নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবুঝ ছেলে তমাল

অবুঝ ছেলে তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

:D জানুন, ", ইবোলা, ভাইরাস, "সম্পর্কে, বিস্তারিত, ., বাঁচতে, হলে, জানতে, হবে, ., ,

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা অঞ্চলের ইবোলা ভাইরাস
নিয়ে বিশ্বজুড়ে চরম এক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে বিস্তার লাভ
করে ইবোলা ভাইরাস। ভাইরাসটি এরই মধ্যে আফ্রিকার
কঙ্গোতে তাণ্ডব চালিয়েছে। বর্তমানে পাশের দেশ
গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওন ছেড়ে
এখন এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার
দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ইবোলা। প্রতিনিয়ত এসব
দেশে ইবোলায় আক্রান্ত মানুষের প্রাণহানির
সংখ্যা বাড়ছে।
ডব্লিউএইচওর তথ্যে জানা যায়, এ পর্যন্ত
ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
৯৩২ জন মারা গেছে। সংস্থাটির পক্ষ
থেকে ভাইরাসটি প্রতিরোধে জরুরি
অবস্থা জারি করা হয়েছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি
আসলে কি সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই
জানা নেই।




এক নজরে ইবোলা ভাইরাসঃ

কম্বোর ইবোলা (Ebola) নদীর নামে এর নামকরণ
করা হয়েছে। ইবোলা ভাইরাসে (Ebola Virus)
ছরানো ভয়াবহ এই রোগটি মানবদেহে রক্ত ক্ষরণ ঘটায়।
লিভার ও হৃদপিন্ডের স্পন্দন কমিয়ে দেয়। আক্রান্ত
ব্যক্তির রক্ত, লালা, কাশি, ঘাম, চোখের পানি, বীর্য,
বমি ও মল-মূত্রের মাধ্যমে রোগের ভাইরাস
আরেক জনের দেহে ঢুকতে পারে। তবে ঘা, চোখ, নাসারন্ধ্র, মুখ,
গলা ও প্রজননতন্ত্রের মাধ্যমে আক্রান্ত
ব্যক্তি থেকে সরাসরিও রোগ ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত
পশু-পাখির সংস্পর্শে এসেছে এমন পশুর মাংস খেলেও
ইবোলা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির
সংস্পর্শে, দরজার হাতল থেকে শুরু
করে ঘরের বিভিন্ন
স্থানে লেগে থাকা ইবোলা ভাইরাস (Ebola Virus)
শুস্ক আবহাওয়ায় কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। আর
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় স্যাঁতসেঁতে স্থানে এই
ভাইরাস কয়েকদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।
তবে বেশিরভাগ লোক আক্রান্ত ব্যক্তির
সংস্পর্শে এসে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত
হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে উপসর্গ দেখা দিতে ০২-২১ দিন
পর্যন্ত সময় লাগে। ফলে এই সময়ের মধ্যে তিনি অন্য
অনেক সুস্থ্য ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারেন (ভ্রমন,
হ্যান্ডসেক, আলিঙ্গন, দৈহিক মিলন ইত্যাদির
মাধ্যমে)। তবে গড়ে ০৮-১০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত
ব্যক্তির দেহে রোগের লক্ষণগুলো ফুটে উঠে।

ইবোলা ভাইরাস কি সেটি বিস্তারিত জেনে নিন

ইবোলা ভাইরাস জ্বর/Ebola virus disease(EVD)
বা ইবোলা হেমোরেজিক জ্বর /Ebola hemorrhagic
fever(EHF) এই ইবোলা ভাইরাস দ্বারা মানুষের
শরীরে সংক্রমিত একটি রোগ। পশ্চিম আফ্রিকার
দেশগুলোতে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে
পড়েছে! ১৯৭৬ সালে সর্বপ্রথম এই
ভাইরাস দেখা দেয়। এরপর
ততটা না ছড়ালেও সাম্প্রতিক
সময়ে এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যেই বহু মানুষ মারা গেছে এই
ভাইরাসে। বর্তমানে বিবিসি, সিএনএনসহ সকল আন্তর্জাতিক
সংবাদমাধ্যমের মূল বিষয়বস্তু ইবোলা ভাইরাস! উন্নত
বিশ্বগুলো এই ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে!
সংক্ষেপে এই রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য
জেনে নেওয়া যাক:

-------------------------------------------------------

ইবোলা রোগের লক্ষণ

ইবোলা রোগের লক্ষণ হচ্ছে উচ্চ মাত্রার জ্বর হওয়া।
রক্তক্ষরণ এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেন্ট্রাল নার্ভ ডেমেজ
হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্খা প্রায়
৯০% পর্যন্তও হতে পারে। ২১ দিন পর্যন্ত সময়
নিতে পারে এর লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে।

কোথা থেকে আসে এই ভাইরাস -----

ফলখেকো বাদুর মূলত এই ভাইরাসের প্রাকৃতিক বাহক। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার
হয়নি! ইবোলা ভাইরাসের ৩টি ভয়াবহতা
১. এখন পর্যন্ত এই রোগটির কোনো রকম প্রতিশেধক
আবিষ্কার হয়নি। ২. এটি ছোঁয়াচে জাতীয় রোগ। সাধারণত শরীরের
অভ্যন্তরীণ তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি এমন একটি রোগ যে, মৃত্যুর
পর মৃত ব্যক্তির শরীরেও এই রোগের ভাইরাস
জীবিতো অবস্থায় থেকে যায়। আবার
তা জীবিতো মানুষকে সংক্রামিত করার
ক্ষমতা রাখে। ৩. ১০ জন আক্রান্ত
ব্যক্তির মধ্যে ৬ জনেরই মৃত্যুর
সম্ভাবনা থেকে যায়। আমাদের মতো
উন্নয়নশীল দেশে যদি এই রোগটি একবার
ঢুকে পড়ে তাহলে এটি মহামারী আকারে দেখা দিয়ে ভয়াবহ
অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। ইবোলা ভাইরাস
সম্পর্কে আতঙ্কিত না হয়ে এই রোগ সম্পর্কিত কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের জেনে নেওয়া উচিত।


ইবোলা ভাইরাস ব্যধি কি? ------

এ রোগটি একটি তীব্র ভাইরাস ঘটিত রোগ
যা পূর্বে Ebola hemorrhagic fever (EHF)
নামে পরিচিত ছিলো। ইবোলা ভাইরাস গোত্রের ৫টির
মধ্যে ৩টি প্রজাতি মানুষের শরীরের মধ্যে সংক্রমিত
হয়ে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে বাকি ২টি মানুষের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। এদের
মধ্যে সবচেয়ে মারাত্নক হচ্ছে জাইরে (Zaire) নামক
ইবোলা ভাইরাস (জাইরে হচ্ছে জায়গার নাম
যেখানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসে কোনো মানুষ আক্রান্ত
হয়েছিল)। এ রোগের উৎপত্তি ------------------
এ রোগের
উৎপত্তি কোথা থেকে বা কিভাবে হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও
ধারণা করা হয় যে, বাদুরের দেহাভ্যন্তরে এই রোগের
ভাইরাস বংশবিস্তার করে। পরবর্তিতে মানুষ
বা স্তন্যপায়ী প্রাণী আক্রান্ত বাদুর
আহার করলে তা স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে স্থানান্তরিত
হয়। ধারণা করা হয় যে, প্রথম মানুষ জংগলে গিয়ে এ
ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো একটি প্রাণীকে শিকার
করে এবং পরবর্তিতে তা ভক্ষণের
মাধ্যমে ভাইরাসটি লোকালয়ে চলে আসে। বাদুর, শূকর
অথবা কুকুর যেকোনোটি এই ভাইরাসের বাহক হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। সুদানে সর্বপ্রথম মানুষের
ভিতর এই রোগের লক্ষণ ধরা দেয়। সেখানে ২৫৪ জন এ
রোগে আক্রান্ত হয়। যার মধ্যে ১৫১ জন মারা যায়।
সেখানে মৃত্যুর হার ছিল প্রায় ৫৩%।


