নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু ছােলহ

আবু ছােলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা বলেন আচ্ছা, তারাবীহ ২০ রাকাআত এটা অন্যান্য হাদিসে আছে মানলাম, কিন্তু বুখারি শরীফে যে নেই। বুখারি শরীফে না থাকলে তা মানা যায় কিভাবে? বুখারি শরীফের দোহাই দিয়ে হাদিস অস্বীকার করার পায়তারা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮



তাদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় যে, বুখারি শরীফে না থাকলে কী তারা সেই মাসআলা পরিত্যাগ করবেন? মানবেন না?

বুখারি শরীফে মাত্র নয় হাজার বিরাশিটির মত বর্ণনা এসেছে। এর মানে কি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ তেইশ বছরের নবুওয়াতের জীবনে কওলি ও ফে'লি (বলা ও করা) সকল শরয়ী বিধানাবলী বুখারি শরীফেই সীমাবদ্ধ?

হায় হায়! এমন ধারণা করাতো হাদীস অস্বীকারেরই নামান্তর।

যদি বুখারি শরীফেই সব হাদীস থাকে, তাহলে অন্যান্য হাদীসের কিতাব লেখারই বা কী দরকার ছিল?

বুখারি শরীফ থাকার পরেও ইমাম বুখারী রহ. এর ছাত্র ইমাম মুসলিম রহ. আবার সহীহ মুসলিম লিখতে গেলেন কেন?

অন্যান্য হাদীসের কিতাবগুলো কেন লেখা হল?

দু:খজনকভাবে হাদীসের বিশাল ভান্ডার সম্পর্কে অজ্ঞ এই শ্রেনির লোকেরাই আবার নিজেদের 'হাদিসওয়ালা', 'আহলে হাদিস', ইত্যাদি নামে পরিচিত করাতে চায়। এদের প্রতি প্রশ্ন, যদি বুখারি শরীফেই সব মাসআলার সমাধান থেকে থাকে, তাহলে নামায সংক্রান্ত মাত্র দশটি মাসআলার সমাধান একটু বুখারি শরীফ থেকে দেখান তো দয়া করে:

১. বুখারি শরীফ থেকে দুই রাকাআত নামাযের পূর্ণাঙ্গ তরীকা দেখান।

২. নামাযের সব ক’টি সুন্নাত বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৩. নামাযের সব ক’টি ওয়াজিব বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৪. নামাযের সব ক’টি মুস্তাহাব বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৫. তাশাহহুদের শব্দাবলী কী? তাশাহহুদের শব্দাবলী বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৬. ঈদের নামাযের পূর্ণাঙ্গ তরীকা বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৭. জানাযা নামাযের পূর্ণাঙ্গ তরীকা বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৮. কী শব্দে আজান দিবে? শব্দাবলী বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

৯. কী শব্দে ইকামত দিবে? শব্দাবলী বুখারি শরীফ থেকে দেখান।

১০. ঈদের তাকবীর কয়টি হবে? বুখারি শরীফ থেকে দেখান।



নামায সংক্রান্ত মাত্র দশটি প্রশ্ন এখানে একত্রিত করা হল। আপনি আসুন, আপনার দাবি মতে, অন্যান্য হাদিসের কিতাব বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বুখারি শরীফই যদি শরীয়তের সকল প্রশ্নের উত্তর হয়ে থাকে, তাহলে উপরোক্ত মাসআলাগুলোর সমাধান দয়া করে বুখারি শরীফ থেকে দেখান। হাদিসের অন্য কোন কিতাব থেকে দেখানো যাবে না।

আসলে এমন সব উক্তি ও মন্তব্য হাদীস অস্বীকারকারীদের নতুন আরেক চালাকী।

আসল কথা হচ্ছে, বুখারি এবং মুসলিম শরীফ ছাড়াও সহীহ হাদীস সংকলন করা হয়েছে এমন অনেক হাদীস গ্রন্থ রচিত হয়েছে। বুখারি এবং মুসলিম শরীফের মূলনীতি অনুপাতেই যেসব হাদীস সহীহ। এমন হাদীস যা ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাদের স্ব স্ব কিতাবে আনেননি। কিন্তু তা বুখারী ও মুসলিমে আনা হাদীসের মতই সহীহ। এমন হাদীস একত্র করে “মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন” নামে আলাদা কিতাবও রচিত হয়েছে। যা এক সুবিশাল কিতাব। যে কিতাবে আট হাজার আটশত তিনটি হাদীস রয়েছে। যার কোনটিই বুখারি এবং মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়নি।

এসব হাদীসকে সহীহ হওয়া থেকে বের করে দেয়া পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কী হতে পারে?

