নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবুঝ ছেলে তমাল

অবুঝ ছেলে তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখবর…সুখবর… এখন থেকে বিটকয়েনের অন্তর্ভূক্ত বাংলাদেশ – এশিয়ার প্রথম দেশ

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম বিটকয়েন ফাউন্ডশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকা ভার্চুয়াল কারেন্সি বিটকয়েন সম্প্রতি এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলাদেশেকে নির্বাচিত করেছে। বাংলাদেশে বিটকয়েনের কার্যক্রম পরিচালনায় চার সদস্যের বোর্ড কাজ করবে। বাংলাদেশ শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এস এম মনির-উজ-জামান সজীব। এছাড়া বোর্ড মেম্বার মনোনীত হয়েছেন সাদিয়া সুলতানা মৌ, মিজানুর রহমান এবং জামিল। উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন রজার ভার।

সুখবর...সুখবর... এখন থেকে বিটকয়েনের অন্তর্ভূক্ত বাংলাদেশ - এশিয়ার প্রথম দেশ

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন হল, অনলাইনে লেনদেনের জন্য ডিজিটাল মুদ্রা। ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকল প্রক্রিয়ায় বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন হয়। ফলে লেনদেনের জন্য কোনো ধরনের অর্থনৈতিক বা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। অনলাইনে কেনাকাটা ও ইলেকট্রনিক লেনদেনের জন্য ২০০৮ সালে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে বিশ্বে এই মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়। ডলার বা ইউরো এসব আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর পরিবর্তে অনলাইন লেনদেনে বিটকয়েন ব্যবহার ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে ১ বিটকয়েন হচ্ছে ৫২০.৮৯ ডলার। তবে বিটকয়েনের এই দাম শেয়ার বাজারের মত প্রতিমুহূর্তে উঠানামা করে। বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ বিটকয়েন প্রচলিত আছে, যার মোট বাজারদর এখন ৬২০ কোটি ডলার।

বিটকয়েন যেভাবে লেনদেন হয়
বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার-টু-পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে। বিটকয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে। অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিটকয়েনের এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে বিটকয়েন উৎপন্ন করা যায় এবং তা গ্রাহককের ডিজিটাল অ্যাকাউন্টে জমা থাকে। কেউ যখন বিটকয়েন দিয়ে পণ্য কেনেন, তখন তা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় এবং কেন্দ্রীয় সার্ভার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের লেজার হালনাগাদ করে দেয়। একটি লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বিটকয়েন উৎপন্ন হয়। ২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্ট বিটকয়েনগুলো প্রত্যেক চার বছর পরপর অর্ধেকে নেমে আসবে। চার বছর পর পর বিটকয়েনের মোট সংখ্যা পুনঃনির্ধারন করা হবে যাতে করে বাস্তব মুদ্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা যায়। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিয়ন তৈরি হয়ে গেলে আর কোনো নতুন বিটকয়েন তৈরি করা হবে না।

বিটকয়েন কোনো দেশের বৈধ বা অনুষ্ঠানিক মুদ্রা না হলেও ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইনে কেনাকাটা ও ইলেকট্রনিক লেনদেনে বিটকয়েন ভবিষ্যতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত মুদ্রা হবে।

বাংলাদেশ ছাড়াও বিটকয়েন ফাউন্ডেশনে সদ্য যুক্ত হওয়া দেশগুলো হচ্ছে কানাডা, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ডেনমার্ক। বাংলাদেশীদের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তনে বিটকয়েন সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০১

বিজন শররমা বলেছেন: মানুষ ঠকানোর নতুন কৈশল । ডেস্টিনির সাথে দেখা হয়েছে ?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১১

অবুঝ ছেলে তমাল বলেছেন: মানে???

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

রোদেলা দুপুর বলেছেন: ভাল লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.