নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু ছােলহ

আবু ছােলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারে দিয়েছি হৃদয়ে ঠাঁই, তারে কী করে দূরে সরাই? যাকে ভালবাসতাম সবচেয়ে বেশি, তাকে ঘৃনা করি কোন জ্ঞানে?

০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬



ডা: জাকির নায়েকের যুক্তিপূর্ন সুন্দর সাবলিল দাওয়াতী বক্তব্য, তুলনামূলক ধর্মতত্ব আলোচনা তাকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গন্য করার জন্য যথেষ্ট। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাকে সাধুবাদ জানাই।

তিনি তার উস্তাদ আহমাদ দিদাত থেকে যে বিষয়গুলো রপ্ত করেছেন, সে বিষয়গুলো তিনি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে ইসলামের অনেক বড় উপকার করেছেন। এজন্য আমরা তার জন্য মন থেকে দুআ করি। তার কল্যান কামনা করি।

কিন্তু তিনি হাজার বছর পূর্বে বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কেরাম কর্তৃক সমাধানকৃত ইসলামী শরিআতের ইখতিলাফী (মতবিরোধপূর্ন) মাসআলাগুলোকে নতুন করে উস্কে দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের যে বিভ্রান্ত ও দিশেহারা করেছেন, তার এহেন কর্মকান্ড তার মত সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির জন্য অনধিকার চর্চার শামিল। এই অপকর্মের জন্য তাকে ধিক্কার জানানো ছাড়া উপায় থাকে না।

তিনি আরবি ভাষাজ্ঞানে কতটা পারদর্শী সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে কুরআন হাদিস বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য আরবি ভাষার লুগাত, বালাগাত, ফাসাহাত, মানতিক, ইলমে ছরফ, ইলমে নাহু ইত্যাকার যেসব বিষয়ে পারদর্শীতার আবশ্যক রয়েছে, তিনি তার ধারে কাছেও কোনো দিন যান নি। কুরআনের অনুবাদ দেখে, আর হাদিসের অনুবাদ পড়ে তিনি শরিআতের মাসআলা-মাসায়েল প্রনয়নের দু:সাহস দেখিয়ে নি:সন্দেহে চরম নিন্দনীয় এবং গর্হিত কাজ করেছেন। ডা: নায়েকের অজ্ঞতাপ্রসূত এ অনধিকার চর্চার ফল আমরা দেখতে পাই আমাদের সমাজের অলিন্দে অলিন্দে। নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে একটি মাত্র উদাহরন দিচ্ছি, যদিও এদেশে তারাবীহ নামাজ নিয়ে দ্বন্ধ ছিল না। দলমত নির্বিশেষে এদেশের সকল মুসলমান পবিত্র হারামাইন শরীফাইন (মক্কাতুল মুকাররমাহর বাইতুল্লাহ এবং মদিনাতুল মুনাওওয়ারাহর মসজিদে নববী) কে অনুসরন করে সাহাবীদের সম্মিলিত আমলকে ফলো করে ২০ রাকাআত তারাবীহ আদায় করে এসেছেন। কিন্তু প্রায় দেড় হাজার বছর পরে জাকির নায়েক এলেন নতুন ৮ রাকাআতের ফতোয়া নিয়ে। তিনি তার কাজ করলেন টেলিভিশনের পর্দার আড়ালে বসে। তার টিকিটিও কেউ ধরতে পারছে না। সমাজের কাদা ছোড়াছুড়ির একটুও তার গায়ে গতরে লাগছে না। কিন্তু মসজিদে মসজিদে আজ হাঙ্গামা। বিবাদ বিসম্বাদের অন্ত নেই। তার অন্ধ অনুসারী একদল লোক এই সমাজে তিনি তৈরি করে গেছেন, যারা বিশ্বাস করেন, ডা: জাকির নায়েক ভুল করতে পারেন না। জাকির নায়েকের ভুল হতে পারে না। জাকির নায়েকের প্রতি তাদের অন্ধ বিশ্বাস, অতি ভক্তি কিংবা নির্জলা আবেগ এদেরকে বিবেকহীন বস্তুতে পরিনত করেছে। এই শ্রেনির লোক উগ্রবাদের বিষবাষ্প ছড়ায়। কথা-বার্তায় বেআদব। এদের অধিকাংশের কাছে সাহাবীদের উর্ধ্বে জাকির নায়েকের অবস্থান। জাকির নায়েক সাহাবীদের তেমন গনায় ধরেন বলে দেখা যায় না। অলী আউলিয়া, সালফে সালেহীনগনের কথা তো হিসেবেরই বাইরে।