ইমাম বুখারী রহঃ নিজেই বলেছেনঃ

فَقَدْ رُوِّينَا عَنِ الْبُخَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ: ” مَا أَدْخَلْتُ فِي كِتَابِي (الْجَامِعِ) إِلَّا مَا صَحَّ، وَتَرَكْتُ مِنَ الصِّحَاحِ لِحَالِ الطُّولِ

ইমাম বুখারী রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমি আমার কিতাবে [সহীহ বুখারীতে] সহীহ হাদীস ছাড়া অন্য হাদীস আনিনি। কিন্তু আমি অনেক সহীহ হাদীস আমার কিতাবের কলেবর বড় হবার শংকায় বাদ দিয়েছি। [মুকাদ্দিমায়ে ইবনুস সালাহ-১/১৯]

ইমাম মুসলিম বলেছেনঃ

وَرُوِّينَا عَنْ مُسْلِمٍ أَنَّهُ قَالَ: ” لَيْسَ كُلُّ شَيْءٍ عِنْدِي صَحِيحٌ وَضَعْتُهُ هَاهُنَا – يَعْنِي فِي كِتَابِهِ الصَّحِيحِ –

ইমাম মুসলিম থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেনঃ আমার কাছে “সহীহ” হিসেবে গণ্য সব হাদীসই আমার কিতাবে আনিনি। [মুকাদ্দিমায়ে ইবনুস সালাহ-১/২০]

এ বিষয়ে ইবনুস সালাহ রহঃ এর বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্যঃ

وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ” أَحْفَظُ مِائَةَ أَلْفِ حَدِيثٍ صَحِيحٍ، وَمِائَتَيْ أَلْفِ حَدِيثٍ غَيْرِ صَحِيحٍ “، وَجُمْلَةُ مَا فِي كِتَابِهِ الصَّحِيحِ سَبْعَةُ آلَافٍ وَمِائَتَانِ وَخَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ حَدِيثًا بِالْأَحَادِيثِ الْمُتَكَرِّرَةِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهَا بِإِسْقَاطِ الْمُكَرَّرَةِ أَرْبَعَةُ آلَافِ حَدِيثٍ،

ইমাম বুখারী বলেছেনঃ আমার এক লাখ সহীহ হাদীস মুখস্ত। আর দুই লাখ গায়রে সহীহ হাদীস মুখস্ত।

অথচ সহীহ বুখারীতে তাকরার [এক বর্ণনা একাধিকবার উল্লেখকরণ]সহ মোট হাদীস সংখ্যা হল, সাত হাজার দুইশত পঁচাত্তরটি। আর কেউ কেউ বলেছেনঃ তাকরার ছাড়া হাদীস সংখ্যা হল চার হাজার। [মুকাদ্দিমায়ে ইবনুস সালাহ-১/২০]

আর তালীক ও তাকরারসহ হাদীস সংখ্যা হল নয় হাজার বিরাশিটি।

এখন প্রশ্ন হল, ইমাম বুখারী রহঃ বলেছেন, তার সহীহ হাদীসই মুখস্ত ছিল এক লাখ। বুখারীতে উল্লেখ আছে মাত্র নয় হাজার। তাও তাকরারসহ। বাকি একানব্বই হাজার সহীহ হাদীস গেল কোথায়?

সুতরাং বুঝা গেল, যারা শুধু বুখারীর হাদীস হলেই মানার দাবী করেন, তারা মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের সুবিশাল ভান্ডারকে ইচ্ছা করেই অস্বীকার করার হীনপ্রচেষ্টায় লিপ্ত। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি রহম করুন। সহীহ হাদীস অস্বীকারের ভয়ানক মানসিকতা থেকে তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমাদের প্রতি রহমতের দরিয়াকে অবারিত করুন।

নিবন্ধটি তৈরিতে কৃতজ্ঞতা, আহলে হক মিডিয়ার প্রতি।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

সালমা নাসরিন৯৯ বলেছেন: ভাল পোষ্ট। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



পোস্ট ভাললাগায় কৃতজ্ঞতা।

আপনার জন্যও আল্লাহ পাকের কাছে কল্যান প্রার্থনা করছি। অনেক ভাল থাকুন।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা। শুভ হোক সুন্দর সময়গুলো। আগাম ঈদ মুবারাক।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর যুক্তিপূর্ণ পোস্ট। যারা বুখারি শরীফের হাদিস ছাড়া অন্য হাদিস মানতে চায় না তাদেরকে জিজ্ঞেস করা দরকার যে, বুখারি শরীফ লেখা না হলে তারা কিভাবে চলত?

