাগই গাজা সীমান্তবর্তী সামরিক ক্যাম্প গুলোর সামরিক সদ্স্য। এতেই ইসরাইলের এক চোখ কানা চামচাদের মাথা খারাপ অবস্হা। ইসরাইলি ভাই বেরাদর মারা যাওয়ায় তারা দুঃখে ম্রিয়মান।

এতো মারামারি কাটাকাটির তো কিছু নেই। তর্ক বিতর্কেরও কিছু নেই।

দখল করা জমির বিনিময়ে ইসরাইলিরা শান্তি খরিদ করে নিতে পারে। খুবই সহজ একটা ব্যাপার। কিন্তু এসব চিন্তা মাথায় আনা ঐ সকল ইসরাইলের এক চোখ কানা চামচাদের জন্য হারাম, কবিরা গুনাহ্ ।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৮

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সোনাগাজীর টিপিক্যাল কাজ সমুহঃ
/আগাছা পরগাছার মত পোষ্ট প্রসব করা,
/যার তার ব্লগে হামলে পরে নিলর্জ্জের মত ব্যাক্তি আক্রমন করা,
/আর নিজে ব্যাক্তি আক্রমনের শিকার হওয়ার পর আক্রমন থেকে বাচতে কাপুরুষের মত অন্যদের কমেন্ট ব্যান করা,
/সর্বপোরি ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করা।

এই প্রকারের পরিবেশ দূষনকারী ব্লগে থাকলে, ব্লগ কর্তৃপক্ষকে হয়তো তাদের ওয়েব সাইটে অতিসত্তর ETP-Effluent treatment plant বসাতে হতে পারে :)

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৩

নতুন বলেছেন: মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ইসরাইলের চামচা ফিলিস্তিনীদের জন্য কুমীরের কান্না কানছেন।

আপনি তো আমাদের আলোচনার বিষয়টাই বুঝতে পারেন নাই। আমরা কেন হামলার বিপক্ষে এবং আলোচনার পক্ষে...

আমি তো আলোচনায় আগ্রহী। আমি ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

আপনি তো কোরানের আয়াত অনুযায়ী সাধারন জনগন হত্যার পক্ষে, আপনি হামাসে যোগ দিতে কবে ফিলিস্তিন যাচ্ছেন?

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন:
@নতুনঃ
আপনি তো কোরানের আয়াত অনুযায়ী সাধারন জনগন হত্যার পক্ষে, আপনি হামাসে যোগ দিতে কবে ফিলিস্তিন যাচ্ছেন?

আর আপনি ফিলিস্তিনী জনগন মারতে ইসরাইলের ভলান্টারী সোলজারস প্রোগামে (হিব্রু ভাষায় যাকে বলে মাহাল) কবে যোগ দিচ্ছেন?

লোন সোলজারস

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

জিকোব্লগ বলেছেন:





সোনাগাজী,

তুমারতো ব্লগারদের ব্যক্তি আক্রমণ করা বন্ধ হচ্ছে না।

তুমিতো একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
তুমিতো সারাদিন-ই ব্লগে ব্লগে গিয়ে কুত্তার মত ভেউ ভেউ করো।
তুমার মাথায় নিশ্চয়ই তাহলে কুত্তার ক্রোমোজোম আছে।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: ৭৫ বছর ধরে যে ভুমিতে যুদ্ধ চলছে - সে ভুমিতে এখন কেউই আর সাধারন মানুষ নয়।
দখলদারদের সাথে আলোচনা বাস্তুচু্ত্যরা কিভাবে করবে ?