ডা: জাকির নায়েক এবং তিনি যে মতের অনুসারী তাদের নিকট বর্তমান অনেক আমলই মূল্যহীন। শুধু মূল্যহীন বললে কম বলা হবে। তাদের নিকট মুসলমানদের অধিকাংশ সুসাব্যস্ত আমলই বিদাআত কিংবা হারাম। যেসব দলিলহীন উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে এরা সমাজে ফিতনা ছড়ানোর চেষ্টা করে তার মধ্যে রয়েছে-

১। জুমুআর ফরজ সালাতের আগে এবং পরে ক্কাবলাল জুমুআ এবং বা'দাল জুমুআ সুন্নত নামাজ নেই।

২। নামাজের পরে দুআ মুনাজাত নেই।

৩। তারা তাহাজ্জুদের হাদিসকে তারাবীহর হাদিস বলে ভুল ব্যাখ্যা করে নিজেরা নামাজে ফাঁকি দেয় এবং অপরাপর নামাজীদের মনে অসওয়াসার সৃষ্টি করে তাদের ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে।

৪। মদিনা শরীফে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজায়ে আতহারে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে না। গেলে বিদাআত হবে।

৫। বিশ্বব্যপী প্রচলিত তাবলিগ জামাআতে যাওয়া যাবে না। যাওয়া হারাম।

৬। ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে দুআ করা যাবে না। বিদাআত।

৭। মহিলাদের মসজিদে নামাজে যোগদানে কোনো সমস্যা নেই।

৮। মহিলাদের মুখ (চেহারা) না ঢাকলেও পর্দা রক্ষা হয়ে যাবে।

৯। জুমুআর খুতবাহ আরবিতে হওয়া জরূরী নয়। যে কোনো এলাকার মাতৃভাষায় হতে পারে।

এরকম কত যে বিতর্কিত ফতোয়া। কত যে বিতর্ক ফাঁদিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা। এদের কাছে কত যে বাহানা। আমল চুরি করার জন্য, আমলে ফাঁকি দেয়ার জন্য কত যে ধান্ধা, আল্লাহ পাক মা'লূম। এদের কাছে এককথায় দুআ বিদাআত। নফল সালাত বিদাআত। দরুদ বিদাআত। মিলাদ বিদাআত। ঈসালে সাওয়াব বিদাআত। আরও কত কি!

এসবের ব্যাপারে কথা বললেই নায়েক পন্থীগন আপনাকে বলে বসবেন, জাকির নায়েক এসে আপনাদের রুটি রুজির পথ বন্ধ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে আপনারা লেগেছেন। জাকির নায়েক ভুল করতেই পারেন না।

নায়েক ভক্তগনের অধিকাংশকেই দেখা যায়, আলেম-উলামাদের এরা সম্মান দিতে শিখেন নি। মুরব্বিদের পর্যন্ত এরা গনায় ধরে কথা বলে না। মোবাইলে হাদিসের (শুধুমাত্র বোখারী শরীফ) অনুবাদ পড়ে এরা একেকজন মহাপন্ডিত। বিরাট বিশাল মুহাদ্দিস। কখনো আলেম-উলামা, মাদ্রাসা-মসজিদ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের গালি গালাজ করে তো, আবার কখনো মাযহাবের ইমামদের গোষ্ঠী উদ্ধারে ব্যস্ত থাকে। এদের অধিকাংশের চেহারা সূরতে একটি সুন্নতের চিহ্ন পর্যন্ত পাবেন না। কিন্তু বাকপটুতায় দেখবেন, এই ছোকড়াদের প্রত্যেকে যেন একেকজন জাকির নায়েকেরও ওস্তাদ। জাকির নায়েককে এজন্যও আরেকটি ধন্যবাদ দিতে হয়। তিনি একটি বেআদব প্রজন্ম সৃষ্টি করতে পেরেছেন, যাদের কাছে আলেম-উলামা, হাফেজ, ক্কারী, মাওলানা বলতে কিছু নেই, যাদের কাছে সম্মানের পাত্র কেবল টিভিতে কুরআন হাদিসের নামে, গালভরা মিথ্যে বুলি আওড়ায় যে ক'জন নামধারী আলেম। যাদের উদ্দেশ্যই সমাজের অন্দরে-কোন্দরে, ভেতরে-বাহিরে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা। শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা। দেড় হাজার বছর যাবত আচরিত নির্ভরযোগ্য দলিল প্রমানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য আমল থেকে মানুষদের ধোঁকা দিয়ে সরিয়ে নেয়ার পায়তারা যারা করেন, এদের কাছে তারা 'শাইখ' নামে পরিচিত। এই 'শাইখ' নামের দুর্বৃত্তগন কাদের উচ্ছিষ্টভোগী তার খবর অনেকের নিকট না থাকলেও সত্য লুকানোর উপায় নেই। এরা সউদি আরবের তেল অার স্বর্ন বেচা অর্থে এদের উদর পূর্তি করেন। রিয়াল আর পেট্রোডলারের চকচকে বান্ডিলে এদের চেহারায় চিকনাই বাড়ে।