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা অশেষ। এরা সম্ভবত: বুখারি শরীফের অজুহাত দিয়ে অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের অপপ্রয়াসে লিপ্ত।

অনেক ভাল থাকুন।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর আ‌লোচনা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

আবু ছােলহ বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা অশেষ। মন্তব্যে অভিনন্দন।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

জিরাফ বলেছেন: সুবহানআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আল্লাহ তাঁর হাবিব সাইয়্যেদুনা সাল্লালাহু তা'য়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম'এর উসিলায় আপনার ফ্যামিলি আর আপনাকে এই দুনিয়া ভাল রাখুন আর পরের দুনিয়ায় শাফা'য়াত নসিব করুন।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



আন্তরিক প্রশংসায় কৃতজ্ঞতা। আপনার প্রানস্পর্শী দুআয় আপ্লুত হলাম। আপনার জন্যও কল্যানের দুআ।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ভালো হয়েছে...

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা পাঠ এবং মন্তব্যে।

অনেক ভাল থাকুন।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: আমাদের মাঝে কতই না পন্ডিত দেখা যায়!

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



সেটাই ভাই। এসব পন্ডিতদের কারনেই সমাজে এত যন্ত্রনা।

অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

তার ছিড়া আমি বলেছেন: উপকারি পোষ্ট। ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার উপস্থিতি ভাল লাগলো। অনেক ভাল থাকবেন।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ আবু ছোলহ ( কি অদ্ভুত নাম )- ব্লগে এইসব মাজহাবগত বিতর্কিত বিষয়ে কেন পোস্ট দেন ? দেশে নামকরা মাদ্রাসার খ্যাতিমান আলেম-উলেমার কি অভাব আছে ? তাদের কাছে এইসব মাজহাবগত বিষয়ে পরামর্শ চান না কেন ? আসলে আপনি নিজ জ্ঞান জাহির করে বাহবা পাওয়ার জন্যে এইসব পোস্ট দিচ্ছেন। দয়া করে ব্লগকে মাদ্রাসার ক্লাস বানাবেন না।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

আবু ছােলহ বলেছেন:



দয়া করে অন্যের মত প্রকাশে বাধা হয়ে দাড়ানোর মত নিচু চিন্তা পরিহার করুন। ভুলে যাবেন না, এটা ব্লগ। আহলে হাদিসের তথাকথিত শাইখদের ভুল উচ্চারনে পড়া কুরআন আর ওয়াজের নামে মিথ্যে আস্ফালন ব্লগে খুঁজে লাভ হবে না।

ভাল না লাগলে না পড়েন। আমি কি লিখব, সেটা আপনার মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে, ব্লগে সম্ভবত: এরকম কোনো নির্দেশনা কর্তৃপক্ষ দিয়ে রাখেননি। সুতরাং, মন্তব্য করার পূর্বে বুঝে শুনে করলে খুশি হব।

আর আপনি পোস্ট দেন না কেন?

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



আরবি জানা থাকলে 'ছোলহ' শব্দটি আপনার কাছে অদ্ভূত নাও লাগতে পারতো। জ্ঞানের দরজা সবার জন্য উম্মুক্ত। 'ছোলহ' শব্দের অর্থ- সন্ধি, মিমাংসা, শান্তি স্থাপন ইত্যাদি। কোনো কিছু না জানাটা দোষের নয়, না জেনে আবার বাহাদুরি দেখানোটা আহমকি। তো এই নামটি দেখে এখানে 'অদ্ভূত' শব্দ উচ্চারন করে আপনি নিজেই কি একটা অদ্ভূত কাজ করে গেলেন না?

