নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লালনের মনের মানুষ

লালনের মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ তো বিশ্বব্যাপী লালন দর্শন নিয়ে রীতিমত গবেষনা শুরু হয়েছে ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪


আমরা লালন সাঁইজির গানের প্রথম সংগ্রাহক হিসেবে কবিগুরুর নাম জানতে পারি। প্রায় শ’খানেক এর উপরে এই মরমী সাধকের গানের সংগ্রাহক কবিগুরু নিজেই। প্রবাসী পত্রিকার ‘হারামনি’ বিভাগে রবীন্দ্রনাথ নিজেই লালনের কুড়িটি গান প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কবিগুরু কেন সাঁইজির গান সংগ্রহ ও প্রকাশে তাঁর অমূল্য সময় ব্যয় করেছিলেন? এমনভাবে কেন তিনি লালন দর্শন প্রচারে উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন?নিজে প্রখ্যাত গীতিকার,সুরকার ও গায়ক হয়েও কবিগুরু কেন লালন সংগীতে মন সমর্পন করেছিলেন? কি এমন লুকায়িত জীবন দর্শনের সন্ধান তিনি সেখানে পেয়েছিল? কিসের এমন দুর্নিবার আকর্ষনে তিনি বাউল জীবনের গভীরে প্রবেশে ব্রতী হয়েছিলেন?শুধু নিজে এ রস আস্বাদনের চেষ্টা করেছেন এমন নয়। বিভাজিত ধরণীর বালুমহলে সে রস ছড়িয়ে দিয়ে উত্তাপ কমাতে তৎপর হয়েছেন।যাই হোক, জীবনের জন্যে যদি জীবন হয়, মানবের তরে যদি মানবের ঠিকানা হয় তাহলে লালন দর্শনে রবি ঠাকুরের অবগাহন অত্যন্ত ব্যঞ্জনাময়, আকর্ষনীয় ও চিত্তাকর্ষক তা বলাই বাহুল্য। তাই, সে আঙ্গিকে উপরের প্রশ্নসমুহের উত্তর হয়ত আমরা কিছুটা নিম্নোক্ত আলোচনা থেকে পেতে পারি।



সাঁইজির গান শুনে কবিগুরু রীতিমতো বিমোহিত হয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। ভাবসাগরে ডুব দিয়ে তাই বিলক্ষন জেনেছেন ও বুঝেছেন লালন দর্শন ফুরাবার নয়।নিরন্তর প্রবাহমান সে উৎস। উৎসমুলে যা প্রগাঢ় শক্তিমত্তা নিয়ে প্রস্ফুটিত তাই গানে গানে বিকশিত হয়েছে শতদলে। আর এ কারনেই হয়ত,লালনের গান প্রথম কবিগুরুই বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে সচেষ্ট হন।‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’ গানটি কবিগুরু ইংরেজীতে ভাষান্তর করে বিশ্ববাসীর সামনে এ মহান সাধক ও দার্শনিক কে তুলে ধরেন।যার ফলে দেশীয় পরিমন্ডল ছাড়িয়ে বর্হিবিশ্বেও এ মানবতাবাদী গায়ক,সাধক ও দার্শনিকের চিন্তা-চেতনা ও জীবনদর্শন অবগুন্ঠনের খোলস ছেড়ে প্রস্ফুটিত পুষ্পের ন্যায় দৃশ্যমান হয়ে উঠতে থাকে।এভাবে, ধীরে ধীরে সাঁইজি সমগ্র বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে থাকনে।আজ তো বিশ্বব্যাপী লালন দর্শন নিয়ে রীতিমত গবেষনা শুরু হয়েছে।