আমরা জাকির নায়েক এবং তার অনুসারীদের এ জনপদের মুসলমানদের ঈমানে-আমলে-ইবাদাতে অসওয়াসা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মত নিকৃষ্ট কাজগুলো করতে বিতর্কিত ফতোয়া দেয়ার মত গর্হিত কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে তারা বরং তাদের দাওয়াতী কাজে মনযোগী হোন। তারা হক্কপথ প্রাপ্ত হোন।

এ আহবান শুধু আমরা জানাচ্ছি বিষয়টি এমন নয়, বরং তার কল্যাণকামী, তার পথ ও মতের অনেক আহলে হাদীস আলেমও করেছেন। উদাহরন স্বরূপ- পাকিস্তানের লা-মাযহাবী আলেম শায়েখ আবু যায়েদ জমীর, এবং লা-মাযহাবী আলেম শায়েখ মেরাজ রব্বানী এবং শায়েখ তাউসীফুর রহমানও করেছেন। আল্লাহ পাক হিফাযত করুন।

আমরা আগেই বলেছি, জাকির নায়েক সাহেব যেমন ভাল কাজ করেছেন, তেমনি এমন কিছু বিতর্কিত কাজ করেছেন যা তার ভাল কাজের উপর অনেকাংশেই পর্দা ফেলে দেয়।



আমেরিকার গোলামীতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত সৌদী সরকার কাউকে পুরস্কৃত করলেই তিনি ইসলামের সুবিশাল খাদিমের স্বীকৃতি পেয়ে যান না। একথা মনে রাখতে হবে। ইসলামের প্রকৃত খাদিম সেই ব্যক্তি, যার সব কিছুতে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে। যারা প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ সম্মত আমল। মেজাজে শরীয়ত অনুপাতে যিনি দ্বীনের খিদমাত আঞ্জাম দিয়ে যান, তিনিই প্রকৃত দ্বীনের খাদিম। যদিও দুনিয়াবী কোন বাদশা থেকে স্বীকৃতি না পান।

যেহেতু এ উপমহাদেশে ইসলাম হানাফী উলামাগণ এনেছেন। ইসলাম আনার পর থেকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে সংকলিত ফিক্বহে হানাফী অনুপাতে উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষ হাজার বছরাধিককাল যাবত আমল করে আসছে।

যদি আমলগুলো কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী হতো, তাহলে অভিযোগ উত্থাপন ছিল যৌক্তিক। কিন্তু আমলগুলো কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত হবার পরও সাধারণ মুসলমানদের সামনে একই মানের বিপরীতমুখী আমলের দলীল উপস্থাপন করে মসজিদে মসজিদে বিভেদ সৃষ্টি করা খুবই অন্যায় ও গর্হিত।

যেখানে সৌদী আরবের সম্মিলিত ফাতওয়া বোর্ড এবং প্রধান মুফতীদের ফাতওয়া হল, যে এলাকায় কুরআন ও হাদীসভিত্তিক যে মাযহাব প্রচলিত সেখানে সেটিই আমল করবে। ভিন্ন আমল চালু করে ফিতনা সৃষ্টি করবে না।

সেখানে, ঘরে ঘরে, মসজিদে মসজিদে, এলাকায় এলাকায় মানুষের মাঝে সালাতসহ ইবাদতের মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে ভিন্ন আমল প্রতিষ্ঠা করে ফিতনা সৃষ্টি করা কতটা জঘন্য কাজ তা আশা করি বিজ্ঞ কাউকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই।

অনেককে দেখা যায়, ডা: জাকির নায়েককে ইহুদীদের দালাল ইত্যাদি বলে থাকেন। এটা বলা কি আদৌ ঠিক?

