নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি বলছি...

অস্থির এই সময়ে কিছু স্বস্তির সুবাতাস ছড়াতে চাই, আমি ক্রমঃশ আপনারে বিলিয়ে যাই তুমি সুখী হবে বলে...

আমান

আমি একজন ফুলটাইম ড্রিমার, পার্টটাইম রিয়ালিস্ট! [email protected]

আমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী শুক্রবার পহেলা মার্চ আমরা জুম্মা পড়তে মসজিদে যাব; দুই কোটি মোনাফিকের বিরুদ্ধে সতের কোটি বাঙ্গালীর প্রতিরোধ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯





মসজিদে আগুন দেয়া, জাতীয় পতাকা ছিন্ন-ভিন্ন করে পদদলিত করা, শহীদ মিনার ভাংচুর করা, গণজাগরণ মঞ্চে হামলা, সাংবাদিক ও পুলিশের উপর চড়াও হওয়া, মসজিদের মাইক ব্যাবহার করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে পুলিশের গুলির মুখে ফেলা ইত্যাদি কোন মুসলমান ব্যাক্তি কিংবা গোষ্ঠীর কাজ হতে পারে না। আর দেশপ্রেম তো ঈমানের অঙ্গ। এই সমস্ত কুকর্ম করে জামাত-শিবির ও তার দোসররা আবারো প্রমাণ করল- তারা না মুসলমান, না ঈমানদার, না দেশপ্রেমিক।



গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া গণজাগরণের প্রাণের দাবি- একাত্তরের গণহত্যাকারী, গণধর্ষক, অগ্নিসংযোগকারী, লুণ্ঠনকারী পাকিস্তানি দালালদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের বিরোধিতাকারী ও মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসস্রষ্টা সংগঠন জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। জামাত-শিবির মালিকানাধীন-নিয়ন্ত্রিত সকল ধরণের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বর্জন ও সরকারের নজরদারি বৃদ্ধিকরণ। যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের স্থায়ীকরণ ও সকল দলের-মতের ও মানের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকরণ। এই দাবির মধ্যে কোথাও কি আস্তিকতা বা নাস্তিকতা আছে? ইসলামের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু আছে? কিন্তু ব্লগার রাজিবের খুনের পর আমারদেশ পত্রিকা ব্যাবহার করে ইতিহাসের মীরজাফর, কুৎসারটনাকারী মাহমুদুর রহমান কত কোটি টাকার বিনিময়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পথ প্রস্তুত করলেন? নবীজির (সাঃ) আমলেও মাহমুদুরের মত কুৎসারটনাকারী-মোনাফেক ছিল। এসমস্ত উস্কানিদাতা কখনই সফলকাম হতে পারেনি এখনও পারবে না। রাজিব নাস্তিক ছিলেন, রাজিব শাহবাগ আন্দোলনের একজন ছিলেন, এতে কিভাবে প্রমাণ হয় যে শাহবাগে নাস্তিকদের সম্মেলন হয়, ইসলামবিরোধী কথা হয়? শাহবাগে কোনদিন যদি একজন নাস্তিক থাকে তবে অবশ্যই সেদিন কমপক্ষে পঞ্চাশজন ধার্মিক ছিলেন। এটা শুধু আমার মুখের কথা না, বত্রিশটা টিভি চ্যানেল সাক্ষী।



সত্যিকারের মুসলমানরা অবশ্যই মোনাফেক জামাত-শিবির ও তার দালালদের কথায় প্ররোচিত হবেন না, তারা সত্যিটা জানবেন ও অপরকে জানাবেন। আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধভাবে মূল দাবির প্রতি অটল থাকতে হবে, অনেকভাবে তরুন প্রজন্মের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং হবে। আমাদের সংকল্প হোক ইস্পাতের চেয়েও কঠিন, আমাদের প্রতিরোধ হোক বজ্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী নয়ত ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।