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আপনি তাহলে ফিলিস্তিন রক্ষার আন্দোলনে যারা কাজ করছে তাদেরকে কোন সজ্ঞায় আখ্যায়িত করবেন?
সন্ত্রাসী? "

-না, ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ ও পিএলও সন্ত্রাসী নয়; হামাস, ইসলামিক জ্বিহাদ ও হেজবুল্লারা সন্ত্রাসী।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এরা কি আফগান রক্ষায় যুদ্ধকামী তালেবানের মতই সন্ত্রাসী? একটা সময় আমরা অনেকেই তালেবানকে সন্ত্রাসী বলেছি। এবার গিয়ে তার সজ্ঞা পাল্টালো।

যদি এরকম হয়, আমাদের তৎকালীন ছাত্রলীগের পাশে যেভাবে ভারত এসে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবে যদি ফিলিস্তিনের পাশে তার কোন মিত্র দেশ এসে দাঁড়ায় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ইসরায়েল পরাজিত হয়ে পিছু হটে তাহলে আপনি এই হামাসকে সন্ত্রাসী বলাটায় মজবুত থাকবেন?

সাধারণ মানুষ তারা তো সাধারণ, তারা ইজরাইলি হোক কিংবা ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি সৈন্যদেরকে আপনি সন্ত্রাসী বলেন?

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: খুব খারাপ অবস্থা এই পৃথিবীর।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ইজরাইল ,প্যালেস্টাইন দুটি পৃথক ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই চাই।

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "যদি এরকম হয়, আমাদের তৎকালীন ছাত্রলীগের পাশে যেভাবে ভারত এসে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবে যদি ফিলিস্তিনের পাশে তার কোন মিত্র দেশ এসে দাঁড়ায় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ইসরায়েল পরাজিত হয়ে পিছু হটে তাহলে আপনি এই হামাসকে সন্ত্রাসী বলাটায় মজবুত থাকবেন? "

-আপনার তো আমাদের মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে "১ পয়সার" ধারণাও নেই! ভারত কি ছাত্রলীগের পাশে দাঁড়ায়েছিলো, নাকি মুক্তিবাহিনীর পাশে দাঁড়ায়েছিলো? মুক্তিযোদ্ধরা ছিলেন ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, সাধারণ ছাত্র, সাধারণ মানুষের সমষ্টি; আপনি এঁদেরকে ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ করেন কেন?

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আবেগ দিয়ে ফিলিস্তিন সমস্যাকে চিন্তা করলে বাস্তবতা সেখানে প্রাধান্য পায় না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে ফিলিস্তিন সমস্যাকে মিলিয়ে ফেলাটাও ধর্মীয় আবেগের অংশ। বাস্তবতা হচ্ছে বৈশ্বিক হিংস্র ও কুটিল রাজনীতিতে আবেগের কোন স্থানই নাই। ফিলিস্তিন সমস্যা কয়েক মাসের কোন সমস্যা নয়। এই শতাব্দিতে ফিলিস্তিনীদের ভুমি যারা দখল করেছে তারা এই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী , অর্থশালী ও বুদ্ধিমান জাতি। এই বিশ্বের অর্থনীতির কন্ট্রোল ইহুদিদের হাতে। স্রেফ আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে এদের সাথে লড়াই করে যে কিছুই করা যাবে না সেটা খুব ভাল করে বুঝে গেছে কয়েকশ বছরের মুসলিম সাম্রাজ্য হারানো তার্কি ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো।

১৯৪৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশিরা যে ইজরাইল রাস্ট্র গঠন করে দিয়েছিল তার আয়তন ছিল খুবই কম। ১৯৬৭ সালের ইজরাইলের বিরুদ্ধে আরবদের যুদ্ধের কথা পড়েছেন কি ? মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে জুরে বসা ইজরাইলিদের উৎখাত করতে ইজরাইলের সীমান্তবর্তী দেশ মিশর , জর্দান ও সিরিয়া এক যুদ্ধে জড়ায়। মাত্র ছয় দিনের সে যুদ্ধে পরাস্ত হয় আরবরা। এই যুদ্ধ সম্পর্কে বলা হয় যে, এমন সব সারপ্রাইজ আকাশ ও স্থল আক্রমন হয়েছিল যে, কোন দিক দিয়ে কিভাবে সব ধংশ হয়ে গেল তা কিছুই বুঝতে পারেনি আরবরা। সেই ৬৭ সালেই এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল ইজরাইল। যাই হোক মাত্র ছয় দিন স্থায়ী এই যুদ্ধে ইজরাইলের যুদ্ধ জয়ের প্রাপ্তি ছিল ইজরাইলের আয়তন এক নিমেশে বেড়ে যাওয়া। মিশরের কাছ কাছ থেকে তারা ছিনিয়ে নেয় Sinai Peninsula as well as the Egyptian-occupied Gaza Strip , সিরিয়া থেকে Golan Heights এবং জর্দান থেকে West Bank (including East Jerusalem) ( সুত্র ঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Six-Day_War) । ইজরাইলের শক্তিমত্তা বুঝতে পেরেই পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইজ্রাইলের মিত্র হয়ে যায়। তারা খুব ভাল করেই জানে যে , বিরুদ্ধে গেলেই যে কোন মুহুর্তে পুরো দেশটাই হারাতে হবে।