প্রশ্নটির উত্তরে বলা যায়, এটি আদৌ ঠিক নয়।

আমরা জানি, ইহুদী এবং খৃষ্টানদের মূল থিউরী হল, ডিভাইড এন্ড রোল। অর্থাৎ বিভেদ সৃষ্টি করে শাসন কর।

অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে সামনে এনে মুসলমানদের পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত করে শক্তি ক্ষয় করে মূলত যেহেতু ইহুদীদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে জাকির নায়েক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মাধ্যমে, এ কারণেই হয়তো অনেকে তাকে ইহুদী ও খৃষ্টানের দালাল নামে অভিহিত করে থাকেন।

তিনি সরাসরি যদি দালালী না করেও থাকেন, কিন্তু তার কর্মের মাধ্যমে দালালী প্রতিভাত হয়।

আমরা তার ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করি। কিন্তু তার ফিতনামূলক কাজগুলোর জন্য তার ভুলগুলো শুধরে দিয়ে তাকে সংশোধনের উদাত্ত আহবান জানাই।

জাকির নায়েক সাহেব আমাদের জানা মতে একজন মুসলিম। হয়তো না জেনে মারাত্মক কিছু ভুল করেছেন। আশা করি তিনি তার ভুলগুলো থেকে তওবা করে দ্বীনের সত্যিকার দাঈ হবেন।

কিন্তু তাকে ইহুদী কিংবা ইহুদীদের দালাল বলা সম্পূর্ণরূপে অন্যায় এবং হারাম। কোন মুসলমানকে কাফের বলা হারাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন।

এক হাদীসে ইরশাদ হচ্ছেঃ

عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮}

তাই তাকে বিধর্মী, কাফের বা ইহুদী, অথবা ইহুদীদের দালাল ইত্যাদি সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিশেষে আমরা ডা: জাকির নায়েকের অব্যহত সাফল্য এবং অভাবিত কল্যান কামনা করছি। পাশাপাশি বিরোধপূর্ন মাসআলা-মাসায়েল বিষয়ে ভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে দলিল প্রমানাদির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ও সহস্রাধিক বছর যাবত আচরিত মাযহাবের আমল থেকে সাধারন মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখার অপচেষ্টার মাধ্যমে সমাজে বিবাদ-বিসম্বাদ সৃষ্টি করার তার এ অনৈতিক এবং অনধিকারচর্চামূলক বিভ্রান্তি পরিবিস্তৃতির কাজ থেকে তাকে বিরত থাকার হৃদয় নিংড়ানো আহবান জানাচ্ছি। সত্যি বলতে কি, ডা: জাকির নায়েক আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দেয়া একজন মানুষ। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিই কী করে? যাকে ভালবাসতাম সবচেয়ে বেশি, তাকে ঘৃনা করি কোন জ্ঞানে? আল্লাহ পাক তাকে এবং তার অনুসারীদের হক কথাগুলো বুঝার এবং হকের পথে চলার তাওফিক দিন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: প্রিয় মানুষ কে নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

আমার নতুন গল্প।
"""ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট""""
লিংক
(Click This Link)
এক বার ঘুরে আসার বিনীত অনুরোধ রইল।
আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে ।

০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



মন্তব্যে আসায় ধন্যবাদ। আপনার গল্পটি পড়ে এলাম। সুন্দর লিখেছেন। শিক্ষনীয় বটে।

ভাল থাকুন।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

বিজন রয় বলেছেন: ঘৃণা করলেও আসলে ভাল না বেসে পারা যায় না।
ভালবাসার মানুষটির এমনই ক্ষমতা।

০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



সেটাই।

কিন্তু একজন দায়ী (আহবানকারী) এবং তার্কিক হিসেবে তার খ্যাতি এবং পারদর্শীতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু ইসলামী শরীয়তের খুঁটিনাটি বিষয়ে ফতোয়া দেয়ার কাজটি শুধুমাত্র একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ মুফতী সাহেবই করতে পারেন। এটি ডা: জাকির নায়েকের অনধিকার চর্চা বৈ কিছু নয়। তার অজ্ঞতা এবং অপারগতা সত্বেও ফতোয়ার দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেয়ার মত অনধিকার চর্চার অশুভ ফলাফল আজ সমাজ দেহকে নর্দমার আস্তাকুড় বানিয়ে ছাড়ছে। মসজিদে মসজিদে, মুসল্লী মুসল্লীতে ঝগড়া বিবাদ, মারামারি, হানাহানি ইবাদতেও অশান্তি।

অনেক সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক অভিনন্দন। লাইক প্রদানে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকবেন।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