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

আবু ছােলহ বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ। আগমন, পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ আবু ছোলহ - আপনাদের মাযহাব নিয়ে কামড়া কামড়ি গত তেরশত বছর ধরে চলছে। শিয়া-সুন্নী,মাযহাবী-আহলে হাদিস,ওয়াহাবী- বেরেলভী, সুন্নি-কাদিয়ানী মধ্যের দ্বন্দ্ব/বাহাস/ ফতোয়া/বিবাদও জোরে সোরে চলছে। কিতাবের পর কিতাব লেখা হয়েছে,হচ্ছে,হবে। ফতোয়াবাজী- ও চলছে । কিন্তু কারা সঠিক সেটা বোধকরি কেয়ামতের আগে জানা যাবে না।
আপনার নামের অর্থ শান্তি স্থাপন কিন্তু পোস্ট দিচ্ছেন ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী । আপনি কি ভাবেন এইসব পোস্ট দিয়ে আহলে হাদিস ও তাদের তথাকথিত শায়খদের মন ও বিশ্বাস আপনি বদলাতে পারবেন ?

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



আবু ছোলহ - আপনাদের মাযহাব নিয়ে কামড়া কামড়ি গত তেরশত বছর ধরে চলছে। শিয়া-সুন্নী,মাযহাবী-আহলে হাদিস,ওয়াহাবী- বেরেলভী, সুন্নি-কাদিয়ানী মধ্যের দ্বন্দ্ব/বাহাস/ ফতোয়া/বিবাদও জোরে সোরে চলছে। কিতাবের পর কিতাব লেখা হয়েছে,হচ্ছে,হবে। ফতোয়াবাজী- ও চলছে । কিন্তু কারা সঠিক সেটা বোধকরি কেয়ামতের আগে জানা যাবে না।

--- কেয়ামত দেখছেন কেন? কারা সঠিক এটা অজানা নেই। সকলেই জানে। হয়তো মেনে নিতে পারে না। সত্যকে স্বীকার করে নেয়ার সৎসাহসের অভাব হোক, আর পুরাতনকে আঁকড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা যাই হোক না কেন, প্রত্যেকেই স্ব স্ব পথে চলার চেষ্টা করছে।

আপনার নামের অর্থ শান্তি স্থাপন কিন্তু পোস্ট দিচ্ছেন ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী । আপনি কি ভাবেন এইসব পোস্ট দিয়ে আহলে হাদিস ও তাদের তথাকথিত শায়খদের মন ও বিশ্বাস আপনি বদলাতে পারবেন ?

--- সমাজে ফিতনা যারা ছড়াচ্ছেন, তাদের দেখেন না কেন? আপনি ছাড়া এই পোস্টে বাকি আরও অন্তত: ৯ জন কমেন্ট করেছেন, প্রত্যেকের কাছে এই পোস্ট উপকারী মনে হল, আপনার কাছে ফ্যাসাদ মনে হওয়ার কারন কি? সমস্যা কি বাকি ৯ জনের? না কি আপনার?

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনি কোন্ দলের ভাই সাহেব? সনেট কবির কোনো এক পোস্টে দেখলাম, তাকে বাহাসে বসার জন্য আহলে হাদিসের শায়েখদের নামের প্রস্তাব করলেন। এখানে আবার তাদেরই বলছেন, তথাকথিত শায়েখ।

রহস্যই বটে!

না কি, যখন যেখানে যেমন?

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ আবু ছোলহ- আপনি তোষামোদকারীদের পছন্দ করেন। কিন্তু এইসব তোষামোদ আপনার কি উপকারে আসবে ? আমি আবার প্রশ্ন করছি, আপনি কি এইসব পোস্ট দিয়ে আহলে হাদিস ও তাদের তথাকথিত শায়খদের মন ও বিশ্বাস বদলাতে পারবেন ? গত দেড়শত বছর ধরে হানাফি আলেম-উলেমারা আহলে হাদিসদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে আসছেন । সাফল্য কি এসেছে? তার বদলে মন বড় করুন । শান্তি পাবেন।

০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

আবু ছােলহ বলেছেন:



উপরে যারা যারা মন্তব্যে এসেছেন, এরা আপনার দৃষ্টিতে তাহলে 'তোষামোদকারী'!!!!!!!!!!!!!!

