নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শত অসাধারণ এর ভিতরে সাধারণ আমি..আর সহস্র সাধারণ এর ভিতরে আমি নগণ্য..সেই নগণ্যতার মাঝেও নিজেকে কিছুটা গণ্য বলে প্রমাণ করতে চাই..প্রমাণ করতে চাই, হারতে গিয়েও জিতে যাবার মতো কোনো দুর্লভ অনুভূতির...

আবির আহমেদ খান

শূন্যতাকে, পূর্ণতার সাথে যোজন বা বিয়োজন করা কি সম্ভব? যেহেতু, পূর্ণতার কোনো সাংখ্যিক রূপ/চিহ্ন নেই!সেহেতু, সম্ভব না!! আমিও পূর্ণতা নামক মোহ পাবার আশায় শূন্যতকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি!! আবার শূন্যতা নিয়েই হয়তবা বিদায় নিবো একদিন

আবির আহমেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারপরো কেউ মানিয়ে নিক!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

এ শহরের মানুষগুলো বেশ অদ্ভুত !!
সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছে যার যার প্রয়োজনে!!

কেউ ছুটে চলছে টাকার পিছনে তার পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য!
দিন শেষে, কিছু টাকা আয় না করতে পেরেও,
বাসার ফোটক দিয়ে ঢোকার বেলায় "মিথ্যে হাসি" নামক অস্ত্রটির মাধ্যমে সকলকে
বুঝোতে ভুলে যাননা যে তিনি " ভালো না থেকেও ভালো আছেন "!!
মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবারাই পারে!
তাদের জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো!

কেউ ভালোবাসার মানুষটির মাঝে, তার অসীম ভালোবাসার বিনিময়ে কিছুটা
ভালো ব্যবহার আশা করে, কিছু ভালো মোমেন্ট আশা করে!!
দিনশেষে মানুষগুলো কখনো ভালো কিছু পায় না!!
পেয়ে থাকে কিছু অবহেলা!
ভালোবাসার মানুষটির সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া ছেলেটি
কিঞ্চিৎ কালো হবার কারনে ছেলেটি মেয়েটির সাথে মানায় না!

ভালোবাসার যোগ্য নয় ভেবে,
নিজেকে নিস্তব্ধতায় নিয়ে যাওয়া মানুষগুলো কি স্বপ্ন দেখতে জানেনা?
তারাও স্বপ্ন দেখে, তাদের ও হয়তবা কখনো লাল টুকটুকে বউ হবে!

দিনশেষে,
এই মানুষগুলো ও কিছুটা প্রশান্তি নিয়ে ফিরতে পারেনা!
কেউ জেনে যাবে বলে সবার সামনে "মিথ্যে হাসি " খুব ভালোই ব্যবহার করতে
পারেন তারা!
কিছুটা আঘাত পেলেও রাতের আকাশের তারাগুলোর মধ্যে উজ্জ্বল তারাটিকে
প্রিয় মানুষরূপী বানিয়ে অভিমান গুলো বলতে এই মানুষগুলো দ্বিধাবোধ করে না!


মানুষগুলো যে বেশ স্বপ্নবিলাসী!


হয়তবা একদিন আসবে,
যেদিন মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবাগুলো তার ছেলেমেয়ের আবদার
গুলোকে খুব সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিতে পারবে!
সেদিন হয়তবা বাবাগুলো মন খুলে হাসতে পারবে!!
ওই হাসির মাঝে থাকবেনা কোনো রহস্য!


কিঞ্চিৎ কালো ছেলেগুলোর জীবনেও হয়ত একদিন বেনারসি পড়া
লাল টুকটুকে সুন্দরী বউ আসবে!!
মানিয়ে নিবে তার অভিমান গুলো!
রাস্তা দিয়ে একসাথে হাঁটার বেলায় ও হয়তবা কোনো সংশয় থাকবে
না! শত বাজে কথার ভিরেও তাদের একে অপরজনকে
মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটার মাঝে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না!


সেদিন হয়তবা মেয়েটির শত বাজে কথা মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা নিয়ে
ছেলেটির চোখ দিয়ে দুফোটা সুখের জল পরতে পারে!!
যে সুখটি, যে আনন্দটি সে অন্যের ভিতর খুজে ছিলো!

চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরলেও,
মনে মনে হাসবে আর বলবে :-

" শেষমেশ আমার সাথে কেউ একজন মানিয়ে নিলো!"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.