কত সালে এ রোগের আবির্ভাব -----


১৯৭৬ সালে কংগোর জিয়েরা এলাকায় সর্বপ্রথম এ
রোগটি ধরা পড়ে। সেখানে ৩১৮ জন আক্রান্ত
হয়। যার মধ্যে ২৮০জন (৮৮%) মারা যায়।
পরবর্তীতে সুদানে তা ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে ২৮৪ জন
আক্রান্ত হয়ে ১৫১ জন মারা যায় (৫৩%) ।
তবে এখন বর্তমানে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এ বছরের
মার্চ মাসে গিনিয়াতে। এই ইবোলা ভাইরাসটি খুব দ্রুত
ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য
দেশগুলোতে যেমন- সিয়িরা লিওন, লিবিরিয়া,
নাইজেরিয়াতে। এবার আগের সব রেকর্ড
ভঙ্গ হয়েছে। এখন পর্যন্ত টোটাল
১৩২৩ জন এই রোগে আক্রান্ত
হয়েছে। যার মধ্যে ৭২৯ জন মারা গেছে (৫৫%)।
সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হচ্ছে, ৬০ জন
স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছে এই রোগে, যারা এই
রোগে আক্রান্ত রোগীর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
উদ্বিগ্ন না হয়ে প্রতিরোধ নিতে হবে ------------------------------------------------------

যেহেতু রোগটি আফ্রিকার দূর্গম এলাকা হতে ছড়াচ্ছে।
আফ্রিকার দুর্গম এসব এলাকায়
চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই অপ্রতুল্। তাই মৃত্যুর
সংখ্যা অনেক বেশি। উন্নত বিশ্ব ইতিমধ্যেই
সতর্কতামূলক বিশেষ অবস্থা জারি করা
হয়েছে। কেও এই রোগে আক্রান্ত
হলেও যাতে রোগ ছড়িয়ে না পড়,
সেদিকে তারা খুব সতর্ক। সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের
মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যদি এই রোগ একবার
ছড়িয়ে পড়ে তবে কিভাবে এর
বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে হবে তা নিয়ে ভাবাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সরকার ও স্বাস্থমন্ত্রণালয়সহ সবাইকে এখনই এই রোগের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যদিও বাংলাদেশেও সতর্কতামূলক
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


কিভাবে আপনি বাঁচবেন ---


সাধারণত যে সকল জায়গাতে এ রোগ দেখা দিয়েছে ওই
সকল জায়গায় না গেলে আপনার ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।
কিন্তু আপনি যদি সর্বশেষ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত
দেশগুলোর কোনো একটিতে ভ্রমণ করে থাকেন,
তবে অবশ্যই সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

# সবসময় হাত সাবান এবং গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে।
# খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখ, নাক অথবা মুখে হাত
লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
# আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময় শরীর
ঢেকে মাস্ক পরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
# আক্রান্ত ব্যক্তির বডি লিকুইড যাতে আপনার
সংস্পর্শে কোনোভাবেই না আসে, সেদিকে খেয়াল
রাখতে হবে।
# যদি কোনো কারণে এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়,
তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে,
যাতে অন্য কেও এ রোগে আক্রান্ত না হয় এবং দ্রুত
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে যাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব
দেখা না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সকলকে সচেতন
হতে হবে। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে যত দ্রুত সম্ভব
চিকিৎকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে।
ভীত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ
করতে হবে এবং পাশ্ববর্তী সকলকে সচেতন করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"সাধারণত যে সকল জায়গাতে এ রোগ দেখা দিয়েছে ওই
সকল জায়গায় না গেলে আপনার ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। "

-আফ্রিকা তো দুরের কথা, কাজে যাচ্ছি হেঁটে!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

অবুঝ ছেলে তমাল বলেছেন: ঠিক বলছেনে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.