এইসব পোস্ট দিয়ে আহলে হাদিস ও তাদের শায়েখদের মন ও বিশ্বাস বদল করার দায়িত্ব আমরা গ্রহন করিনি। আর তারা যে সহজেই এইসব টুকিটাকি লেখালেখির কারনেই তাদের মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষন পরিত্যাগ করবেন, এটাও আশা করা বৃথা। কিন্তু আপনি তর্কের খাতিরে বুঝতে না চাইলেও আসল সত্য হচ্ছে, সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত হাজারও মুসলিমের চিন্তার খোরাক হতে পারে এই একটিমাত্র যৌক্তিক পোস্ট। সরলপ্রান যাদেরকে ধোঁকা দিয়ে এরা তাদের দলে ভেরানোর অপচেষ্টায় রত।

আর মন বড় করার কথা বলছেন? মন তো প্রথমে আপনারটার দিকে তাকানো দরকার ছিল। কারন, আপনি হীনমন্যতায় ভুগেছেন এতটাই যে, অন্যদের সত্য কথা বলাটাকেও আপনার বরদাশত হয়নি। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে প্রকাশ্যে এসব ভুল ধরিয়ে দেয়া পোস্ট দিতেই নিষেধ করেছেন।

উপদেশ দেয়া সহজ কিন্তু গ্রহন করা ঠিকই কঠিন, ভ্রাতা। কত যে সাধু দেখলাম। সাধু দর্শনে দর্শনে চক্ষু চড়কগাছ এখন!!!

অনেক ভাল থাকুন।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা। শুভ হোক সুন্দর সময়গুলো। আগাম ঈদ মুবারাক।


ভালো থাকুন।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

আবু ছােলহ বলেছেন:



জ্বি, আবারও আপনাকে পেয়ে আনন্দিত বোধ করছি।

অনেক শুভ কামনা আবারও।

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: চলুক আলোচনা ।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

আবু ছােলহ বলেছেন:



আলোচনা চললে ভালই হত। কিন্তু কার সাথে আলোচনা করবেন? পোস্ট না পড়েই, পোস্টের মর্ম না বুঝেই, যৌক্তিকতা অনুধাবন না করেই যিনি পোস্ট দিতে নিষেধ করেন, তার সাথে?

শুভকামনা নিরন্তর।

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৩০

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ব্লগে সকল মতের উপস্থিতি একান্ত কাম্য। তবে সব কিছুই হতে হবে শালীন। অন্যকে বা ভিন্ন মতকে কোন ভাবেই আঘাত করে পোষ্ট বা মতামত দেয়া যাবে না।
আমার বা আপনার ভিন্নমতের উপস্থিতিকে কটাক্ষ্ করা যাবে না।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



সেটাই। ভাল বলেছেন। সুন্দর বলেছেন। মোবারকবাদ।

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নবী (স: ) কত রাকাত পড়েছেন বলে মনে হয়?

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

আবু ছােলহ বলেছেন:



প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তারাবীহ সালাত সম্মন্ধে একাধিক মতামতযুক্ত হাদিস পরিদৃষ্ট হয়। ২০ রাকাআত পড়েছেন বলে প্রমান পাওয়া যায় নিম্নোক্ত হাদিসে।

হাদিস ০১-

عن ابن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلى فى رمضان عشرين ركعة والوتر

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে বিশ রাকাআত এবং বিতির পড়তেন। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-২/২৯৪, হাদীস নং- ৭৬৯২, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ-২১৮, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১২১০২, মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭২, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯১}

হাদিস ০২-
عن جابر بن عبد الله قال خرج النبى صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فى رمضان فصلى الناس اربعة وعشرون ركعة واوتر بثلاثة

হযরত জাবের রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বলেনঃ রমজান মাসের এক রাতে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহিরে তাশরীফ নিয়ে এলেন। আর সাহাবায়ে কেরামকে ২৪ রাকাআত [৪ রাকাআত ঈশার, আর ২০ রাকাআত তারাবীহের] নামায পড়ালেন। আর তিন রাকাআত বিতির পড়ালেন। [তারীখে জুরজান-২৭}

সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীগণ এবং পূর্ববর্তী উত্তম জামানাগুলোর মুজতাহিদ ইমামগণের আমল দ্বারা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, তারাবী নামায বিশ রাকাত। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুম এর যুগ থেকে চলে আসা হারামাইন শরীফাইন তথা মক্কাতুল মুকাররমায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ শরীফ ও মদিনাতুল মুনাওওয়ারার মসজিদে নববীতে বিশ রাকাআত তারাবীহর আমলকে অব্যহত রাখেন। আলহামদুলিল্লাহ, যা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.