খান ইখতিয়ার বলেছেন: খুব সুন্দর একটি লেখা।
ডাক্তার জাকির নায়েক একজন জ্ঞানী মানুষ, গুণী মানুষ।কিন্তু সেটা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে, ইসলামী ফিকহে নয়।
ইসলামী ফিকহ এমন একটি বিষয় যা আরবী শাস্ত্র ও আপনার উল্লেখিত বিষয়াবলীতে দক্ষতা ছাড়া রপ্ত করা সম্ভব নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনাব নায়েকের মৌলিক জ্ঞানও না থাকাতে যখনি তিনি ওদিকে পা দিচ্ছেন, বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
এ কাজটি স্বয়ং আহমদ দীদাত কখনো করতেন না, তাকে কোন ফিকহী মাসালা জিজ্ঞেস করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করতেন এবং সেটা জানার জন্য আলেমের দ্বারস্থ হতে বলতেন। এক্ষেত্রে শায়খ দীদাতের অনুসারী দাবীদার নায়েক ঠিক বিপরীত। এটাই তাকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে।
আল্লাহ পাক সবাইকে বুঝার তাওফিক দিন, আমীন।

০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটি বেশ ক'বার পড়েছি। অসাধারন একটি মন্তব্য মনে হল এটিকে। সংক্ষেপে মূল মেসেজটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। আপনার ব্লগে গিয়ে অফলাইনে ঘুরে এসেছি। ভাল লেগেছে। আবারও যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।

আপনাকে অনুরোধ করবো, আারেকটু বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। সবার সাথে মিশতে চেষ্টা করুন। মন্তব্যে ছড়িয়ে দিন ভালবাসার দ্যুতি। আন্তরিকতার বহিপ্রকাশ ঘটুক হৃদ্যতায়।

ভাল থাকুন।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: জাকির নায়েককে আমার ব্যবসায়ী বলে মনে হয়।

০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

আবু ছােলহ বলেছেন:



ব্যবসা করেছেন কি না জানি না, তবে তিনি এই সমাজকে ফিতনা ফাসাদ ঝগড়া বিবাদের একটি রাস্তা আবিষ্কার করে দেয়ার কৃতিত্ব নিশ্চয়ই দাবি করতে পারেন। তার ইসলামী ফিকহী মাসআলাগত বিষয়ে অনধিকার চর্চার ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। তার ভাল ভাল কাজগুলো এর নিচে ঢাকা পড়ে গেছে।

অনেক শুভকামনা।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

সনেট কবি বলেছেন: আমি তাকে খুব অপছন্দ করি।

০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০০

আবু ছােলহ বলেছেন:



নিশ্চয়ই অপছন্দের পেছনে যৌক্তিক কারন রয়েছে। তিনি কোনো আলেম-উলামাদের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন, এমনটা শুনিনি। সমসাময়িক ইসলামী কোনো পন্ডিত, প্রচলিত এবং নিয়মতান্ত্রিক সিলসিলার মাদরাসা ভিত্তিক কোনো বরেন্য আলেম উলামার সাথে তার ওঠাবসা ছিল এরকমও জানা যায় না।

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একটা আজাইরা পোস্ট। পীর আর মিলাদ ব্যবসায়ীদের পোস্ট। জাকির নায়েক এগুলোর ব্যবসা বন্ধ করেছে - কথাটা ভুল নয়। জাকির নায়েকের আসার আগ থেকেই তারাবীহ ৮ রাকাত প্রচলিত আছে, জাকির নায়েক আসার আগে থেকেই কোনগুলো বিদআ'ত তা নির্ণয় করা হয়েছে। পার্থক্য শুধু জাকির নায়েকের বক্তৃতা আমরা শুনতে পেয়েছি। আপনাদের তথাকথিত আমলগুলো শুধু এই ভারতীয় উপমহাদেশেই চালু আছে। আরবরা এসব আমলের কথা শুনলে হাসে...

০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন। আপনার মত লোকের কাছে এই পোস্ট আজাইরা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। ডা: জাকির নায়েক ভুল করতে পারেন না, এই থিউরীতে আপনারা যারা একমত, তাদের কাছে ইসলামের সকল সমাধান খোজার জন্য জাকির নায়েকই একমাত্র অবলম্বন। আপনাদের অনেকের ধারনা, জাকির নায়েক না এলে ইসলাম এতদিনে শুকনো মরুভূমিতে পরিনত হত। পৃথিবী থেকে প্রায় ইসলামের অস্তিত্বই বিলীনের পথে চলে যেত। জাকির নায়েক এসে ইসলামকে বাঁচিয়েছেন।