অখন্ড অবসরে কবিগুরু অনেক সময় কাটিয়েছেন বাউলদের সাথে। দেখেছেন তাদের অতি সাধারন জীবন। কিন্তু তার চেয়েও অবাক বিস্ময়ে শুনেছেন, চমকিত হয়েছেন এ সকল বাউল ফকিরদের সাধারন শব্দচয়ন এর মাঝে লুকায়িত গভীর জীবন দর্শনে। বিস্ময়াবিভূত কবিগুরু তাই বলছেন-‘লালন ফকির নামে একজন বাউল সাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেন – আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ’। যার সোজাসাপ্টা অর্থ হচ্ছে, কবিগুরু ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনের গুরুত্ব অন্তরের গভীরতম স্থানে অনুভব করতে পেরেছিলেন। অনুভবের সে ডালির প্রকাশ তাই হয়তো উপর্যুক্ত মন্তব্যের মাধ্যমে-ই তিনি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন এবং অন্য সকল পন্ডিত ও জ্ঞাণীগুনীজনের মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করেছেন।



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



লালনের গানে কোন দর্শন নেই, যা আছে তা হলো পেছনে পড়া দরিদর শ্রেণীর মানুষের বেঁচে থাকার কাহিনী।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

লালনের মনের মানুষ বলেছেন: লালনের গান যেন এক অসীম শক্তির আঁধার যার কেন্দ্রে আছে শুধুই মানুষ। মানবতাবোধ যার একমাত্র উপজীব্য। কিন্তু মানবতাবোধে কতজন আমরা নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি? নাকি নানান ফন্দি ফিকিরে আমরা মানবতাবোধকে দলিত মথিত করে চলেছি প্রতিনিয়ত? সমাজ পরিমন্ডলে কি আমরা এমন কোন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি যেখানে মানবতাবোধকে লালন পালন করা হয়ে থাকে? উত্তর হচ্ছে না। আর পারিনি বলেই হয়তো সাঁইজির ভাষায় তা ‘কানার হাট-বাজার’। তাই, কানার এ হাট-বাজারে লালনের পরামর্শ ভাবনার জগতে ঢেউ তোলে। লালন তাই বলছেন ‘সহজ মানুষ ভজে দেখ নারে মন দিব্যজ্ঞানে / পাবিরে অমুল্য নিধি বর্তমানে’। তবে ধীরে হলেও লালন এখন অভিজাতকুলেরও আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে।বাউলদের শ্রেষ্ঠধন লালনকে এখন বিদেশ বিভুয়ের মানুষজনও জানতে চায়। লালন দর্শনের রস আস্বাদন করতে চায়।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অনর্থদর্শী বলেছেন: লালন সাঁই-এর গানে দর্শন নেই, কথাটা বোধহয় একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো। @চাঁদগাজী

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৮

লালনের মনের মানুষ বলেছেন: লালনের গান যেন এক অসীম শক্তির আঁধার যার কেন্দ্রে আছে শুধুই মানুষ। মানবতাবোধ যার একমাত্র উপজীব্য। কিন্তু মানবতাবোধে কতজন আমরা নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি? নাকি নানান ফন্দি ফিকিরে আমরা মানবতাবোধকে দলিত মথিত করে চলেছি প্রতিনিয়ত? সমাজ পরিমন্ডলে কি আমরা এমন কোন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি যেখানে মানবতাবোধকে লালন পালন করা হয়ে থাকে? উত্তর হচ্ছে না। আর পারিনি বলেই হয়তো সাঁইজির ভাষায় তা ‘কানার হাট-বাজার’। তাই, কানার এ হাট-বাজারে লালনের পরামর্শ ভাবনার জগতে ঢেউ তোলে। লালন তাই বলছেন ‘সহজ মানুষ ভজে দেখ নারে মন দিব্যজ্ঞানে / পাবিরে অমুল্য নিধি বর্তমানে’। তবে ধীরে হলেও লালন এখন অভিজাতকুলেরও আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে।বাউলদের শ্রেষ্ঠধন লালনকে এখন বিদেশ বিভুয়ের মানুষজনও জানতে চায়। লালন দর্শনের রস আস্বাদন করতে চায়।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অনর্থদর্শী বলেছেন: লালন সাঁই-এর গানে দর্শন নেই, কথাটা বোধহয় একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো। @চাঁদগাজী

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

সজীব মোহন্ত বলেছেন: ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.