নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইপিএল ও কিছুটা ঝরে পড়া ঝাল

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

২০১৩ সালের অক্টোবর মাস, তখন দেশে বাংলাদেশ- নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলছে একই সাথে দেশের উত্তাল পরিস্থিতি। আমরা তখন শিক্ষাসফরে ভারত ভ্রমনে বের হয়েছি। কলকাতার হাওড়া হোটেলে উঠেছি কিন্তু মন পরে আছে ক্রিকেট খেলায়।ভিনদেশে আসার আগে দেখে এসেছি বাংলাদেশ টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

এমন একটা ম্যাচের খবর নেওয়ার জন্য মন আনচান সেই বেনাপোল থেকেই। বাস থেকে নেমেই তাই দৌড়ে হোটেলে গেলাম। ভাবলাম, কলকাতার ভাষা আর আমাদের ভাষা এক, দেশের দুই একটা চ্যানেল তো পাবই, খেলাটার পাশাপাশি দেশের হালচাল একটু দেখি। হাওড়া হোটেলে বসে বসে রিমোট চাইপ্পা খুজতে থাকি দেশের চ্যানেল। নাই রে ভাই একটাও নাই। ভাবলাম পচা হোটেলে এসেছি, ভুয়া লাইন। হোটেল বয়কে ডাকলাম।

আমি বললাম, তোমাদের হোটেলে বাংলাদেশী চ্যানেল নাই কেন?

জবাবে সে বেঁকা করে হেসে বলল, ''এখানে কোন হোটেলেই আপনার দেশের চ্যানেল পাবেন না যে দাদা । এখানে না বাংলাদেশী চ্যানেল চলে না''

মনেমনে প্রমোদ গুনলাম। ভাবলাম কলকাতার মানুষ এমনি বাটপারি করার জন্য জগৎবিখ্যাত। এই বেটা হোটেল বয় চাপা মারল নিশ্চিত। নিচে গিয়ে বেশ কটা দোকান রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিলাম। কাহিনী একই, বাংলাদেশী চ্যানেল ওরা দেখেন না। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম জবাব একদিন দিতেই হবে।

আজিব মনে হলেও এটা একটা সত্য কাহিনী। কলকাতার এখন কি অবস্থা জানি না তবে যারা সেই সময় ওখানে গিয়েছিলেন সবার অভিজ্ঞতা মনেহয় এই অধমের মতই ছিল এটা নিশ্চিত।

এবার আসি পরের ঘটনাতে। ঘটনাটা ২০১৪ সালের জুনের দিকে। তখন বাংলাদেশ-ইন্দিয়া সিরিজ চলছে মিরপুরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে চা খাচ্ছি, ইতোমধ্যে পূর্বপরিচিত কিছু ভারতীয় কিছু দালালদের সাথে ঘটনাক্রমে আমার চায়ের দোকানে দেখা।

কেন ভারতের সাথে আমাদের মিলিয়ে চলা উচিত সেটা তারা বয়ান দিল। এরপর কেন ভারত মাতা মহান ইত্যাদি ইত্যাদি। ভারত ভক্তদের বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা শুনতে শুনতে কানটা ঝালাপালা হয়ে গেল একসময়। ভাবলাম চায়ের কাপের উপর রাগটা ঝাড়ব। একজন দেখি আমাকেই জিজ্ঞেস করে বলল, এই ব্যাটা তুই বল ইন্দিয়ান গরু, পেঁয়াজ, রসুন, মশলা এসব তো বর্জন করতে পারস না খেলা বর্জন করস কে?

বন্ধু মানুষদের কেমনে ঝাড়ি কন? তাই মুখে কিছুটা হাসি নিয়ে ওদের কাছে গিয়ে শুরু করলাম-- বাংলাদেশীদের তোর ভারত থেকে এসব কি এমনি এমনি দিয়ে দেয় নাকি? (একটু ঝেড়ে) শালা পয়সা দেওয়া লাগে না??

(দালালেদের মুখ কিছুটা অন্ধকারে)

এরপর আমি আবার বলি, ওরা বিনে পয়সায় তো নদীর পানিটুকুও দেয় নারে। আর তোরা আবালের মত দেশের কথা না বইলা ভাঁড়ট মাতার চরণে না...

(দালালরা লজ্জায় মুখ লুকায়)

এরপর শেষ পেরেকটা মাইরা দিয়ে বলি-- তোদের ভাঁড়ট মাতারে আমরা কি কি দেই জানস... আমরা ওদের ফ্রি ট্রানজিট দেই। ওদের দেশের যত মাওবাদী গেরিলা আছে এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেই না। পলাইয়া নেপাল যায়। আশ্রয় দিলে ভাঁড়ট ভাইঙ্গা একদিনে খান খান হয়ে যাবে। এসব ওরা আমাদের কাছে ফ্রি পায় বুঝলি... চায়া রইছস ক্যারে এইডা হইল উদারতা বুঝলি।

ওদের একটা মাওবাদী জঙ্গি কি জানি নাম উলফা না কি ওটা তো আসামের স্বাধীনতার জন্য লাফাইতে লাফাইতে শেষ। তোদের বাবারা ওদের দমাইতে পারে নাই। উলফার লিডার পরেশ রাউয়াল রে আমাদের সেনাবাহিনী ধরছে।

একজন দালাল দেখি আলগা করে কয়, তো কি হইছে?