আপনাদের মত আরবের লূ হাওয়া খাওয়া ভাটি অঞ্চলের কিছু লোক, যারা মরুর উট আর দুম্বার স্বাদ আস্বাদন করার কিসমত পেয়েছেন, এদের কাউকে কাউকে দেখেছি, ইসলামের তথাকথিত সংস্কারের নামে বিপথগামিতায় আরবদেরও ছাড়িয়ে যান। মনে রাখাটা অযৌক্তিক হবে না, আরব মানেই সঠিক ইসলামের অনুসারী নয়। আরবদের থেকে ইসলামের সূচনা। ফিতনার সূচনাও তাদের থেকে।

কয়েক বছর কিংবা এক দেড় যুগ মধ্যপ্রাচ্যে থেকে দেশে এসে এদের অধিকাংশেরই চালান চোতার ঠিক থাকে না। না মানে মাযহাব, না জানে হাদিস, শাইখ নামের তল্পিবাহকদের শিখিয়ে দেয়া বুলি অনর্গল কপচাতে থাকে, একসময় রনেভঙ্গ দেয়। এবং ফিরে আসে পুরাতনে। সঠিক আমলে।

যদিও আপনি পোস্টের আগাগোড়া অনুধাবন না করেই মন্তব্য করেছেন তবু আপনার মন্তব্যটা অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারন এই মন্তব্য এই পোস্টে উল্লিখিত জাকির নায়েকের প্রতি আপনাদের অন্ধ প্রেম প্রমান করে। কষ্ট করে মন্তব্যে এসে এই সুযোগটুকু দেয়ায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

জাকির নায়েককে আমরাও ভালবাসি। তবে তার অন্ধভক্ত কখনো নই। তার ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার সাহসও আমাদের হারিয়ে যায়নি অতিরঞ্জন কিংবা অতি ভক্তির কারনে। কথায় বলে না, অতি ভক্তি চোরের লক্ষন। এই অতি ভক্তিই আমাদের ধংস করছে। আল্লাহ পাক ক্ষমা করুন।

ভাল থাকুন সবসময়।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জাকির নায়েক দায়ী হইতে পারেন, আলেম নন! মাছালা বা ফতোয়ার বিষয় হইলে ওলামায়ে হকের কাছেই যাইতে হইবে। তাহার অনুসারীরা এই সহজ জিনিসটা বুঝিতে চাহে না ! পীর, মাজার ব্যাবসা, বিদাত বন্ধ করার ক্ষেত্রে না জাকির সাহেবের কোন অবদান আছে না তাহাদের অনুসারীদের ! ওলামায়ে হকদের রিজিক জাকির সাহেবের অনুসারী বা সাধারণ মানুষের কাছে নহে , আল্লাহতায়ালার কাছে। তাহাদের কাছে হইলে বহু আগেই ওলামায়ে হক বিলুপ্ত হইয়া যাইত। তবে বিতর্ক তৈরী করিয়া ওলামায়ে কেরামের এলেম চর্চা বাড়াইতে তাহাদের ভূমিকা আছে !

কিছু মানুষের মধ্যে নিজেকে ভিন্ন কিছু প্রমান করার একটা তাড়না থাকে। লা মাজহাবী, জাকির সাহেবের অনুসারীদের মধ্যে ইহা বেশি দেখা যায়। তবুও নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালোই বলিতে হইবে। ইহাদেরকে ওলামায়ে হক একেবারে বাতিলের খাতায় ফেলেন নাই ! তবে তাহাদের কারণে যে ফিতনা সৃষ্টি হইতেছে ইহা দৃষ্টিকটুও বটে। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী , তাহাদের অনুসারীরা বারবার ইহা প্রমান করিতেছে ! আফসোস হইল ইহাদের অধিকাংশই জেনারেল শিক্ষিত সম্প্রদায় যাহারা দুনিয়াবী শিক্ষায় পন্ডিত , আর ধর্মের শিক্ষায় প্রাইমারি লেভেলের জ্ঞান লইয়া ধর্মীয় বিষয়ে মূর্খদের বিভ্রান্ত করিতেছে। দাওরা ফারেগদের কাছে গেলে ইহাদের বাতাস বাহির হইয়া যায় !

০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

আবু ছােলহ বলেছেন:



জাকির নায়েক দায়ী হইতে পারেন, আলেম নন! মাছালা বা ফতোয়ার বিষয় হইলে ওলামায়ে হকের কাছেই যাইতে হইবে। তাহার অনুসারীরা এই সহজ জিনিসটা বুঝিতে চাহে না !