আগামী শুক্রবার পহেলা মার্চ আমরা জুম্মা পড়তে মসজিদে যাব। যদি জামাত-শিবির আর তার দোসররা দুই কোটি মানুষ দিয়ে গত শুক্রবারের চেয়ে বড় সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে আমরা সতের কোটি বাঙ্গালি তার উপযুক্ত জবাব দেব।



জয় বাংলা। জয় জনতা। জয় শাহবাগ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

নায়করাজ বলেছেন: সাবাশ। শাহবাগ আস্তিক বা নাস্তিকের নয়। শাহবাগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একাত্ম বাংলাদেশের নাম।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সহমত।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

লেখোয়াড় বলেছেন:
ভালো লিখেছেন।
সময়োপযুক্ত।

++++++++++ আর
ধন্যবাদ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

আমান বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

শরতের আকাশ বলেছেন: উপযুক্ত জবাব দেব । ++++++++

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

আমান বলেছেন: অবশ্যই উপযুক্ত জবাব দেব, অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

প্যারিস বলেছেন: আর কোন দাবী নাই, আর কোন কথা নাই,দাবী মোদের একটাই রাজাকারের ফাসি চাই

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

আমান বলেছেন: ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই- রাজাকারের ফাঁসি চাই।
আলহামদুলিল্লাহ দেলু রাজাকারের ফাঁসির রায় হয়েছে। কাদের মোল্লাসহ বাদবাকি রাঘব বোয়াল রাজাকারদেরও একইভাবে ফাঁসির রায় হবে। আমরা অনতিবিলম্বে রায় কার্যকর দেখতে চাই।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

Toriqul বলেছেন: ধন্যবাদ জামাত শিবিরকে :
তারা আপনাকে নামাযী বানাতে যাচ্ছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ সমস্ত শাহবাগ বাসীকে নামাযী বানিয়ে দিন।আমীন

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

আমান বলেছেন: কাঁঠালপাতার গন্ধ পাচ্ছি, সেই সাথে কাঁঠালপাতা পাগল প্রাণীটিরও তীব্র দুর্গন্ধ পাচ্ছি... এয়ার ফ্রেশনার কই? হেল্প...

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

ধইঞ্চা বলেছেন: বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত??? ১৯ কোটি ????

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

আমান বলেছেন: না সতের কোটি, জনৈক লন্ডন প্রবাসী ছাগু গতকাল ফেসবুকে বলেছে আগামী শুক্রবার নাকি ওরা দুই কোটি ছাগুদের সমাবেশ ঘটিয়ে শাহবাগ আন্দোলন নস্যাৎ করে দেবে। আমি এই দুই কোটিরে বাঙালি হিসাবেই ধরি না।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

টি_মৃদুল বলেছেন: জামাত শিবিরের ইসলাম!!! দেখুন, জানুন!!!! ধর্ম নিয়ে খেলছে এরা নিজের স্বার্থে


জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি , যার পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামাতে ইসলামীর জন্ম , যার বই পড়িয়ে গড়ে তোলা হয় জামাত শিবির কর্মীদের , যার ধর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে জামাত ,সেই জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি ধর্ম সম্পর্কে কি বলেন জানুন। এই লোক কে এই অঞ্চলের ওলামা মাশায়েখ রা অমুসলিম ঘোষনা দিয়েছিলেন। কারন সে তার নিজের রাজৗনতিক ক্ষমতা দখলের জন্য মুল ইসলামের বাইরে নিজের সুবিধা ানুযায়ি মনগড়া ইসলাম প্রচার করেছে, ইসলাম নিয়ে অনেক কটুক্তি করেছে। জানুন, দেখুন জামাত শিবিরের ইসলাম কি বলে -
ইসলাম বলে -দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত কায়েম করা। (শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”। -(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)।

সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত মতবাদঃ
মওদুদী বলে -“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি। -(রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়”। -(রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)।

পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন ইত্যাদি সম্পর্কে মওদুদী বলে -“পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করতে কোন দোষ নেই”। -(তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)।
পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” -(তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” - (তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)।
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে মনগড়াকথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।” -(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)।
‍‍‍‍“হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।” -(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর)।

মওদুদী বর্ণিত ইসলামে নবীদের সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)।
“হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বশবর্তী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন।” (নাউজুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত-২/৪২, দ্বিতীয় প্রকাশ, তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খণ্ড, সুরা সাদ, ৩২৭ পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং)।
হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। -(তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ)

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” - (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)।

হযরত ইউসুফ আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” - (তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)।
হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” -(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)।
সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার বাহিরে নন। তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”।
-(তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)।

হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”। -(তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২,)।

“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের সময় ব্যাক্তিসম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর (রঃ)কে পরাভূত করেছিল। -(তরজুমানুল কুরআন, রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)।
“হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর মাঝে সজন-প্রীতির বদগুণ বিদ্যমান ছিল। -(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)।
“হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় খেলাফতকালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই।-(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬/১৪৩)।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

আমান বলেছেন: জামাত-শিবিরের ইসালামের নামে ভণ্ডামির কিছুটা স্বরূপ আপনি উন্মোচন করেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনার লেখা পড়ে অনেকে ইসলাম ও জামাতের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারবে।

জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মউদুদি ছিলেন ব্রিটিশদের দালাল। ইংরেজরা তাদের কলোনিজম কায়েম করতে মউদুদিকে সাহায্য করেছে। সে সময়ে এই উপমহাদেশের সকল আলেম-ওলামারা একসাথে বসে মউদুদিকে মুরতাদ ঘোষণা করে।

মউদুদি প্রতিষ্ঠিত জামাতে ইসলাম পাকিস্তান, জামাতে ইসলাম ভারত ও জামাতে ইসলাম বাংলাদেশ এই তিন সংগঠনের রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট দেশের মূলধারার বিপরীতে অবস্থান নেয়া। তালেবান ও আল কায়দা ছাড়া পৃথিবীর অন্যকোন সত্যিকারের মুসলমানদের সাথে মউদুদি দর্শনের মিল নাই।

এ বিষয়ে আরও লেখা দরকার। সবাইকে জানানো দরকার।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

আহলান বলেছেন: এই কাজটা আরো আগে করলে তো জামাতি রা ইসলাম নিয়ে খেলতে পারতো না .....

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

আমান বলেছেন: ঠিক... ঠিক। আমাদেরকে আরও অনেক কাজ করতে হবে, অনেকদূর যেতে হবে।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া গণজাগরণের প্রাণের দাবি- একাত্তরের গণহত্যাকারী, গণধর্ষক, অগ্নিসংযোগকারী, লুণ্ঠনকারী পাকিস্তানি দালালদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের বিরোধিতাকারী ও মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসস্রষ্টা সংগঠন জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। জামাত-শিবির মালিকানাধীন-নিয়ন্ত্রিত সকল ধরণের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বর্জন ও সরকারের নজরদারি বৃদ্ধিকরণ। যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের স্থায়ীকরণ ও সকল দলের-মতের ও মানের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকরণ। এই দাবির মধ্যে কোথাও কি আস্তিকতা বা নাস্তিকতা আছে? ইসলামের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু আছে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

আমান বলেছেন: পড়ার ও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

আমিনুর রহমান বলেছেন: দারুন লিখেছেন +++

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

আমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জামাতি ইসলাম কখনোই প্রকৃত ইসলাম হতে পারে না । এটা হল ম ওদুদী ইসলাম তথা ওহাবী ইসলাম । তালেবান ও আল কায়েদা এই ইসলামের অনুসারি ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

আমান বলেছেন: সহমত... ইসলাম ও জামাত একই জিনিস নয়।

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪

রাজীব বলেছেন: ল্যান্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

আমান বলেছেন: ইউ মিন ছাগুস ল্যাঞ্জা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.