রাগ সামলাইতে না পাইরা বলেই দিলাম, সালার ভাঁড়ট দালাল আগে মাতার পর্দাটা আলগায়ে চল, নাইলে তোদের অন্যান্য অংগরাজ্য গুলাই তোরে ধর্ষণ কইরা স্বাধীন দেশের পয়দা কইরা দিবে।

ওরা বলে, দোস্ত মাইন্ড খাস কেন? খেলা তো খেলাই... হা হা হা।

মনুরা এভাবেই লাইনে আসে বুঝলেন।


সেদিনের মত শান্তি আর পাই নাই কোথাও। তবুও আজও দুই একটা পোস্ট পাইলে অন লাইনে দিয়েদেই আরকি। দেশের লগে বেইমানি সহ্য করা জাইবে না ভাইজান।

যাই হোক যে কথা কইতে চাইছিলাম কি আর কইলাম কি। রাগ করবেন না। গত আইপিএল দেখিনাই রাগ কইরা এবারেরটা প্রশ্নই আসেনা। শুধু শুধু ওদের আর টিআরপি বারামু না বহুত বারাইছি। বাঙালি এত ভোঁতা হয়নাই মামু। আমি বাংলাদেশের সিরিজ দেখমু। ভারতীয়দের কইতেছি, তোমরা আইপিএল আমাদের সাকিবভাই এর ছক্কা দেখ, ওর ভ্যালুরেটটা আরেকটু বাড়াও। সামনে কত খেলা, ক্যারিবিয়ান লীগ, বিগ ব্যাশ । আমাদের সাকিবের পকেটে কিছু ডলার আসুক।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঢালাওভাবে ভারতীয়দের বাটপার বলাটা কি ঠিক হলো? বাটপারের পার্সেন্টেজ আমাদের দেশেই অনেক বেশী বলে জানি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমি ঠিক ঢালাও ভাবে কলকাতাবাসীকে বাটপার বলার মত কেও না, এটা আমি শুনেছি আমার দেশের অনেক মানুষের মুখে, তাদের সে কথার আমি প্রমানও কিছু পেয়েছিলাম। সেসব নাহয় আজ না বললাম। আর বাটপারি বিষয়টা এখানে আমি মুখ্য করে তুলিনাই। মুখ্য করে তুলেছি তাদের বাংলাদেশ গণমাধ্যম বর্জনের বিষয়টিকে। আশা করি সেটা আপনার বোধগম্য হয়েছে। ধন্যবাদ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কি খেলার মাঠ, কি রাজনীতি, কি সাহিত্য সংস্কৃতি- সবখানেই যেন ওদের মাঝে একটা বৈরী মনোভাব আগে থেকে তৈরী হয়েই থাকে!
আমাদের চ্যানেলগুলো আমেরিকা ইউরোপে চলতে পারলে ওদের দেশে চলবেনা কেন?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সেটাই তো কথা! অথচ আমাদের দেশে দেখুন হিন্দি চ্যানেলে ছেয়ে গেছে!

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও দক্ষতা অর্জনের সাথে এই স্যাটেলাইটের যুগে আমাদের আকাশের মত আমাদের মনেও আজ ভীনদেশি সংস্কৃতি! দেশি চ্যানেল গুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। নির্মাতারা লোকশানে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কোন নতুনত্ব দেখিনা। দেশি ডেইলি সোপ আর ধারাবাহিক গুলোতে ভাঁড়ামি চলে।

কোথায় যেন হারিয়ে গেল নুরুদ্দিনের সারা জীবন, আজ রবিবার, দুই দুয়ারী, জীবন যেমন,সকাল সন্ধ্যা ’ , ‘ এই সব দিনরাত্রি’ , ‘ অয়োময়’ , ‘ বহুব্রীহি ’ , ‘সংশপ্তক ’ , ‘ ঢাকায় থাকি ’ , ‘কোথাও কেউ নেই ’ , ‘ রূপনগর ’। এরপরের শুন্যতায় তারা হয়ে জ্বলা হুমায়ুন আহামেদের পর আবার সেই শুন্যতা!

আশা করে এদিন আর রইবে না। একদিন আমরাও নিজস্বতা বজায় রাখব। সেই দিনের অপেক্ষায়!!!

আপনি বলেছেন,
আমাদের চ্যানেলগুলো আমেরিকা ইউরোপে চলতে পারলে ওদের দেশে চলবেনা কেন?

আমারো প্রশ্ন সেটাই!


এই লেখাটি পাঠে ও মুল্যবান মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা সুপ্রিয় লেখক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.