---অতি সহজ এই বিষয়টি তাদেরও না বুঝার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। তারা মাযহাবপন্থীদের যতই অন্ধভক্তির জন্য মিথ্যা দোষারোপ করে থাকুন না কেন, প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই যে ডা: জাকির নায়েকের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী এই ধ্রুবসত্যকে মেনে না নেয়াই তা প্রমান করে। মানে যত দোষ নন্দ ঘোষ। এই ঘোষ ব্যাটা যে কে ছিল, জানি না, কিন্তু আজকের এ যুগের ঘোষের আসনে ঠিক যেন বসানো হয়েছে মাযহাবপন্থী হক্কপন্থীদেরকে। এরা কুরআন হাদিসের উপর আমল করলেও দোষ। আর আহলে হাদিস সাইনবোর্ডধারীগন ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি, আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহমাতুল্লাহি আলাইহিসহ এই মতের প্রবক্তা অন্যান্য আলেম উলামার দিব্যি অনুসরন করার পরেও তাদের সেটাকে তাকলীদ বলা হয় না। অন্ধবিশ্বাস আখ্যায়িত করা হয় না। শিরক, বিদআত কিংবা হারামও বলা হয় না। যেমনটা ঢালাওভাবে বলা হয় মাযহাবপন্থীগনের ক্ষেত্রে।


কিছু মানুষের মধ্যে নিজেকে ভিন্ন কিছু প্রমান করার একটা তাড়না থাকে। লা মাজহাবী, জাকির সাহেবের অনুসারীদের মধ্যে ইহা বেশি দেখা যায়। তবুও নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালোই বলিতে হইবে। ইহাদেরকে ওলামায়ে হক একেবারে বাতিলের খাতায় ফেলেন নাই ! তবে তাহাদের কারণে যে ফিতনা সৃষ্টি হইতেছে ইহা দৃষ্টিকটুও বটে। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী , তাহাদের অনুসারীরা বারবার ইহা প্রমান করিতেছে ! আফসোস হইল ইহাদের অধিকাংশই জেনারেল শিক্ষিত সম্প্রদায় যাহারা দুনিয়াবী শিক্ষায় পন্ডিত , আর ধর্মের শিক্ষায় প্রাইমারি লেভেলের জ্ঞান লইয়া ধর্মীয় বিষয়ে মূর্খদের বিভ্রান্ত করিতেছে। দাওরা ফারেগদের কাছে গেলে ইহাদের বাতাস বাহির হইয়া যায় !

---সুন্দর বলেছেন। সহমত।

কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকার দুআ।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: তাহলে ইসলাম সম্পর্কে এখন আরবদের ত্যাগ করে আমাদের হাটহাজারী বা দেওবন্দের হুজুরদের কাছে যেতে হবে?

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।

আরবদের কাছে যেতে নিষেধ করা হয় নি। কুরআন, হাদিস, ইজমা এবং ক্কিয়াস মোতাবেক হকপন্থী আলেম উলামা যেখানে আছেন, যে দেশে আছেন, তাদের কাছেই যেতে পারেন। তা দেওবন্দী আর হাটহাজারী বলে কথা নেই। আলিয়া আর কওমী বলেও কিছু নেই। কিন্তু বেছে বেছে আরবদের বিভ্রান্ত অংশটির কাছে শিখতে গেলে তো পথচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আরবের সব লোককে এক পাল্লায় মাপা ঠিক নয়। এ বিষয়ে আমার একটি পোস্টে কিছু কথা বলেছিলাম। ই্চ্ছে করলে দেখে আসতে পারেন।

আরব আলেম-উলামাগণ কি মাযহাব ও তাকলীদ বিরোধী?