বিশাল দেশ মিশর, সিরিয়া , জর্দান যেখানে কিছু করতে পারে নাই সেখানে কি হিজবুল্লাহ , হামাসের পক্ষে সম্ভব ইজরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা? আমরা ইতিহাস না জানতে পারি কিন্ত বছরের পর বছর যে ভুমির মানুষ রক্ত দিচ্ছে তারা নিজ দেশের এসব ইতিহাস জানে না তাতো হতে পারে না। আবেগের কারনেই তাই আপনারা বুঝতে পারছেন না যে, হামাস, হিজবুল্লাহরা মুলত ইজরাইলি স্বার্থ সংরক্ষন করছে ফিলিস্তিনীদের নয়। ইজরাইল এবার বিড়াট কোন প্ল্যান নিয়ে এবারের সব কিছু ঘটিয়েছে।ইজরাইলের ভেতরের ফিলিস্তিন রাস্ট্রের নাম মুছে দিতে চায় তারা।

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

মহানব্যক্তি বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের উচিৎ হামাসদের বিরোধিতা করা যারা তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই সব নিয়ে চিন্তা করা যায় না, সমাধান তো দুরের কথা!

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

অর্ক বলেছেন: ধর্ষক খুনি শিশু নির্যাতনকারী স্বস্বীকৃত বর্বর জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনা করে বসলেন! না জেনে করেছেন নিঃসন্দেহে। তবু বলবো, দেখতে অত্যন্ত জঘণ্য লাগছে।

আপনাকে কি বলি? কোথায় থেকে কি শুরু করি? হামাস আগাগোড়া সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন। এদের সাথে ফিলিস্তিনের মানুষ বা স্বাধীনতার দূরতম সম্পর্কও নেই। হামাসের জঙ্গিরা ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়তে দিচ্ছে না। হামাস চাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা হতাহত হোক, যাতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সিমপ্যাথী পায়। নির্দোষ বাচ্চা বুড়ো মহিলাদের শিল্ড বানিয়ে পিছন থেকে যুদ্ধ করতে চায় হামাস।

পাকিস্তানের সঙ্গে ইসরায়েলের তুলনা করাও বিরাট ভুল। ইসরায়েল একটি সভ্য দায়িত্বশীল আধুনিক রাষ্ট্র। সুশিক্ষিত সভ্য উন্নত মানুষ ইসরায়েলিরা। আশা করি, কখনও নিজেই বুঝতে পারবেন।

শুভেচ্ছা থাকলো।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

Ml Ali বলেছেন: প্রথম থেকেই উপকারভোগী এবং উপকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধের আর সহিষ্ণুতার অভাব প্রদর্শন জনিত অমানবিক আচরণের প্রভাবেই এধরনের কর্মফল ভোগ করতে হচ্ছ বলে আমার ধারনা।

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:১৬

সামরিন হক বলেছেন: এ পর্যন্ত যথার্থই বলেছেন । যুদ্ধ বিরতির পরের ব্যাখ্যাটা আশা করি খুব তাড়াতাড়ি পাবো আমরা।

শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.