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

নিশি মানব বলেছেন: ওনার বিচার বিশ্লেষন ক্ষমতা অসাধারণ। মনে রাখার ক্ষমতাও মহাঅসাধারণ।
উনি যা শিখেছিলেন সেটা যদি কোন ওস্তাদের মারফতে হতো, তাহলে এতোটা বিশৃংখলা সৃস্টি হতোনা।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, বর্তমানের ইয়ং জেনারেশন। এরা কোন কিছু শিখতে চাইলে কোচদের কাছে যেতে চায়না।
নাচ বলেন, গান বলেন কিংবা কুংফু-কারাতে।রাইডিং-ড্রাইভিং, ব্যাবসা বলেন বা যে কোন জিনিস একা একা শিখতে চায়। অথবা কোন বন্ধু-বান্ধব কিংবা ভাই-ব্রাদারদের কাছে। এর কোন কিছু না হলেই ওয়েব-এ্যাপসতো আছেই। নইলে ইউটিউব। কেন যেন সিনিয়র বা বিশেষজ্ঞদের কাছে যেতে এদের অনীহা।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এরা চায় এমন কাউকে, যিনি কিনা হবেন খোলামেলা-প্রানবন্ত,ফ্রী মাইন্ডের। এর ব্যাতিক্রম পার্সন হলে রিজেক্ট লিস্টে ফেলে দেয়। তারা চায় হৈ-হুল্লোড় পরিবেশ, কথায় কথায় ফান-হাসি-ঠাট্টা।যেটা একটা সিনিয়র বা বিশেষজ্ঞের মধ্য আপনি খুব কম পাবেন। কারন জ্ঞান ও বয়স যত বেশী ভারী হয়, গম্ভীর্যতা তত বেশী বেড়ে যায়। রাগ ও শাসন করার প্রবনতা বেড়ে যায়। এ কারনে এরা সিনিয়র-বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের এভোয়েড করে। আর এখানেই সুযোগ নিয়েছে আহলে হাদীস বা এসব টাইপের লোকদের। তারা মিশে যাচ্ছে ইয়ং জেনারেশনদের সাথে। ফ্রী হচ্ছে।খোলামেলা আলাপ করতেছেন। তারা যেটা খেতে চায় সেটাই খাওয়াচ্ছে। প্রয়োজনে নীচে নামছে।

মজার কথা কি জানেন, এই ইয়ং জেনারেশনরা যখন সিনিয়র হয়ে যায় তখন প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এরা মুডি হয়ে যান।ভাব-গম্ভীর্য ধারন করেন। তখন জুনিয়রদের কথায় কথায় উপদেশ দেন।আদব-কায়দা শিখান। ভুলে যান জুনিয়র লাইফে তারা কি ছিলো।

আমাদের ইসলামিক স্কলার বা এক্সপার্টরা যতই এদের সাথে মিশে যাবেন, ততই এসব ইয়ং জেনারেশনদের বিভ্রান্ত রোধ করা যাবে। ভুল দ্রুটি থেকে উদ্ধার করা যাবে। এরা যাই করুক রক্তে মাংসে গড়া একটা মানুষ। ভাল মনের একটা মানুষ। এদের কাছে যেতে হবে। মিশতে হবে। ফ্রী হতে হবে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



দীর্ঘ, সুচিন্তিত এবং চমকপ্রদ মন্তব্য সত্যি অনেক ভাল লাগলো। আপনার মন্তব্যের সারকথাটার সাথে একমত না হয়ে উপায় নেই। বর্তমান সময়ের হক্কানী আলেম উলামাদের উচিত, আরও বেশি সাধারনের সাথে, বিশেষ করে, ইয়ং জেনারেশনের সাথে মেশার প্রবনতা বৃদ্ধি করা, যাতে তারাও আরও বেশি কাছে আসার সুযোগ পান। এতে করে বিভ্রান্তি কমার সম্ভাবনা অনেকটাই।

আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। হৃদ্যতায় আকির্ন, অনেক সুন্দর থাকুন অহর্নিশ।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

বিদুৎ বলেছেন: ভাই, আমাদের এলাকায় ছোট্টবেলা দেখে আসছি ৮ রাকায়াত তারাবী পড়তে ।
আপনি বললেন, দেড় হাজার বছর পর জাকির নায়ক নিয়ে এলেন নতুন ৮ রাকাতের ফতোয়া নিয়ে।

আর যারা মনে করে জাকির নায়েক ভুল করতে পারেন না, তারা মুর্খ ছাড়া আর কিছুই না । তবে আপনি যেগুলো বলছেন সেই গুলার লিঙ্ক দিলে আমাদের মত কম জানা মানুষের সুবিধা হয় । তারাবীহ নামায নিয়ে একটা লেকচার শুনিছিলাম ।
লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=jjchupz-oQs

- এইখানে কোনো ভুল আছে কি না, যদি ধরিয়ে দিতেন তাইলে আমাদের সুবিধা হয় ।

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০২

আবু ছােলহ বলেছেন:



মোবারকবাদ। সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। সিক্ত হলাম। আপনার কল্যান হোক। এই বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত জানতে দয়া করে দু'টি পোস্ট সময় করে দেখে নিলে কৃতজ্ঞ হব-

১। সালাতুত তারাবীহ: আকীদাহ, সুন্নাত এবং বিদ‘আত

২। তারাবীহ নামায বিশ রাকাতঃ একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা

ফ্রি সময় নিয়ে আপনার লিঙ্কটিতে গিয়ে আপনাকে জানানোর ইচ্ছে থাকলো।

অনেক ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.